চাঁদপুর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ নানা প্রজাতির মাছ ধরার দায়ে অর্ধশত জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আটকদের মধ্যে ৩১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাকীদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট শওকত জামিল চৌধুরী ।
বুধবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ৪৮ ঘন্টার অভিযানে জেলেদের সাথে থাকা ৩ টি বেহুন্দিজাল, ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৭টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ও ১০ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
যশোরের শার্শার পল্লীতে গ্রামের টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকির ভেতরে মিললো ৩৮ কেজি গাঁজা। এ ঘটনায় আয়না মতি (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) ভোররাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এ গাঁজা উদ্ধার করে।
শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের হরিণাপোতা পূর্বপাড়া গ্রামের মুনসুর হোসেনের বসতবাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা মজুত রয়েছে।
এরই ভিত্তিতে তারা অভিযান চালিয়ে বাড়ির পেছনে টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে গাঁজার একটি চালান দেখতে পায়। তারা টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকির নিচে থেকে প্লাস্টিকের দুটি ড্রামে ভর্তি ৩৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ গাঁজার ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় আয়না মতি (৪০) নামে এক নারী কারবারীকে আটক করে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আলীমের স্ত্রী। এ ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর উত্তর পাড়া গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে ঘটেছে একটি অন্যরকম ঘটনা।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফিরতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন যুবক মিলন মুন্সী (২৩)। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে স্ত্রী যেতে রাজি না হওয়ায় অভিমানে শ্বশুরবাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যা করলেন ওই যুবক।
আত্মহননকারী মিলন মুন্সী উপজেলার ৪নং কালোচোঁ ইউনিয়নের উড়পুর মুন্সীর বাড়ির বাদল মুন্সীর ছেলে।
মিলন মুন্সীর বাবা বলেন, গত ৫ মার্চ পারিবারিকভাবে ছেলেকে বিয়ে করাই। বিয়ের আড়াই দিন পর বাবার বাড়িতে গিয়ে ফিরে আসতে আর রাজি হয়নি আমার ছেলের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার আমার ছেলে তার স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে তার শাশুড়ি মেয়েকে দেবে না বলে ছেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। জানতে পারি এক পর্যায়ে অভিমানে আমার ছেলে পকেট থেকে বিষের বোতল নিয়ে খেয়ে ফেলে। স্থানীয় চিকিৎসা শেষে কুমিল্লায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে রাগী স্বভাবের ছিল এবং মানসিক সমস্যাও ছিল তার। সে নেশাগ্রস্ত হয়ে আমাদের মারধর করতো। যার কারণে তাকে জেলেও দিয়েছিলাম একবার।
গৃহবধূর বড় বোন আয়শা আক্তার ও তার বাবা আব্দুর রহিম জানান, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর বুঝতে পারি ছেলের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যে কারণে এর আগেও দুইবার তারা আমাদের মেয়েকে নিতে এলে ফেরত দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, মূলত এই ছেলে আগেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি তার বাবাকেও মারধর করতেন। নেশাগ্রস্ত ও উত্তেজিত অবস্থায় থাকতেন। এই ঘটনায় মৃতের বাবা বাদল মুন্সী থানায় মামলা করেছেন। বাকিটা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর মধ্যবাড্ডা বেপারিপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে মুসাম্মাৎ মাকসুদা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিনগত রাত ৪টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোছা. ফাতেমা সিদ্দিকা জানান, আমরা খবর পেয়ে রাত চারটার দিকে মধ্যবাড্ডা বেপারিপাড়া ২২/১ চারতলা বাসার পূর্ব পাশের রুমের বিছানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমরা জানতে পেরেছি, নিহত মাকসুদা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় ছিলেন। রাতে তিনি বিছানাতেই পায়খানা করলে তার মেয়ে স্মৃতি আক্তার বাথরুমে গোসলের জন্য নিয়ে যান। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে ধাক্কা দিলে ট্যাপের সঙ্গে লেগে মাথা কেটে যায়। পরে তাকে নিয়ে যায় বিছানায়। অসুস্থ অবস্থায় ওই বিছানাতেই তার মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় স্মৃতি আক্তারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহত নারীর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানায়।
মন্তব্য করুন
পঞ্চগড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ১টি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের সরকার পাড়া বানুর হাট থেকে মূর্তিটি জব্দ করে ডিবি পুলিশ।
জানা যায়, জব্দ করা কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৭কোটি টাকা।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- তেঁতুলিয়ার উপজেলার কৃষ্ণ কান্ত জোত গামের মৃত আমানত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) , দেবীগঞ্জের বন্দীরাম গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে শাহীন শাহ (৪০) ও তেঁতুলিয়া এলাকার একামুল হকের ছেলে শহিদুল (৫৫)।
পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কষ্টি পাথরের মূর্তি ক্রয়-বিক্রয় হবে এবং বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তিন ব্যক্তি বানুরহাট এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্য আসে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বানুর হাটবাজারে আশপাশ ও দোকানে ওৎ পেতে থাকেন। পরে ১টি ফার্মেসিতে প্রবেশের সময় ১৭ কেজি ওজনের বিষ্ণু মূর্তিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জব্দকৃত কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিটির উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ইঞ্চি এবং ওজন ১৭ কেজি। মূর্তিটির আনুমানিক বাজারমূল্য ৭ কোটি টাকা।
তাদের বিরুদ্ধে পুরাকৃর্তি আইনে মামলা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অপহরণের একদিন পর এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সদস্যদের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক বাবুল হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কলেজে আসা যাওয়ার পথে বাইখির-বনচাকী গ্রামের দিবস সরকার (২২) প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ওই ছাত্রী কলেজে অটোযোগে যাওয়ার পথে সকাল ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে থেকে দিবস তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ওই ছাত্রীর মুখে গামছা বেধে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে চতুল ইউনিয়নের বনচাকী বাইখির গ্রামের দিবস সরকার (২২), পিজুস বিশ্বাস (২০), অসিম বিশ্বাস (৪৫) ও গুনবহা গ্রামের রমেশ পালকে (২৭) আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা নম্বর ৩৪।
মামলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অপহরণ হওয়া ওই কলেজ ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মামলার ১ নম্বর আসামি দিবস সরকারকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
অপহরণের জগতে এ যেন এক নতুন মোড়।
রাজধানীর হাজারীবাগের নিউ মডেল টাউন এলাকায় থাকেন নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশাচালক। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ছয় বছর বয়সী মেয়ে তাবাসসুম ও আড়াই বছর বয়সী ছেলে তাওসীন খেলতে যায়।এসময় শিশুদের সঙ্গে যায় তাদের নানী। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পরা নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।এর কিছু সময় পর বাচ্চাদের রেখে বাসার ভেতরে যান নানী। এই সুযোগে বোরকা পরা ওই নারী শিশুদের ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেন। চিপস নিয়ে তাবাসসুম বাসায় ফিরে গেলেও তাওসীনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যান তিনি। এভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশু তাওসীন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে শিশু অপহরণ চক্রের বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর এই চক্রটি নিঃসন্তান কোনো দম্পতির কাছে বাচ্চার অর্ডার পেয়ে শিশু অপহরণ করতো। এরপর শিশুটিকে বিক্রি করে দিতো তারা। তারা হলেন অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২) ও তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) এবং ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)। বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লার লালমাই ও বরুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাওসীন অপহরণের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে শাহজাহানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। শাহজাহান ৫০ হাজার টাকায় সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে ওই শিশুকে কিনে নিয়েছিলেন।
ডিবি জানায়, চক্রটি নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণের জন্য মাঠে নামতো। পরে চাহিদামতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে শিশু চুরি করে বিক্রি করতো। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোরকা পরে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে তাদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন।
ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন।
মন্তব্য করুন
মাদক প্রতিরোধে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা খুব সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে ।
তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি বিশেষ অভিযানে ২৪ কেজি গাঁজা এবং একটি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করেছে। এই অভিযানে দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোর ৩:১০ মিনিটে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর বিশ্বরোড সংলগ্ন ঢাকা মুখী পাকা সড়কের উপর চেকপোস্টে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি পিকআপ গাড়ি তল্লাশি করে মাদকদ্রব্য এবং আসামীদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন - মোঃ নাজমুল (২৭), বর্তমান ঠিকানা- নরসিংহপুর, আশুলিয়া, ঢাকা এবং মোঃ হাসেম (৪০), বর্তমান ঠিকানা- জামগড়া, আশুলিয়া, ঢাকা।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং- ৪৫ ,ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১৯(গ) তে মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে নাশকতার অভিযোগে নয়জন আটক করা হয়েছে। তবে রেলের ঠিক কোন কোন ঘটনায় তারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানায়নি র্যাব।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ বলেন, বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সম্প্রতি নেত্রকোনা থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনে আগত একটি ট্রেনের বগিতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় একজন মা-শিশুসহ ৪ জন নিহত হোন। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সহযোগিতায় সন্ধ্যা থেকে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, আটকরা সামান্য কিছু উৎকোচের বিনিময়ে চলমান হরতাল অবরোধকে কেন্দ্র রেললাইন ও ট্রেনে নাশকতা করতো। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি- এরা কোন কুচক্রী মহলের হয়ে স্বল্প টাকার বিনিময়ে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে থাকে। তারা বিভিন্ন জায়গাতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক আরো বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে আমরা রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাবো। যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রেনের যাত্রীরা নিরাপত্তা নিশ্চিত অনুভব না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভবিষ্যৎতে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা আছে কি না এবং বাড়তি কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মোসতাক আহমদ বলেন, প্রথমে বাস-ট্রাকের ওপরে অগ্নি-সন্ত্রাস ছিল। কিন্তু অতি সম্প্রতি সময়ে তা রেলের ওপরেও এসেছে। যার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।নাশকতাকারীরা এ ধরনের কাজ করে কখনো রেহাই পাবে না। বিভিন্ন রেলস্টেশনে আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রয়েছে। ট্রেন আসা ও যাওয়ার সময় নজরদারি করা হচ্ছে।
ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেফতার বা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, আমরা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করবো। সেই সঙ্গে আমাদের অভিযান অব্যাহত। আমরা মূলহোতা কিংবা অগ্নিকাণ্ডে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করলে আপনাদের জানবো।
উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুন চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই রেলের যাত্রী ছিলেন। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি চোর চক্রের ১জনকে গ্রেফতার করাসহ ৭ টি
চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে।
সোমবার রাত ০১:৩০ নাগাদ গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিঃ)
মোঃ মোরশেদ আলম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ সদর দক্ষিন মডেল থানার কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়
পেট্রোল ডিউটি সহ ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটি করাকালে জানতে পারেন যে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন কোটবাড়ি সালমানপুর দীঘির পূর্বপাড় আবুল হোসেনের গ্যারেজের সামনে রাস্তার
উপর কয়েকজন মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য একত্রিত হয়ে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়- বিক্রয়
করতেছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে
ঘটনাস্থল হতে আসামীগণ পালানোর চেষ্টাকালে অফিসার ও ফোর্সের সহয়তায় আসামী মোঃ খোরশেদ
আলম (৩০) কে ০১টি কালো রংয়ের Hero glamour মোটরসাইকেল যার রেজি: নং-কুমিল্লা ল-১১-৫৯৪৮
সহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ খোরশেদ আলম
(৩০) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করাকালে জানা যায় যে, তার সঙ্গীয় অপর আসামীগণ মোঃ শিপু
ওরফে শিল্পা ওরফে শিপা (৩৭), রাকিবুল হাসান
প্রকাশ রিয়াদ (২৭) দ্বয়ের হেফাজতে আরো ০৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল রয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য মতে সদর দক্ষিন
মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একটি দক্ষ টিম কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান
পরিচালনা করে এবং অভিযানের এক পর্যায়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন বালুতুপা এলাকার
পলাতক আসামী জসিম ও শিপুদ্বয়ের বসত বাড়ির উঠানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে
পলাতক আসামী জসিম ও শিপু ঘর থেকে বাহির হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পলাতক আসামীদের বসত-বাড়ী
তল্লাশী করে ৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার জব্দ করা হয় ।
উদ্ধারকৃত ৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল
-
(i) ০১ টি নীল কালো রংয়ের YAMAHA
FZS V2 150 CC MOTORCYCLE (ii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 110 CC
MOTORCYCLE (iii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের HONDA XBLADE 150 CC MOTORCYCLE (iv) ০১ টি
নীল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 125 CC MOTORCYCLE (v) ০১ টি কালো রংয়ের TVS RAIDER
125 CC MOTORCYCLE (vi) ০১টি লাল কালো রংয়ের HERO GLAMOUR MOTORCYCLE
উক্ত ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এজাহার
দায়ের করলে সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা নং-৩০, তারিখ- ২২/০৪/২০২৪ইং ধারা-৪১৩ পেনাল
কোড, রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি জানান, পোশাক কারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদানের সময় স্ট্যাম্পের চাহিদার সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। এমন চক্রের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ আর এ অভিযানে বিপুল সংখ্যক জাল স্ট্যাম্পসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বরিশাল জেলার সদর থানার ব্রাউন কম্পাউন্ড রোড এলাকার মৃত আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে মো. আসিফ ইকবাল (৩৮) ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বাহেরচর গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে মো. জুয়েল (৪২)। একটি পোশাক কারখানায় জার স্ট্যাম্প বিক্রির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, জাল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানা আমরা গত ঈদের আগে শনাক্ত করে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা কিন্তু ধরন পরিবর্তন করেছে। পোশাক কারখানার বেতনের সময় ১০ টাকার জাল স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে পণ্য শিপমেন্টের সময় ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয়। এ চাহিদাকে চক্রটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার ডংলিয়ন পোশাক কারখানায় জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে আসেন আসামি আসিফ ইকবাল। খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে তিনি আসিফ ইকবাল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ টাকা মুল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টি রিভিনিউ স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক বাজারের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে মো. জুয়েল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ও ৫০০ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যার মুল্য দুই কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ জাল স্ট্যাম্পের কারখানার করা হচ্ছে। দ্রুত কারখানাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন