

ফাতেমাতুজ জোহরা তন্বী, প্রতিবেদক:
আজ ২০ আগস্ট, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মশা দিবস’ (World Mosquito Day)—একটি দিন যা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়, ছোট্ট একটি প্রাণী কীভাবে হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর মহামারির কারণ।
প্রতিবছর মশাবাহিত রোগে বিশ্বে প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে মশার বিস্তার বেড়েছে কয়েকগুণ।
কেন ২০ আগস্ট?
১৮৯৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশ ডাক্তার সার রোনাল্ড রস প্রমাণ করেন যে ম্যালেরিয়া রোগের বাহক হলো মশা। তাঁর এই আবিষ্কার বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক বিপ্লব এনে দেয়। তাঁর সম্মানে প্রতি বছর ২০ আগস্ট পালিত হয় ‘বিশ্ব মশা দিবস’।
ভয়ংকর বাস্তবতা:
বাংলাদেশে গত এক দশকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে, যার অধিকাংশই রাজধানী ঢাকায়।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মশা এখন কেবল বর্ষাকালেই নয়, প্রায় সারা বছর ধরেই সক্রিয়। খোলা ড্রেন, জমে থাকা পানি ও পরিত্যক্ত পাত্র মশার প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
কী করণীয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মশা নির্মূলে কেবল সরকারি উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। ব্যক্তিগত সচেতনতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কয়েকটি করণীয় তুলে ধরা হলো:
১. ঘর-বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি অপসারণ
২.মশারি ব্যবহার করা
৩.নিয়মিত ফগিং ও লার্ভিসাইড ব্যবহার
৪.ফুলের টব ও রেফ্রিজারেটরের ট্রে নিয়মিত পরিষ্কার
৫.স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা
সচেতন হোন, বাঁচান জীবন
বিশ্ব মশা দিবসে প্রতিজ্ঞা হোক—“একটি মশাও যেন জন্ম নিতে না পারে।” স্বাস্থ্যই সম্পদ, আর সচেতনতাই সেই সম্পদের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।
মন্তব্য করুন


ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই
নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড গতকাল শনিবার রোমে
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন
দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক
অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
তাঁরা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কাজের প্রতি
গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের
বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সাথে
তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আপন
করে নিতে পারতেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,তিনি একজন অসাধারণ
মানুষ ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস উল্লেখ করেন,
পোপ ফ্রান্সিসের দায়িত্ব পালনকালে বহুবার তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এবং কীভাবে ভ্যাটিকান
ব্যাংকের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁর লেখা একটি সমালোচনামূলক চিঠি ভ্যাটিকানের
সরকারি পত্রিকা এল ওসারভেটরি রোমানোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল, তা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আমি লিখেছিলাম কিভাবে ভ্যাটিকান
তার ব্যাংককে দরিদ্রবান্ধব করে তুলতে পারে। আমি ব্যাংকের কার্যকারিতা ও বিতর্ক নিয়ে
সমালোচনা করেছিলাম। তবুও, পোপ সম্পূর্ণ চিঠিটি প্রকাশ করেছিলেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আরও জানান, পোপ ফ্রান্সিস
তাঁকে ভ্যাটিকান ব্যাংকের সংস্কার এবং চার্চের দরিদ্রবান্ধব উদ্যোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে
বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন।
গত নভেম্বরে, রোমে পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস
থ্রি জিরো ক্লাব উদ্বোধন করা হয়, যার লক্ষ্য অধ্যাপক ইউনূসের ‘শূন্য বেকারত্ব, শূন্য
সম্পদ মজুদ এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমন’ ভিশন বাস্তবায়ন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, আমি
মুসলিম, তবুও পোপ ফ্রান্সিস কখনোই তাঁর নাম একজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সাথে যুক্ত হওয়া
নিয়ে আপত্তি করেননি।
তিনি আরও জানান, তাঁকে ক্যাথলিক চার্চের
পক্ষ থেকে সেন্ট ফ্রান্সিস অব অ্যাসিসির টর্চ দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল, ১৩ শতকের ইতালিয়ান
সাধক ও মিসটিকের চেতনা ধারণ করার জন্য।
পোপের সাথে তাঁর মধুর সম্পর্কের কথা
স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি কখনোই আমাকে বহিরাগত ভাবেননি।’
কার্ডিনাল তোমাসি এবং কার্ডিনাল কুভাকাড
জানান, তাঁরা উভয়েই ভ্যাটিকানের কার্ডিনাল কলেজের সদস্য এবং আগামী সপ্তাহে নতুন পোপ
নির্বাচনের জন্য বৈঠক করবেন। তাঁদের দুজনকেই চার্চের শীর্ষ নেতৃত্বের সম্ভাব্য প্রার্থী
হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কার্ডিনাল
তোমাসির সাথে সাক্ষাৎ:
জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসের ভ্যাটিকানের
সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসি শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে
তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সাথে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়েই ইউক্রেন এবং
গাজায় সংঘাত বন্ধে পোপ ফ্রান্সিসের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ভিয়েতনাম যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে
উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে সেখানে সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন,
‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।’
তিনি এ অঞ্চলে আরও শান্তি প্রতিষ্ঠার
উদ্যোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন এবং উত্তেজনার সময় শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক ইউনূসও ভিয়েতনামের চমৎকার অর্থনৈতিক
অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়ানোর
জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মডেল অনুসরণ করছে।
কার্ডিনাল তোমাসি আশা প্রকাশ করেন,
পোপ ফ্রান্সিসের মতোই পরবর্তী পোপ সরলতা বজায় রাখবেন এবং আন্তঃদেশীয় শান্তি সংলাপকে
এগিয়ে নেবেন।
কার্ডিনাল
জ্যাকব কুভাকাডের সাথে সাক্ষাৎ:
এর আগে বিকেলে, ভ্যাটিকানের আন্তঃধর্মীয়
সংলাপ বিষয়ক দপ্তরের প্রধান কার্ডিনাল কুভাকাড রোমে প্রধান উপদেষ্টার সাথে হোটেলে সাক্ষাৎ
করেন।
কেরালার বাসিন্দা কার্ডিনাল কুভাকাড
জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে ক্যাথলিক চার্চের উদ্যোগে একটি আন্তঃধর্মীয়
সংলাপের আয়োজন করা হবে, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা অংশ নেবেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী
মানুষের মধ্যে অব্যাহত সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায়
দেশের অঙ্গীকার এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন, যা জাতি, ধর্ম,
বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, ভ্যাটিকানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
তারেক আরিফুল ইসলাম এবং ইতালিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক।
মন্তব্য করুন


সন্ধান মিলেছে এক ভয়ঙ্কর বৃক্ষনারীর কিন্তু এ নারীদেহের বেশির ভাগ অংশই গাছ দিয়ে তৈরি। জনশ্রুতি আছে ছাড়া পেলে নাকি জঙ্গলের মধ্যে দৌড়ে বেড়ায় এ অশরীরী ।
কানাডার লাব্রাডর এবং নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে কোন্নে নদীর কাছে গ়ড়ে উঠেছে মিয়াওপুকেক ফার্স্ট নেশন রিজ়ার্ভ। আর এখানকার ঘন জঙ্গলের মধ্যেই খোঁজ মিলেছে ভয়ঙ্কর এ নারীরূপী গাছের।
নারীর দেহের সঙ্গে গাছটিকে আলাদা করা যাচ্ছে না। পা দুটিও যেন গাছেরই অংশ। কোমর, পেট থেকে গলা পর্যন্ত যেন গাছের মধ্যে ঢুকে রয়েছে। তবে নারীদেহটি মু্ণ্ডহীন। গাছটি সোজা দাঁড়িয়ে থাকলেও নারীর দেহটি বেঁকে গিয়ে বাঁদিকে হেলে রয়েছে। যেন গাছ থেকে নিজেকে আলাদা করার চেষ্টায় ছিলেন ওই নারী। মাথা আলাদা করতে পারলেও দেহের সর্বাংশ আটকে পড়েছে গাছের ভিতর। গাছের বাইরের দিকে মাথা বার করতে গিয়ে তা কাটা পড়েছে বলেও মনে করা হয়। জঙ্গলের ভিতর বহু দিন এই গাছ থাকলেও তা নজরে পড়ে ২০২২ সালে।
মিয়াওপুকেক রিজ়ার্ভে ঘন জঙ্গলের ভিতর এমন একটি গাছ রয়েছে যার বাকল, গুঁড়ি বেরিয়ে এমন আকার ধারণ করেছে এক নজরে যা দেখলে মনে হয় গাছটি কোনও নারীকে নিজের ভিতরে টেনে রাখার চেষ্টা করছে।
অনেক আগে মিয়াওপুকাক রিজ়ার্ভে ঘুরতে গিয়েছিলেন শেন ম্যাকডোনাল্ড এবং অ্যাডা জন নামে দুই পর্যটক। জঙ্গলের ভিতর হাইক করতে গিয়ে এই অদ্ভুত গাছ নজরে পড়ে তাঁদের। দেখামাত্রই অবাক হয়ে যান তাঁরা।
শেন এবং অ্যাডা দুজনেই তখন নারীর নকল মাথা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। শ্যাওলা দিয়ে নারীর চোখ, মুখও তৈরি করেন। মাথার সঙ্গে নকল চুল তৈরি করে গাছের সঙ্গে নকল মাথাটি লাগিয়ে দেন তাঁরা। এরপর গাছের ছবিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন শেন এবং অ্যাডা। তারপরেই সমাজমাধ্যমে শুরু হয় ঝড়। আবার অনেকেই ভয় পেয়ে যান ,কেউ আবার অনেকে বিষয়টি নিয়ে মজা করতে শুরু করেন।
নেটব্যবহারকারীরা এক চরিত্রের সঙ্গে মুখের মিল খুঁজে পান ।‘দ্য ওয়াকিং ডেড’নামের এক জনপ্রিয় জ়ম্বি ধারাবাহিকের একটি চরিত্র আলফা। বিষয়টি নজরে পড়ে মিয়াওপুকেকের পর্যটন এবং সংস্কৃতি বিভাগের ডিরেক্টর কোলিন লাম্বার্টের। এরপরই কোলিন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। কোলিন এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই ধরনের গাছ যে জঙ্গলের ভিতর ছিল তা আমিও জানতাম না। কোলিন চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, জঙ্গলের ঠিক কোন জায়গায় গাছটি রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে। গাছটি খুঁজে পেলে তার সামনে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হাইকারদের জন্য আকর্ষণীয় উপহারেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
কোলিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিযোগিতার আয়োজন অবশ্য ফলপ্রসূ হয়। গাছের সন্ধানের জন্য হাইকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সমাজমাধ্যমেও হাইকারদের তোলা ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এখন এই বৃক্ষনারীকে দেখতেই জঙ্গলে হাইক করছেন অনেকে।
মন্তব্য করুন


ইন্দোনেশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে
আইফোন ১৬ ও অ্যাপলের নতুন সকল পণ্য নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশটিতে দেওয়া বিনিয়োগের
প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় অ্যাপলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে
ইকোনোমিক টাইমস।
ইন্দোনেশিয়ার আইন
অনুযায়ী, সেদেশে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট ক্রয় বাজেটের ৪০ শতাংশ স্থানীয় পণ্য
বা সেবায় ব্যয় করতে হবে। আইন মানতে দেশটিতে মোট ১০৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিল অ্যাপল। ৪০ শতাংশ কোটা পূরণে ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল একাডেমি নামে একটি গবেষণা
প্রতিষ্ঠান করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কিন্তু এ বিষয়ে সরকার
বলছে, অ্যাপল সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ১০৯ মিলিয়ন নয়, বিনিয়োগ করেছে ৯৫
মিলিয়ন ডলার। জবাবে অ্যাপলের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। আইফোন
১৬, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর মতো এই কোম্পানির সকল নতুন পণ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে
তারা।
জানা গেছে, আইফোনের
ইএমইআই সার্টিফিকেট আটকে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মানে আইনিভাবে কেউ নতুন আইফোন ব্যবহার
করতে পারবে না। কারো হাতে আইফোন ১৬ দেখা গেলে সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা
হয়েছে।
আইফোন ১৬ বাজারে আসে
গত সেপ্টেম্বরে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই ফোনের প্রায় ৯ হাজার সেট
ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮
কোটির কিছু বেশি। এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশই প্রযুক্তিপ্রেমী। যে কোনো নতুন গেজেট
এলেই সেটির প্রতি আগ্রহী হন তারা। এ কারণে দেশটিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার বরাবরই
চাঙ্গা। দেশটিতে বর্তমানে শত শত কোম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিগত
পণ্যের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে। ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল শাখা খোলে ২০১৮ সালে। তবে এ শাখায়
এখনও কোনো আইফোন বা অন্য কোনো ফোন ম্যানুফ্যাকচারের কাজ হয়নি।
মন্তব্য করুন


ভালোবাসার লাল রঙের মাঝে বিশাল এক জায়গা জুড়ে থাকে বেদনার নীল রং।
শরীরে কোথাও আঘাত লাগলে যন্ত্রণায় প্রথমে জায়গাটার রং তীব্র নীল রঙ ই হয় যদিওবা পরে কালচে হয়ে যায়।যন্ত্রণার তীব্রতায় এই নীল রং ধারণ করার জন্যই বুঝি বা বলা হয় - বেদনার রং নীল।
আমেরিকার নাগরিকদের কাছে আজকের দিনটি (১০ নভেম্বর) একটি বিশেষ দিন। প্রিয়জন বা কাছের মানুষকে ভুলে না যাওয়ার দিন। তারা দিনটির নাম রেখেছে, ‘ফরগেট মি নট ডে' বা ‘ভুলে না যাওয়ার দিন'। এদিন হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষকে স্মরণ করা হয় সেই ছোট্ট নীল ফুল দিয়ে।
পশ্চিমা দেশে পথের ধারে ফুটে থাকা নীল রঙা ছোট্ট ঘাসফুল ‘মায়োসটিস’ তাই বেদনার প্রতীক। মনোযাতনার অনুভূতির সমার্থক হয়ে ওঠা এই নীল ফুলটির আরেক নাম ‘ফরগেট মি নট’ বা ‘ভুলো না আমায়' ।
১৯২১ সালের কথা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর যোদ্ধাদের স্মরণে শুরু হয় দিনটির উদযাপন, যার গোড়াপত্তন হয়েছিল বিচারক রবার্ট এস. মার্কসের হাত ধরে যিনি নিজেও ছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একজন বীর যোদ্ধা। যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন, হারিয়েছেন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, তাদের স্মরণে এ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আর যুক্তরাষ্ট্রে তখন থেকেই শুরু হয় ফর গেট মি নট ডে উদযাপন।
রবার্ট এস. মার্কস যুদ্ধাহত বীরদের জন্য অর্থ সংগ্রহের কথাটাও ভাবলেন বিচারক । সিদ্ধান্ত নিলেন সেই নীল রঙা ঘাসফুল বা ‘ফরগেট মি নট' ফুল বিক্রি করে অর্থাভাবে থাকা প্রবীণ যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়াবেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৯৪৯ সালে ফরগেট মি নট ফুলটিকে রাজ্য ফুল এর স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা।
দেশ ভেদে দিনটি উদযাপনের তারিখ ও উদ্দেশ্যের ভিন্নতা আছে। নিউজিল্যান্ডে আলঝেইমারে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের স্মরণ করা হয় দিনটিতে। আলঝেইমার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৩ সাল থেকে বছরের ৫ ও ৬ জুনকে ফর গেট মি নট ডে হিসেবে পালন করে দেশটি।
ভুল বোঝাবুঝি থেকে দূরে সরে যাওয়া কিংবা ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া দিতেও দিনটিকে বেছে নেন অনেকে। তবে যে ঘটনাকে সামনে রেখেই দিনটি উদযাপন করেন না কেন, নীল রঙা ফুলের কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না!
কারণ, সম্পর্কে মান-অভিমান থাকে। ভালবাসায় ভুল বোঝাবুঝি আসতেই পারে কিন্তু তাই বলে কি দূরে সরে যাওয়া যায়?
নীল রংয়ের এই ঘাসফুলের তোড়া দিয়ে সে মানুষটাকে তখন বলে দেয়াই যায় - বেদনার তীব্রতা টুকু নিয়েও সে মানুষটা আপনাকে স্মরণ করছে প্রতি মুহূ্র্তে । সে আছে যে কখনো আপনাকে ভুলে যাবে না। আপনাকে প্রতি মুহুর্তে ভেবে যায়।
সে চায় যেন আপনিও তাকে কখনো ভুলে না যান ।
মন্তব্য করুন


তাইওয়ানে ২০০টিরও বেশি
ভূমিকম্প (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৩ মাত্রার
শক্তিশালী ভূমিকম্পও ছিল।
আজ (মঙ্গলবার) ভোরে
হুয়ালিয়েনের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩ এপ্রিল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি
হোটেল আবারও কিছুটা ঝুঁকেছে। তবে তাতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দুটি টেকটোনিক প্লেটের
সংযোগস্থলের কাছেই তাইওয়ানের অবস্থান। এ কারণেই অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ।
ভূমিকম্পগুলো হুয়ালিয়েনের
বৃহত্তর গ্রামীণ পূর্ব কাউন্টিতে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সেখানে
৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে তাইওয়ানে
শত শত আফটারশক হয়েছে।
২০১৬ সালে তাইওয়ানের
দক্ষিণাঞ্চলে শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৯৯ সালে সেখানে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার
ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত হন।
মন্তব্য করুন


৬৫
কোটি আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সেই রহস্যময় বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। সেই তরঙ্গের
মধ্যে দিয়ে একটি রহস্যময় সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে পৃথিবীতে।
সেই
সঙ্কেতের রহস্যভেদ করতে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।মহাকাশে এক
মৃত নক্ষত্রের সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে তৈরি হওয়া মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে শোরগোল পড়ে
গিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
তেমনই
এক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ অতিক্রম করে গত বছর পৃথিবীতে এসেছে। ২০২৩ সালের
মে মাসে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গের হদিস পান। আর সেই তরঙ্গেই লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সঙ্কেত।
তবে
অনেক সময় তারাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিস্ফোরণের। বিজ্ঞানীদের ভাষায়
এই বিস্ফোরণকে সুপারনোভা বলে। সেই বিস্ফোরণের ফলেও মৃত্যু হয় তারাদের।
তারাদের
মৃত্যু। বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও মহাকাশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের মতো তারাদেরও
জন্ম-মৃত্যু রয়েছে। মহাকাশেই তারাদের জন্ম হয়, সেখানেই মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর
থেমে যায় না তারারা। কৃষ্ণগহ্বরের আক্রমণেই মৃত্যু হয় তারাদের।
নিউট্রন
তারা কী? এই সব তারা পুরোটাই নিউট্রন কণা দিয়ে তৈরি হয়। এদের ভর সাধারণত সূর্যের ভরের
দেড় থেকে দু’গুণ হয়। এই সব নক্ষত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে, যা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের
থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি হয়। এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই চর্চা করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সেখান থেকেই মেলে নতুন নতুন তথ্য।
বিজ্ঞানীদের
মধ্যে এই দুই গ্রহও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।তারাদের মৃত্যু। বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও
মহাকাশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের মতো তারাদেরও জন্ম-মৃত্যু রয়েছে। মহাকাশেই তারাদের
জন্ম হয়, সেখানেই মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর থেমে যায় না তারারা। কৃষ্ণগহ্বরের আক্রমণেই
মৃত্যু হয় তারাদের
সম্প্রতি
মহাশূন্যে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত দুই গ্রহের সন্ধান পেয়েছে
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। জানা যায়, এই দুই গ্রহ মহাকাশে দুই মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ
করে চলেছে। এই দুই গ্রহের ভর বেশ কয়েকটি বৃহস্পতি গ্রহের সম্মিলিত ভরের সমান।
তেমনই
এক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ অতিক্রম করে গত বছর পৃথিবীতে এসেছে। ২০২৩ সালের
মে মাসে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গের হদিস পান। আর সেই তরঙ্গেই লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সঙ্কেত।
মহাবিশ্বকে
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অতীতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দ্বারা বয়ে আনা বার্তার রহস্যভেদ করা খুবই কঠিন ছিল। তাই
মহাকাশে ঘটে চলা অনেক কিছুই অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এখন সেই সব তরঙ্গ অধ্যয়ন
করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন অনেক অজানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে, গত বছর মে মাসে আসা জিডব্লিউ২৩০৫২৯
নামক তরঙ্গ থেকে এমন কিছু জানা যাবে, যা মহাকাশের এক নতুন দরজা খুলে দেবে।
বিজ্ঞানীদের
মতে, নিউট্রন তারা এবং এক অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জেস ম্যাকআইভার এই বিষয়টি নিয়ে বলেন,
‘‘নিউট্রন তারা এবং কম ভরের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষের হার আমরা আগে যা
ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’’
ম্যাকআইভার
এ-ও জানান, নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে এমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের
উৎপত্তির মতো ঘটনা বিরল। তাই এই তরঙ্গে যে সঙ্কেতের আভাস মিলেছে তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে।
তেমনই এক মৃত নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গের। তবে এই তরঙ্গের সঠিক উৎস নির্ধারণ করতেও সময় লাগে বিজ্ঞানীদের। পাঁচ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তরঙ্গের উৎসস্থল সম্পর্কে ধারণা মেলে বিজ্ঞানীদের।
এক নক্ষত্রের মৃত্যু এবং তা থেকে আসা অজানা সঙ্কেতই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের। কী ভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়? অ্যালবার্ট আইনস্টানের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে, মহাকাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের মতো বিশাল বস্তুগুলি প্রায়ই নিজেদের গতি পরির্তন করে থাকে। সে সময়ই সৃষ্টি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। এই সব তরঙ্গ আলোর গতিতে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মৃত্যুর
আগে শেষ বার্তা পাঠাল দূরের নক্ষত্র, রহস্যময় সঙ্কেত চমকে দিল বিজ্ঞানীদের
মহাকাশে
এক মৃত নক্ষত্রের সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে তৈরি হওয়া মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে শোরগোল
পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। সেই তরঙ্গের মধ্যে দিয়ে একটি রহস্যময় সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে
পৃথিবীতে। সেই সঙ্কেতের রহস্যভেদ করতে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
এক
নক্ষত্রের মৃত্যু এবং তা থেকে আসা অজানা সঙ্কেতই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের।
৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সেই রহস্যময় বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে।
কী
ভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়? অ্যালবার্ট আইনস্টানের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে,
মহাকাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের মতো বিশাল বস্তুগুলি প্রায়ই
নিজেদের গতি পরির্তন করে থাকে। সে সময়ই সৃষ্টি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। এই সব তরঙ্গ আলোর
গতিতে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মহাবিশ্বকে
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অতীতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দ্বারা বয়ে আনা বার্তার রহস্যভেদ করা খুবই কঠিন ছিল। তাই
মহাকাশে ঘটে চলা অনেক কিছুই অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এখন সেই সব তরঙ্গ অধ্যয়ন
করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন অনেক অজানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে, গত বছর মে মাসে আসা জিডব্লিউ২৩০৫২৯
নামক তরঙ্গ থেকে এমন কিছু জানা যাবে, যা মহাকাশের এক নতুন দরজা খুলে দেবে।
বিজ্ঞানীদের
মতে, নিউট্রন তারা এবং এক অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জেস ম্যাকআইভার এই বিষয়টি নিয়ে বলেন,
‘‘নিউট্রন তারা এবং কম ভরের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষের হার আমরা আগে যা
ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’’
ম্যাকআইভার
এ-ও জানান, নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে এমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের
উৎপত্তির মতো ঘটনা বিরল। তাই এই তরঙ্গে যে সঙ্কেতের আভাস মিলেছে তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে।
নিউট্রন
তারা কী? এই সব তারা পুরোটাই নিউট্রন কণা দিয়ে তৈরি হয়। এদের ভর সাধারণত সূর্যের ভরের
দেড় থেকে দু’গুণ হয়। এই সব নক্ষত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে, যা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের
থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি হয়। এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই চর্চা করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সেখান থেকেই মেলে নতুন নতুন তথ্য।
তেমনই
এক মৃত নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গের।
তবে এই তরঙ্গের সঠিক উৎস নির্ধারণ করতেও সময় লাগে বিজ্ঞানীদের। পাঁচ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের
পর তরঙ্গের উৎসস্থল সম্পর্কে ধারণা মেলে বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি
মহাশূন্যে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত দুই গ্রহের সন্ধান পেয়েছে
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। জানা যায়, এই দুই গ্রহ মহাকাশে দুই মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ
করে চলেছে। এই দুই গ্রহের ভর বেশ কয়েকটি বৃহস্পতি গ্রহের সম্মিলিত ভরের সমান। বিজ্ঞানীদের
মধ্যে এই দুই গ্রহও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে কম সংস্কার চায় তাহলে ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর একটু বেশি সংস্কার চাইলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাবেক দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মিলাম ও ড্যানিলোভিচ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে ড. ইউনূস সাবেক রাষ্ট্রদূতদের বলেন, ছয়টি কমিশনের সুপারিশ করা সংস্কারের বিষয়ে সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই মাসের সনদে সই করবে। জুলাই সনদ আমাদের পথ দেখাবে। অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই মাসের সনদে প্রদত্ত সুপারিশের কিছু অংশ বাস্তবায়ন করবে। বাকিগুলো রাজনৈতিক সরকারগুলো বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় ড. ইউনূস অলাভজনক গোষ্ঠীর কাজ এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমর্থন করার জন্য দুই কূটনীতিকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাধীনতা অধিকারের কাজ এবং দেশকে গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এর কাজ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন দুই সাবেক রাষ্ট্রদূত।
১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন মিলাম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশে ব্যাপক সংস্কার বাস্তবায়ন এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিচ বলেন, ভুয়া সংবাদ এবং বিভ্রান্তির হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ইতিবাচক বক্তব্য ও গুরুতর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তারা বর্তমান বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট এবং তাদের জন্য সাহায্য হ্রাসের প্রভাব,সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রচেষ্টা এবং আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৪ নভেম্বর) বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের তৈরি
খাতে আরও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার প্রয়াসে শ্রম খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করবে।
এখানে
প্রাপ্ত এক খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের
ফাঁকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র
সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের
সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার সময় অধ্যাপক ইউনূস তাকে বলেন, ‘শ্রম ইস্যুটি আমাদের
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অন্যতম এবং আমরা সকল শ্রম সমস্যার সমাধান করতে চাই।’
থেরেসা
মে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রম ইস্যুতে কাজ করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে মানব পাচার ও অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক
ইউনূস আইনি মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি
ঝুঁকি ও অনিয়মিত অভিবাসন কমিয়ে দেবে এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ
করবে।
অধ্যাপক
ইউনূস থেরেসা মেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় বাংলাদেশী তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল
বিষয়ক বই আর্ট অফ ট্রায়াম্ফের একটি অনুলিপি উপহার দেন।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য
সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, তুরস্ক এবং আজারবাইজানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আনামুল
হক উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কাতারে অগ্নিকাণ্ডে ৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।একটি মোটরসাইকেল দোকানে এ অগ্নিকান্ড ঘটে।নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে দুজনের বাড়ি ফেনীতে। অপরজনের বাড়ি নোয়াখালীর সেবার হাটে।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাতারের ফিরোজ আবদুল আজিজ নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিন বাংলাদেশি হলেন- ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনিয়া সোনাপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে মীর হোসেন, ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিন মোহাম্মদ ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা মাহফুজ ও অপরজন লিটনের বাড়ি নোয়াখালীর সেবার হাটে।
মন্তব্য করুন


আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) ‘ব্যাচেলর দিবস’। এই দিনটি ‘সিঙ্গেল দিবস’ হিসেবে অধিক পরিচিতি পেলেও প্রথমে এটি ‘ব্যাচেলর দিবস’ নামেই শুরু হয়েছিল। ১৯৯০ সালে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এটি চালু হয়। নভেম্বর ইংরেজি বর্ষের ১১তম মাস।
যারা এখনও ভালোবাসার কোনো সম্পর্কে জড়াতে পারেননি, তাদের উদ্দেশেই আজ সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস। চীনে দিবসটিতে সরকারি ছুটি থাকে।
ভ্যালেন্টাইন ডে-তে যারা মন খারাপ করেন, তারা আজকের দিনটি অনেক ভালো করে উদযাপন করুন। একাকিত্বের দুঃখ ভুলে গিয়ে আজ থেকে নিজেকে নতুন করে খুঁজুন। নিজেকে ভালোবাসে বাঁচতে শিখুন।
নিজেকে নিজে সময় দিন। নিজের যত্ন নিন কেননা, দিন শেষে জীবনযুদ্ধে সবাইকে পাশে পান বা না-পান, নিজেকে নিজে কখনোই ছেড়ে যাবেন না। তাই মনের মতো কাউকে না পেলে সম্পর্কে না জড়িয়ে উপভোগ করুন আপনার সিঙ্গেল জীবন।
মন্তব্য করুন