

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ফসলি জমি ও সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ মাটি চোর চক্র।
এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক ও ডাম্পারের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট।
এ মাটি চুরির হিড়িক চলছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলির চক মৌজায়। এতে করে বিনিস্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি নস্ট হচ্ছে পরিবেশ।
প্রতিদিন মাটি চোর চক্রের সদস্যরা প্রায় অর্ধাশতাধিক সন্ত্রাসী পাহারায় একদল শ্রমীক দিয়ে ভেকরু সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যায়। এই ট্রাকের মাটি যাচ্ছে আশপাশের যত ইট ভাটায়। প্রতি ট্রাকের মাটি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন মাটি চোরেরা কমপক্ষে তিন শতাধিক মাহেন্দ্রা ট্রাক দিয়ে মাটি চুরি করে বিক্রি করে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় এ মাটি কাটার লুট পাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চলে নির্যাতন, হতে হয় বাড়িঘর ছাড়া। আর এসব মাটি চোর চক্রকে সাহায্য করেন স্থানীয় দলীয় নেতারা।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসক নির্দেশে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানে কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি মাহেন্দ্রা ট্রাক ও একটি সেলো মেশিন জব্দ করেন।
এ সময় ভ্রম্যমাণ আদালত মাটি চুরি করার সহযোগিতা করার কারনে মোঃ মোতাহার (৫৫) ,মোঃ শামীম (১৯) ও আতিক (২৭) নামের তিনজনকে হাতেনাথে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ০৪ ধারা অপরাধ লঙ্গন করায় প্রত্যেককে ১৫ ধারায় ৩০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিজা খাতুন, উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শেরিফ হোসেন খান, মোঃ খোরশেদ আলম ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ভ্রম্যমান আদালত শেষে পুলিশের সহযোগিতায় জব্দ করা মাহেন্দ্রা ট্রাক ও সেলো মেশিন থানা হেফাজতে নিয়েছেন এবং সাজা প্রাপ্ত তিনজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তর করেছেন।
ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজায় একদল মাটি চোর চক্র দিনে ও রাতে মাটি চুরি করে বিক্রি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমি ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ করে আজ সকালে উক্ত কুমলিরচক মৌজায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় মাটি চুরি করে কাটার সহযোগিতা করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি জানান, পোশাক কারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদানের সময় স্ট্যাম্পের চাহিদার সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। এমন চক্রের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ আর এ অভিযানে বিপুল সংখ্যক জাল স্ট্যাম্পসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বরিশাল জেলার সদর থানার ব্রাউন কম্পাউন্ড রোড এলাকার মৃত আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে মো. আসিফ ইকবাল (৩৮) ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বাহেরচর গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে মো. জুয়েল (৪২)। একটি পোশাক কারখানায় জার স্ট্যাম্প বিক্রির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, জাল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানা আমরা গত ঈদের আগে শনাক্ত করে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা কিন্তু ধরন পরিবর্তন করেছে। পোশাক কারখানার বেতনের সময় ১০ টাকার জাল স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে পণ্য শিপমেন্টের সময় ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয়। এ চাহিদাকে চক্রটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার ডংলিয়ন পোশাক কারখানায় জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে আসেন আসামি আসিফ ইকবাল। খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে তিনি আসিফ ইকবাল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ টাকা মুল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টি রিভিনিউ স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক বাজারের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে মো. জুয়েল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ও ৫০০ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যার মুল্য দুই কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ জাল স্ট্যাম্পের কারখানার করা হচ্ছে। দ্রুত কারখানাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


২০ মে থেকে ২৩জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন সমুদ্রে সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার তুষার মজুমদার জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠ প্রজনন ও মজুদ সংরক্ষণ এবং সহনশীল মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা(২) এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা ২০২৩ এর বিধি ৩এর ১ (ক)এর ক্ষমতাবলে ২০ মে হতে ২৩ শে জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে কিছুদিন পূর্বে জেলেদের ও জেলে সমিতির সদস্যদের সাথে উপজেলা পরিষদ হল রুমে সভা করা হয়েছে
আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং এই ৬৫দিন জেলেরা সরকারি বরাদ্ধকৃত চাল পাবেন সেবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। একই সাথে জেলেদের যাচাই বাছাই করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহায়তা নিয়ে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ দা দিয়ে কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়
স্ত্রী জাকিয়া। এ ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী ফিরোজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনেরা। এদিকে পলাতক স্ত্রীকে আটক করেছে ভূঞাপুর থানা
পুলিশ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামে নিজ বাড়িতে
এ ঘটনা ঘটে। আহত ফিরোজ (২৯) উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান ছেলে এবং
জাকিয়া (২৬) একই উপজেলার জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে। ফিরোজ পেশায় একজন এক্সকেভেটর
(বেকু) চালক। এ ঘটনায় আহত ফিরোজকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
হাসপাতালে এবং পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকে (কলেজ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন।
এদিকে ঘটনার পর স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়। এছাড়া কর্তনকৃত পুরুষাঙ্গটি খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কর্তন হওয়া পুরুষাঙ্গ উদ্ধার করে জোড়া
লাগাতে না পারলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান , প্রায় এক যুগ আগে ফিরোজ ও জাকিয়া ভালবেসে বিয়ে করেন।
তাদের ঘরে পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই একে অপরকে পরকীয়া
প্রেমের সন্দেহে নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম্য শালিস হয়।
সম্প্রতি গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে
তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেখানে শালিসে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ
টাকা না দিতে পেরে ফিরোজ স্ত্রীকে আবারও বাড়িতে নিয়ে আসে।
এদিকে কিছুদিন যাইতে না যাইতে আবারও তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর ফলশ্রুতিতে
বুধবার সকালে স্ত্রী জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিখণ্ডিত করে ছেলেকে
সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পলাতক স্ত্রী জাকিয়াকে উপজেলার জিগাতলার নিজ গ্রাম
থেকে আটক করে পুলিশ।
প্রতিবেশী আলমগীর বলেন, ঘরের ভিতর গিয়ে দেখি স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে।
ঘর রক্ত দিয়ে ভেসে গেছে। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার
পর থেকেই স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
ফিরোজের ফুফাতো ভাই রবিন জানায় ,আমি পুকুরের পাড়ে গোসল করতেছিলাম, তখন কেরু
কাকার বউ এসে এ দুর্ঘটনার কথা জানায় । পরে আমরা ৪-৫ জন এসে ভাইকে ধরে নিয়ে সিএনজি করে
ভূঞাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে উন্নত চিকিৎসার জন্য
টাঙ্গাইল নিয়ে যাওয়া হয়।
ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বলেন, সকালে ফিরোজকে ঘুমে দেখে আমি তার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে
বের হই। হঠাৎ সাড়ে ৯ টার দিকে ফিরোজের বৌ আমাকে ফোন দিয়ে বলে, তাড়াতাড়ি বাড়িতে
যান। আপনার ছেলে যেন কেমন করছে। একথা বলেই সে ফোন কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার ছেলের
সাথে যা করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের
মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


৫ অক্টোবর , শনিবার কুমিল্লা শহরের নিউমার্কেট, ঝাউতলাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা এ অভিযান পরিচালনা করে ।
বাজার তদারকির এ অভিযানে ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং অন্যদের সতর্ক করা হয়।
জনস্বার্থে
এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


comilla 24 tv নাম এবং লোগো ব্যবহার করে এই লিংক থেকে -https://www.facebook.com/groups/187949246516254/?ref=share&mibextid=KtfwRi ফেইক আইডি ফেসবুক গ্রুপ খুলে একটি চক্র রাষ্ট্রীয় বিরোধিতা সহ অসামাজিক ভিডিও পোস্ট দিচ্ছে যা আইনগত অপরাধ।
কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর টিভির নামে কপিরাইট ও লোগো ট্রেডমার্কস সনদ আছে।
আমাদের কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর টিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপ লিংক এখানে দিয়ে দেয়া হলো।
অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ -https://www.facebook.com/cumilla24?mibextid=ZbWKwL
অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ-https://www.facebook.com/groups/122431828435836/?ref=share&mibextid=NSMWBT
আমরা কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়ে কাজ করি এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করি। শুধু মুখে নয়, কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর হলো এক ঝাঁক তরুণ সাংবাদিক যাদের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু।
যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই। যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই! তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা, আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে জাতির পিতা যুগ-যুগান্তর বসবাস করেন। দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নক্ষত্র তৈরী করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ছোঁয়া।
কিন্তু দুঃখের বিষয় , এই দেশে ভালো কিছু করলেই ষড়যন্ত্র শুরু করে বিভিন্ন চক্র।
এই ভুয়া ফেসবুক গ্রুপ এর লিংক https://www.facebook.com/groups/187949246516254/?ref=share&mibextid=KtfwRi নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ বরাবর একটি অভিযোগ করা হয়েছে ।
বিষয়টি নিয়ে সম্মানিত কুমিল্লা পুলিশ সুপার মহোদয় এর নিকট সহযোগিতা চাচ্ছি। সাথে সাংবাদিক সহকর্মী বন্ধুদের নিকট এই লিংক এর তথ্য এবং রিপোর্ট দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ ।
নিবেদক-কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর টিভির পরিবার।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় অর্ধবার্ষিকী জুডিসিয়াল
কনফারেন্স ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে কুমিল্লা বিচার
বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত
হয়।
এতে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা
জজ (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (মতামত) উম্মে
কুলসুম।
উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে
বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ
আবদুল্লাহ আল মামুন, কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান, কুমিল্লা সিভিল
সার্জন ডা. নাছিমা আকতার, সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক ফাহমিদা মুস্তফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, GIZ এর
প্রতিনিধি মার্টিনা বারকার্ড। এছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনা করেন- সিনিয়র সহকারী জজ ধ্রুবজ্যোতি
পাল, কুমিল্লা (ভারপ্রাপ্ত) জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আরিফ, কুমিল্লা জেলা জিপি এডভোকেট
তপন বিহারী নাগ ও জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম এবং কুমিল্লা জেলা আইনজীবী
সমিতির সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, জেলা আইনজীবী
সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, কোর্ট মালখানা'র এসআই মোঃ
ফারুক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র
কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন ক্যাশিয়ার মোঃ আতাউল্লাহ এবং গীতা পাঠ করেন লাইব্রেরি সহকারী
যামিনী কুমার নাথ। এরআগে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচছা জানান সিনিয়র সহকারী জজ আয়েশা
বেগম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য
রাখেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান।
এছাড়াও আদালতের সাথে অন্যান্য
ডিপার্টমেন্ট এর সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দেওয়ানি মোকদ্দমা সংশ্লিষ্ট সমস্যা / সমাধান উপস্থাপনা
করেন কুমিল্লা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক তাওহীদা আক্তার ও ফৌজদারি মামলা
সংশ্লিষ্ট সমস্যা/সমাধান উপস্থাপনা করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাজহারুল হক।
অনুষ্ঠানে কনফারেন্স সম্পর্কিত
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সহকারী জজ মীর মাশহুর আহমেদ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা
করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইমাম হাসান ও সহকারী জজ তৌফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন


ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের
‘শ্লীলতাহানি’র ঘটনার আন্তঃজেলার তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার
সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত হওয়া তিনটি মোবাইল
ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মুহিত (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) এবং ঢাকার সাভার উপজেলার টানগেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান (২৮)।
এ বিষয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.
মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংএর মাধ্যমে তিনি জানান, এ ঘটনায় দায়িত্ব
অবহেলার কারণে মির্জাপুর থানার এএসআই আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বাসে ডাকাতির ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার ভোর রাতে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিক রোড রয়েলস্
পরিবহনের ঢাকা কোচটি (ময়মনসিংহ-ব-১১-০০৬১) ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে
রাজশাহীর নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় বাসটিতে ৩০ থেকে
৩৫ জন যাত্রী ছিল। পরে রাত ১২টার দিকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার সেখানে
থেকে আরও ১০ থেকে ১২জন যাত্রী নিয়ে বাসটি পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে। পরে
বাসটি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা বাইপাসে পৌঁছালে চা-বিরতির জন্য
থামে। সেখান ১০ থেকে ১৫ মিনিট চা বিরতির সময় চন্দ্রা বাইপাস থেকে আরও তিন থেকে চার
জন নতুন যাত্রী নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করে বাসটি। বাসটি ওইদিন রাত দেড়টার
দিকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন হাইটেক সিটি পার্ক সংলগ্ন খাড়াজোড়া
ফ্লাইওভার ব্রিজ অতিক্রম করার ৫ থেকে ৬ মিনিট পর হঠাৎ যাত্রীবেশে থাকা বাসে ৮ থেকে
৯ জন ডাকাত এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে যায় এবং ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার
ভয় দেখিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলে। এসময় তাদের মধ্যে তিনজন অজ্ঞাতনামা ডাকাত
গাড়িচালকের গলায় ধারালো চাকু ধরে টানা হেঁচড়া করে কিলঘুষি মেরে তাকে উঠিয়ে নিয়ে
পেছনে উল্টা করে রাখে। ডাকাতদের মধ্যে থেকে একজন চালকের আসনে বসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ
নেয় এবং বাসটি চালিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে রওনা হয়। পরে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপাড়া
সাকিনস্থ ফুটওভার ব্রিজের প্রায় ১০০ গজ পশ্চিম পার্শ্বে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের
ওপর পৌঁছালে ডাকাতদলের ৬ থেকে ৭ জন সদস্য গাড়িতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের ধারালো
চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এসময় যাত্রীদের বলে, ‘তোদের সঙ্গের টাকা
পয়সাসহ যার যা কিছু আছে সব দিয়ে দে’। এসময় যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন,
স্বর্ণালংকার ও রূপাসহ সব মালামাল ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদলের সদস্যরা মির্জাপুরের
নাটিয়াপাড়া নাছির গ্লাসের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা করে। তারা দুই
থেকে আড়াই ঘণ্টা গাজীপুরের কালিয়াকৈর, কোনাবাড়ীসহ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরায়
এবং এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
একপর্যায়ে দুই নারীর ‘শ্লীলতাহানি’ করা হয়।
এজহারে আরও বলা হয়েছে- সব যাত্রীদের টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুট
করে রাত ৪টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাড়ইপাড়া এলাকার নন্দন পার্কের
সামনে গাড়িটি টাঙ্গাইল অভিমুখে থামিয়ে চালককে ভয় দেখিয়ে বলে, ‘১০ কিলোমিটারের
মধ্যে গাড়িটি কোথাও থামালে তোকে জানে মেরে ফেলবো, আমরা তোদের গাড়ির পেছনে পেছনে
আছি’ এই বলে ডাকাতদলের সদস্যরা মালামাল ও টাকা পয়সাসহ গাড়ি থেকে নেমে চলে যায়।
পরে চালক গাড়ি নিয়ে চন্দ্রা মোড়ে গেলে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা জাতীয়
জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানালে কিছুক্ষণের মধ্যে টহল পুলিশ
সেখানে উপস্থিত হয়। তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ডাকাতির বিষয়ে বিস্তারিত জানালে
কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকার টহলরত পুলিশ মির্জাপুর থানায় যাওয়ার পরামর্শ
দিলে চালক গাড়ি নিয়ে মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। তখন কয়েকজন যাত্রী ও গাড়ির
সুপারভাইজার মির্জাপুর থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করলে
মামলা না নেওয়ায় তারা পুনরায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে নাটোর জেলার
বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে গেলে গাড়ি থেকে তিন থেকে চার যাত্রী নেমে স্থানীয় লোকজনের
সহায়তায় গাড়ির চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে সন্দেহে
গাড়িটি আটক করে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হওয়ার
১৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাতদলের তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার
করেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে হাজির করে
পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলায় মির্জাপুর থানার ডিউটি
অফিসার উপ পরিদর্শক (এএসআই) আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৩ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া গ্রামে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিদেশী পিস্তলসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে নাজমুল হাসান(২০) ও একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব হোসেন(২০)। ছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা।
চৌদ্দগ্রাম থানার কর্মরত এসআই(নিঃ)লিটন চাকমা ও এএসআই(নিঃ)মোঃ নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে (৬ই মার্চ) দুপুর ১২.১৫ মিনিটে উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া বাজারের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি কাগজের বক্সের ভেতর কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১ টি বিদেশী পিস্তল, ০২টি ম্যাগজিন, ২২ রাউন্ড গুলি সহ ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেব এর ছেলে মোঃ নাজমুল হাসান (২০)ও আব্দুল কালাম এর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন(২০)। পলাতক আসামি মোঃ রাহাত(২০) ০৮নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করে বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা তন্ময় বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


রবিবার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ।
এই বিশেষ অভিযানে ১জন আসামীকে গ্রেফতার করাসহ ৫০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫২গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয় ।
আজ সকাল আনুমানিক ৭টার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখা,কুমিল্লায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোঃ
আরেফুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা,
এএসআই মোঃ ইকবাল হোসেন ফোর্সসহ কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও
বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার পশ্চিম চান্দিশকড়া
সাকিনের মোঃ সোহাগ (৩৪) কে তার নিজ বাড়ি থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও সাদা রঙের আইসসহ গ্রেফতার করে ।
আসামীর নিজ বসত ঘরে ২টি সাদা এয়ার টাইট পলিপ্যাক পাওয়া যায় যার ১টি পলিপ্যাক
এর ভেতর রাখা প্রতি প্যাকেটে ২৬(ছাব্বিশ) গ্রাম করে মোট ৫২(বায়ান্ন) গ্রাম সাদা রংয়ের
মাদকদ্রব্য আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এবং স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২৫(পঁচিশ)টি কালো রংয়ের
এয়ার টাইট পলিপ্যাকেট এর প্রতিটি পেকেটের ভেতরে লুকানো ২০০(দুইশত) পিস করে ৫০০০ (পাঁচ
হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় ।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং- তারিখ- ২৮/০৪/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা- ২০১৮ সালের
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১০(ক)/১০(গ) রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন


ইন্টারপোলের ৯৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে মরক্কো গেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) তিনি মরক্কোর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।
আগামি সোমবার (২৪ নভেম্বর) থেকে ইন্টারপোলের সদস্যভুক্ত বিশ্বের ১৯৬ দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মরক্কোর মারাকেশে ৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সম্মেলন শেষ হবে। আইজিপি সম্মেলন শেষে আগামী ৩০ নভেম্বর দেশে ফিরবেন।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সম্মেলনে ৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম। তিনি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এসব অনুষ্ঠানে ইনফরমেশন শেয়ারিং (তথ্য আদান-প্রদান), যৌথ কার্যক্রম, সক্ষমতা উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করবেন। ইন্টারপোলের সাধারণ অধিবেশন বৈশ্বিক পরিসরে পুলিশি সহযোগিতার সর্ববৃহত আয়োজন। সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, সাইবার অপরাধ দমন, মানবপাচার, অর্গানাইজড ক্রাইম (সংঘবদ্ধ অপরাধ), ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সীমান্তপারের অপরাধ), পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়সহ গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্টারপোলের বার্ষিক সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে সংস্থাটির নীতি, কার্যপদ্ধতি, বাজেট এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ইন্টারপোলের এবারের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক অংশীদারত্ব আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন