

মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার এবং মালয়েশিয়ায় পেশাজীবী ও কর্মী বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সফর নিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে তার ‘মহান বন্ধু’হিসেবে উল্লেখ করে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
ঢাকায় এলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনারসহ লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
দুই নেতার মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক ও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সফরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বৈঠকের সময় দুই নেতা দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ডেটা সায়েন্স, সেমি-কন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অর্থ, স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও হালাল অর্থনীতিসহ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় নেতা শিগগিরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে পরবর্তী দফা আলোচনা করতে সম্মত হন।
আগামী বছরের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ কমিশনের বৈঠকে বসতেও সম্মত হন তারা।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যত্র ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশাল অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে সফররত প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
‘আমরা একটি নতুন বাংলাদেশে যাচ্ছি, যা আমাদের গর্বিত করবে’- বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিপথকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ।
এসময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের উপর জোর তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম যুগোপযোগী করার উপর তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। এসময় তিনি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা নিয়েও তাঁর আশাবাদ পোষণ করেন ।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। আজকের এই বৈঠক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ এর সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


মাইলস্টোন
স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে
হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
এরা আমাদের সবারই সন্তান। হঠাৎ করে চিরদিনের জন্য চলে গেল। আমরা অবশ্যই এই ঘটনার তদন্ত
করব। আর যারা আহত- আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। সবাই তাদের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
আজ
সোমবার (২১ জুলাই) দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা
বলেন।
হাসপাতালে
ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন,
হাসপাতালে সকলে ছুটে আসছে। আমরা সবার কাছে অনুরোধ করছি হাসপাতালে ভিড় করবেন না। কারণ
যারা আহত তাদের জন্য এটা ভালো না। তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের শক্তি নেই। আমরা ভিড়
করলে, আমাদের শরীর থেকে কি রোগ তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে এটা বলা মুশকিল। কাজেই দূরে
থেকে দোয়া করেন সবাই।
বিমান
বিধ্বস্তের এই ঘটনাকে ‘অবিশ্বাস্য’
আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, আমার বলার কোনো ভাষা নেই। কিভাবে শুরু করব?
সেটাও বুঝতে পারছি না। আমার মতো সারাদেশের লোক আজকে হতবাক। এ রকম একটা কান্ড ঘটতে পারে।
আমরা কেউ কল্পনা করিনি। কারো ধারণার মধ্যে ছিল না। কিন্তু এই অবিশ্বাস্য ঘটনা আমাদেরকে
হঠাৎ করে গ্রহণ করতে হয়েছে।
বহু
শিশুর মৃত্যুতে সারা জাতি বাকরুদ্ধ মন্তব্য করে আবেগঘন ওই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন
স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে কচি শিশুদের উপরে পড়ল। আগুনে পুড়ে শিশুরা মারা গেল। মা-বাপদের
আমরা কি জবাব দেব? কি বলবো তাদেরকে? আমরা নিজেদেরকে তো জবাব দিতে পারছি না। অজানা শিশুদের
মুখ বারবার চোখে ভেসে উঠছে। সারা জাতি বাকরুদ্ধ ও শোকাহত বললে খুব কম বলা হবে। এই দুর্ঘটনার
রেশ এখনো কাটেনি। এখনো লাশ আসছে হাসপাতালে। এখনো হাসপাতালে মারা যাচ্ছে। মা-বাপ এখনো
খোঁজ নিচ্ছে আমার সন্তান কোথায়? তাকে আর কোনদিন চেনা যাবে কিনা? যাদের লাশ দেখছি তার
মধ্যে আমার সন্তান আছে কিনা। পৃথক করার তো কোন উপায় নেই।
শিশুদেরকে
স্মরণ করে অধ্যাপক ড. ইউনূস আরও বলেন,আমরা অবশ্যই এই ঘটনার তদন্ত করব। তদন্ত হবে, কিন্তু
এই নিস্পাপ শিশুগুলো আর ফিরে আসবে না।
প্রধান
উপদেষ্টা আরও বলেন, শিশুদের বাবা মা আত্মীয়স্বজন সবার কাছে আমাদের সহানুভূতি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের যত সন্তান আছে সবাই আপনাদের সন্তান। আপনারা নিজেদের মনকে সান্ত্বনা দেয়ার
চেষ্টা করুন। আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। জাতির সমস্ত লোক আপনাদের সঙ্গে আছে।
অধ্যাপক
ইউনূস বলেন, ‘আমরা নিহত শিশুদের জন্য শোক দিবস
ঘোষণা করেছি। আগামীকাল শোক দিবসে আমরা সবাই মিলে তাদের কথা স্মরণ করব। তাদের আত্মার
শান্তি কামনা করব। আজ থেকে সবাই তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করব। আল্লাহ আপনাদেরকে
শান্তি দিন। নিহত শিশুদের জন্য দেশবাসী আমরা
সবাই দোয়া করছি। আল্লাহ এই শিশুদেরকে জান্নাতবাসী করুক।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৪ নভেম্বর) বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের তৈরি
খাতে আরও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার প্রয়াসে শ্রম খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করবে।
এখানে
প্রাপ্ত এক খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের
ফাঁকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র
সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের
সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার সময় অধ্যাপক ইউনূস তাকে বলেন, ‘শ্রম ইস্যুটি আমাদের
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অন্যতম এবং আমরা সকল শ্রম সমস্যার সমাধান করতে চাই।’
থেরেসা
মে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রম ইস্যুতে কাজ করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে মানব পাচার ও অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক
ইউনূস আইনি মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি
ঝুঁকি ও অনিয়মিত অভিবাসন কমিয়ে দেবে এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ
করবে।
অধ্যাপক
ইউনূস থেরেসা মেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় বাংলাদেশী তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল
বিষয়ক বই আর্ট অফ ট্রায়াম্ফের একটি অনুলিপি উপহার দেন।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য
সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, তুরস্ক এবং আজারবাইজানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আনামুল
হক উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন-আয়নাঘর, শাপলা ম্যাসাকার এবং ভোট ডাকাতিসহ শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দুঃশাসনের সব গল্প ঐতিহাসিক তথ্য আকারে উপস্থাপন করা হবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে।
আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে জাদুঘর নির্মাণ কর্তৃপক্ষ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানান।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ এর মধ্যে এ জাদুঘরের নির্মাণকাজ শেষ হবে এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধন সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছেন।
তিনি বলেন, আমরা হাসিনার দুঃশাসনের চিত্রগুলো এই জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য কিউরেট করছি যাতে ১৬ বছরের ফ্যাসিজমের ইতিহাস জীবন্ত থাকে। জীবন্ত থাকে সরাসরি গণভবন থেকে আসা নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত সব অত্যাচারের এবং নৃশংসতার ইতিহাস।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জাদুঘর নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন এ জাদুঘরে যারা আসবেন তারা ৫ আগস্ট গণভবনে জনতার ঢলকে অনুভব করবেন।
‘মানুষের মধ্যে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার এই অনুভব নিয়ে আসাটাই এই জাদুঘরের একটা বড় কাজ,’ বলেন তিনি।
জাদুঘর নির্মাণে আইসিটি প্রসিকিউশন টিম ও গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে বলে জানান জাদুঘরের চিফ কিউরেটর তানজীম ওয়াহাব।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করছি এটি একটি ইউনিক জাদুঘর হবে। ১৬ বছরের দুঃশাসনের গল্পগুলো এই জাদুঘরে সিকোয়েন্স আকারে থাকবে। দর্শনার্থীরা জানতে পারবেন শেখ হাসিনা কীভাবে দেশ চালাতেন। ’
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘গুম-খুনের নির্দেশ দেওয়া অনেক অডিও ইতোমধ্যেই জাদুঘর কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে। এই অডিওগুলো জাদুঘরে রাখা হচ্ছে। শেখ হাসিনা কীভাবে গুমের শিকার পরিবারগুলোকে ডেকে এনে মিথ্যা সান্ত্বনা দিতো সে চিত্রও উঠে আসবে। ’
এ ছাড়াও জাদুঘরে একটা স্ক্রিনিং সেন্টার থাকবে যেখানে জুলাই ও ১৬ বছরের দুঃশাসন নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন মেরিনা তাবাসসুম। জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের গবেষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড্যানিয়েল আফজালুর রহমান, কবি হাসান রোবায়েত, মালিহা নামলাহা, জাদুঘরের শিল্পী তেজশ হালদার জশ, মোসফিকুর রহমান জোহান, জাদুঘরের স্থপতি সালাউদ্দিন আহমেদ এবং সমন্বয়কারী হাসান এনাম।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎকালে, সেনাপ্রধান
দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান
উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। পাশাপাশি, দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য সেনাবাহিনী গৃহীত
বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেন।
আলোচনাকালে, সেনাপ্রধান তাঁর সাম্প্রতিক
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এই সফরটি দুই
দেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়ন ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে সেনাপ্রধান
আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, সদ্য সমাপ্ত বিবিধ বঞ্চিত সেনা
কর্মকর্তাদের সুবিচার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ পর্ষদের মূল্যায়ন ও সুপারিশ এবং
বিবিধ কারণে চাকরিচ্যুত জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনা সদস্যদের চলমান উচ্চপদস্থ পর্ষদ-এর
অগ্রগতির বিষয়ে সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত
ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও তাঁকে অবহিত
করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর ভূমিকা
ও অবদানের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা
প্রদান করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সচিবরা।
আজ (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন সরকারপ্রধান।
