বিয়ে বাড়িতে হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার কনের বাবা-মা

বিয়ে বাড়িতে হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার কনের বাবা-মা
সংগৃহীত

জেলার মোল্লাহাটে বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহতের ঘটনায় কনের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামে কনে পক্ষের হামলায় বরের দুলাভাই নিহত হন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আংড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামের শাহদাত মুন্সি ও তার স্ত্রী পপি বেগম। নিহত আজিজুল হক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে এবং বরের ভগ্নীপতি।

পুলিশ জানায়, মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মোহাম্মাদ আলী গাজীর ছেলের সঙ্গে আংড়া এলাকার শাহাদাত মুন্সির মেয়ের বিয়ের কথা হয়েছিল। বরের পছন্দ হলে বিয়ে হবে এই শর্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে যায় বর পক্ষ। দাতে সমস্যা থাকায় মেয়ে পছন্দ হয়নি বলে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বর হাফিজুর রহমান গাজীসহ অন্যরা চলে আসার চেষ্টা করে। এ সময় কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহত হন। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শীলা বেগম বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বরের বাবা মোহাম্মাদ আলী গাজী বলেন, মেয়ে পক্ষের সঙ্গে কথা ছিল ছেলের যদি মেয়ে পছন্দ হয় তাহলে বিয়ে করবে। ছেলের যখন মেয়ে পছন্দ হয়নি, তখন চলে আসছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষ আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমার বড় জামাতা নিহত হয়েছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল
সংগৃহীত

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে সুশাসন ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক।

আজ শনিবার যশোর পিটিআই মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি  বলেন, পুলিশকে তদন্তের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি শাস্তি না পায়।

বিচারকদের উদ্দেশে এ সময় তিনি বলেন, জামিন দেওয়ার একচ্ছত্র অধিকার আপনাদের নেই। নতুন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, এ রাষ্ট্র ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির কাছে নয়, আপনারা আইন ও সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাদের পক্ষে দাঁড়াবেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সিআইডির অতিরিক্ত আইজি মতিউর রহমান শেখ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ১৬ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাবলিক প্রসিকিউটর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩২০ কর্মকর্তা অংশ নেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সংগৃহীত

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।


বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।


উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।


বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। 


প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়। 


দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। 


এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান। 


আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন। 


সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।


আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।


ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

‘৪০০ কোটি টাকার’ পিয়নের ব্যাংক হিসাব জব্দ

‘৪০০ কোটি টাকার’ পিয়নের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসার সাবেক পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব ব্যাংকগুলোয় পাঠানো নির্দেশনায় তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য পাঁচ দিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠায়।

বিএফআইইউ-এর নির্দেশনায় জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য পাঁচদিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে টানা দুই মেয়াদের পাশাপাশি গত মেয়াদেও কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীকালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তারপরও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করেছেন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীরের বিষয়ে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্পর্ক নেই।

সাম্প্রতিক হওয়া চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাসায় কাজ করেছে, পিয়ন ছিল সে, এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। বাস্তব কথা। কী করে বানাল এত টাকা? জানতে পেরেছি, পরেই ব্যবস্থা নিয়েছি। ’

প্রধানমন্ত্রীর বাসার সাবেক পিয়ন ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়ায়। এলাকায় তিনি ‘পানি জাহাঙ্গীর’ নামে পরিচিত। তিনি এর আগে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।

গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে না দাঁড়িয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। নির্বাচনী হলফনামায় তার মালিকানাধীন ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও নোয়াখালী নিজ এলাকায় বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল সম্পদের তথ্য উঠে আসে।

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জাহাঙ্গীর আলম থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিতা: মৃত রহমত উল্যাহ, রহমত উল্যাহ কেরানীর বাড়ি, গ্রাম: নাহারখিল, ইউনিয়ন: খিলপাড়া, উপজেলা: চাটখিল, জেলা: নোয়াখালী- নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে বেড়াচ্ছেন। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিন।


ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ, একদিন পর গ্রেফতার

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ, একদিন পর গ্রেফতার
সংগৃহীত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অপহরণের একদিন পর এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সদস্যদের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। 


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক বাবুল হোসেন। 


মামলা সূত্রে জানা যায়, কলেজে আসা যাওয়ার পথে বাইখির-বনচাকী গ্রামের দিবস সরকার (২২) প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ওই ছাত্রী কলেজে অটোযোগে যাওয়ার পথে সকাল ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে থেকে দিবস তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ওই ছাত্রীর মুখে গামছা বেধে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে চতুল ইউনিয়নের বনচাকী বাইখির গ্রামের দিবস সরকার (২২), পিজুস বিশ্বাস (২০), অসিম বিশ্বাস (৪৫) ও গুনবহা গ্রামের রমেশ পালকে (২৭) আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা নম্বর ৩৪। 


মামলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 


এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অপহরণ হওয়া ওই কলেজ ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। 

এ সময় মামলার ১ নম্বর আসামি দিবস সরকারকে আটক করা হয়েছে।


 বৃহস্পতিবার ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর
সংগৃহীত

সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতায় ঢাকাসহ সারাদেশে মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি ও হত্যার ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, অপরাধের হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। হটস্পটগুলো সার্বক্ষণিক ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

সারাদেশে মব জাস্টিসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু মব জাস্টিস নয়, চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি ও হত্যা আগের চাইতে কমেছে। গত দুই মাস আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল ২৫০টি, কিন্তু বর্তমানে কমে ১২০টিতে নেমেছে। চুরি ৮৫০টির মতো হতো, বর্তমানে ৬০০টির নিচে নেমে এসেছে। হত্যা সাড়ে তিনশো ছিল, বর্তমানে ১২০-তে নেমেছে। সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনানীতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। আর যারা অবসরপ্রাপ্ত সদস্য তাদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে। কোনো অন্যায়কে সেনাবাহিনী কখনো প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী সবসময় সততার সঙ্গে আছে এবং থাকবে। জনগণের আস্থার জায়গায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাশে পাবেন।

সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করতে গিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কোনো চ্যালেঞ্জ ফেস করছে না। তবে আমরা দীর্ঘ ছয় মাস বাইরে নিয়োজিত রয়েছি। অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।

তিনি বলেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।

এই সময়কালে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে (মূলত গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায়) ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত ৩০বার মূল সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশের ২ হাজার ৯৭টি পোশাক কারখানার মধ্যে গুটিকয়েক (বেক্সিমকো গ্রুপ, সাউদার্ন ডিজাইনার'স লিমিটেড, স্বাধীন গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং সেলফ ইননোভেটিভ ফ্যাশন লিমিটেড) ছাড়া সকল কারখানাই চালু রয়েছে।

শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গত এক মাসে ৪২টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪টি, সরকারি সংস্থা/অফিস সংক্রান্ত তিনটি, রাজনৈতিক কোন্দল ৯টি এবং অন্যান্য ঘটনা ছিল ১৬টি।

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইজতেমা ময়দানে তুরাগ নদীর ওপর ৫টি ব্রিজ স্থাপন, বোম ডিসপোজাল দলসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল মোতায়েন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনাসদস্য যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর সংস্কার কর্মকাণ্ড যেমন- অ্যান্টি পলিঘিনি অপারেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পরিচালিত খাল পুনরুদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে।

সেনাসদরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময় যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী আজ পর্যন্ত তিন হাজার ৮৫৯ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৪১ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে এ সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।

 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

মাছ ধরার জালে ভাই-বোনের লাশ

মাছ ধরার জালে ভাই-বোনের লাশ
সংগৃহীত

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার রাজারকূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারকূল মৌলভী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

দুই শিশুর ব্যাপারে জানা যায় তারা খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল ।

মৃত মো. রিহাব (৭) ও মারিয়া (৫) পশ্চিম রাজারকূল মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সন্তান।

স্থানীয়দের বরাতে ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর বলেন, “সন্ধ্যার ঠিক আগে বাড়ির আশেপাশে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল রিহাব ও মারিয়া। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের রেললাইনের সেতুর দিকে চলে যায়। সন্ধ্যার পরেও দুই ভাই-বোন বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পাচ্ছিল না। পরে হাসমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে রেললাইন সংলগ্ন একটি সেতুর মুখে পানিতে ভরে থাকা গর্তে জাল ফেলেন। এ সময় দুই ভাই-বোনের মৃতদেহ জালে উঠে আসে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, রেললাইন ও সেতু নির্মাণের সময় বেশ কয়েকটি গর্ত তৈরি হয়। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের সময় ওই গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। আর ওই পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, গর্ত বা কূপের পানিতে পড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের লাশ স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে ।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

মাছচাষি হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

মাছচাষি হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
সংগৃহীত

ঝিনাইদহ সদরে মাছচাষি শরিফুল ইসলাম টুলু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।


(৩ মার্চ)রোববার  দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।  


মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের একটি পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম টুলু। সে সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, জসিম, খোকনসহ আরও কয়েকজন তাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।


পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই সরফুদ্দিন বাদী হয়ে নয়জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষী প্রমাণ হওয়ায় জাহিদুল ইসলাম, খোকন হোসেন, ইলিয়াস আলী, জসিম উদ্দিন ও সেলিম হোসেনকে এ সাজা দেন বিচারক।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় অর্ধশত জেলে আটক, ৩১ জেলের কারাদণ্ড

চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় অর্ধশত জেলে আটক, ৩১ জেলের কারাদণ্ড
সংগৃহীত

চাঁদপুর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ নানা প্রজাতির মাছ ধরার দায়ে অর্ধশত জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আটকদের মধ্যে ৩১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাকীদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।


 ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট শওকত জামিল চৌধুরী ।


বুধবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।


ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ৪৮ ঘন্টার অভিযানে জেলেদের সাথে থাকা ৩ টি বেহুন্দিজাল, ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৭টি  ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ও  ১০ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।


জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ
সংগৃহীত

অপহরণের জগতে এ যেন এক নতুন মোড়।


রাজধানীর হাজারীবাগের নিউ মডেল টাউন এলাকায় থাকেন নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশাচালক। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ছয় বছর বয়সী মেয়ে তাবাসসুম ও আড়াই বছর বয়সী ছেলে তাওসীন খেলতে যায়।এসময় শিশুদের সঙ্গে যায় তাদের নানী। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পরা নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।এর কিছু সময় পর বাচ্চাদের রেখে বাসার ভেতরে যান নানী। এই সুযোগে বোরকা পরা ওই নারী শিশুদের ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেন। চিপস নিয়ে তাবাসসুম বাসায় ফিরে গেলেও তাওসীনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যান তিনি। এভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশু তাওসীন।


বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে শিশু অপহরণ চক্রের বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর এই চক্রটি নিঃসন্তান কোনো দম্পতির কাছে বাচ্চার অর্ডার পেয়ে শিশু অপহরণ করতো। এরপর শিশুটিকে বিক্রি করে দিতো তারা। তারা হলেন অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২) ও তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) এবং ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)। বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লার লালমাই ও বরুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।



তাওসীন অপহরণের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে শাহজাহানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। শাহজাহান ৫০ হাজার টাকায় সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে ওই শিশুকে কিনে নিয়েছিলেন।


ডিবি জানায়, চক্রটি নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণের জন্য মাঠে নামতো। পরে চাহিদামতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে শিশু চুরি করে বিক্রি করতো। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোরকা পরে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে তাদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। 


ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন।


ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০

আইনজীবীদের ভালোবাসায় ফুলে ফুলে সিক্ত হলেন বিদায়ী জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন

আইনজীবীদের ভালোবাসায় ফুলে ফুলে সিক্ত হলেন বিদায়ী জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন
সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরবেলায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৭নং হল রুমে জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ঢাকা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলী জনিত কারণে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে যোগদান করেন।

বিদায়বেলা সংবর্ধিত অতিথি কুমিল্লার আইনজীবীদের ভালোবাসায় ফুলে ফুলে সিক্ত হন।

ওই অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের এর সঞ্চালনায় বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথি কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিনের স্মৃতিচারণ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০৩ এর বিচারক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট সাউদ হাসান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আব্দুল্লাহ পিন্টু, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কুমিল্লা ইউনিট এর আহবায়ক লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ ইউনুছ ভূঞা, জেলা জিপি এডভোকেট তপন বিহারী নাগ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক দুই বারের সদস্য এবং রুলস্ এন্ড পাবলিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ কাইমুল হক রিংকু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ আ. হ. ম তাইফুর আলম, সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবদুল মমিন ফেরদৌস ও সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ শরীফুল ইসলাম, আসন্ন জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট মোঃ কামরুল হায়াত খান প্রমুখ। 


এতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ এয়াকুব আলী চৌধুরী এবং পবিত্র গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করেন এপিপি এডভোকেট জয়দেব চন্দ্র সাহা।


সবশেষে বিদায়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা শেষে তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক ও কুমিল্লার প্রসিদ্ধ খদ্দের পাঞ্জাবি তুলে দেন জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। 

উপস্থিত সকলেই বিদায়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে তিনি যেন আগামীতে বিচার বিভাগে বিচারক পদে নিযুক্ত হন সেই প্রত্যাশা করেন। 


সংবর্ধিত অতিথি মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন- ভবিষ্যতেও বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। বিচারপ্রার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যেমন বিচারকগণের, তেমনি আইনজীবীসহ এই পেশা সংশ্লিষ্ট সকলের। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার বিকল্প নেই।


জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ আইনজীবীরা বলেন সংবর্ধিত অতিথি অত্যন্ত সৎ ও দক্ষ এবং ন্যায় বিচারক ছিলেন। আমরা আশাবাদী স্যার মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট বিভাগের হাইকোর্ট এর বিচারপতি হবেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

কুমিল্লায় ৫১কেজি গাঁজা ও ১৮০বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

এনআইডি জালিয়াতি: বরখাস্ত ছয় কর্মচারী

বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

বাসে ডাকাতি, শ্লী-ল-তা-হা-নি : গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত, এএসআই বরখাস্ত

১১

একুশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক : প্রধান বিচারপতি

১২

উত্তরায় হামলার শিকার সেই যুগল স্বামী-স্ত্রী নন, যা জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

১৩

সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে : সেনাসদর

১৪

যৌথ বাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসী আটকসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

১৫

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

১৬

কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

১৮

ডিএনসি কুমিল্লার অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

১৯

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

২০