

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
প্রবাসী বাংলাদেশীরা যাতে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স পাঠায় সেজন্য
প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্বুদ্ধ করতে এনআরবি ওয়াল্ড নেতৃবৃন্দকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে অনাবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর একটি
প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ।
এসময় তিনি তাঁদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীরা
রেমিটেন্স যোদ্ধা - তাঁরা বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের
উদ্বুদ্ধ করতে পারে ।
এনআরবি ওয়ার্ল্ডের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এনআরবি ওয়ার্ল্ড এর
প্রেসিডেন্ট মোহা. সাহিদুজ্জামান। সাক্ষাৎকালে এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধিদল তাদের
সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন
পণ্য ও সেবার ব্র্যান্ডিংয়ে করার কাজ করে যাচ্ছেন তারা। দেশের জন্য ভালো কিছু করার
দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য তারা
এনআরবি স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
এনআরবি ওয়ার্ল্ড একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশী
জনগণ এবং অনাবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে একটি বন্ধন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, এই সংগঠনটি পৃথিবীর
প্রায় ৫০টি দেশের সঙ্গে সংযুক্ত।
অভিবাসী বাংলাদেশিদের মেধা, দক্ষতা ও বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা
রাখাই এই সংস্থার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে জানান,
বাংলাদেশে বিদ্যমান ‘বিনিয়োগ বান্ধব’ পরিবেশের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি দেশের সম্ভাবনাময়
খাতে নিজেদের বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এনআরবি
নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশীরা গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখছে। বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে
পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন তিনি।
অনাবাসী বাংলাদেশিদের বিদেশে দেশের দূত (অ্যাম্বাসেডর) উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন
তাঁরা যাতে দেশে সঠিক স্বীকৃতি পায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং ঊচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এসময়
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


রমজান মাসে লোডশেডিং না
দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির করা হচ্ছে
বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রবিবার (২ মার্চ) আসরের নামাজের পর রাজধানীর সার্কিট হাউজ জামে
মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, রমজানে ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি
আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশা করছি রমজান মাসে ইনশাআল্লাহ কোনো লোডশেডিং হবে
না।
তিনি বলেন, আমাদের যে গ্যাস ছিল সেই গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমরা
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছি। এবারের রোজা কিছুটা
গরমের মধ্যে পড়ছে। এ সময় আমাদের সেচের জন্য অনেক বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। বিদ্যুতের
চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ থেকে ১০ হাজার
মেগাওয়াট। সেচ ও গরমের কারণে এই বিদুতের চাহিদা গরমে ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট
হয়ে যায়। এর মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াট লাগে আমাদের সেচ কাজে। কিন্তু সেচ বন্ধ
করা যাবে না। সেচ বন্ধ হলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।
বিদ্যুৎ চুরির বিষয়ে উপদেষ্টার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু
যে বিদ্যুৎ চুরি হয় তা নয়, গ্যাসও চুরি হয়। সেজন্য আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করছি। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, শীততাপ
নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বার জন্য ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে।
এজন্য আমরা ইমাম সাহেব এবং মুসল্লিদের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি এসির
তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি রাখার জন্য। এই ২৫ ডিগ্রি বেশ ভালো তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রায়
মানুষ খুব আরামে ইবাদাত করতে পারবে। জুয়েলারি শপেও যেন অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বা না করা হয়। এজন্য আমি
এবং আমার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সহকর্মীরা সবার কাছে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন


জাতি
গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রবাসীরাই মূল ভূমিকা পালন
করেছেন।
আজ
শুক্রবার টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য
রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাই সত্য যে কঠিন সময়ে দেশের যে টিকে থাকা—তা সম্ভব হয়েছে প্রবাসীদের
পাঠানো রেমিটেন্সের কারণে’।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, ক্ষমতাচ্যুত পতিত সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার এবং ব্যাংক শূন্য করে গিয়েছিল
এবং যদি প্রবাসীরা সহায়তা না করতেন, তাহলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারত না।
তিনি
বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে, তবে জাতি গঠনে প্রবাসী
বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত।
প্রধান
উপদেষ্টা প্রবাসীদের বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনাদেরই
রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নিতে হবে,’ তিনি বলেন।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, প্রবাসীদের বাংলাদেশে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন, তাদের ব্যবসাও
আছে—এই কারণে তারা নিয়মিত বাংলাদেশে
যাতায়াত করেন।
‘তাই সামগ্রিকভাবে আমাদের
একসঙ্গে কাজ করতে হবে...আপনারা জাপান সরকারের ওপর প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করুন,’বলেন
তিনি।
প্রধান
উপদেষ্টার জাপান সফরের তৃতীয় দিনে আজ তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়— যথাক্রমে অর্থনৈতিক সংস্কার
ও জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীলতা জোরদার করতে ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন (৪১৮ মিলিয়ন মার্কিন
ডলার), জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়াল-গেজ ডাবল-লেন রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ঋণ (৬৪১ মিলিয়ন
ডলার) এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন স্কলারশিপ অনুদান (৪.২ মিলিয়ন ডলার)।
বাংলাদেশের
পক্ষে রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী এবং জাপানের পক্ষে দেশটির রাষ্ট্রদূত শিনিচি সাইদা সমঝোতা
স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস দলিল এমওইউ স্বাক্ষরের এই আনুষ্ঠানিকতা প্রত্যক্ষ করেন।
পরে,
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে তিনি অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগদানের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বলেছেন, ‘তাঁর বক্তৃতায় তিনি
বাংলাদেশে গত দুই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন এবং একটি গণমুখী, কল্যাণধর্মী
ও জনস্বার্থমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনরুল্লেখ করবেন
বলে আশা করা হচ্ছে।’
তৌহিদ হোসেন আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা, সম্পদের অবৈধ পাচার রোধ, অভিবাসী অধিকার রক্ষার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মাত্র তিনদিন নিউইয়র্কে থাকবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার
উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। প্রধান উপদেষ্টা পূর্ববর্তী সরকার প্রধানদের মতো চার্টার ফ্লাইটে
নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এই যাতায়াত করবেন।
তৌহিদ বলেন, নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের
প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের
মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএআইডি প্রশাসক অধ্যাপক
ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তির বছর। একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মাইলফলক উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রফেসর ইউনূসের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি উচ্চ পর্যায়ের সংবর্ধনার আয়োজন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুই নেতার সময়সূচি না মেলার কারণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে না। তবে হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইউএনজিএ’র পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লী কীভাবে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ভাল ‘কাজের সম্পর্ক’ বজায় রাখতে পারে, তা নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি তিনি জোট নিরপেক্ষ
আন্দোলনের (ন্যাম) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক, কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক, ইসলামিক
কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (ওআইসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর
(এলডিসি) বার্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বাংলাদেশের
প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এবারের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য “কাউকে পেছনে ফেলে নয় : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার জন্য একসঙ্গে কাজ করা।”
মন্তব্য করুন


ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ৪ দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার ঢাকায় আসছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে রাজাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন রাজা ওয়াংচুক।
এসময় সোমবার বিকেলে ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের দুজনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাজার সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করবেন।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। সেসময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা। এরপর তিনি বঙ্গভবন পরিদর্শন করবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা। রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ভুটানের রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের নির্বাচিত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাকে বিদায় জানাবেন।
মন্তব্য করুন


বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর কাজ শুরু করেছে সরকার।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ, পুলিশের সিআইডি ও দুদকের সহায়তায় আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।
সরকার খুব শিগগির একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর
পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন। এর সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান আছে। এই আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে বলে ধারণা করা যায়।
অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।
এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নতুন ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক
মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের কার্যক্রম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, তিনি নিজেকে রংপুরের সন্তান বলে মনে করেন, কারণ তিনি জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে
শহিদ আবু সাঈদের সাহস ও আত্মত্যাগে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান
উপদেষ্টা ঢাকায় তার কার্যালয়ে আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমাকে
রংপুরের একজন উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করুন।
প্রধান উপদেষ্টা এসময় শহিদ আবু সাঈদ
ফাউন্ডেশনের সনদপত্র আবু সাঈদের পরিবারের হাতে তুলে দেন। আবু সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন সনদপত্র গ্রহণ করেন।
আবু সাঈদের ভাতিজা মো. লিটন মিয়া এ
উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা শহিদ আবু সাঈদের পিতামাতার
স্বাস্থ্যর খোঁজখবর নেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন


জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার
আজ বুধবার (২৫ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাৎ বাংলাদেশে তাঁর চার বছরের কূটনৈতিক
কর্মজীবনের শেষ কার্যক্রম।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত
ট্রস্টারকে তাঁর দায়িত্ব সফলভাবে শেষ করার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ-জার্মানি
সম্পর্ক জোরদারে তাঁর অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, জার্মানি আমাদের উন্নয়ন যাত্রার নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার বাংলাদেশে তাঁর
সময়কাল সম্পর্কে আবেগভরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমার কর্মজীবনে অনেক আকর্ষণীয়
পোস্টিং ছিল, তবে বাংলাদেশ সত্যিই অনন্য। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তা ছিল অভূতপূর্ব,
আমি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “বিনিয়োগ সম্মেলন ছিল
একটি ভালো উদ্যোগ। আমি বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানাই এবং আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া সফল হবে। পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে বলেও আমি আশাবাদী।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জার্মানির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইউরোপে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ
বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে জার্মানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশটি যে অব্যাহত
উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়।
তিনি বিশেষভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য জার্মানির
মানবিক সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, “সংকটময় মুহূর্তে
বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আপনার দেশের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
আরও বলেন, আপনার বিদায়ের পরও আমরা আপনার মতামত শুনতে চাই ু তা ইতিবাচক হোক অথবা সমালোচনামূলক। কারণ আপনার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের কাছে
গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাকে বাংলাদেশের একজন সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করি।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম
ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন।
মন্তব্য করুন


গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শাহিন আলম বলেন, গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। তার শরীরের প্রায় ১০০ ভাগ পুড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী এই যোদ্ধার মৃত্যুতে সহকর্মীসহ পুরো ফায়ার সার্ভিস পরিবার শোকাহত। তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
গতকাল একই ঘটনায় আরেক ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ মারা যান। তার শরীরেরও ১০০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বর্তমানে একজন ৪২ শতাংশ ও আরেকজনের পাঁচ শতাংশ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের সময়সীমা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় ছিল।
আবেদন ফরম পূরণের পর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন


আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ‘বহুভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদ্যাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে শিক্ষা ও সাক্ষরতার বিষয়ে সচেতন ও উৎসাহী করে তোলা এবং তাদের মানবসম্পদে রূপান্তর করা। মাতৃভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শিশু, কিশোর ও তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনমান, জাতীয় উন্নয়ন ও শান্তি ত্বরান্বিত করতে আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য সেই লক্ষ্যই তুলে ধরছে। শিক্ষা জাতি গঠনের প্রধান বাহন এবং শিক্ষার প্রথম ধাপ হলো সাক্ষরতা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাসাক্ষরতার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে বলেন।তিক সাক্ষরতা দিবসে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে
এবারের সাক্ষরতা দিবসে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪ উদ্যাপন করছে।
বিশ্বব্যাপী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (আইএলডি) উদ্যাপন করা হচ্ছে ১৯৬৭ সাল থেকে।
মন্তব্য করুন