ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ফসলি জমি ও সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ মাটি চোর চক্র।
এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক ও ডাম্পারের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট।
এ মাটি চুরির হিড়িক চলছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলির চক মৌজায়। এতে করে বিনিস্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি নস্ট হচ্ছে পরিবেশ।
প্রতিদিন মাটি চোর চক্রের সদস্যরা প্রায় অর্ধাশতাধিক সন্ত্রাসী পাহারায় একদল শ্রমীক দিয়ে ভেকরু সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যায়। এই ট্রাকের মাটি যাচ্ছে আশপাশের যত ইট ভাটায়। প্রতি ট্রাকের মাটি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন মাটি চোরেরা কমপক্ষে তিন শতাধিক মাহেন্দ্রা ট্রাক দিয়ে মাটি চুরি করে বিক্রি করে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় এ মাটি কাটার লুট পাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চলে নির্যাতন, হতে হয় বাড়িঘর ছাড়া। আর এসব মাটি চোর চক্রকে সাহায্য করেন স্থানীয় দলীয় নেতারা।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসক নির্দেশে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানে কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি মাহেন্দ্রা ট্রাক ও একটি সেলো মেশিন জব্দ করেন।
এ সময় ভ্রম্যমাণ আদালত মাটি চুরি করার সহযোগিতা করার কারনে মোঃ মোতাহার (৫৫) ,মোঃ শামীম (১৯) ও আতিক (২৭) নামের তিনজনকে হাতেনাথে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ০৪ ধারা অপরাধ লঙ্গন করায় প্রত্যেককে ১৫ ধারায় ৩০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিজা খাতুন, উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শেরিফ হোসেন খান, মোঃ খোরশেদ আলম ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ভ্রম্যমান আদালত শেষে পুলিশের সহযোগিতায় জব্দ করা মাহেন্দ্রা ট্রাক ও সেলো মেশিন থানা হেফাজতে নিয়েছেন এবং সাজা প্রাপ্ত তিনজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তর করেছেন।
ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজায় একদল মাটি চোর চক্র দিনে ও রাতে মাটি চুরি করে বিক্রি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমি ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ করে আজ সকালে উক্ত কুমলিরচক মৌজায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় মাটি চুরি করে কাটার সহযোগিতা করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ নানা প্রজাতির মাছ ধরার দায়ে অর্ধশত জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আটকদের মধ্যে ৩১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাকীদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট শওকত জামিল চৌধুরী ।
বুধবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ৪৮ ঘন্টার অভিযানে জেলেদের সাথে থাকা ৩ টি বেহুন্দিজাল, ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৭টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ও ১০ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মাদক প্রতিরোধে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা খুব সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে ।
তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি বিশেষ অভিযানে ২৪ কেজি গাঁজা এবং একটি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করেছে। এই অভিযানে দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোর ৩:১০ মিনিটে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর বিশ্বরোড সংলগ্ন ঢাকা মুখী পাকা সড়কের উপর চেকপোস্টে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি পিকআপ গাড়ি তল্লাশি করে মাদকদ্রব্য এবং আসামীদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন - মোঃ নাজমুল (২৭), বর্তমান ঠিকানা- নরসিংহপুর, আশুলিয়া, ঢাকা এবং মোঃ হাসেম (৪০), বর্তমান ঠিকানা- জামগড়া, আশুলিয়া, ঢাকা।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং- ৪৫ ,ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১৯(গ) তে মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বৃহৎ পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে।
এই অভিযানে চার জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৩.২৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত এসআই মোঃ শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকায় রাত্রীকালীন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ০৪নং শশীদল ইউনিয়নের বাল্লক রামচন্দ্রপুর সাকিনে ভারত সীমান্ত হতে রামচন্দ্রপুরগামী রাস্তায় চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে একটি মাইক্রোবাস থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এই সময় মাইক্রোবাসে যাত্রা করছিলেন চার জন মাদক ব্যবসায়ী, যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৪), মোঃ আলমগীর হোসেন (২৮), মোঃ জুয়েল মিয়া (২৯) ও মোঃ শাহপরান (২০)। তারা সবাই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে, তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
এ সম্পর্কে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতিক উল্লা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিদেশগামী এক ব্যক্তির টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন-মো. রাজু (৫২) ও মো. নাজমুল (৫০)। গ্রেফতার দুইজন পুলিশ পরিচয়ে বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই করেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কলমিলতা মার্কেটের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
দুপুরে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতার দুজনই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। তারা মূলত নিম্নবিত্ত বিদেশগামী যাত্রীদের টার্গেট করেন। যারা শ্রমিক হিসেবে কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যান তারাই এদের মূল টার্গেট। এসব মানুষ সাধারণত সহজ-সরল। তাই এসব মানুষ আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথমে তাদের পুলিশ পরিচয়ে ধরেন তারা।
এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেন। সাধারণত তারা অল্প টাকা যেমন ৫০০, ১০০০ টাকা ছিনতাই করেন। কারণ অল্প টাকা ছিনতাই করলে ভুক্তভোগী আর অভিযোগ করেন না।
ওসি মহসীন আরো বলেন, বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে আল আমিন নামের একজন সৌদি আরবগামী ব্যক্তি মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন। এসময় পুলিশ পরিচয়ে তাকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তোলেন রাজু ও নাজমুল। পরে তার কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এসময় আল আমিন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাদের আটক করে।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
মন্তব্য করুন
পাবনা আমিনপুরে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।ধর্ষণের এ জঘন্য এঘটনাটি ঘটেছে আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের ঢালারচর গ্রামে।ঘটনার ১২ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পুর্বেই ধর্ষক কে গ্রেফতার করেছে আমিনপুর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সুত্রে জানা যায়, ২২শে মার্চ শুক্রবার বিকাল ৩ টায় শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বাচ্চু সরদার। এসময় শিশুর চিৎকারে পরিবারের সদস্য গণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করলেও কৌশলে পালিয়ে যায় ধর্ষক। মুমূর্ষু অবস্থায় ভুক্তভোগী শিশুকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনায় শিশুটির ছোট চাচা বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের কিছু সময়ের মধ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে আমিনপুর থানা পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত নুরুজ্জামান।
মন্তব্য করুন
comilla 24 tv নাম এবং লোগো ব্যবহার করে এই লিংক থেকে -https://www.facebook.com/groups/187949246516254/?ref=share&mibextid=KtfwRi ফেইক আইডি ফেসবুক গ্রুপ খুলে একটি চক্র রাষ্ট্রীয় বিরোধিতা সহ অসামাজিক ভিডিও পোস্ট দিচ্ছে যা আইনগত অপরাধ।
কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর টিভির নামে কপিরাইট ও লোগো ট্রেডমার্কস সনদ আছে।
আমাদের কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর টিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপ লিংক এখানে দিয়ে দেয়া হলো।
অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ -https://www.facebook.com/cumilla24?mibextid=ZbWKwL
অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ-https://www.facebook.com/groups/122431828435836/?ref=share&mibextid=NSMWBT
আমরা কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়ে কাজ করি এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করি। শুধু মুখে নয়, কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর হলো এক ঝাঁক তরুণ সাংবাদিক যাদের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু।
যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই। যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই! তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা, আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে জাতির পিতা যুগ-যুগান্তর বসবাস করেন। দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নক্ষত্র তৈরী করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ছোঁয়া।
কিন্তু দুঃখের বিষয় , এই দেশে ভালো কিছু করলেই ষড়যন্ত্র শুরু করে বিভিন্ন চক্র।
এই ভুয়া ফেসবুক গ্রুপ এর লিংক https://www.facebook.com/groups/187949246516254/?ref=share&mibextid=KtfwRi নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ বরাবর একটি অভিযোগ করা হয়েছে ।
বিষয়টি নিয়ে সম্মানিত কুমিল্লা পুলিশ সুপার মহোদয় এর নিকট সহযোগিতা চাচ্ছি। সাথে সাংবাদিক সহকর্মী বন্ধুদের নিকট এই লিংক এর তথ্য এবং রিপোর্ট দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ ।
নিবেদক-কুমিল্লা টুয়েন্টিফোর টিভির পরিবার।
মন্তব্য করুন
ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন সিটি হাউজিং এলাকা থেকে ৯৫৮ বোতল ফেনিসিডিলসহ মাদক সম্রাট মো. সজীব ওরফে ফেন্সি সজীবকে (৩০) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানিয়েছেন, জব্দ করা ৯৫৮ বোতল ফেনসিডিলের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আটক সজীব আন্তঃজেলা মাদক কারবারি এবং মাদকের ডিলার। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লায় হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে তিনি স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে এনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলেন।
সজীব মোহাম্মদপুর সিটি হাউসিং এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এসব মাদক মজুদ করতেন। তার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে। সজিবের বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ফসলি জমি ও সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ মাটি চোর চক্র।
এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক ও ডাম্পারের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট।
এ মাটি চুরির হিড়িক চলছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলির চক মৌজায়। এতে করে বিনিস্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি নস্ট হচ্ছে পরিবেশ।
প্রতিদিন মাটি চোর চক্রের সদস্যরা প্রায় অর্ধাশতাধিক সন্ত্রাসী পাহারায় একদল শ্রমীক দিয়ে ভেকরু সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যায়। এই ট্রাকের মাটি যাচ্ছে আশপাশের যত ইট ভাটায়। প্রতি ট্রাকের মাটি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন মাটি চোরেরা কমপক্ষে তিন শতাধিক মাহেন্দ্রা ট্রাক দিয়ে মাটি চুরি করে বিক্রি করে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় এ মাটি কাটার লুট পাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চলে নির্যাতন, হতে হয় বাড়িঘর ছাড়া। আর এসব মাটি চোর চক্রকে সাহায্য করেন স্থানীয় দলীয় নেতারা।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসক নির্দেশে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানে কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি মাহেন্দ্রা ট্রাক ও একটি সেলো মেশিন জব্দ করেন।
এ সময় ভ্রম্যমাণ আদালত মাটি চুরি করার সহযোগিতা করার কারনে মোঃ মোতাহার (৫৫) ,মোঃ শামীম (১৯) ও আতিক (২৭) নামের তিনজনকে হাতেনাথে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ০৪ ধারা অপরাধ লঙ্গন করায় প্রত্যেককে ১৫ ধারায় ৩০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিজা খাতুন, উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শেরিফ হোসেন খান, মোঃ খোরশেদ আলম ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ভ্রম্যমান আদালত শেষে পুলিশের সহযোগিতায় জব্দ করা মাহেন্দ্রা ট্রাক ও সেলো মেশিন থানা হেফাজতে নিয়েছেন এবং সাজা প্রাপ্ত তিনজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তর করেছেন।
ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজায় একদল মাটি চোর চক্র দিনে ও রাতে মাটি চুরি করে বিক্রি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমি ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ করে আজ সকালে উক্ত কুমলিরচক মৌজায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় মাটি চুরি করে কাটার সহযোগিতা করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ
হাসান সিজেএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, কুমিল্লা
(ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান।
উক্ত কনফারেন্সে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সার্বিক
কার্যক্রম সন্তোষজনক মর্মে অভিনন্দন জানানো হয় ।
সন্তোষজনক এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান
(সিজেএ), কুমিল্লা মহোদয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন
জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত
ডিআইজি মো: খাইরুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম বার, পিবিআই কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কুমিল্লা ইউনিটের পুলিশ
সুপার, একেএম জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামছুল তাবরীজ, সিভিল সার্জন
ডাঃ নাছিমা আকতার, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম ভূঁইয়া এবং কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ জসিম উদ্দিন আবাদ।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ সিজিএম পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়
বিচার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
মন্তব্য করুন
পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন