স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৩ মিনিট থেকে সূর্যের গা থেকে একটু একটু করে খসতে শুরু করে। প্রকট হতে থাকে উজ্জ্বল কাস্তের ফলা। তার পরে একেবারে চাঁদের আড়ালে চলে যায় সূর্য। দিনের বেলা অন্ধকার নামে পৃথিবীর বুকে। পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শুরু হয়েছিল ১টা ৪০ মিনিটে। পুরোপুরি ঢেকে যায় সূর্য। আর ঠিক এই মুহূর্তে স্পষ্ট ভাবে, উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সূর্যের করোনা (সূর্যের পরিমণ্ডলের একেবারে বাইরের স্তর)। এ দিনের গবেষণায় বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য ছিল এই করোনা-ই। তাঁদের বিশ্বাস, সূর্যের এই অংশের কার্যকলাপ বা গতিবিধি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং চমকপ্রদও বটে।
গত ৮ এপ্রিলের (সোমবার) পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হয়েছিল মেক্সিকো, আমেরিকা ও কানাডা থেকে। বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন কমপক্ষে ১০ হাজার সাধারণ মানুষ। এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি এরিস-এর গবেষকেরা। তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকার টেক্সাসের ডালাস শহরে। উদ্দেশ্য, সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা। ডালাসের ‘কটন বোল স্টেডিয়াম’-এ গ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার জন্য উত্তেজনায় ফুটছিলেন সকলেই। গ্রহণ দেখলেন তাঁরা, জানলেন সৌরজগতের খুঁটিনাটি, বিজ্ঞানের গল্প শুনলেন বিশেষজ্ঞদের থেকে।
দীপঙ্কর বলেন, ‘‘এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। তা ছাড়া এই গবেষণার জন্যেও এটা আদর্শ সময়।’’গত বছর ২ সেপ্টেম্বর মহাকাশে পাড়ি দেয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর প্রথম সৌরযান ‘আদিত্য-এল১’। এ বছর ৬ জানুয়ারি সে পৌঁছয় গন্তব্যে। বর্তমানে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এল ১ পয়েন্টকে ঘিরে থাকা হ্যালো অরবিট থেকে আদিত্য নজর রাখছে সূর্যের উপরে। এটি একটি করোনাগ্রাফি স্পেসক্রাফ্ট। পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সূর্যের পরিমণ্ডলের উপর নজরদারি চালাচ্ছে সে। আদিত্যের ৭টি প্রোব-ই নিয়মিত ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সূর্য ও তার হেলিওস্ফিয়ারকে নিয়ে।
দীপঙ্কর জানান, ঠিক এই সময়ে সূর্যগ্রহণ— এর থেকে ভাল সুযোগ হতে পারত না বিজ্ঞানীদের জন্য। সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবীর এমন অবস্থানে স্পষ্ট হয়ে উঠবে সৌর পরিবেশ বা সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ার। এই সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ারের সব চেয়ে বাইরের অংশকে বলা হয় করোনা। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময়ে করোনার ভিতরের অংশ অনেকটাই পরিষ্কার দৃশ্যমান হবে।
ডালাসের স্টেডিয়ামে উপস্থিত এরিসের দলে দীপঙ্কর ছাড়াও ছিলেন বিজ্ঞানী এস কৃষ্ণপ্রসাদ এবং বিজ্ঞানী টি এস কুমার। তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি ১৪ সেন্টিমিটার টেলিস্কোপ। গ্রহণকালে দূরবীক্ষণ যন্ত্রটির উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সূর্যের করোনায় তীব্র গতিতে ঘটতে থাকা পরিবর্তন। দীপঙ্কর বলেন, ‘এই ক্যামেরা এতটাই শক্তিশালী যে প্রতি সেকেন্ডে ৮টি ফ্রেম বন্দি করতে পারে।’’ দীপঙ্কর বলেন, ‘ইসরোর সৌরযান আদিত্য-এল১-এও একটি করোনাগ্রাফ যন্ত্র রয়েছে। পরবর্তী কাজ হচ্ছে, আদিত্যের করোনাগ্রাফ থেকে পাওয়া তথ্য ও আমাদের গ্রাউন্ড রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা। বিষয়টা নিয়ে আমরা খুবই উত্তেজিত।’
মন্তব্য করুন
৬৫
কোটি আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সেই রহস্যময় বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। সেই তরঙ্গের
মধ্যে দিয়ে একটি রহস্যময় সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে পৃথিবীতে।
সেই
সঙ্কেতের রহস্যভেদ করতে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।মহাকাশে এক
মৃত নক্ষত্রের সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে তৈরি হওয়া মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে শোরগোল পড়ে
গিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
তেমনই
এক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ অতিক্রম করে গত বছর পৃথিবীতে এসেছে। ২০২৩ সালের
মে মাসে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গের হদিস পান। আর সেই তরঙ্গেই লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সঙ্কেত।
তবে
অনেক সময় তারাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিস্ফোরণের। বিজ্ঞানীদের ভাষায়
এই বিস্ফোরণকে সুপারনোভা বলে। সেই বিস্ফোরণের ফলেও মৃত্যু হয় তারাদের।
তারাদের
মৃত্যু। বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও মহাকাশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের মতো তারাদেরও
জন্ম-মৃত্যু রয়েছে। মহাকাশেই তারাদের জন্ম হয়, সেখানেই মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর
থেমে যায় না তারারা। কৃষ্ণগহ্বরের আক্রমণেই মৃত্যু হয় তারাদের।
নিউট্রন
তারা কী? এই সব তারা পুরোটাই নিউট্রন কণা দিয়ে তৈরি হয়। এদের ভর সাধারণত সূর্যের ভরের
দেড় থেকে দু’গুণ হয়। এই সব নক্ষত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে, যা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের
থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি হয়। এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই চর্চা করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সেখান থেকেই মেলে নতুন নতুন তথ্য।
বিজ্ঞানীদের
মধ্যে এই দুই গ্রহও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।তারাদের মৃত্যু। বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও
মহাকাশে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের মতো তারাদেরও জন্ম-মৃত্যু রয়েছে। মহাকাশেই তারাদের
জন্ম হয়, সেখানেই মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর থেমে যায় না তারারা। কৃষ্ণগহ্বরের আক্রমণেই
মৃত্যু হয় তারাদের
সম্প্রতি
মহাশূন্যে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত দুই গ্রহের সন্ধান পেয়েছে
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। জানা যায়, এই দুই গ্রহ মহাকাশে দুই মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ
করে চলেছে। এই দুই গ্রহের ভর বেশ কয়েকটি বৃহস্পতি গ্রহের সম্মিলিত ভরের সমান।
তেমনই
এক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ অতিক্রম করে গত বছর পৃথিবীতে এসেছে। ২০২৩ সালের
মে মাসে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গের হদিস পান। আর সেই তরঙ্গেই লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় সঙ্কেত।
মহাবিশ্বকে
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অতীতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দ্বারা বয়ে আনা বার্তার রহস্যভেদ করা খুবই কঠিন ছিল। তাই
মহাকাশে ঘটে চলা অনেক কিছুই অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এখন সেই সব তরঙ্গ অধ্যয়ন
করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন অনেক অজানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে, গত বছর মে মাসে আসা জিডব্লিউ২৩০৫২৯
নামক তরঙ্গ থেকে এমন কিছু জানা যাবে, যা মহাকাশের এক নতুন দরজা খুলে দেবে।
বিজ্ঞানীদের
মতে, নিউট্রন তারা এবং এক অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জেস ম্যাকআইভার এই বিষয়টি নিয়ে বলেন,
‘‘নিউট্রন তারা এবং কম ভরের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষের হার আমরা আগে যা
ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’’
ম্যাকআইভার
এ-ও জানান, নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে এমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের
উৎপত্তির মতো ঘটনা বিরল। তাই এই তরঙ্গে যে সঙ্কেতের আভাস মিলেছে তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে।
তেমনই এক মৃত নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গের। তবে এই তরঙ্গের সঠিক উৎস নির্ধারণ করতেও সময় লাগে বিজ্ঞানীদের। পাঁচ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তরঙ্গের উৎসস্থল সম্পর্কে ধারণা মেলে বিজ্ঞানীদের।
