চীনের উত্তরাঞ্চলের একটি রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এর ঘটনা ঘটেছে।
এতে দুজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ২৬ জন। স্থানীয় সময় বুধবার ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিস্ফোরণে বেশ কিছু ভবনের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর এএফপির।
রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টার কিছু সময় আগে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেইজিংয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে ৫০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত হেবেই প্রদেশের সানহে শহরের একটি আবাসিক এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে, বড় ধরনের বিস্ফোরণের পর ব্যস্ত রাস্তায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
ইতোমধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলেও জানানো হয়।
একটি রেস্টুরেন্টে গ্যাস লিক থেকেই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণে দুটি বৃহত্তম ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। একটি স্থানীয় বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আমি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। এতে আমি প্রচন্ড ভয় পেয়েছি। বাইরে আমি কালো ধোঁয়া দেখতে পেয়েছি।
স্থানীয় ল্যাংফ্যাং দমকল বিভাগ জানিয়েছে, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ৩৬টি গাড়ি এবং ১৫৪ জনকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চীনের উত্তরাঞ্চলের একটি রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এর ঘটনা ঘটেছে।
এতে দুজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ২৬ জন। স্থানীয় সময় বুধবার ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিস্ফোরণে বেশ কিছু ভবনের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর এএফপির।
রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টার কিছু সময় আগে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেইজিংয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে ৫০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত হেবেই প্রদেশের সানহে শহরের একটি আবাসিক এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে, বড় ধরনের বিস্ফোরণের পর ব্যস্ত রাস্তায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
ইতোমধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলেও জানানো হয়।
একটি রেস্টুরেন্টে গ্যাস লিক থেকেই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণে দুটি বৃহত্তম ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। একটি স্থানীয় বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আমি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। এতে আমি প্রচন্ড ভয় পেয়েছি। বাইরে আমি কালো ধোঁয়া দেখতে পেয়েছি।
স্থানীয় ল্যাংফ্যাং দমকল বিভাগ জানিয়েছে, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ৩৬টি গাড়ি এবং ১৫৪ জনকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামী ২৪-২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণ ও
ইউএনএসকাপের ৮০ সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ড সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড
সফর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর
এই থাইল্যান্ড সফরে দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা ও ১টি লেটার
অব ইনটেন্ট (আগ্রহের সম্মতিপত্র) স্বাক্ষরিত হবে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে গত সপ্তাহে দুই দেশের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় যৌথ বিবৃতি প্রচার করে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে
বলা হয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে থাইল্যান্ডে
এটি প্রথম সফর হবে। দুই বন্ধুদেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্য এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাবেন। তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়
অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনেও যোগ দেবেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গেও
সাক্ষাৎ হবে বলে জানান ।
থাইল্যান্ড সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুই শীর্ষ নেতার
বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৫ এপ্রিল
ইউএনএসকাপের অধিবেশনে বক্তৃতা রাখবেন । এদিন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং এসকাপের
নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করবেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল
গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় তিনি গার্ড পরিদর্শন করেন।
গভর্নমেন্ট হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই প্রধানমন্ত্রী এক
জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে সই করেন। থাই
প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয়
করিয়ে দেন।
স্বাধীনতার এক বছরের মাথায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও ৫২ বছরে
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এটাই প্রথম সফর।
থাইল্যান্ড সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির
প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউজে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া
হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার
সকালে ব্যাংককে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
পৌঁছনোর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা
থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান। এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে
তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এরপর গভর্নমেন্ট হাউজে
দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তারা।
বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি,
একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করা
হয়।
গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক
মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বুধবার ছয় দিনের সরকারি সফরে
থাইল্যান্ডে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) ‘ব্যাচেলর দিবস’। এই দিনটি ‘সিঙ্গেল দিবস’ হিসেবে অধিক পরিচিতি পেলেও প্রথমে এটি ‘ব্যাচেলর দিবস’ নামেই শুরু হয়েছিল। ১৯৯০ সালে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এটি চালু হয়। নভেম্বর ইংরেজি বর্ষের ১১তম মাস।
যারা এখনও ভালোবাসার কোনো সম্পর্কে জড়াতে পারেননি, তাদের উদ্দেশেই আজ সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস। চীনে দিবসটিতে সরকারি ছুটি থাকে।
ভ্যালেন্টাইন ডে-তে যারা মন খারাপ করেন, তারা আজকের দিনটি অনেক ভালো করে উদযাপন করুন। একাকিত্বের দুঃখ ভুলে গিয়ে আজ থেকে নিজেকে নতুন করে খুঁজুন। নিজেকে ভালোবাসে বাঁচতে শিখুন।
নিজেকে নিজে সময় দিন। নিজের যত্ন নিন কেননা, দিন শেষে জীবনযুদ্ধে সবাইকে পাশে পান বা না-পান, নিজেকে নিজে কখনোই ছেড়ে যাবেন না। তাই মনের মতো কাউকে না পেলে সম্পর্কে না জড়িয়ে উপভোগ করুন আপনার সিঙ্গেল জীবন।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চে ভাষণের দিনটি স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু এখন আমাদের নয়, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য। আর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালিকে উদ্বুদ্ধই করেনি, বিজয় এনে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে লন্ডনে যান, সেখানে বসে পূর্ব বাংলায় গেরিলা যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কখনওই ক্ষমতা ছাড়বে না। ওই বৈঠকে ভারতের দু’জন প্রতিনিধিও ছিলেন। এখন আমিই একমাত্র সেই ঘটনার জীবিত সাক্ষী।
প্রধানমন্ত্রী সেদিনের কথা স্মরণ করে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে পাকিস্তানি সেনারা তাদের বইতে লিখেছেন, তারা স্থম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন, কী করবেন বুঝতে পারেননি সেদিন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী চেয়েছিল এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে। তারা ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে এবং ‘জয় বাংলা’শ্লোগানও নিষিদ্ধ করে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে দিতে উদ্যত হয়। কিন্তু ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না আর তারই প্রমাণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি। শুধু তাই নয়, ইউনেস্কো মনে করে এ ভাষণটির মাধ্যমে জাতির পিতাই প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।
মন্তব্য করুন
গত ৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট গভীররাতে গোটা সিয়ারা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের ব্যবহার।
মানুষের
হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে
আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয়
পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক
সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।
শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থান গুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী।পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে জারি করা হল জরুরি অবস্থা।
হাজার
হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ
মাদক’ও বলা হয়।সিয়েরা লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের
বেশির ভাগ নাগরিকের কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’।
এই
কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে
বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের
কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন
হাজার হাজার যুবক।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা
ছিল না বলে দাবি করেছেন বায়ো।
এই
মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের
হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে
তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য।
গভীর
রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা
করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী
সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক
এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’
জুলিয়াস
সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি
আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন
কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বর্তমানে
গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বিশেষজ্ঞদের
মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের
হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু
খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে
পা দিচ্ছেন অনেকেই।যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে
থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।
২০২০
সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী,
২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
চিকিৎসকদের
মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে
সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত
অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই
জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে
জারি করা হল জরুরি অবস্থা। পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন
হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে
দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থানগুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা
বাহিনী।
সিয়েরা
লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকের
কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’। হাজার হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির
প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ মাদক’ও বলা হয়।
যে
সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই
এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের
মানুষকে
বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না
বলে দাবি করেছেন বায়ো।
গত ৪ এপ্রিল গভীর রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য। শুধু তা-ই নয়, এই মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।
মানুষের হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। জুলিয়াস সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।
বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বর্তমানে গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে পা দিচ্ছেন অনেকেই।
কুশ
ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী।
তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।এই
মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের
হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত
অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
২০২০ সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।
২০২০
থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির
ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।
এই কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার যুবক।
মন্তব্য করুন
তাইওয়ানে ২০০টিরও বেশি
ভূমিকম্প (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৩ মাত্রার
শক্তিশালী ভূমিকম্পও ছিল।
আজ (মঙ্গলবার) ভোরে
হুয়ালিয়েনের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩ এপ্রিল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি
হোটেল আবারও কিছুটা ঝুঁকেছে। তবে তাতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দুটি টেকটোনিক প্লেটের
সংযোগস্থলের কাছেই তাইওয়ানের অবস্থান। এ কারণেই অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ।
ভূমিকম্পগুলো হুয়ালিয়েনের
বৃহত্তর গ্রামীণ পূর্ব কাউন্টিতে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সেখানে
৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে তাইওয়ানে
শত শত আফটারশক হয়েছে।
২০১৬ সালে তাইওয়ানের
দক্ষিণাঞ্চলে শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৯৯ সালে সেখানে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার
ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত হন।
মন্তব্য করুন
ভালোবাসার লাল রঙের মাঝে বিশাল এক জায়গা জুড়ে থাকে বেদনার নীল রং।
শরীরে কোথাও আঘাত লাগলে যন্ত্রণায় প্রথমে জায়গাটার রং তীব্র নীল রঙ ই হয় যদিওবা পরে কালচে হয়ে যায়।যন্ত্রণার তীব্রতায় এই নীল রং ধারণ করার জন্যই বুঝি বা বলা হয় - বেদনার রং নীল।
আমেরিকার নাগরিকদের কাছে আজকের দিনটি (১০ নভেম্বর) একটি বিশেষ দিন। প্রিয়জন বা কাছের মানুষকে ভুলে না যাওয়ার দিন। তারা দিনটির নাম রেখেছে, ‘ফরগেট মি নট ডে' বা ‘ভুলে না যাওয়ার দিন'। এদিন হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষকে স্মরণ করা হয় সেই ছোট্ট নীল ফুল দিয়ে।
পশ্চিমা দেশে পথের ধারে ফুটে থাকা নীল রঙা ছোট্ট ঘাসফুল ‘মায়োসটিস’ তাই বেদনার প্রতীক। মনোযাতনার অনুভূতির সমার্থক হয়ে ওঠা এই নীল ফুলটির আরেক নাম ‘ফরগেট মি নট’ বা ‘ভুলো না আমায়' ।
১৯২১ সালের কথা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর যোদ্ধাদের স্মরণে শুরু হয় দিনটির উদযাপন, যার গোড়াপত্তন হয়েছিল বিচারক রবার্ট এস. মার্কসের হাত ধরে যিনি নিজেও ছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একজন বীর যোদ্ধা। যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন, হারিয়েছেন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, তাদের স্মরণে এ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আর যুক্তরাষ্ট্রে তখন থেকেই শুরু হয় ফর গেট মি নট ডে উদযাপন।
রবার্ট এস. মার্কস যুদ্ধাহত বীরদের জন্য অর্থ সংগ্রহের কথাটাও ভাবলেন বিচারক । সিদ্ধান্ত নিলেন সেই নীল রঙা ঘাসফুল বা ‘ফরগেট মি নট' ফুল বিক্রি করে অর্থাভাবে থাকা প্রবীণ যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়াবেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৯৪৯ সালে ফরগেট মি নট ফুলটিকে রাজ্য ফুল এর স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা।
দেশ ভেদে দিনটি উদযাপনের তারিখ ও উদ্দেশ্যের ভিন্নতা আছে। নিউজিল্যান্ডে আলঝেইমারে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের স্মরণ করা হয় দিনটিতে। আলঝেইমার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৩ সাল থেকে বছরের ৫ ও ৬ জুনকে ফর গেট মি নট ডে হিসেবে পালন করে দেশটি।
ভুল বোঝাবুঝি থেকে দূরে সরে যাওয়া কিংবা ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া দিতেও দিনটিকে বেছে নেন অনেকে। তবে যে ঘটনাকে সামনে রেখেই দিনটি উদযাপন করেন না কেন, নীল রঙা ফুলের কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না!
কারণ, সম্পর্কে মান-অভিমান থাকে। ভালবাসায় ভুল বোঝাবুঝি আসতেই পারে কিন্তু তাই বলে কি দূরে সরে যাওয়া যায়?
নীল রংয়ের এই ঘাসফুলের তোড়া দিয়ে সে মানুষটাকে তখন বলে দেয়াই যায় - বেদনার তীব্রতা টুকু নিয়েও সে মানুষটা আপনাকে স্মরণ করছে প্রতি মুহূ্র্তে । সে আছে যে কখনো আপনাকে ভুলে যাবে না। আপনাকে প্রতি মুহুর্তে ভেবে যায়।
সে চায় যেন আপনিও তাকে কখনো ভুলে না যান ।
মন্তব্য করুন
নাসার টেলিস্কোপে মিলল পৃথিবীর মতো দেখতে আরো এক গ্রহের হদিস । ওই গ্রহের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে পৃথিবী থেকে ২২ আলোকবর্ষ দূরে । গ্রহটির নাম হল এলটিটি ১৪৪৫এসি। গ্রহটি অবিকল পৃথিবীর আকারের মত। তার মাধ্যাকর্ষণ টানও নাকি পৃথিবীরই মতো! যা বিজ্ঞানীদের অবাক করেছে।
এরিডেনাস নক্ষত্রমণ্ডলে পৃথিবী থেকে ২২ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে নতুন ‘পৃথিবী’। বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২২ সালে নাসার অন্য একটি উপগ্রহে এলটিটি ১৪৪৫এসি-র উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। তবে সেই ক্যামেরায় ছবি কিছুটা অস্পষ্ট ছিল। তাই গ্রহটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি, নাসার হাব্ল টেলিস্কোপে ওই গ্রহটির ছবি দেখা গেছে স্পষ্টভাবে। গ্রহটির আকার এবং অন্য বৈশিষ্ট্যও বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এই গ্রহটির কাছাকাছি রয়েছে তিনটি নক্ষত্র। বিরল অবস্থানে সে ঘুরে চলেছে। হাব্ল-এর ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা ভালো করে গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণে সক্ষম হয়েছেন। দেখা যায়, গ্রহের ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের চেয়ে মাত্র ১.০৭ গুণ বেশি। পৃথিবীর মতো মাধ্যাকর্ষণ টান রয়েছে গ্রহটির। গ্রহের জমি পাথুরে।
তবে পৃথিবীর মতো হলেও এই নতুন গ্রহের উষ্ণতা অনেক বেশি। গ্রহটির তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।গ্রহটি একটি ছোট লাল নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে। তার নাম এলটিটি ১৪৪৫এ। নক্ষত্রটিকে অপেক্ষাকৃত বড় আকারের আরো দু’টি গ্রহ সার্বক্ষণিক প্রদক্ষিণ করে।
সূত্র: নিউ অ্যাটলাস, গিজমোডো
মন্তব্য করুন
সোমালিয়ার জলদস্যুদের পক্ষ থেকে ছিনতাইয়ের শিকার এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) জলদস্যুরা তাদের প্রাথমিক আলাপ শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ প্রথমবারের মতো জলদস্যুরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এখন থেকে জিম্মিদের মুক্তি ও জাহাজ উদ্ধারের বিষয়টি এগোবে। তবে মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কোনো আলাপ হয়নি। মাত্রই যোগাযোগ হয়েছে আর বিষয়টি খুব সেনসেটিভ।
এ বিষয়ে দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান বলেন, দু্দিন ধরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে জলদস্যুদের ওপর যৌথভাবে চাপ বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নৌবাহিনী। ফলে দস্যুরা অবস্থান বদলে উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জাহাজ নিয়ে গেছে। এরপর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল জলদস্যুরা এবার আলাপে আসবে। তবে এটি মাত্র শুরু।
এর আগে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৫৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। বাংলাদেশি জাহাজটি পরের তিনদিন ধরে সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূলের ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে ছিল। পরে আবারও অবস্থান বদল করে এখন একই উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছে।
মন্তব্য করুন