বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণই আমার আপনজন। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দেবো।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশের ফেরার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফিরে আমি পেয়েছিলাম সারি সারি কবর। সেই কবরের মাটি ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না। আমার যাত্রাপথ এত সহজ ছিল না। নানা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছিল, এখনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল জনসভায় আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণই আমার আপনজন। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যেভাবে আমার বাবা তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যেভাবে আমার মা, আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন, আমিও আমার বুকের রক্ত ঢেলে দেবো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।
তিনি বলেন, আমার চলার পথ, প্রতি পদে পদে বাধা। এখনো মনে পড়ে সেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আমাদের কত জন জীবন দিয়েছে। কত রকম অত্যাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেই, সংগ্রাম করে আমরা ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছি।
তিনি বলেন, কোনো জায়গা থেকেই আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমাদের একমাত্র শক্তি মানুষের সমর্থন। মানুষের ভালোবাসাই হলো আমাদের প্রেরণা।
এই মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণভবন মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার নারী অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
টানা ৪র্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব এবং সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি তাকে অভিনন্দন জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মো. নুরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মো. নুরএলাহি মিনা বলেন, টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদারত্ব এবং সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতা নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চার্লস হোয়াইটলিকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মো. নুরএলাহি মিনা বলেন, গ্লোবাল গেটওয়ে সুবিধার আওতায় পরিবেশ, সুশাসন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে বর্তমানে বাংলাদেশ যেসব সুবিধা পাচ্ছে, তা আগামী দিনে আরও বাড়ানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী উপ-প্রেস সচিব মো. নুরএলাহি মিনা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম সামিটের সময় বাংলাদেশকে ৪০৭ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে।
ইবিএ (অস্ত্র ছাড়া সবকিছু) সুবিধার আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন।
প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।
গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার এই সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় যাবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
ইবিএ (অস্ত্র ছাড়া সবকিছু)-এর আওতায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ দেন এবং গ্লোবাল গেটওয়ে কর্মসূচির আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন সেক্টরে আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেছেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
পরে বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তার আগে সূর্যোদয়ক্ষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেছেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
পরে বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তার আগে সূর্যোদয়ক্ষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
মন্তব্য করুন
আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে নির্মিত প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছেন। একইসঙ্গে চট্টগ্রামে আরও ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ ফ্লাইওভার’ নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয় সহ এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহ সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।
চট্টগ্রামে যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী-
নগরের সিরাজউদ্দৌলা রোড হতে শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক (বাকলিয়া এক্সেস) নির্মাণ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বহিঃসীমানা দিয়ে সুপ রোজ নির্মাণ সহ ঢাকা ট্রাংক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ, লালখান বাজার হতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনীতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরী ভবন নির্মাণ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, জেলা সমাজসেবা কমপ্রেক্স নির্মাণ, মহেশখালী জিরো পয়েন্ট (কালাদিয়ার চর) - সিটিএম এস (ধলঘাটপাড়া) গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে আমান উল্লাহ ভূঁইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক (ওয়ার্ড নং-০১) নির্মাণ কাজ (টাইপ-বি), মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ ও কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন প্রকল্প, নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন, নির্বাচিত বেসরকারি মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ প্রকল্প ও ইউরোপিয়ান সংস্থা, মুজিব কিল্লা নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যেগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মুরালী খালের ওপর ১২১ মিটার দীর্ঘ ভেলালাপাড়া সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমাকে অনুমতি দিন।
দুই দেশের সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের সাথে বিশেষ করে সংহতি, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে শক্তিশালী সম্পর্ককে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা বলেন, গত আগস্টে ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগে আপনার উপস্থিতির কারণে এটি আরো মজবুত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেখ হাসিনার অব্যহত সুস্বাস্থ্য কামনা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা।
মন্তব্য করুন
নতুন
বছরের শুরুতেই নতুন বইয়ের ঘ্রাণ পাবে প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী। প্রথম দিনে একযোগে সারাদেশের
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে বই উৎসব।
সোমবার
(১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসব শুরু হয়।
রাজধানীর
মিরপুরে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রাথমিক পর্যায়ের বই উৎসবের কেন্দ্রীয়
অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা
নতুন বই উঁচিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের
সচিব ফরিদ আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
শাহ রেজওয়ান হায়াত।
এরআগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড জানিয়েছে, ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী পাবে বিনামূল্যে নতুন বই। বই উৎসবে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি বই বিতরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও আমিষের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর তাগিদ দিয়েছেন ।
প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি, দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি, ক্ষুদ্র খামারি ও উদ্যোক্তাদের গবাদি পশু উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা সহ গবাদি পশু পালনের আধুনিক ব্যবস্থাপনার দিক তুলে ধরতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী।
বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত রাজধানীর এ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গবাদিপশু পালন ও সম্প্রসারণে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
উক্ত প্রদর্শনীতে প্রায় ৪০০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বরাবরই গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ফলে বর্তমানে মৎস্য ও কৃষি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পুষ্টি নিরাপত্তা দেয়া। ৮ গুন মাংস উৎপাদন বেড়েছে ডিম ৪ গুন বেড়েছে। ,আমিষ উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, অনেক দেশ হালাল মাংস কিনতে চায়। মাংস রপ্তানির বিষয়ে জোর দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী একইসাথে বিদেশে মাংস ও চামড়া রপ্তানি লক্ষে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে গবাদিপশু পালন ও জবাইয়ের পরামর্শও দেন ।
পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করনে পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্যাকেটজাত করনে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো না আমরা। নিজেদের শস্য নিজেরাই উৎপাদন করবো। স্বাস্থ্য সম্মতভাবে গবাদিপশু পালন করুন যেন মানুষের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি না হয়।
দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন্ জেলার প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে নিজ নিজ উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশুসহ (গাভি, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, শৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী) বিভিন্ন প্রযুক্তি দেখানো হবে।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল
বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিকেল ৫টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে বৈঠকের পরেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এরআগে গত ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। দ্রুত সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া তফসিল ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন সিইসি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ।
সোমবার (৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বিজিবিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হচ্ছে। নিশ্ছিদ্র নজরদারি এবং আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভিলেন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তার সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বিওপি, নীলডুমুর, কাচিকাটা ভাসমান বিওপিতে রাডার স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে। অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে বিজিবির অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়ানোয় কাজ ও দক্ষতার প্রতি তাদের আগ্রহ বহুগুণ বাড়বে।
বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’পাস করেছি। একইসঙ্গে একটি আধুনিক, শক্তিশালী, দক্ষ ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আজ গড়ে উঠেছে। এখন তারা জল, স্থল ও আকাশপথের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ প্রণয়ন করেছি। যেভাবে আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ ‘উন্নত সমৃদ্ধ দেশ’ হিসেবে গড়তে চাই, আমাদের বিজিবিও তেমনি একটি স্মার্ট বাহিনী হবে। বিজিবি ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী এ বাহিনীতে আরও ১৫ হাজার জনবলের পদ সৃষ্টির পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। কমব্যাট ড্রেস দেওয়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা যেন আরও উন্নত হয়, তার যথাযথ ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে এবং তাদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমুখী ব্যবস্থাও প্রবর্তন করা হয়েছে। বিজিবিকে আমরা বিশ্বমানের চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে বিজিবিতে সৈনিক পদে মোট ৩৫ হাজার ৫১৭ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। ৫৫ হাজার ১৮৭ সদস্যকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এবং আমরাই প্রথম বিজিবিতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এ পর্যন্ত বিজিবিতে ৯৯৬ জন নারী সৈনিক ভর্তি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগের দিকে অধিকতর নজর
দিতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়নভুক্ত
প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর
দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । দেশের উন্নয়ন
পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে ৯
বছর পর অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা
কমিশনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারপারসন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি
কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয়
নির্বাচনের কারণে যে সময় ব্যয়
হয়েছে তা মেটাতে আরও
বেশি কাজ করতে হবে।
আমাদের লক্ষ্য- স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে চালু
করতে হবে। বৈদেশিক ঋণ
বা অনুদান যেন দ্রুত ছাড়
পাওয়া যায় সেদিকে নজর
দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের
দিকে অধিকতর নজর দিতে হবে।
দেশের ভেতরে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে
হবে। জমি অনাবাদি রাখা
যাবে না। উৎপাদন বাড়াতে
হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা থেকে
বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মমর্যাদা
নিয়ে চলতে হবে। প্রকল্প
পরিচালক প্যানেল করে প্রকল্প পরিচালক
নিয়োগ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে
একটি গাইড লাইন করা
যায়। এর নাম ‘বিশেষজ্ঞ
প্যানেল’ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী
আরও বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
প্রণয়নে খুব বেশি আউট
সোর্সিংয়ের ওপর নির্ভর করা
যাবে না। পাট ও
পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,
আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস ইত্যাদিতে নজর দিতে হবে।
পানি ও নৌ-পরিবহন
খাতে নজর দিতে হবে।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈঠকে
কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ
আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী
আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং গভর্নর আব্দুর
রউফ তালুকদার। বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন
হয় সেজন্য মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি
গঠন করা হয়েছে। কমিটি
২ মাস পর রিভিউ
করবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের
প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে
টাকা ছাড় হচ্ছে কি
না, এসব বিষয় দেখভাল
করবে এ কমিটি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ডের
সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ
করে। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়।
বৃহস্পতিবার (২ মে) থাইল্যান্ড সফর
নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর
সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ
ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত
বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষিখাতে
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা
কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা
বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে
আলোচনা করি। থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই।
পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন
ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে
ব্যাংককে পৌঁছেন শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের
৫২ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে এটাই ছিল প্রথম সফর।
থাইল্যান্ড সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর
দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
একই সময়ে তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন
কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের
(ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে
‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।
একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের
নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন