ঝিনাইদহ সদরে মাছচাষি শরিফুল ইসলাম টুলু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
(৩ মার্চ)রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের একটি পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম টুলু। সে সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, জসিম, খোকনসহ আরও কয়েকজন তাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই সরফুদ্দিন বাদী হয়ে নয়জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষী প্রমাণ হওয়ায় জাহিদুল ইসলাম, খোকন হোসেন, ইলিয়াস আলী, জসিম উদ্দিন ও সেলিম হোসেনকে এ সাজা দেন বিচারক।
মন্তব্য করুন
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী আইন ও বিচার বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বুধবার তাকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ বিভাগের চলতি দায়িত্ব পালনের ১০ দিনের মাথায় তিনি পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একই বিভাগে তিনি যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) পদে ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রাম থেকে তাকে ঢাকায় বদলি করে আনা হয়। তিনি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এই রেজিস্ট্রার জেনারেলকে দেড় মাস আগে জেলা ও দায়রা জজ করে পাঠানো হয়েছিল চট্টগ্রামে। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আবার আইন মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। তখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে আলোচনা ছিল।
এ বিভাগের আগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওএসডি করা হয়েছিল।
বিভিন্ন জেলায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করা নতুন আইন সচিব গোলাম রব্বানী ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৫ সালে তৈরি করা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পদটি রাষ্ট্রের পদমর্যাদাক্রম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সচিবের সমপর্যায়ের। এর আগে তিনি ছিলেন হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, যে পদটি মর্যাদার দিক দিয়ে সচিব পর্যায়ের।
আগের সরকার এ বছর ১ জুলাই তাকে রেজিস্টার জেনারেল পদ থেকে সরিয়ে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলি করে। ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র গোলাম রব্বানী ১৯৯১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিয়োগ পেয়ে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জামালপুরের যুগ্ম জেলা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন শাখায় দায়িত্ব পালন করা গোলাম রব্বানী ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান।
মন্তব্য করুন
রবিবার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ।
এই বিশেষ অভিযানে ১জন আসামীকে গ্রেফতার করাসহ ৫০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫২গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয় ।
আজ সকাল আনুমানিক ৭টার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখা,কুমিল্লায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোঃ
আরেফুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা,
এএসআই মোঃ ইকবাল হোসেন ফোর্সসহ কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও
বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার পশ্চিম চান্দিশকড়া
সাকিনের মোঃ সোহাগ (৩৪) কে তার নিজ বাড়ি থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও সাদা রঙের আইসসহ গ্রেফতার করে ।
আসামীর নিজ বসত ঘরে ২টি সাদা এয়ার টাইট পলিপ্যাক পাওয়া যায় যার ১টি পলিপ্যাক
এর ভেতর রাখা প্রতি প্যাকেটে ২৬(ছাব্বিশ) গ্রাম করে মোট ৫২(বায়ান্ন) গ্রাম সাদা রংয়ের
মাদকদ্রব্য আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এবং স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২৫(পঁচিশ)টি কালো রংয়ের
এয়ার টাইট পলিপ্যাকেট এর প্রতিটি পেকেটের ভেতরে লুকানো ২০০(দুইশত) পিস করে ৫০০০ (পাঁচ
হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় ।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং- তারিখ- ২৮/০৪/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা- ২০১৮ সালের
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১০(ক)/১০(গ) রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি চোর চক্রের ১জনকে গ্রেফতার করাসহ ৭ টি
চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে।
সোমবার রাত ০১:৩০ নাগাদ গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিঃ)
মোঃ মোরশেদ আলম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ সদর দক্ষিন মডেল থানার কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়
পেট্রোল ডিউটি সহ ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটি করাকালে জানতে পারেন যে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন কোটবাড়ি সালমানপুর দীঘির পূর্বপাড় আবুল হোসেনের গ্যারেজের সামনে রাস্তার
উপর কয়েকজন মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য একত্রিত হয়ে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়- বিক্রয়
করতেছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে
ঘটনাস্থল হতে আসামীগণ পালানোর চেষ্টাকালে অফিসার ও ফোর্সের সহয়তায় আসামী মোঃ খোরশেদ
আলম (৩০) কে ০১টি কালো রংয়ের Hero glamour মোটরসাইকেল যার রেজি: নং-কুমিল্লা ল-১১-৫৯৪৮
সহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ খোরশেদ আলম
(৩০) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করাকালে জানা যায় যে, তার সঙ্গীয় অপর আসামীগণ মোঃ শিপু
ওরফে শিল্পা ওরফে শিপা (৩৭), রাকিবুল হাসান
প্রকাশ রিয়াদ (২৭) দ্বয়ের হেফাজতে আরো ০৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল রয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য মতে সদর দক্ষিন
মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একটি দক্ষ টিম কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান
পরিচালনা করে এবং অভিযানের এক পর্যায়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন বালুতুপা এলাকার
পলাতক আসামী জসিম ও শিপুদ্বয়ের বসত বাড়ির উঠানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে
পলাতক আসামী জসিম ও শিপু ঘর থেকে বাহির হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পলাতক আসামীদের বসত-বাড়ী
তল্লাশী করে ৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার জব্দ করা হয় ।
উদ্ধারকৃত ৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল
-
(i) ০১ টি নীল কালো রংয়ের YAMAHA
FZS V2 150 CC MOTORCYCLE (ii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 110 CC
MOTORCYCLE (iii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের HONDA XBLADE 150 CC MOTORCYCLE (iv) ০১ টি
নীল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 125 CC MOTORCYCLE (v) ০১ টি কালো রংয়ের TVS RAIDER
125 CC MOTORCYCLE (vi) ০১টি লাল কালো রংয়ের HERO GLAMOUR MOTORCYCLE
উক্ত ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এজাহার
দায়ের করলে সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা নং-৩০, তারিখ- ২২/০৪/২০২৪ইং ধারা-৪১৩ পেনাল
কোড, রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।
বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।
মন্তব্য করুন
যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে ৪/৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কুমিল্লা জেলার নিরীহ ছাত্র জনতার উপর আক্রমনকারী সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আটক, অবৈধ মাদক কারবারী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ নভেম্বর ২০২৪ মাদক ব্যবসায়ী ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কর্তৃক মোল্লা কান্দি, দাউদকান্দি নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে মাদক সরবরাহকারী মোঃ বাদলকে গ্রেফতার করতে গেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা বেগম এবং মোছাঃ মুক্তা বেগম নামক ০২ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৭,৬০০/- পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ রোল ইয়াবা সেবন ফয়েল পেপার, ০৭ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ১ টি সীম কার্ড ও নগদ ২,২৯,৩০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত দ্রব্যসামগ্রী দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক করার এরূপ অভিযান যৌথ বাহিনী কর্তৃক অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন সিটি হাউজিং এলাকা থেকে ৯৫৮ বোতল ফেনিসিডিলসহ মাদক সম্রাট মো. সজীব ওরফে ফেন্সি সজীবকে (৩০) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানিয়েছেন, জব্দ করা ৯৫৮ বোতল ফেনসিডিলের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আটক সজীব আন্তঃজেলা মাদক কারবারি এবং মাদকের ডিলার। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লায় হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে তিনি স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে এনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলেন।
সজীব মোহাম্মদপুর সিটি হাউসিং এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এসব মাদক মজুদ করতেন। তার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে। সজিবের বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় নিত্যপণ্যের
বাজারে তদারকি অভিযান পরিচালনা করে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে
২টা পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর নিউমার্কেট ও এর আশেপাশের এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে
চাল, ডাল, আটা, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম, মাংস, সবজি, তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের
ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয়ের তথ্য যাচাই করা হয়।
এরই সাথে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সেখানে তথ্যের গরমিল আছে কিনা সেটিও যাচাই করা হয়।
পাশাপাশি অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য ও কসমেটিকস বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটিও তদারকি করা হয় ।
অভিযান পরিচালনা শেষে অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রি ও মূল্য তালিকায়
গরমিল থাকায় মেসার্স তুহিন স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, অনুমোদনহীন রং ও শিশু খাদ্য
বিক্রয় করায় মেসার্স মা-মনি স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং অনুমোদনহীন বিদেশী কসমেটিকস
বিক্রি এবং ইচ্ছেমাফিক
মূল্যের স্টিকার লাগানোর অভিযোগে মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও বুধবার আয়োজিত এ অভিযানে
ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক এখতিয়ারে
তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং তদারকি করা হয় অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
আজকের এ অভিযান পরিচালনা
করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো:
আছাদুল ইসলাম। সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন।
অিভিযান পরিচালনা করার সময়
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে এ ধরণের কার্যক্রম
অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা ৪ মিলিয়ন মামলার ভার। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স
অন জুডিশিয়ারি এক্রোস দ্যা বর্ডার্স (21st Century Challenges and
Experiences from the Himalayas and Beyond) শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক
সম্মেলন হয়েছে ।
আন্তর্জাতিক সম্মেলনটির প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনটির দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
প্রধান বিচারপতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটান ও নেপাল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতিদানের ইতিহাস কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং পিপলস জুডিসিয়ারি সম্পর্কে বলেন, পিপলস জুডিসিয়ারি ধারণাটি এমন একটি ধারণা, যা সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে এবং সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধিকারগুলো রক্ষা করে।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা উল্লেখ করে- তা থেকে উত্তরণের উপায় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের আদালত আজকে ৪ মিলিয়ন মামলার ভারে জর্জরিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা আধুনিকায়নে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। কক্সবাজারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ার বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম- যা নিজেদের মধ্যে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, ক্রস বর্ডার
ঐক্য গড়ে তোলা ও বৃহত্তর সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করবে।
এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান
সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আর তাই দেশে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে বলেন, ব্যক্তির মানবাধিকার রক্ষায় আইনের শাসনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের মূলভিত্তি।
তিনি বলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি- কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এটা বাস্তবায়ন করা না হলে, আইন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে অবিচারের উৎস হয়ে উঠে। তিনি তার বক্তৃতায় ভুটানের বিচার ব্যবস্থার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির এরূপ সম্মেলনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এই সম্মেলনের ফলে এই অঞ্চলের বিচারব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে তা উত্তরণে সহায়ক হবে।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি,
এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ, সুপ্রিমকোর্ট
বার নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। তখন থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ১৮৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে যে, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ১৮৫টি। এ সময় ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১১টি রিভলভার, ৫৬টি পিস্তল, ১১টি রাইফেল, ২৫ টি শটগান, ৫টি পাইপগান, ২০টি শুটারগান, ১৩টি এলজি, ২৫টি বন্দুক, একটি একে-৪৭, দুটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এয়ারগান, চারটি এসবিবিএ, চারটি এসএমজি, দুটি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ও দুটি ত্রি-কোয়াটার।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের দুই হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এ ছাড়াও তিন লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি, আট হাজার ৯০৫টি টিয়ারগ্যাস সেল, দুই হাজার ৫৭৬টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৭৫১টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার হয়নি বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি
কুমিল্লা মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেছে ।
শনিবার বিকেলে মাদকবিরোধী এ টাস্কফোর্স অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করা হয়
।
আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো: মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর নির্দেশনায় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক কাজী দিদারুল আলম এর সার্বিক তত্বাবধানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানাধীন নিশ্চিন্তপুর বাজারে পরিচালিত এ টাস্কফোর্স অভিযানে ডিএনসি-কুমিল্লা, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের অংশগ্রহণে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন মোসা: মিলন বিবি (৬৩) কে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় ।
আসামীর
বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান ।
মন্তব্য করুন