জানা গেছে, সাধারণত সচিব সভায় কয়েকটি নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডার বাইরেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবার এ বৈঠকের জন্য বিস্তারিত এজেন্ডা থাকছে না। এছাড়া সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সারা দেশে প্রশাসনিক কাজগুলো কীভাবে দ্রুত স্বাভাবিক ধারায় আনা যায়, এ-সংক্রান্ত পরামর্শ শুনতে চাইতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তার সরকার এসব বিষয়ে কী ভাবছে, সে সংক্রান্ত নির্দেশনা সরাসরি সব সচিবকে দেবেন ড. ইউনূস।
মন্তব্য করুন


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় সরকার বহন করবে । এ ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে
বিনা মূল্যে সব সেবা ও বেসরকারি হাসপাতালে বিল গ্রহণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার
(১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব ছাত্র-জনতা আহত
হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে তাদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় সরকার
বহন করবে।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
হতাহতের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে
একটি কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির সদস্যরা তাদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে আগামীকাল
রবিবার বৈঠক করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত
ছাত্র-জনতার চিকিৎসা বিল গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে এসব
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিংসাধীন ছাত্র-জনতার সব বিল সরকার বহন করবে বলে জানানো
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে
যাওয়া হবে।
আজ শুক্রবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, টিকিট
জটিলতায় মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান,
বৈঠকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, কর্মসংস্থান তৈরি, ভিসা সহজীকরণ এবং উচ্চশিক্ষা, রোহিঙ্গা
সমস্যা নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম
বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের দুই দেশের অর্থনীতিতে অবদান গুরুত্বপূর্ণ। টিকিট জটিলতায়
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে। এই অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ
দেখতে আসিয়ানকে আরও কার্যকর করতে চায় মালয়েশিয়া।
এর আগে
দুপুর দুইটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত
জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে
গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করবেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
মন্তব্য করুন


পরিবেশ,
বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
হাসান বলেছেন, রাজধানীসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারি
কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার
(৪ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস
ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা জানান, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অতিরিক্ত দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি
বলেন, গ্রামগঞ্জে মানুষ চিকিৎসা পায় না। তাদের তাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক
নিশ্চিত করার অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগের মূল উদ্দেশ্য।
সৈয়দা
রিজওয়ানা হাসান বলেন, পিএসসির মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগের
প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রেস
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডেপুটি প্রেস
সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ডেপুটি প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী
প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), ইউএন এইডস এবং ইউএন ভলান্টিয়ার এর বিশেষ প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তীকালীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে যুব সমাজের উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইউএন এইডস’এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সাইমা খান, ইউএনডিপির উপ-আবাসিক প্রতিনিধি মিজ সোনালী, ইউএনএফপিএ-এর কিশোর কিশোরী ইউনিটের প্রধান ড. ইলিজা আজেই এবং ইউএন ভলেন্টিয়ারের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মিজ সোনিয়া মেহজাবিন।
এ সময় ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. শুসান ভেইজ বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যুবসমাজের জীবনমান উন্নয়নে আমরা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদেরকে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে, যেখানে যুবরা তাদের কথা নির্ভয়ে বলতে পারে।
শুসান ভেইজ বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নিয়ে সমন্বয় করে এই কমন প্ল্যাটফর্মের ডিজাইন শুরু করা যেতে পারে।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কণ্ঠস্বর প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সকল দাবি আদায় নিয়ে সচেষ্ট রয়েছে। দেশের যুব সংগঠনগুলো সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যুব অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই প্রশিক্ষণগুলো আরও উন্নতিকরণের চিন্তা করছি। এই বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন