প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার
উন্নয়নে নানা ধরণের পদক্ষেপ
নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের
যে বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, সেখানে আমাদের কোনো অধিকার ছিল
না। ১৯৭৫ সালে জাতির
পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন
করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল,
২১টা বছর তারা সমুদ্রসীমার
অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা
বলেনি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলার পাশাপাশি
নিশ্চিত হয়েছে সমুদ্রসীমা। সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়নে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। ব্লু ইকোনমি যাতে ব্যবহার করতে
পারি সে উদ্যোগ নিচ্ছে
সরকার। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার
সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস
অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ২০১২ সালে ভারত,
মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই সমুদ্রে বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করেছে
বাংলাদেশ। যা দেশের অর্থনীতিতে
বড় অবদান রাখবে। ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর
শান্তিপূর্ণ বাণিজ্য পথ হিসেবেই যেনো
অব্যাহত থাকে। পররাষ্ট্রনীতি মেনেই সমুদ্র সম্পদ আহরণে সচেষ্ট থাকবো। সমুদ্রে তেল-গ্যাস উত্তোলনের
জন্য ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বিদেশি
বিনিয়োগকারীরা তেল, গ্যাস উত্তোলনে
বিনিয়োগ করতে পারেন। আমরা
চাই তেল, গ্যাসের সঠিক
ব্যবহার। বিশাল সমুদ্রসীমার সম্পদ ব্যবহার করে দেশের মানুষের
আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি করাই সরকারের লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন
দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (জানুয়ারি ২৩) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে ফ্রান্সসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা প্রয়োজন, কারণ আমাদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশ দারিদ্র্য, বন্যা ও খরার দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল, যা এখন ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, তৃণমূলে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে আজকের বাংলাদেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশের প্রতিটি গ্রাম বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, গ্রামীণ জনপদ অনেক পরিবর্তিত হয়েছে এবং দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা ইতোমধ্যে শহর এলাকায় শুরু হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অবশ্যই তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে। তারা এখানে মাদক চোরাচালান, অস্ত্র ও মানব পাচারের মতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত।
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি তাদের চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের চতুর্থ প্রজন্ম এখানে বসবাস করছে। পাকিস্তান তাদের আর ফিরিয়ে নেবে বলে মনে হয় না। আমরা তাদের স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি গ্যাস কোম্পানিকে বাংলাদেশের গ্যাস খাতে এবং গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ জানান।
তাঁরা এয়ারবাস ক্রয় ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণসহ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়েও আলোচনা করেন।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁর একটি অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হস্তান্তর করেন।
২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, এই সফরগুলো দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছে।
জলবায়ু সমস্যা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ পেতে সহায়তা করবে এবং তারা বাংলাদেশকে এই তহবিল ব্যবহারে অগ্রণী হিসেবে দেখতে চায়।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ একটি উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশকে সবুজ শক্তি উত্তরণে সহায়তা করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তার দেশ ব্লুইকোনমি এবং সাইবার নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
মন্তব্য করুন
আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভায় ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান সভায় ৩৬ টি এবং টেবিলে ৯টি প্রকল্প উপস্থাপিত হয়। এর মধ্যে ১টি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা।
অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো-শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প; তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প; চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প।
ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্ছারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প; রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প; চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প; গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স প্রকল্প; ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।
বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প; বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প; সাপোর্টিং ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য মাদার অ্যান্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প; আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য নেকটারের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্প; উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট; যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট ৩) প্রকল্প; মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প; যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প।
সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা প্রকল্প; সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প; প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প; মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প; পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
মন্তব্য করুন
বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের প্রসারে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনা পয়সায় বই দিই, সাথে সাথে কারিগরি শিক্ষা ও ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। যেন কর্মক্ষেত্রে তারা সুযোগ পায়। কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ব্যাপক হারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যেটা আগে ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরে যেটা আমরা করেছি, যাতে আরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আজকে আমাদের বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। যা প্রায় ২/৩ গুণ বেশি ছিল। কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। যেকোনো যুবক সেখানে বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারে। ঋণ নিয়ে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে। সেই সুযোগটা আমরা তৈরি করে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দুই দিনের সফরে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ঘানা এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সফররত ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি বিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়ে একমত হয় বাংলাদেশ ও ঘানা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “বাংলাদেশ ও ঘানা কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যালস, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট, চামড়া ও গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে।” গণভবনে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি মন্ত্রী শার্লি আয়োরকার বোচওয়ের মধ্যে বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আফ্রিকান দেশগুলির সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকান দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানি করতে পারে।
ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ও ঘানার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে তিনি দুই দেশের মধ্যে কৃষি, ওষুধ, আইসিটি এবং কৃষিভিত্তিক খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথের মহাসচিব হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে তার দেশের প্রার্থীতার পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। এবার আফ্রিকার দেশগুলো থেকে কমনওয়েলথ মহাসচিব নির্বাচিত হবেন।
কমনওয়েলথ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংস্থা এক সময় নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু কমনওয়েলথ এখন বিনিয়োগ এবং মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ (সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে) বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেন, কমনওয়েলথের মহাসচিব পদে যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
মন্তব্য করুন
শনিবার (ফেব্রুয়ারি ২৪) সকালে দক্ষিণ এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত: ভারত-বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমার দেশের মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় এবং দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সুনিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে চলে এবং ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব যেন চিরস্থায়ী হয়। আমাদের মতো যেন বিচারহীনতায় তাদের কষ্ট পেতে না হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারের আসার পর থেকে মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করি।
আজকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিটা হচ্ছে, সেটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলে এবং একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে, মানুষের জীবনে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি, আর্থ-সামাজিক উন্নতি, এটা একমাত্র হতে পরে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয় এবং দেশটা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, আমরা বঞ্চিত থাকব। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরে, অর্থাৎ আমাকেই ক্ষমতায় আসতে হলো ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়) এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্তব্য করুন
৪ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ রবিবার(৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সম্মেলনটি শুরু হয়, যা শেষ হবে আগামী বুধবার(৬ মার্চ)। সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই বার সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে থাকছে ৩৫৬টি প্রস্তাব। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ।
সম্মেলনে মোট অধিবেশন ৩০টি। কার্য-অধিবেশন ২৫টি (একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, একটি স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় এবং একটি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সদয় নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা একটি।
তাছাড়া অংশগ্রহণকারী কার্যালয় একটি (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)। একই সঙ্গে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫৬টি প্রস্তাবনা জমা পড়েছে।
প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, এবারের ডিসি সম্মেলন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। গত সম্মেলন ৩ দিনব্যাপী ছিল। স্পিকার ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ, সদয় নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সমাজে
বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পেয়েছেন ৫
বিশিষ্ট নারী।
শনিবার
(৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস
উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নারী ও তাদের
স্বজনদের হাতে পদক তুলে
দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও
শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত
বক্তব্য দেন মহিলা ও
শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
বেগম
রোকেয়া পদকপ্রাপ্তরা হলেন: নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা
একরাম (মরণোত্তর), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায়
ডা. হালিদা হানুম আখতার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে
নিশাত মজুমদার ও পল্লী উন্নয়নে
রনিতা বালা।
বেগম
রোকেয়া পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের
২৫ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত ১টি পদক, পদকের
রেপ্লিকা, প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র
দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (০৯ মে) গণভবনে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে
একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বিএফডিসি
রেডি-টু-কুক ফিশ’ সামগ্রী এবং গরুর দুধ আহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মিল্কিং মেশিন হস্তান্তর
করেছে ।
এ ধরনের কার্যক্রম বিশেষত
রেডি টু কুক ফিস কার্যক্রমের ফলে কর্মজীবী নারীরা অনেক উপকৃত হবেন। কর্মজীবী নারীদের
রান্না সহজীকরণে রেডি-টু-কুক ফিশ প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের ওপর
গুরুত্বারোপ করায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনকে
ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
রেডি টু কুক ফিস কার্যক্রমে
মোট ৪০ প্রজাতির মাছ রেডি টু কুক হিসেবে স্থায়ীভাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসি
ভবনের মৎস্য বিতান, যাত্রাবাড়ীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দর বিপণন
করা হচ্ছে। এছাড়া অনলাইন, ই- কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক
ফিশ’ বাজারজাত করা হচ্ছে।
ঢাকা শহরের ১৬ স্পটে
ছয়টি ফ্রিজিং ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ভিত্তিতে ‘বিএফডিসি রেডি ফিস’ বাজারজাত করা
হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ স্পটগুলো হলো
১. মিরপুর ডিওএইচএস, ২৭ নম্বর রোড, ২. বনানী, নেভি হেডকোয়ার্টার ও গুলশান (আজাদ মসজিদ
সংলগ্ন), ৩. সচিবালয়ের দক্ষিণ গেইট, ৪. মিরপুর ডিওএইচএস, মিরপুর, ৫. স্বপ্ন নগর আবাসিক
এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট, ৬. মিরপুর অপরাজিতা ভবন, মিরপুর, ৭. ধানমন্ডি ৬ নম্বর, ৮. আজিমপুর
কলোনি, আজিমপুর, ৯. লেডিস ক্লাব, ইস্কাটন, ১০. সচিব কোয়ার্টার, ইস্কাটন (বুধবার ও শনিবার),
১১. দুদক অফিস সংলগ্ন, সেগুনবাগিচা, ১২. এজিবি কলোনি, মতিঝিল, ১৩. শংকর, ধানমন্ডি,
১৪. সেচভবন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ (শুক্রবার ও শনিবার), ১৫. ধানমন্ডি ২৮, ও ১৬. মোহাম্মদপুর
মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন, মোহাম্মদপুর।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান
ও অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ
রেয়াজুল হক এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের
চিফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ডা. মো. গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন