বাংলাদেশ ব্যাংক হলো এমন এক ব্যাংক যেখানে চাকুরী করার স্বপ্ন থাকে হাজারো যুবকের । এখানে চাকুরি করার সুযোগ পাওয়া মানে সোনার হরিণ হাতে পাওয়া । কিন্তু, হঠাৎ করে কি এমন হলো যে কারণে অতি সম্প্রতি অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চাকরি ছেড়েছেন ৫৭জন কর্মকর্তা।
গত মঙ্গলবার দেয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে জানানো হয় এ তথ্যটি
।
এ অফিস আদেশ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ
(বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন এই
কর্মকর্তারা।
৫৭ জনের মধ্যে থাকা বাকি কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েকজন গত ৩১ মার্চ,
১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর করা
হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ছাড়াও পদত্যাগ করা
কর্মকর্তাদের কয়েকজন অন্যান্য জেলা শহরের ছিলেন । এর মধ্যে খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩
জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত
ছিলেন।
মন্তব্য করুন
একটি শিশুর শৈশবের চিত্রাঙ্কন হচ্ছে অভিভাবক বা শিক্ষক।
আমরা যেভাবে চাইব সেভাবে তারা গড়ে উঠবে। আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে রূপদান করবে। তাই বলে ভূল রূপদান যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আমাদের ভালোবাসা তাদের দিতে পারি কিন্তু চিন্তাভাবনা নয়, কারণ তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। আসলে কোমল শিশুরা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু চাপিয়ে দিলে তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে যায়। নিজে থেকে কিছু করার বা চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। হারিয়ে ফেলে তার সৃজনীশক্তি।
তাদের মানসিক বিকাশ হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। চিত্রাঙ্কন হতে পারে তার অন্যতম মাধ্যম।
শিশুরা
তার আশপাশের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, পরিবেশ তার ছবির ভাষায় তুলে ধরবে ।
মন্তব্য করুন
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে একটি
প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর যেসব এসপি ও ইউনিট প্রধানরা বিপিএম-পিপিএম পদক পেয়েছিল তাও বাতিল করা হয়েছে।
এই
একই
কারণে এর আগে ওএসডি করা হয় ১২ ডিসিকে।
ওএসডি করা কর্মকর্তাদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
মন্তব্য করুন
পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
বন্যায় চারদিক যখন ডুবন্ত তখন এক অসহায় অন্তঃসত্ত্বাকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী কাতরাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ফেনী জেলার ফুলগাজী থেকে তাকে উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টার।
পোস্টে বলা হয়েছে, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের অধীন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ত্রাণ বিতরণে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।
ওই নারীকে সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টারে করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পোস্টটিতে
সবশেষে বলা হয় যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে আছে এবং তাদের সহায়তা
এবং উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া ব্রেইল বইসহ বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা নিয়েও তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মেইক ল্যাঙ্গুয়েজ কাউন্ট ফর সাসটেউনেবল ডেভেলপমেন্ট’ যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ ও দেশের ভাষাসমূহের মর্যাদা রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
ড. ইউনূস আরো বলেন, শত বছরের শোষণে ও শাসনে জর্জরিত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম জয়যাত্রা ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল। এ দিনে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণোৎসর্গ করেছিলেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিক উদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমানসহ আরো অনেকে।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ১৯৫৬ সালে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায় এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রফেসর
ইউনূস সবাইকে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জানান। তিনি এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন
দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে জাতীয় স্বার্থে
সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে সেজন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের
ব্রিফিংকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান
বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ কয়েকজন উপদেষ্টা বৈঠকে ছিলেন। তাদের
সঙ্গে বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশ কীভাবে শান্তিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে
আগামীতে একটা কার্যকর নির্বাচনের দিকে এগোতে পারে, সে বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম, দল-মত নির্বিশেষে
এ দেশ আমাদের সবার। সবাই মিলেমিশে জাতীয় ঐক্য আরও কীভাবে সংহত করা যায়, প্রশাসনকে আরও কীভাবে গুছিয়ে আনা যায়, এসব বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, যেটাতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটাকে
লাঘব করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে রমজান মাস আসছে, এটাকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা
যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেসব নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা পরামর্শ করেছি।
পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু
বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। এসব আলোচনায় আমরা একমত হয়েছি যে—দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়েই দেশকে সামনে
এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকবে,
তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দিতে হবে। এরজন্য
প্রয়োজন সর্বোত জাতীয় ঐক্য। দল-মত-ধর্মের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে জাতীয় স্বার্থে আমরা
যেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা সে আহ্বান জানাই। আমরা বৈঠকেও এ কথা
বলেছি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ন্যূনতম যে
সংস্কার দরকার, সেটা দ্রুত করে তারপর নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে এসেছি আমরা।
বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত
ছিলেন, দলটির দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, আব্দুল হালিম এবং
নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসছে।
