

ভারতের মধ্যপ্রদেশে ২১ বছর বয়সী উঠতি মডেল খুশবু আহিরওয়ারের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সোমবার ভোরে সিহোর জেলার ভৈনসাখেদি এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল সূত্র ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুশবুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তার প্রেমিক কাসিম, তবে কিছুক্ষণ পরই তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, খুশবুকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। পরিবারের অভিযোগের পর খুশবুর মরদেহ ভোপালের গান্ধী মেডিকেল কলেজে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন খুশবুর মা লক্ষ্মী আহিরওয়ার। তিনি অভিযোগ করেন, “আমার মেয়েকে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের দাগ ছিল, মুখ ফুলে গিয়েছিল। ওকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী ড. মোহন যাদবের কাছে দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি জানিয়েছেন খুশবুর বোন। তার ভাষায়, “আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে, তার শরীরে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
পরিবার জানায়, খুশবু প্রায় তিন বছর ধরে ভোপালে বসবাস করছিলেন। তিনি ২৭ বছর বয়সী কাসিম নামের এক যুবকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। ওই কাসিমই তাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উজ্জয়িনী থেকে ভোপাল ফেরার পথে খুশবুর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। তখন কাসিম তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপরই তিনি সেখান থেকে উধাও হয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, কাসিমকে আটক করতে অভিযান চলছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, “খুশবুর শরীরে পাওয়া আঘাতের চিহ্নগুলো মারধর ও সম্ভাব্য যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত দেয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। সব দিক থেকেই তদন্ত চলছে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ডায়মন্ডগার্ল৩০’ নামে পরিচিত খুশবু ছিলেন স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় এক তরুণ মডেল। বিভিন্ন ফটোশুট, ব্র্যান্ড প্রমোশন এবং অনলাইন কোলাবোরেশনের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন। বিএ প্রথম বর্ষে পড়া ছেড়ে দিয়ে তিনি ভোপালে পার্টটাইম কাজের পাশাপাশি মডেলিং পেশায় নিজের জায়গা তৈরির চেষ্টা করছিলেন।
মন্তব্য করুন


ফিফা
প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব উৎসবে যোগ
দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
এখানে
প্রাপ্ত এক খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ফাঁকে প্রধান
উপদেষ্টার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতা ও সংস্থার প্রধান কর্মকর্তার বৈঠক অনুষ্ঠিত
হয়।
অধ্যাপক
ইউনূস ফিফা প্রধানকে উৎসব সম্পর্কে অবহিত করেন এবং স্বনামধন্য মহিলা ফুটবল দলকে বাংলাদেশে
আনতে তার সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা এখন বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে বাকুতে চার দিনের এক সরকারি সফরে রয়েছেন।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা বাকুতে পৌঁছান।
তিনি
কপ২৯-এর বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং বিভিন্ন সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তব্য রাখবেন।
মন্তব্য করুন


গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তাইওয়ানে। বুধবার সকালে স্থানীয় সময় ৭টা ৫৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এতে অন্তত ৪ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের পর তিন দেশ- তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও জাপানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
এক জরুরি বার্তায় তারা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে সুনামি আঘাত হানতে পারে। তাইওয়ানে এর প্রভাব পড়তে পারে। উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। ২৫ বছর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত আনে। তাতে ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূপৃষ্ঠের ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি হয়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করেছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পে তাইওয়ানের একাধিক শহরের বেশকিছু ভবন ধসে পড়েছে। এসব ভবনের নিচেও চাপা পড়েছেন অনেকে। এছাড়া এই পাহাড়ি শহরটিতে ভূমিধ্বসের খবরও জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


