প্রবল বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের উখিয়ার
৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় ধসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জন রোহিঙ্গা ও একজন
স্থানীয়।
বুধবার (১৯ জুন) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার বালুখালীর ৮ নম্বর
রোহিঙ্গা শিবিরের মো: আনোয়ারের ছেলে মো: হারেজ (৫), ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসরত
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কেরানীহাটের আলী জহুরের ছেলে মো: হোসেন আহম্মেদ (৫০), একই শিবিরের
রোহিঙ্গা আলী জোহারের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৮), জামালের ছেলে মো. সালমান (৩), ১০ নম্বর
বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের আবুল কালাম (৫৭), মতির রহমানের মেয়ে সলিমা খাতুন (৪২), আবুল
কালামের ছেলে আবু মেহের (২৪), শরিফ হোসেনের মেয়ে জানু বিবি (১৯) ও থাইংখালীর ১৪ নম্বর
রোহিঙ্গা শিবিরের শাহা আলমের ছেলে আব্দুল করিম (১২)।
কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ
ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: শামসু দ্দৌজা বলেন, প্রবল বর্ষণের কারণে উখিয়ার ৪টি রোহিঙ্গা
শিবিরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৮ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এক সভায় উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশন,
জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার
শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে ।
বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী নির্বাচন ভবনে সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে অনুষ্ঠিত
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বান্দরবানের উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে বান্দরবানের থানচি, রোমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা
বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য এ তিন উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। অপারেশন
চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরবর্তীতে
সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের
সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনাসহ সভায় গৃহীত উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলো তিনি বলেন,
এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার
নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট
হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে।
আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে
২১ মে। এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয়
ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।
২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র
লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্র ও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ
করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দুদিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে
ছাড়া পান তিনি। রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও
দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে।
দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এরপর থেকেই লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে
অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ
সদস্যের যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।
যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেফতারের
খবর জানিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ মিয়া,কচুয়া:
বছর খানেক আগে জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমান মালয়েশিয়া। কিন্তু সেখানে দালালের খপ্পরে পড়েন ইসমাইল। ওই দেশে অবৈধ থাকায় কষ্টে কাটান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছন ইসমাইল। অবৈধ থাকায় উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন কেউ। পরিবারের দরিদ্রতার কারনে আর্থিক সংকট থাকায় দেশে আনতেও পারছেন না তার পরিবার। বলছি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান ইসমাইল হোসেনের কথা।
জানা যায়, পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা কাটাতে ঋন করে ছেলে ইসমাইলকে মালয়েশিয়া পাঠান তার পরিবার। কিন্তু সেখানে দালালের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে যায় সে। তাছাড়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৮ লক্ষ টাকা। যা পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অপর দিকে টাকার জন্য ইসমাইলকে দেশে আনতেও পারছেন তার পরিবার। মালয়েশিয়া থেকে ইসমাইলকে দেশে আনতে সরকার সহ সমাজের বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন তার পরিবার। বর্তমানে ইসমাইলের স্ত্রী,২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
ইসমাইলের বাবা সুরুজ মিয়া ও মা খোরশেদা বেগম বলেন, আমাদের ছেলেকে ঋন করে বিদেশে পাঠিয়েছি। ছেলের এমন অবস্থা দেখে আমরা কিছুই করতে পারছি না। তাই ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা ও দেশে আনতে সকলের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করছি।
কেউ আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে এই নাম্বারে ০১৬৩০৩২৭১৮৩ ও ০১৩২৫০৪২৬১৬ যোগাযোগ করার আহ্বান করা গেল
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে উৎসবমূখর পরিবেশে বই বিতরণের কার্যক্রম প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান মজুমদার জয়। এসময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনে আজ সারা দেশে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে আরও বলেন, নতুন বইগুলো আমরা যত্ন করবো যেনো সারাবছর এমন নতুন রাখা যায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নিজ নিজ অভিভাবকের কথা মেনে চলার উপর শিক্ষার্থীদের গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এসময় শিক্ষার্থীরা নতুন বই নিয়ে সারাদিন আনন্দে মেতেছিলেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক নবীর হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. শহীদ উল্যাহ পাটওয়ারী,দাতা সদস্য ডা. স্বাধীন চেীধুরী,অভিভাবক সদস্য ইয়ার আহমেদ মজুমদার,বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল গফুর,পালাখাল বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সহ আরো অনেকে।
এসময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহিন মজুমদার,সহকারী শিক্ষক আহাদ বিএসসি,কামাল হোসেন,সুজন চৌধুরীসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
১৯৯০ সালে তৎকালীন জাতীয় পার্টির সময়ে নির্মিত হয়েছিল চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার উত্তর বাজারের ব্রীজটি। ব্রীজটি নির্মানের কয়েক বছর হলেও ব্রীজটির দু’পাশের প্রবেশদ্বার ভেঙ্গে জনচলাচলে অনুপোযোগী হওয়ায় স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে এ ব্রীজটির দু’পাশের জনচলাচলে পাকাকরনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সাচার উত্তর বাজারে পুরাতন ব্রীজটি সংস্কারের অভাবে ও দু’পাশের মাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের মানুষ কষ্টে যাতায়াত করে আসছে। বিগত সময়ে অনেক চেষ্টার পরও ব্রীজটির দু’পাশের সংসকার করা হয়নি। ফলে স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড জামায়েত ইসলামীর সভাপতি মাওলানা মো: মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ও বিএনপিসহ স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীসহ অন্যন্যাদের আর্থিক সহযোগিতায় শুক্রবার স্বেচ্ছাশ্রমে ব্রীজটির সংস্কার কাজ করা হয়।
কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামী সভাপতি মাওলানা মো: মুজাম্মেল হক বলেন, এ ব্রীজ দিয়ে রাগদৈলগামী প্রায় ২০-২৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত। মানুষের দু:খ-খষ্ট দেখে আমরা স্থানীয়দের সহযোগীতা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে এ ব্রীজটির সংস্কার কাজ করে দিয়েছি। সাচার রেনেসাঁ হাসপাতালের পরিচালক মো.জিয়াউদ্দিন মজুমদার জানান, গুরুত্বপূর্ন এ ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যোগ খুবই প্রসংশনীয়। যারা স্বেচ্ছাশ্রমে এ কাজটি করছে আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি সরো এ ব্রীজটি আরো প্রশস্থ বাড়িয়ে নতুন করে দ্রুত নির্মানের দাবী জানাই।
মন্তব্য করুন
অভিনব কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ২৯ কেজি গাঁজা’সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গত ০১ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন ধানসিড়ি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে পিকআপের পিছনে কাঠের গুড়ার বস্তার মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী বশির (২০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ২৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী বশির (২০) বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ এনামুল হক এর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে বি.বাড়িয়া, কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চন্দনী গ্রাম থেকে ফেন্সিডিলসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। আটকৃতরা হলো: চন্দনী গ্রামের মোশাররফ হোসেন (৪৫) ও তার স্ত্রী হেনা বেগম (৩৫)। এ ঘটনায় মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে বোয়ালমারী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মোশাররফ হোসেনের রান্না ঘর থেকে ৭০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ মোশাররফ ও তার স্ত্রী হেনাকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিলসহ তাদের আটক করা হয়। মোশাররফ একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় থানায় মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামীদের বৃহস্পতিবার ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় রাতের আঁধারে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নে নোয়াদ্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মাছগুলো পানিতে ভেসে উঠলে ভুক্তভোগী মৎস চাষি মানিক ও রাসেল হোসেন বুঝতে পারেন। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষসিাধন হয়েছে বলেও জানান ভূক্তভোগীরা। ওইদিন মানিক মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মান্নান মিয়া,রুবেল,শামীম হোসেন ও আব্দুল জলিলকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি লিভিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ৬নং উত্তর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন নামের দুই মামাতো ও ফুফাতে ভাই ওই প্রজেক্টে মাছের চাষ করছেন। স্থানীয় এনজিও থেকে ঋন নিয়ে প্রায় বছর খানেক পূর্বে মাছের পোনা চাষ করেন। কিন্তু রাতের আধাঁরে বিষ প্রয়োগে দুই ভাইয়ের স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল শুত্রুতার জেরে দিবাগত রাতে মাছের প্রজেক্টে বিষ দেয়। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি ভুক্তভোগী দুই ভাইয়ের।
ভূক্তভোগী মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। মাছ চাষ করে জীবিকা-নির্বাহ করি। বিষ প্রয়োগে আমাদের সব স্বপ্ন মাটি হয়ে গেছে। গত বছর ব্যাংক ও এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নেই। এখন আমরা কীভাবে টাকা পরিশোধ করবো, কিছুই বুঝতেছি না। যারা এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে তাদের আইনের আওতা এনে শাস্তির দাবি জানাই।
কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম বলেন, নোয়াদ্দা গ্রামে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
আদর্শ সদর উপজেলায় বিভিন্ন বেকারি ও খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআই-এর
অভিযানকালে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ
বুধবার দুপুর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা
প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আক্তার শিফা, সালমান ফার্সি
এবং মো. আনিসুল হক।
এ
সময় বিএসটিআই কুমিল্লার মাঠ কর্মকর্তা ইকবাল আহাম্মদ, পরিদর্শক (মেট) আরিফ উদ্দিন প্রিয়,
পরীক্ষক (রসায়ন) মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লায়
বিএসটিআই-এর উপ-পরিচালক কে এম হানিফ জানান, মানসনদ গ্রহণ ব্যতীত পণ্যের মোড়কে স্ট্যান্ডার্ড
মার্ক (মান চিহ্ন) ব্যবহার, বিস্কুট, পাউরুটি ও কেক পণ্য উৎপাদন এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর
তথ্য প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নগরীর দেশয়ালিপট্টির মেসার্স বিক্রমপুর শশী ভান্ডারকে
২৫ হাজার টাকা, বিক্রমপুর ঘি স্টোরকে দুই হাজার টাকা এবং রাজগঞ্জ বাজার এলাকার মেসার্স
নিউ প্রিমিয়াম সুইটসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন
যৌতুকের
টাকা না পাওয়ায় ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের আসর থেকে বর নিয়ে চলে যাওয়ার
অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের বর ছিলেন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও
গ্রামের মো. শরীফ মিয়ার ছেলে মো: হাসেন মিয়া (২৫)।
এ
ঘটনায় আজ (১/১২/২৩) দুপুরে ভুক্তভোগী কনের বাবা বাদী হয়ে বর ও বরের বাবাসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত
করে কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১/১২/২৩) বিকেলে নেত্রকোনার
কলমাকান্দায় রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১ সপ্তাহ আগে বামনগাঁও গ্রামের মো: হাসেন মিয়ার বিয়ে ঠিক
হয় পার্শ্ববর্তী রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে। বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়
কনের বাবা বিয়ের খরচ বাবদ বরের পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে
এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর তার আত্মীয়-স্বজনসহ ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া
শেষে বিয়ের কার্যক্রম শুরু হলে বরের পক্ষ থেকে আরো ৭০ হাজার টাকা যৌতুক চাওয়া হয়। কনের
পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হলে বিয়ের আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যান।
এ
বিয়ে উপলক্ষে দুই লাখ টাকা খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ খরচ হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ
করেন কনের বাবা।
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল
কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার দুপুরে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন