রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ-সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন ।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ-সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
এদিকে বিকেল ৫টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সাক্ষাৎ এটি।
এর আগে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে এমপি হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনাসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
ঢাক-ঢোল ও বাঁশি বাজিয়ে বাংলা নববর্ষ বরণে অনুষ্ঠিত হলো আজ শোভাযাত্রা। সকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।
এর
আগে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায়
প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
আজ
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী।তার সাথে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হলো ।
চারুকলা অনুষদের
উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা
১৯৮৯ সালে । বাঙালি এ উৎসব
সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এরপর থেকে বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে ।
ইউনেস্কোর
বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে ২০১৬
সালের ৩০ নভেম্বর এ
শোভাযাত্রা।
মন্তব্য করুন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে রোববার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর এ উপলক্ষে শিশু সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ টুঙ্গিপাড়ায় সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও শোভাবর্ধন এবং বই মেলার আয়োজনসহ ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
তাদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলায় নেওয়া হয়েছে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জানা গেছে, রোববার সকালে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন।
পরে দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল অনার গার্ড প্রদান করবেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করবেন। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করবেন। রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছু সময় বঙ্গবন্ধু ভবনে অবস্থান করার পরে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন।
পরে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শিশু সমাবেশে যোগ দেবেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
আর সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করবেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী অসচ্ছল, মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফটোসেশনে অংশ নেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।
এদিকে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও শোভাবর্ধন এবং শিশু সমাবেশের মঞ্চ এবং সব আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়াসহ পুরো জেলায় বইছে সাজ সাজ রব। জেলার বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন ও নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন। দলীয় নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রীয় এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অতিথিদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে নির্মিত প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছেন। একইসঙ্গে চট্টগ্রামে আরও ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ ফ্লাইওভার’ নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয় সহ এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহ সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।
চট্টগ্রামে যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী-
নগরের সিরাজউদ্দৌলা রোড হতে শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক (বাকলিয়া এক্সেস) নির্মাণ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বহিঃসীমানা দিয়ে সুপ রোজ নির্মাণ সহ ঢাকা ট্রাংক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ, লালখান বাজার হতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনীতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরী ভবন নির্মাণ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, জেলা সমাজসেবা কমপ্রেক্স নির্মাণ, মহেশখালী জিরো পয়েন্ট (কালাদিয়ার চর) - সিটিএম এস (ধলঘাটপাড়া) গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে আমান উল্লাহ ভূঁইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক (ওয়ার্ড নং-০১) নির্মাণ কাজ (টাইপ-বি), মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ ও কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন প্রকল্প, নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন, নির্বাচিত বেসরকারি মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ প্রকল্প ও ইউরোপিয়ান সংস্থা, মুজিব কিল্লা নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যেগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মুরালী খালের ওপর ১২১ মিটার দীর্ঘ ভেলালাপাড়া সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য করুন
আজ
(৩০ জানুয়ারি) বিকালে বসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। একাদশ জাতীয় সংসদের
মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল (২৯ জানুয়ারি)।
রাষ্ট্রপতির
ভাষণের মধ্য দিয়ে বিকেল ৩টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ
দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল
হক টুকুকে একই পদে মনোনীত করেছে। ফলে তারা আবারও নির্বাচিত হবেন। সংসদ নেতা হিসেবে
নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। বিরোধী দলীয় নেতা
হয়েছেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
অধিবেশনের
প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বলে জানিয়েছে
সংসদ সচিবালয়। এরপর নতুন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মত ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ
আলোচনায় অংশ নেবেন সদস্যরা।
সংসদে
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদীয় কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। এতে
অধিবেশনের কার্যকাল ও আলোচ্যসূচি ঠিক করা হবে।
প্রথম
অধিবেশন সংসদ থেকে সরাসরি দেখার জন্য বিদেশি কূটনীতিকসহ বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো
হয়েছে।
এদিকে
সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারা দেশে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।
বুধবার
সকাল থেকে মাঠে নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা
দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
মঙ্গলবার
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভোটগ্রহণের আগে,
ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য ৩-১০
জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী।
আইএসপিআর
জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট
ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে
ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে।
সেনাবাহিনী
৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব
পালন করবে।
এছাড়াও
সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় ০৪টি উপজেলায় কোস্ট
গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
উপকূলীয়
২টি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ
বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয়
সহায়তা করবে। জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনি সহায়তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয়
সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে
যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে।
মন্তব্য করুন
সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটের শাহজালাল (রহ.) এবং হজরত শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে জনসভার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা।
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আয়োজিত প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে সিলেটে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জননেত্রীর আগমনকে ঘিরে সিলেটজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুনে সেজেছে সিলেট নগরী। জনসভায় ১০ লাখ লোকের সমাগম করতে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, জনসভার মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। মঞ্চের পেছনে ব্যানার লাগানোর কাজও শেষ। বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে বাকি কাজ শেষ করতে তৎপরতা চলছে। এছাড়া সমাবেশ স্থলের চারপাশে বাঁশ দিয়ে শক্ত বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছেন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে গত ১৩ ডিসেম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেট সফরে আসেন। এসময় বৃহত্তর সিলেটের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০ ডিসেম্বর আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসমাবেশ স্মরণকালের বৃহৎ করার নির্দেশনা দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের সকল নৌকার প্রার্থীকে অন্তত ১০ হাজার করে লোক নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভা শেষে আলিয়া মাদরাসা মাঠ পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রথম নির্বাচনী জনসভায় অন্তত ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিলেটবাসী। এরমধ্যে জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার জননেত্রীকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষার পালা। সিলেটবাসীর প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সব সময় আন্তরিক। জনসভায় সিলেটের উন্নয়নে কথা বলবেন। তাছাড়া নির্বাচন নৌকায় ভোট চাওয়ার বিভিন্ন নির্দেশনা দেবেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে এই বার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে যাচ্ছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এজন্য তিনি গত কয়েকদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেছেন, আমরা নির্বাচনের আচরনবিধির প্রতি খুবই যত্মবান। যার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর নিয়ে আচরনবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কাজ করছি না। তবে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। আলিয়া মাদরাসা মাঠে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেছেন ।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে ১০ টাকা মূল্যের স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকার উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকার একটি ডাটা কার্ড উন্মোচন করেন।
এছাড়া এসময় একটি বিশেষ সিলমোহরও ব্যবহার করা হয়।
বুধবার ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে স্ট্যাম্প, ফাস্ট ডে কভারর্স এবং ডাটা কার্ড বিক্রি শুরু হবে আর পরবর্তীতে সারাদেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসেও এসব পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
আমরা বিশ্বাস করি, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি। আমরা সেই তারুণ্যকেই স্মার্ট তরুণ সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়তে চাই। কারণ আমাদের লক্ষ্য আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবদিকে আজ বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবো। একটা স্মার্ট পপুলেশন, আমাদের সরকার হবে স্মার্ট, আমাদের ইকোনমি হবে স্মার্ট, আমাদের সমাজ হবে স্মার্ট।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় এ দেশের জনগণ যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে। আর আজকের তরুণরাই হবে ২০৪১ সালের সৈনিক। তারাই চালাবে এই দেশ। সেভাবেই নিজেদের তৈরি করে তুলতে হবে।
নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এবার প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছে তাদের আমি অনুরোধ করবো, নৌকা মার্কায় ভোট দিতে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাদারীপুরে আমাদের যারা প্রার্থী তাদের ভোট দেবেন। আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কারণ, নৌকাই উন্নয়ন, নৌকাই দেবে সব। নৌকা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। এই নৌকা নূহু নবীর নৌকা। যে নৌকা মহাপ্লাবন থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই নৌকাই বাংলাদেশের উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার।'
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
সঙ্গে বসেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ নভেম্বর দুপুরে এ
বৈঠক শুরু হয়।
সকাল থেকে নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে সারিবদ্ধভাবে গণভবনে প্রবেশ করেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে ভেবেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য ও মনোনয়নপ্রত্যাশী সব প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়নপত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপিসহ যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান।
তাছাড়া গত শনিবার(২৫ নভেম্বর) থেকে টানা চারদিন মনোনয়নপত্র বিক্রি এবং জমা নেয় আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার(২৩নভেম্বর) থেকে টানা তিনদিন মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হয়। আজ বিকেলে বৈঠক শেষে দলীয় কার্যালয়ে নাম ঘোষণার মাধ্যমে এই পর্ব শেষ হবে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সব প্রার্থীকে (জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়নপত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপি) সহ যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান।
স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ কথা জানান।
মন্তব্য করুন