মাতৃভাষার জন্য জীবন
দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২১
ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার
স্বীকৃতি এনে দিতে আমাদের আত্মত্যাগ করতে হয়েছে অনেক। জাতির মুক্তি সংগ্রামের
ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি
অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত
রচিত হয়।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর
প্রায় সব দেশে নানান দেশের নানান ভাষার কিংবা হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কিছু মানুষ
নাগরিকত্ব গ্রহণ করে কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করে। নতুন দেশের ভাষা তাদের দৈনন্দিন
জীবনে চব্বিশ ঘণ্টার ভাষায় পরিণত হয়ে যায়, কিন্তু তবু সে ভাষা তার মাতৃভাষায় পরিণত
হয় না। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃভাষার চেতনা ও মর্যাদা
রক্ষার প্রেরণা ও এ চেতনার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকতার সূত্রে ২০০১ সালের ১৫ মার্চ
ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। বিশ্বের সব
মাতৃভাষার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও গবেষণার ইতিবৃত্তকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
ইনস্টিটিউট তার যাত্রা শুরু করে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, একটি নতুন ভাষা শিখলেই পুরনো ভাষায় দুর্বল হয়ে পড়বে এই ধারণার কোনো ভিত্তি
নেই। পৃথিবীর বহু দেশে একই নাগরিক সাবলীলভাবে কয়েকটি ভাষায় কথা বলবে এটা খুবই
স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। তারা শৈশব থেকে নানান ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে যায়।
স্কুলে পড়ার সময় প্রত্যেক ছাত্রকে অন্তত একটি ভিন্ন ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা
হয়। ছাত্ররাও আনন্দ সহকারে সেটা করে থাকে। ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে এমন
কোনো চিন্তা তাদের কারও মাথায় আসে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
আমরা দ্রুত গতিতে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করে যাচ্ছি। এর জন্য মূলত নিত্যনতুন
প্রযুক্তি প্রধানত দায়ী। প্রযুক্তির প্রাধান্যের সঙ্গে আসে ভাষার প্রাধান্য। যে
দেশের প্রযুক্তি পৃথিবীতে প্রাধান্য অর্জন করতে থাকবে তার সঙ্গে প্রাধান্য অর্জন
করতে থাকবে প্রযুক্তিদাতা দেশের ভাষা। সারা পৃথিবী এই ভাষা শেখার জন্য ঝাঁপিয়ে
পড়বে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ভাষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সঙ্গে সাহিত্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান- সরাসরি জড়িত। আমরা যখন মাতৃভাষায় কথা বলি তখন যেন মনে রাখি মাতৃভাষা মানুষের প্রাথমিক ভাষা। সেই ভাষা প্রথম শ্রবণে যতই রূঢ় মনে হোক না কেন তা একদিন তার প্রাথমিক স্তর পার হয়ে বহু দেশের বহু মানুষের অত্যন্ত নমস্য ভাষায় পরিণত হতে পারে। যদি সে ভাষা পৃথিবীর অগ্রযাত্রায় কৌশলগত ভূমিকা দখল করে নিতে পারে।
মন্তব্য করুন


সূর্য
ও পৃথিবীর মধ্যকার কক্ষপথে চাঁদ এসে পড়লে চাঁদের ছায়ায় পৃথিবীর একটা অংশ সম্পূর্ণ ঢেকে
যায়।
সোমবার
(৮ এপ্রিল) বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। আর এদিন
ভরদুপুরে চাঁদের ছায়া সূর্যকে প্রায় ৪ মিনিট সম্পূর্ণ ঢেকে রাখবে।
ব্রহ্মাণ্ডের এই প্রাকৃতিক ঘটনায় চাঁদ যখন পৃথিবী
ও সূর্যের মাঝে চলে আসবে, সে সময়ে চাঁদের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২ হাজার ৪০০
কিলোমিটার।
নাসা
বলছে, আগামী ৮ এপ্রিল মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা
৭ মিনিটে প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এছাড়া আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো, পশ্চিম
ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক, আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম
অঞ্চল থেকেও মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে বাংলাদেশ থেকে এ পূর্ণগ্রাস
সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।
এবারের
এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে চাঁদ সূর্যকে ৪ মিনিটের জন্য পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে। এ
সময় দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। ফলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এইদিন গ্রহণ অঞ্চলে
শতাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং এইসব দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারেন সহস্রাধিক
মানুষ। এমনকি এর ফলে বেশকিছু রাজ্যের স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে
বলা হয়, মেক্সিকোর স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে গ্রহণ শুরু হয়ে ধীরে ধীর
সূর্যকে ঢাকতে থাকবে চাঁদ। তবে পূর্ণগ্রাস শেষ হবে ৩টা ৩৫ মিনিটে। প্রায় চার মিনিট
স্থায়ী হতে পারে মহাজাগতিক ঘটনাটি। এ ধরনের বিরল আরেকটি ঘটনা দেখতে মানবজাতিকে
অপেক্ষা করতে হবে ২০৪৪ সাল পর্যন্ত।
যুক্তরাষ্ট্রে
সবশেষ সূর্যগ্রহণ ছিল ২০১৭ সালে। মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে আরেকটি পূর্ণগ্রাস
সূর্যগ্রহণ অস্বাভাবিক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৭ এর আগে সূর্যগ্রহণ ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে
এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের আগস্টের পর।
মন্তব্য করুন


গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় জলযানগুলোতে থাকা সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্য অ্যা স্বেচ্ছাসেবীদের আটক করা হয়। তাদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নৌবহর থেকে আটক গাজার কর্মীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে তাদের আটক করার পর কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। আটক গাজা কর্মীরা ২ ঘণ্টার মধ্যে আশোদ বন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এখন আটককৃতদের ইসরায়েল থেকে ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত রাত থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উপর ভয়াবহ অবরোধ ভাঙার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় ইসরায়েল ৪৪টি মানবিক ত্রাণ বহনকারী নৌকার মধ্যে কমপক্ষে ২১টি আটক করে। এ নিয়ে বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠলেও ইসরায়েল পাত্তা দিচ্ছে না।
ঘটনার আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজে এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ফ্লোটিলাটিকে বাধাহীনভাবে যেতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ফ্লোটিলার সরবরাহকৃত সহায়তা মানবিক আইনের আওতায় বৈধ। তবে ইসরায়েল বলছে, ফ্লোটিলার স্বেচ্ছাসেবীরা ‘আইনসংগত নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা’ করছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে হাজারো মানুষের মৃত্যু ও অবরোধ চলমান থাকায় এই ফ্লোটিলা মানবিক সহায়তা ও সংহতির অংশ হিসেবে রওনা হয়েছিল।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরকির ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন রয়েছেন। কর্মীরা বলছেন, গ্রেপ্তার অভিযান চললেও ফ্লোটিলার মিশন থেমে যায়নি। এখনো কয়েকটি জাহাজ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন


ডিভোর্স আজকাল এর যুগে এক নিত্যনৈমিত্তিক
ঘটনায় পরিণত হয়েছে । বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলে মনোমালিন্য যা
শেষ অবধি গড়ায় ডিভোর্সে। জরিপে দেখা গেছে এমন বিচ্ছেদের পেছনে বেশিরভাগ সময় পরকীয়া
থাকে প্রধান কারণ।
তবে কুরকুরে চিপস না আনার কারণে
বিচ্ছেদ ?
এমন অদ্ভুত কারণেও যে হতে পারে
বিচ্ছেদ তার প্রমাণ মিললো ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়।
মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে
এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
স্ত্রীর পছন্দের চিপস আনতে ভুলে
গিয়েছেন স্বামী। আর এতেই রেগে বাপের বাড়ি চলে গেছেন ওই স্ত্রী। তবে এখানেই শেষ না।
রীতিমতো ডিভোর্স চেয়ে ছুটে গেছেন পুলিশের কাছেও।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ রুপির
কুরকুরে চিপস অনেক পছন্দের ওই স্ত্রীর। এজন্য তার অনুরোধ ছিল প্রত্যেক দিন যেন সেই
চিপস আনা হয়। যা নিয়ে এর আগেও তাদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। এবার সেই চিপসটি আনতে ভুলে
যায় স্বামী। আর তা নিয়েই বাধে ঝগড়া। একপর্যায়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। তিনি
বলেন, তিনি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান।
যদিও এমন অভিযোগ শোনার পর অবশ্য
পুলিশ এই দম্পতিকে ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ের জন্য রেফার করেছে।
জানা গেছে, গত বছরই বিয়ে হয়েছে
ওই দম্পতির। তবে যুবতীর ডিভোর্সের দাবির বিপরীতে তাদের মতভেদ মেটানোর এবং সংসার রক্ষা
করার প্রচেষ্টায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
সঙ্গে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে
সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল
আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের
সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
রাষ্ট্রপতি ও আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা
যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর তাগিদ দেন আচার্য।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উচ্চশিক্ষার
মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা কার্যক্রম আরও বাড়ানোরও আহ্বান জানান। এ সময়
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।-বাসস
মন্তব্য করুন


বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এক দল রাজহাঁস। ব্রাজিলের সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা জেলের বাইরের চিত্র এটা।
রাজহাঁসের একটি দল সেখানে জেল পাহারা দেয় । রাজহাঁসরাই জেলের পাহারাদার। তাদের অতন্দ্র প্রহরায় জেল থেকে মাছি গলার উপায় নেই।ব্রাজিলের এই বিশেষ জেলটিতে কিন্তু এত দিন রাজহাঁস ছিল না।
অন্য প্রাণী পাহারাদার হিসেবে ছিল। সম্প্রতি সেগুলো সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে হাঁসগুলোকে। সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা জেল এত দিন এক দল প্রশিক্ষিত হিংস্র কুকুরকে জেলের বাইরের মাঠে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি কারা কর্তৃপক্ষ কুকুরের বদলে রাজহাঁসে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বেশি দেখেছে। বিভিন্ন সুবিধা বিবেচনা করেই তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এই রদবদল করেছে বলে দাবি তাদের। দক্ষিণ ব্রাজিলের সান্টা ক্যাটারিনা প্রদেশে অবস্থান এই সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা কারাগার। জায়গা নির্জন। ওই নির্জন এলাকা হাঁসের পক্ষে উপযোগী বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাজিলের ওই জেলের কর্মচারীদের দাবি, কুকুরের চেয়ে রাজহাঁসের মধ্যে পাহারা দেওয়ার পারদর্শিতা, তৎপরতা অনেক বেশি।
জেলের ডিরেক্টর মার্কোস রবার্টো ডিসুজা জানিয়েছেন, তাদের জেলে ৩টি স্তরে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রয়েছে। কয়েদিরা যাতে জেল থেকে পালাতে না পারে, সেজন্য চলে কড়া নজরদারি।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য অ্যানিমেল রিডার
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ নারী নেতৃবৃন্দের জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ‘সাউথ এশিয়া ইয়ং উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট একাডেমি’তে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লার উদীয়মান নারী নেত্রী সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী।
সুইডেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (IDEA) এই ফেলোশিপের আয়োজন করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) অর্থায়নে এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন (UN Women)-এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের তরুণ নারী নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
ফেলোশিপটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয়। তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব বিকাশ, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।
সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী বলেন, “আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আমার জন্য গৌরব ও সম্মানের। দেশের তরুণ নারীদের অবস্থান ও সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার এই দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব ইনশাআল্লাহ। এই অভিজ্ঞতা আমাকে ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সমৃদ্ধ করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যৎ নারী নেতৃত্ব গঠনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবেও কাজ করবে।”
সুমাইয়া বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য-প্রযুক্তি সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ রাজনৈতিক ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবন থেকেই সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় সুমাইয়া ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এই ধরনের আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাংলাদেশের তরুণ নারীদের সক্ষমতা ও নেতৃত্বের দক্ষতাকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরছে। সুমাইয়া বিনতে হোসাইনীর মতো নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ নারীরা আগামী দিনের পরিবর্তনের রূপকার হয়ে উঠবেন—এমনটাই প্রত্যাশা দেশের মানুষের।
মন্তব্য করুন