নিয়োগ পদ্ধতি শিক্ষক নিবন্ধন সনদের পরিবর্তে সরাসরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া করবে সরকারি কর্ম কমিশনের আদলে গঠিত একটি কর্তৃপক্ষ।
তবে এ নিয়ে বর্তমানে আইন তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এজন্য প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। আর উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তির পর সনদের ভিত্তিতে আবেদন করলে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগে সুপারিশ করে থাকে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আইনটি পাস হলে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো নিবন্ধন সনদের দরকার হবে না। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর এনটিআরসিএর জন্য নতুন আইন তৈরি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়।
শিক্ষক নিয়োগে নতুন আইন প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-২) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির কাজ চলমান। আশা করছি, আইনটি পাসের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তোলা হবে।
এদিকে এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নির্বাচন এবং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে সুপারিশ কর্তৃপক্ষ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে। তবে এই নতুন আইন কার্যকর হতে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর এই সময় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আগের নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে হবে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে এনটিআরসিএর সনদধারীরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করলে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। এ ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব-৩৫ বা নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছর রয়েছে এমন সব প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পান। ফলে অনেকেই বঞ্চিত হয়ে থাকেন। তবে নতুন আইন কার্যকর হলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়স উল্লেখ থাকবে। এতে বঞ্চিত হতে হবে না কাউকে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছে এনটিআরসিএ। প্রথম দশকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি। তবে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর এতে পরিবর্তন আসে। সনদ দেয়ার পাশাপাশি নিয়োগের জন্য সুপারিশের ক্ষমতা দেয়া হয় এনটিআরসিএকে।
মন্তব্য করুন
রোববার ও সোমবার একটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩।
রোববার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির অভিপ্রায়
অনুযায়ী আপিল বিভাগে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানকে কুমিল্লায় বদলি করা
হয়েছে। আর আপিল বিভাগের নতুন রেজিস্ট্রার হয়েছেন রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান।
জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে
পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে প্রেষণে নিয়োগে তাদের
চাকরি প্রধান বিচারপতির অধীনে ন্যস্ত করা হলো।
এদিকে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক
(জেলা জজ) মুহা. হাসানুজ্জামানকে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার পদে, নওগাঁর অতিরিক্ত
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমতিয়াজুল ইসলাম ও বাগেরহাটের অতিরিক্ত চিফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুস সামাদকে হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে
বদলি করা হয়েছে।
সোমবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে
পরামর্শক্রমে জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে
পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে নিয়োগ বা বদলি
করা হলো।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানকে কুমিল্লার
জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) পদে, কুমিল্লার
জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) বেগম মরিয়ম মুন মুঞ্জুরীকে
রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) পদে,
হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো.মিজানুর রহমানকে রাজশাহীর যুগ্ম জেলা জজ
পদে, রাজশাহীর যুগ্ম জেলা জজ মো. আফাজ উদ্দিনকে রংপুরের যুগ্ম জেলা জজ পদে
এবং হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো.শামীম সুফীকে আইন মন্ত্রণালয়ের
সংযুক্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ এ কুমিল্লা জেলা পুলিশ সারাদেশে সেরা হবার গৌরব উজ্জ্বল কৃতিত্ব অর্জন করেছে ।
চলমান পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ এর দ্বিতীয় দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স এ ২০২৩ সালে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযান ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে কৃতিত্ব অর্জনকারী কুমিল্লা জেলা পুলিশকে পুরস্কার প্রদান করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কামরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) পুরস্কার গ্রহণ করেন ।
সারা দেশে পুলিশের সকল ইউনিটের মধ্যে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ১ম স্থান, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে ১ম স্থান ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে ২য় স্থান অর্জন করেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের জন্যে এটি এক গৌরবময় অর্জন।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) জেলা পুলিশের অপরাধ শাখাসহ সকল ইউনিটের সদস্যদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন
দেশজুড়ে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে ভুল-ত্রুটি ও অসঙ্গতি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ জানাচ্ছেন।
এসব সমালোচনা ও মতামতকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে মূল্যায়ন করে পাঠ্যপুস্তকের ভুল-অসঙ্গতির সংশোধনী অতি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
মঙ্গলবার বিকালে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীসহ সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ২০২৪ সালের বইয়ের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় আমরা সব শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকলে তা অবহিত করতে অনুরোধ করেছিলাম। আপনারা আমাদের আহ্বানে তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে একই সাথে আরো বলা হয়, আপনাদের এ তাৎপর্যপূর্ণ মতামত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ণপূর্বক সংশোধনীসমূহ অতি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে পাঠানো হবে। যারা আমাদের নানান তথ্য-উপাত্ত, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি আমরা অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
মন্তব্য করুন