এক নক্ষত্রের মৃত্যু এবং তা থেকে আসা অজানা সঙ্কেতই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের। কী ভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়? অ্যালবার্ট আইনস্টানের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে, মহাকাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের মতো বিশাল বস্তুগুলি প্রায়ই নিজেদের গতি পরির্তন করে থাকে। সে সময়ই সৃষ্টি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। এই সব তরঙ্গ আলোর গতিতে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মৃত্যুর
আগে শেষ বার্তা পাঠাল দূরের নক্ষত্র, রহস্যময় সঙ্কেত চমকে দিল বিজ্ঞানীদের
মহাকাশে
এক মৃত নক্ষত্রের সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে তৈরি হওয়া মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে শোরগোল
পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। সেই তরঙ্গের মধ্যে দিয়ে একটি রহস্যময় সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে
পৃথিবীতে। সেই সঙ্কেতের রহস্যভেদ করতে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
এক
নক্ষত্রের মৃত্যু এবং তা থেকে আসা অজানা সঙ্কেতই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের।
৬৫ কোটি আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সেই রহস্যময় বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে।
কী
ভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়? অ্যালবার্ট আইনস্টানের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে,
মহাকাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র এবং কৃষ্ণগহ্বরের মতো বিশাল বস্তুগুলি প্রায়ই
নিজেদের গতি পরির্তন করে থাকে। সে সময়ই সৃষ্টি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। এই সব তরঙ্গ আলোর
গতিতে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মহাবিশ্বকে
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অতীতে এই সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দ্বারা বয়ে আনা বার্তার রহস্যভেদ করা খুবই কঠিন ছিল। তাই
মহাকাশে ঘটে চলা অনেক কিছুই অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে এখন সেই সব তরঙ্গ অধ্যয়ন
করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন অনেক অজানা তথ্য। মনে করা হচ্ছে, গত বছর মে মাসে আসা জিডব্লিউ২৩০৫২৯
নামক তরঙ্গ থেকে এমন কিছু জানা যাবে, যা মহাকাশের এক নতুন দরজা খুলে দেবে।
বিজ্ঞানীদের
মতে, নিউট্রন তারা এবং এক অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জেস ম্যাকআইভার এই বিষয়টি নিয়ে বলেন,
‘‘নিউট্রন তারা এবং কম ভরের কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষের হার আমরা আগে যা
ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’’
ম্যাকআইভার
এ-ও জানান, নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে এমন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের
উৎপত্তির মতো ঘটনা বিরল। তাই এই তরঙ্গে যে সঙ্কেতের আভাস মিলেছে তা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে।
নিউট্রন
তারা কী? এই সব তারা পুরোটাই নিউট্রন কণা দিয়ে তৈরি হয়। এদের ভর সাধারণত সূর্যের ভরের
দেড় থেকে দু’গুণ হয়। এই সব নক্ষত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে, যা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের
থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি হয়। এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই চর্চা করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সেখান থেকেই মেলে নতুন নতুন তথ্য।
তেমনই
এক মৃত নিউট্রন তারার সঙ্গে অজানা বস্তুর সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে জিডব্লিউ২৩০৫২৯ তরঙ্গের।
তবে এই তরঙ্গের সঠিক উৎস নির্ধারণ করতেও সময় লাগে বিজ্ঞানীদের। পাঁচ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের
পর তরঙ্গের উৎসস্থল সম্পর্কে ধারণা মেলে বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি
মহাশূন্যে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত দুই গ্রহের সন্ধান পেয়েছে
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। জানা যায়, এই দুই গ্রহ মহাকাশে দুই মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ
করে চলেছে। এই দুই গ্রহের ভর বেশ কয়েকটি বৃহস্পতি গ্রহের সম্মিলিত ভরের সমান। বিজ্ঞানীদের
মধ্যে এই দুই গ্রহও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ টানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টার পর থেকে ব্যবহারকারীরা কোনো ধরনের ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশন ছাড়াই ফেসবুকে ও হোয়াটসঅ্যাপ লগইন করতে পারছেন।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, আজ (৩১ জুলাই) বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে।
দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়ে ব্রিফিং করে এ ঘোষণা দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকে টিকটকের প্রতিনিধিরা সশরীরে এবং ফেসবুক ও ইউটিউবের প্রতিনিধিরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, বৈঠক শেষে আমরা এ ব্রিফিং করছি। এটা শেষ হলেই ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে। তখন ভিপিএন ব্যবহার কমবে। ইন্টারনেটে গতিও বাড়বে। ফেসবুকের ক্যাশ সার্ভার ঠিক হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবে সবাই তা ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা হোয়াটস্যাপ ওপেন করে দিচ্ছি। সবগুলোই ওপেন করে দিচ্ছি। তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চালু হবে। ফেসবুক-ইউটিউব ও টিকটককে বাংলাদেশে তাদের অফিস স্থাপনের অনুরোধ করেছি। আমরাও চাই এ দেশে তাদের বিনিয়োগ হোক। বাংলাদেশে অফিস ও ডেটা সেন্টার স্থাপন করলে আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব।
মন্তব্য করুন
ইন্দোনেশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে
আইফোন ১৬ ও অ্যাপলের নতুন সকল পণ্য নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশটিতে দেওয়া বিনিয়োগের
প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় অ্যাপলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে
ইকোনোমিক টাইমস।
ইন্দোনেশিয়ার আইন
অনুযায়ী, সেদেশে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট ক্রয় বাজেটের ৪০ শতাংশ স্থানীয় পণ্য
বা সেবায় ব্যয় করতে হবে। আইন মানতে দেশটিতে মোট ১০৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিল অ্যাপল। ৪০ শতাংশ কোটা পূরণে ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল একাডেমি নামে একটি গবেষণা
প্রতিষ্ঠান করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কিন্তু এ বিষয়ে সরকার
বলছে, অ্যাপল সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ১০৯ মিলিয়ন নয়, বিনিয়োগ করেছে ৯৫
মিলিয়ন ডলার। জবাবে অ্যাপলের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। আইফোন
১৬, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর মতো এই কোম্পানির সকল নতুন পণ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে
তারা।
জানা গেছে, আইফোনের
ইএমইআই সার্টিফিকেট আটকে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মানে আইনিভাবে কেউ নতুন আইফোন ব্যবহার
করতে পারবে না। কারো হাতে আইফোন ১৬ দেখা গেলে সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা
হয়েছে।
আইফোন ১৬ বাজারে আসে
গত সেপ্টেম্বরে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই ফোনের প্রায় ৯ হাজার সেট
ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮
কোটির কিছু বেশি। এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশই প্রযুক্তিপ্রেমী। যে কোনো নতুন গেজেট
এলেই সেটির প্রতি আগ্রহী হন তারা। এ কারণে দেশটিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার বরাবরই
চাঙ্গা। দেশটিতে বর্তমানে শত শত কোম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিগত
পণ্যের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে। ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপল শাখা খোলে ২০১৮ সালে। তবে এ শাখায়
এখনও কোনো আইফোন বা অন্য কোনো ফোন ম্যানুফ্যাকচারের কাজ হয়নি।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি স্যামসাংয়ের আনপ্যাকড ইভেন্টে গ্যালাক্সি এস২৪ সিরিজের ফোনের সঙ্গে এসেছে বেশ অবাক করার মতো ছোট এক গ্যাজেটের ঘোষণা, যার নাম - গ্যালাক্সি রিং।
একেবারেই নতুন এই গ্যাজেট প্রসঙ্গে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ডিজিটাল হেলথ বিভাগের প্রধান ডা. মান পাক-এর সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট যদিও এ গ্যাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ এখনও জানা যায়নি। তবে, স্যামসাং যে ফিচারগুলো নিয়ে কাজ করছে তা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ।
ডা. পাক বলেন , স্যামসাং হেলথ-এ আমাদের ভূমিকা হল স্বাস্থ্যসেবাকে সহজ করা। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষ কোথায় রয়েছে, তাদেরকে সে পথটি বুঝতে সাহায্য করা । পরিবর্তনশীল খরচের ফলে স্বাস্থ্যসেবা আজকাল বাড়িতেই চলে আসছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্রুত হচ্ছে। তবে, আমি মনে করি এটা অন্যান্য জায়গায়ও ঘটে। আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটি মূলত খরচের কারণে, কর্মশক্তির ঘাটতিও একটি কারণ। আমরা মনে করি আমাদের ডিভাইসের পোর্টফোলিও নিয়ে অনন্য একটি জায়গায় রয়েছি আমরা। এমনসব স্বাস্থ্য ফিচার যেগুলো মানুষ ঘরে বসেই ব্যবহার করতে পারবে সেগুলো বাজারে আনার এটিই উপযুক্ত সময় হিসেবে স্যামসাং বিশ্বাস করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তবে স্বাস্থ্যবিষয়ক ডিভাইসের কিছু ঘাটতিও রয়েছে। এটা ঠিক যে একটি স্মার্টওয়াচ সকালে নিশ্চিত করে বলতে পারে যে, গতরাতে ঘুম ভাল হয়েছে কি হয়নি। কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য এটি যথেষ্ট তথ্য নাও হতে পারে বলে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
ডা. পাক আরো বলেন,লোকজন বলছেন তারা কীভাবে ঘুমাচ্ছেন বা ব্যায়াম করছেন সেটির ধারণা পাওয়ার বিষয়টি দারুণ। ঘুমের বিষয়টি আমরা বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কোরিয়ান এফডিএ আমাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া (নিদ্রাহীনতা) স্ক্রিনিং সনাক্তকরণ অনুমোদন করেছে। আমাদের চারটি নতুন সূচক রয়েছে যা আমরা ঘুমের সময় ট্র্যাক করছি, হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, রাতের চলাচল ও ঘুমের বিলম্ব। আমরা যা বুঝতে পেরেছি তা হল, ঘুমের সময় যখন আমরা মাপি যে কীভাবে হৃদস্পন্দন বা রক্তচাপ কমে যায়, সেগুলো কেবল আপনার ঘুমের গুণমান নয় আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও ইঙ্গিত দেয়। আমরা মনে করি, এগুলো অসুখের সম্ভাব্য প্রাথমিক হস্তক্ষেপের সূচক, আর ডাক্তারদের কাছে এসব তথ্য নেই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন ডা. পাক। এটি অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে এমন ধারণা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি মনে করি না ডাক্তাররা কখনই পুরোপুরি চলে যাবেন। তবে, আমি মনে করি ডাক্তাররা এআই ব্যবহার করছেন না এমন দিন সম্ভবত সময়ের সঙ্গে চলে যাবে। কারণ, এআই এখন যথেষ্ট পরিপক্ক। আপনি যদি এটির সুবিধা না নেন তবে আপনি সঠিক দক্ষতা পাবেন না।
ইন্ডিপেনডেন্ট এর প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচনার এক পর্যায়ে ড. পাক গ্যালাক্সি রিং-এর বেশকিছু প্রোটোটাইপ সংস্করণ দেখান। এগুলো প্রোটোটাইপ হওয়ায় রং, উপাদান থেকে শুরু করে নকশাও পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান তিনি। প্রোটোটাইপগুলো এক ডজন ভিন্ন আকারে ও সোনালী আর কালোসহ চারটি ভিন্ন রঙের ছিল। রিংগুলোর বাইরের প্রান্ত কিছুটা অবতল, স্পর্শে যেটি দারুণ আকর্ষণীয় লাগে বলে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট। এটি হালকা ও আরামদায়কও, ফলে রাতে পরার জন্য এটি স্মার্টওয়াচের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
রিং বা আংটি জাতীয় কোনোকিছুর মূল সুবিধা হল, এটি মনোযোগ ভাঙার মতো কোনো স্ক্রিন বা তেমন ওজন ছাড়াই সবসময়ে শরীরের সঙ্গে লেগে থাকতে পারে। কেউ এ আংটি পরে থাকলে এটি নিঃশব্দে ক্রমাগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে বলে উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। ড. পাক বলেন, এসব পরার মতো গ্যাজেট আমাদের এমনভাবে তথ্য বা প্রসঙ্গ দিতে পারে যা আমরা আগে কখনোই ভাবিনি। আমরা ডাক্তারের চেম্বারে যাই, রক্তচাপ পরীক্ষা করি। আবার ছয় মাস বা এক বছর পর ফিরে এসে আরেকটি পরীক্ষা করি।
বাস্তবে, এখানে অনেক প্রসঙ্গ বা তথ্য রয়েছে যা ডাক্তাররা বা ব্যক্তি নিজে জানলেই বদলাবে। আর মৌলিকভাবে এটি আমাদের কিছু ব্যবস্থাপনা ও জীবনধারার পছন্দ বা বিকল্পকে পরিবর্তন করবে। প্রথমবারের মতো এটি আমাদের পরিবর্তনের উপায় ও সুযোগ দিচ্ছে যা আগে সম্ভব ছিল না। এই ধরনের প্রযুক্তি আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়টি বুঝতে সাহায্য করছে।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয় দিবসটি উপলক্ষে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে উপদেষ্টা স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগের দুর্লভ ডাকটিকিটের ছবি সংবলিত বিশেষ অ্যালবাম ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অব বাংলাদেশ পোস্টেজ স্টাম্পাস’র মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম অবশ্যই কমাতে হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী বলেন, আজকের দিনে ইন্টারনেট সেবা মৌলিক মানবাধিকার হওয়া উচিত। এ নিয়ে আইন করাটাও জরুরি। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এ সেবা টেকসই ও সাশ্রয়ী করতে যা করার, তার সবই করবে বিটিআরসি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী বলেন, মোবাইল অপারেটরেরা সব টাওয়ার কোম্পানিগুলোকে দিয়ে দিতে চাইছে। আবার অপারেটরেরা যদি সাশ্রয়ী দামে ফাইবারের সেবা নিতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ডাটা রেভ্যুলেশনে এখন ডিজিটাল সেবাদাতা হিসেবে পরিচিত হতে চায়। কিন্তু ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম পানির দামে নেমে না আসলে এটা সম্ভব নয়। এজন্য নেটওয়ার্ক সাসটেইন করতে হবে। তাই আমরা অ্যাসেট লাইট মডেলে যেতে পারি।
তিনি বলেন, বিটিআরসির অনেক ক্ষমতা কমেছে। তা পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে। সেই সাথে আগামীতে অধিক সংখ্যক লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না। বরং টেকসই লাইসেন্স দিতে কাজ করা হবে। আমরা এখন ভয়েস ফ্রেন্ডলি থেকে ডেটা ফেন্ডলিতে যাবো।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল অব ল’র শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, অপতথ্যের অজুহাতে আমরা কোনোভাবেই ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারি না। এজন্য আইন করা দরকার। টেলিকমের অবকাঠামো, কনটেন্ট ও প্রতিযোগিতা তিনটি বিষয় নিয়ে পলিসি পর্যালোচনা করে ঢেলে সাজানো উচিত।
গোলটেলিব বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন ফাইবার এট হোমের চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট ফররুখ ইমতিয়াজ, টেলিটকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, এমটবের মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার্স সাহেদুল আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান, আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।
বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী। সংগঠনের সভাপতি সমীর কুমার দে’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
মূল প্রবন্ধে রাশেদ মেহেদী বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক স্থাপিত হয়েছে। এই নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট ভিত্তিক সব সেবা ছড়িয়ে পড়েছে। এ নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেটভিত্তিক সব সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
বগুড়া শহরের সাতমাথায় তিনতলা টেলিফোন ভবনটি বুয়েট কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) জানিয়েছে, ভবন স্থানান্তরের জন্য বগুড়া শহর ও উপজেলাগুলোতে তিন দিনের জন্য টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে।
বিটিসিএল এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (টেলিকমের) কার্যালয় থেকে টেলিফোন ও ইন্টারনেট বন্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ভবন থেকে সুইচ রুমের যাবতীয় যন্ত্রপাতি অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে। এ কারণে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা বগুড়া শহর, উপজেলাসমূহ এবং জয়পুরহাট জেলায় বিটিসিএল কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেতার ও গ্রন্থাগারে সংযোগকৃত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এ অফিসের আওতায় টেলিফোন (AGW) কপার ক্যাবলের মাধ্যমে দেয়া সংযোগ বগুড়া শহরে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি ঘোষিত এই সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানায় সংস্থাটি। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিটিসিএল।
মন্তব্য করুন
বিশ্বজুড়ে মেটার আওতাধীন ফেসবুকের সার্ভার ডাউন হয়ে
পড়ে। বাংলাদেশের
ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে
আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে
থাকেন ব্যবহারকারীরা। তবে তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম
ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।
ফেসবুকের
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ কথা জানান। মঙ্গলবার রাতে
এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন এসপি নাজমুল।
ভিডিও
বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ
বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান
হয়ে যাবে। এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক
অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও
সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে
রাত ১০টার দিকে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরে দেখা যায়, রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫
লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার
আন্দোলন চলাকালে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি
হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন,
বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে,
“যদি কোনো ব্যক্তি গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক
ফৌজদারি মামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার
লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরের (টোল ফ্রি) মাধ্যমে ভিকটিম
সাপোর্ট বা আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
সমাজের
দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে এই হেল্পলাইন সেবার
কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণ
আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব
নিয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে এই হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
বদলে যাচ্ছে এবার হোয়াটসঅ্যাপের ধরন । আর কোনো মোবাইল নাম্বারের প্রয়োজন হবে না হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাকাউন্ট খুলতে। একটি ইমেল যাচাই করেই ব্যবহার করা যাবে এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি।
জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপ একটি নতুন ফিচার পরীক্ষা করছে। এটি কার্যকর হলে, ব্যবহারকারীরা তাদের ফোন নাম্বার ছাড়া ইমেল দিয়েও অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে পারবেন।
সাধারণত ফোন বদল করলে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে এসএমএসর মাধ্যমে ওটিপি যাচাইকরণ করেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে ফেলা যায়। তবে কোনো নাম্বার নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে বা ফোন চুরি হলে আরও বিপদ।
সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যাচাইকরণের জন্য এসএমএস এ ওটিপি আসে। এই পাসওয়ার্ড ছাড়া কেউ অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারে না। এটি সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
কারও যদি মোবাইল নাম্বারটিই বদলে যায় বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তাহলে তিনি আর এসএমএস পাবেন না। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ এ লগইনও করতে পারবেন না।
ওয়াবেটাইনফ’র দাবি, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি একটি ইমেল যাচাইকরণ ফিচার পরীক্ষা করছে। এটি ব্যবহারকারীদের মোবাইল নাম্বার ছাড়াও ইমেল ব্যবহার করে তাদের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে দেবে।
নতুন ফিচারটি যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার একটি সংযোজন হতে চলেছে। এসএমএস যাচাইকরণের পাশাপাশি এটিও থাকবে। এই ফিচার এন্ড্রোয়েড ও আইওএস-এর বিটা ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যবহারকারীরা ‘অ্যাকাউন্ট সেটিং’এই অপশন পাবেন। সেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ই-মেইল অ্যাড্রেস লিখতে পারেন। যা কোনোভাবেই অন্যকোনো পক্ষ জানতে পারবে না।
অনেক দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ এই নতুন ই-মেইল যাচাইকরণ ফিচারটি পরীক্ষা করছে। সর্বশেষ বিটা সংস্করণ ২.২৩.২৪.১০ আপডেট অনেকেই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারছেন। শিগরিগরই এই সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
মন্তব্য করুন