যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে ৪/৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কুমিল্লা জেলার নিরীহ ছাত্র জনতার উপর আক্রমনকারী সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আটক, অবৈধ মাদক কারবারী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ নভেম্বর ২০২৪ মাদক ব্যবসায়ী ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কর্তৃক মোল্লা কান্দি, দাউদকান্দি নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে মাদক সরবরাহকারী মোঃ বাদলকে গ্রেফতার করতে গেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা বেগম এবং মোছাঃ মুক্তা বেগম নামক ০২ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৭,৬০০/- পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ রোল ইয়াবা সেবন ফয়েল পেপার, ০৭ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ১ টি সীম কার্ড ও নগদ ২,২৯,৩০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত দ্রব্যসামগ্রী দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক করার এরূপ অভিযান যৌথ বাহিনী কর্তৃক অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ নানা প্রজাতির মাছ ধরার দায়ে অর্ধশত জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আটকদের মধ্যে ৩১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাকীদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট শওকত জামিল চৌধুরী ।
বুধবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ৪৮ ঘন্টার অভিযানে জেলেদের সাথে থাকা ৩ টি বেহুন্দিজাল, ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৭টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ও ১০ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর উত্তর পাড়া গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে ঘটেছে একটি অন্যরকম ঘটনা।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফিরতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন যুবক মিলন মুন্সী (২৩)। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে স্ত্রী যেতে রাজি না হওয়ায় অভিমানে শ্বশুরবাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যা করলেন ওই যুবক।
আত্মহননকারী মিলন মুন্সী উপজেলার ৪নং কালোচোঁ ইউনিয়নের উড়পুর মুন্সীর বাড়ির বাদল মুন্সীর ছেলে।
মিলন মুন্সীর বাবা বলেন, গত ৫ মার্চ পারিবারিকভাবে ছেলেকে বিয়ে করাই। বিয়ের আড়াই দিন পর বাবার বাড়িতে গিয়ে ফিরে আসতে আর রাজি হয়নি আমার ছেলের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার আমার ছেলে তার স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে তার শাশুড়ি মেয়েকে দেবে না বলে ছেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। জানতে পারি এক পর্যায়ে অভিমানে আমার ছেলে পকেট থেকে বিষের বোতল নিয়ে খেয়ে ফেলে। স্থানীয় চিকিৎসা শেষে কুমিল্লায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে রাগী স্বভাবের ছিল এবং মানসিক সমস্যাও ছিল তার। সে নেশাগ্রস্ত হয়ে আমাদের মারধর করতো। যার কারণে তাকে জেলেও দিয়েছিলাম একবার।
গৃহবধূর বড় বোন আয়শা আক্তার ও তার বাবা আব্দুর রহিম জানান, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর বুঝতে পারি ছেলের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যে কারণে এর আগেও দুইবার তারা আমাদের মেয়েকে নিতে এলে ফেরত দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, মূলত এই ছেলে আগেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি তার বাবাকেও মারধর করতেন। নেশাগ্রস্ত ও উত্তেজিত অবস্থায় থাকতেন। এই ঘটনায় মৃতের বাবা বাদল মুন্সী থানায় মামলা করেছেন। বাকিটা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে।
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে সুশাসন ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক।
আজ শনিবার যশোর পিটিআই মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বলেন, পুলিশকে তদন্তের সময় সতর্কতা অবলম্বন
করতে হবে। যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি শাস্তি না পায়।
বিচারকদের উদ্দেশে এ সময় তিনি বলেন, জামিন দেওয়ার একচ্ছত্র অধিকার
আপনাদের নেই। নতুন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পুলিশ,
প্রশাসন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, এ রাষ্ট্র ট্রান্সফরমেশনের
মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির কাছে নয়, আপনারা আইন ও
সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাদের পক্ষে
দাঁড়াবেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির
হায়দার, সিআইডির অতিরিক্ত আইজি মতিউর রহমান শেখ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ১৬ জেলার
জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল
ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাবলিক প্রসিকিউটর,
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩২০ কর্মকর্তা
অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি জানান, পোশাক কারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদানের সময় স্ট্যাম্পের চাহিদার সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। এমন চক্রের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ আর এ অভিযানে বিপুল সংখ্যক জাল স্ট্যাম্পসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বরিশাল জেলার সদর থানার ব্রাউন কম্পাউন্ড রোড এলাকার মৃত আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে মো. আসিফ ইকবাল (৩৮) ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বাহেরচর গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে মো. জুয়েল (৪২)। একটি পোশাক কারখানায় জার স্ট্যাম্প বিক্রির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, জাল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানা আমরা গত ঈদের আগে শনাক্ত করে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা কিন্তু ধরন পরিবর্তন করেছে। পোশাক কারখানার বেতনের সময় ১০ টাকার জাল স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে পণ্য শিপমেন্টের সময় ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয়। এ চাহিদাকে চক্রটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার ডংলিয়ন পোশাক কারখানায় জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে আসেন আসামি আসিফ ইকবাল। খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে তিনি আসিফ ইকবাল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ টাকা মুল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টি রিভিনিউ স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক বাজারের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে মো. জুয়েল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ও ৫০০ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যার মুল্য দুই কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ জাল স্ট্যাম্পের কারখানার করা হচ্ছে। দ্রুত কারখানাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কানের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সময় এক নিয়োগ পরীক্ষার্থীসহ দুই জনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন - পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে ও পরীক্ষার্থীর ভাই আব্দুল জলিল।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষা শুরু হলেও এক ঘণ্টার পরীক্ষা সময়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে প্রশ্নের উত্তরপত্রে কোনো কিছু না লিখে বসে থাকেন। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
পরে কলেজের অধ্যক্ষ সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য মতে পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। পরে সদর ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ দশ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করত। এটি একটি বিশাল চক্র। তিনি তার ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি সংগ্রহ করেন। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আটকের চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঘটেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে বাসের চাপায় নারী-শিশুসহ চার পথচারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর মালিখিল এলাকায়
মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একুশে পরিবহন নামে একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতুলী এলাকার দিলবাল নেছা (৫০), শাহিনুর আক্তার (২৪), রাইসা (১.৫), সায়মা (৩)।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি, সোমবার রাত ৮ টার দিকে মহাসড়কের পার হচ্ছিলেন যাচ্ছিলেন শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন সদস্য। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের বেপরোয়া বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। পরে, শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় নিত্যপণ্যের
বাজারে তদারকি অভিযান পরিচালনা করে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে
২টা পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর নিউমার্কেট ও এর আশেপাশের এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে
চাল, ডাল, আটা, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম, মাংস, সবজি, তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের
ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয়ের তথ্য যাচাই করা হয়।
এরই সাথে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সেখানে তথ্যের গরমিল আছে কিনা সেটিও যাচাই করা হয়।
পাশাপাশি অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য ও কসমেটিকস বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটিও তদারকি করা হয় ।
অভিযান পরিচালনা শেষে অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রি ও মূল্য তালিকায়
গরমিল থাকায় মেসার্স তুহিন স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, অনুমোদনহীন রং ও শিশু খাদ্য
বিক্রয় করায় মেসার্স মা-মনি স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং অনুমোদনহীন বিদেশী কসমেটিকস
বিক্রি এবং ইচ্ছেমাফিক
মূল্যের স্টিকার লাগানোর অভিযোগে মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও বুধবার আয়োজিত এ অভিযানে
ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক এখতিয়ারে
তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং তদারকি করা হয় অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
আজকের এ অভিযান পরিচালনা
করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো:
আছাদুল ইসলাম। সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন।
অিভিযান পরিচালনা করার সময়
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে এ ধরণের কার্যক্রম
অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন প্রঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রঃ সালাউদ্দিন (২৩) ও একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি (৩০)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ১৮ জুন আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি চালক রাসেল এর সিএনজি গাড়ীটি রিজার্ভ ভাড়া করে মুন্সিরহাট টু বাঙ্গড্ডা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রাসেল রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করার একপর্যায়ে আসামি একরামুল হক পাগলা মোবাইল করে বলে যে, সিএনজিসহ রাসেলকে অজ্ঞাত স্থানে আটক আছে। তাঁকে ছাড়াইতে হলে এক লক্ষ টাকা লাগবে। আরও বলেন এবিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তখন বাদী নিরুপায় হতে অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে একরামুল হক পাগলার বিকাশ নম্বরে পাঠায়। কিন্তু কুমিল্লা রাজাপাড়া মোড়ে রাসেলকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে মাটিতে পেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে লাশ গুম করে রাখে। পরে তাদের দেখানো মতে পুলিশ রাসেল এর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল এর বাবা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন (২৩), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২১) ও টুংকু মিয়া (১৯) ও একরামুল হক পাগলা (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি টুংকু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন, মোঃ শাহীন ও একরামুলকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ, এসআই সুজন কুমার মজুমদার ও এসআই মিন্টু দত্ত দুটি চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও মহিউদ্দিন @ টুংকু ও মৃত ওসমান আলীর ছেলে একরামুল হক পাগলা ও নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৬৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৭৯, ৫০৬, ৩০২, ২০১, ৪১১, ১০৯ ও ৩৪ ধারা বিধানমতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (১৭) ও ভিকটিম রাসেলের বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় সম্পূরক দোষীপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১২ জুন আসামি গিয়াসউদ্দিন, মহিউদ্দিন @ টুংকু, একরামুল হক পাগলা ও অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি গিয়াসউদ্দিন ও পলাতক আসামী অলি উল্লাহ প্রঃ অলিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আসামি মহিউদ্দিন প্রঃ টুংকু'র বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি একরামুল হক পাগলা মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ গিয়াসউদ্দিন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার বলেন- আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
সিলেটের
কানাইঘাট দনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ
(বিজিবি)।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় চ্যানেল আই-তে প্রচারিত টকশোতে মানিক ঔদ্ধত্য ও কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, অপমানজনক বক্তব্য ও আচরণ করেন, যা সারা দেশবাসী দেখেছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।
এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মানিকের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর আদালতে মামলা করা হয়। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
মামলা
সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সাবেক বিচারপতি মানিক।
তিনি বলেছিলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন পাকিস্তানের চর। জিয়াউর
রহমানের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে
মানহানিকর বক্তব্য দেন তিনি। যা প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।
তার এমন মন্তব্যে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিশেষ করে
মামলার
বাদী রবিউল হাসান পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক বিচারপতি মানিক জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত
ও রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর
বক্তব্য দিয়েছেন। তাই এই মামলা দায়ের করেছি।
মন্তব্য করুন
২০ মে থেকে ২৩জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন সমুদ্রে সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার তুষার মজুমদার জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠ প্রজনন ও মজুদ সংরক্ষণ এবং সহনশীল মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা(২) এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা ২০২৩ এর বিধি ৩এর ১ (ক)এর ক্ষমতাবলে ২০ মে হতে ২৩ শে জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে কিছুদিন পূর্বে জেলেদের ও জেলে সমিতির সদস্যদের সাথে উপজেলা পরিষদ হল রুমে সভা করা হয়েছে
আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং এই ৬৫দিন জেলেরা সরকারি বরাদ্ধকৃত চাল পাবেন সেবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। একই সাথে জেলেদের যাচাই বাছাই করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহায়তা নিয়ে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন