

এলিট ফোর্স র্যাবের অতিরিক্ত
মহাপরিচালক (এডিজি, অপারেশনস) হলেন কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
র্যাবের একাধিক সূত্র এ
তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেছে তিনি বর্তমান এডিজি মাহাবুব আলমের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
কর্নেল মোমেন বর্তমানে প্রতিরক্ষা
গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরে কর্মরত আছেন। আর মাহাবুব আলম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি
পেয়ে নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন। এরপর তিনি গাজীপুরে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি
লি.-এ পরিচালক হিসেবে যোগ দিবেন।
এর আগেও র্যাবে বিভিন্ন
দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল্লাহ আল মোমেন। সর্বশেষ তিনি র্যাব-১ এর অধিনায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিন
এ দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেন তিনি। গত বছরের জুনে তিনি লে. কর্নেল থেকে পদোন্নতি
পেয়ে কর্নেল হন এবং নিজ বাহিনীতে ফিরে যান।
আব্দুল্লাহ আল মোমেন বিভিন্ন
সময়ে র্যাবে আরও কয়েকটি পদে দায়িত্ব পালন করেন। র্যাব-১২ অধিনায়ক, র্যাব-২ কোম্পানি
কমান্ডার এবং র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখায় উপপরিচালক হিসেবে কাজ করেন তিনি।
র্যাবে ভালো কাজের স্বীকৃতি
হিসেবে তিনি ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ (পিপিএম) অর্জন
করেন।
আগামী বুধবার মোমেন তার দায়িত্ব
বুঝে নিতে পারেন।
র্যাব-১-এ দায়িত্ব পালনকালে
মোমেনের বেশ কটি অভিযান আলোচিত হয়। রাজধানীর উত্তরার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একটি
অংশ কেনাবেচায় জড়িত গোলাম ফারুক নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করেন তিনি। ট্রান্সজেন্ডার
নারী বিউটি ব্লগার সাদ মুআ-কে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ফুয়াদ আমিন ইশতিয়াক
ওরফে সানিসহ তার দুই সহযোগীকে আটকও তার নেতৃত্বে হয়।
দেশের প্রথম ‘মাদক বিজ্ঞানী’ওনাইসী
সাঈদ ওরফে রেয়ার সাঈদকে গুলশান থেকে আটক; মানব পাচার, করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশগামীদের
সঙ্গে প্রতারণা, সিকিউরিটি কোম্পানি খুলে প্রতারণা, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সহজের
সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমকে আটকসহ বিভিন্ন অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব-১-এর
এই সাবেক অধিনায়ক।
এছাড়া অবৈধভাবে ভারতে কিডনি
কেনাবেচা চক্রের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেফতার করেন মোমেন।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা
কিছুদিন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশেও (বিজিবি) সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে
৪৬ বিজিবির অধিনায়ক থাকাকালে তিনি একজন সহকর্মীর (সৈনিক) জীবন বাঁচাতে নিজেই চালকের
আসনে বসে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। অধিনায়ক হিসেবে সহকর্মীর প্রতি
এমন সহানুভূতিশীলতা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এবং বেশ প্রশংসিত হন তিনি।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল
মোমেন ১৯৯৭ সালে ৩৬ বিএম লং কোর্সে সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। কর্মজীবনে
তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন
করেন। শান্তিরক্ষা মিশনে লাইবেরিয়া ও গণতান্ত্রিক কঙ্গোতে কাজ করেন এই সেনা কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন


বেনাপোল থেকে মোংলাগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে ২ কেজি ৭৬০ গ্রাম কোকেন ও ১ কেজি ৬৯২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা। তবে এসব মাদক পাচারকারী চক্রের কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
উদ্ধারকৃত কোকেন ও হেরোইনের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৭১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বেনাপোল রেলস্টেশন থেকে বেতনা এক্সপ্রেস মাদকের আটক করা হয় এ চালানটি।
রাতে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকি।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বেনাপোল-খুলনা-মোংলা (বেতনা এক্সপ্রেস) ট্রেনে বেনাপোল থেকে বিপুল পরিমাণ কোকেন ও হেরোইনের চালান নিয়ে যাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেলে বেনাপোল-খুলনা-মোংলা (বেতনা এক্সপ্রেস) ট্রেনে অভিযান চালানো হয়।
এসময় ট্রেনের সিটের নিচে সন্দেহভাজন একটি মালিকবিহীন ব্যাগ পাওয়া যায়। পরে তিনি ব্যাগটি তল্লাশি করলে ২ কেজি ৭৬০ গ্রাম কোকেন ও ১ কেজি ৬৯২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী কৌশলে পালিয়ে যায়। এছাড়া উদ্ধারকৃত কোকেন ও হেরোইনের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৭১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এবং এ কোকেন ও হেরোইন ধ্বংস করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


অপতথ্য মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা
গড়ে তোলা এবং গণমাধ্যমকে নৈতিক মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করতে জাতিসংঘের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ ও ইউনেস্কোর ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা
ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা মেহদি বেনচেলাহ প্রধান
উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)
এবং ইউনেস্কোর যৌথভাবে প্রস্তুত করা বাংলাদেশের গণমাধ্যম পরিমণ্ডলের মূল্যায়ন : স্বাধীন,
নিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যমের দিকে মনোনিবেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তারা
এ সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, আমরা এই প্রতিবেদনের জন্য সত্যিই অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো
অপতথ্য, ভুয়া সংবাদ। আর এসব অপতথ্যের কিছু ছড়ায় বিদেশে থাকা লোকজন, আবার কিছু ক্ষেত্রে
স্থানীয়রাও এতে জড়িত। ধারাবাহিকভাবে এ হামলা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টাড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,
শুধু ডিজিটাল মাধ্যমে নয়, নিয়মিত প্রচারিত গণমাধ্যমও অনেক সময় ভুয়া তথ্যের উৎস হয়ে
ওঠে।’ এ প্রেক্ষিতে তিনি জাতিসংঘের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করে বলেন, ‘আপনারা শুধু সরকারের
সঙ্গেই কথা বলবেন না, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলুন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। যদি কোনো গণমাধ্যম বারবার মিথ্যা
তথ্য ছড়ায়, তাহলে তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত তারা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, আপনারা জাতিসংঘ, আপনাদের
কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ...আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন।
ইউনেস্কো প্রতিনিধি সুসান ভাইজ বলেন,
আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনটিতে আত্ম-নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও তুলে ধরা
হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি দেখাবে কী কার্যকর
হচ্ছে, আর কী হচ্ছে না এবং এতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ
থাকবে। সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের আন্তর্জাতিক
মানের সাথে তাদের কার্যক্রম সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে- সে বিষয়টিও
উল্লেখ থাকবে।’
ইউনেস্কোর জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা
মেহদি বেনচেলাহ বলেন, প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ এবং নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা
সম্পর্কেও কিছু সুপারিশ থাকবে, যা একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ। সরকারি পদক্ষেপ এসব ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনটি ইউএনডিপির প্রতিষ্ঠান,
নীতি ও সেবা শক্তিশালীকরণ (এসআইপিএস) প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনেস্কোর মত প্রকাশের স্বাধীনতা
ও গণমাধ্যম উন্নয়ন সংক্রান্ত ম্যান্ডেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে
জানান কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন


কুপিয়ে হত্যা করা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম
আলিফের পরিবারের জন্য ধর্ম উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে কোটি টাকার ফান্ড গড়ে তোলা হচ্ছে।
এ ফান্ড সংগ্রহের দায়িত্বে আছে মানবিক সংগঠন আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন।
আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের
লোহাগাড়ার পানত্রিশা গ্রামে শহীদ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত
শেষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ধর্ম উপদেষ্টা
এ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
বলেন, প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ আইনের শাসন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার
প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দেশ ও জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতেন। কিন্তু তাঁকেই নির্মমভাবে
হত্যা করা হয়েছে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে
না।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা
ও ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন, অপরাধীদের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে
সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ধর্ম উপদেষ্টা শহিদ আইনজীবী সাইফুল
ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত করেন ও খোঁজখবর নেন এবং তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা
জানান। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারে ক্ষেত্রে সরকারের দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেন।
এছাড়া উপদেষ্টা এই পরিবারকে সরকারের পক্ষ হতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ধর্ম উপদেষ্টা হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ, চিকিৎসা ও পড়ালেখার জন্য শহিদ সাইফুলের বাবার হাতে আলহাজ
শামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে এক কোটি টাকা সহায়তা প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নগদ এক
লাখ টাকা, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকার চেক ও আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের
পক্ষ থেকে আরো এক লাখ টাকা তুলে দেন।
এ সময় লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
মোহাম্মদ ইনামুল হাসানসহ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার ড. মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জলাবদ্ধতা হ্রাসে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরেন।
তিনি জানান, চারটি প্রধান প্রকল্পের মধ্যে ৮৮ শতাংশ কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা গত ১৪ মে চট্টগ্রাম সফরে নির্দেশ দিয়েছিলেন, এ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা যদি শতভাগ নাও সম্ভব নয়, অন্তত ৫০ শতাংশ কমাতে হবে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডও প্রকল্প বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করেছে।
৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টার ৫০ শতাংশ লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা অতিক্রম করে ৭৫ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম নগরের ১১৩টি এলাকায় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা জলাবদ্ধতা স্থায়ী হতো। চলতি বছর তা কমে ২১টি এলাকায় ২ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে সীমিত হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা এবং ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্য রয়েছে।
সভায় জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। প্রতিদিন প্রায় ৮০০ টন বর্জ্য শহরের খাল ও ড্রেনে জমে পানি প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন ২৭০০ থেকে ২৮০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হলেও শহরে দৈনিক উৎপাদিত বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ৩২০০ টন।
জলাবদ্ধতা নিরসনের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা হ্রাসের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা দ্বিতীয় ধাপে কাজ শুরু করব।’ তিনি সব সংস্থাকে লিখিত পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারকে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেন।
চট্টগ্রামের স্থায়ী নাগরিক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা চাক্তাই খালের পুনঃনির্মাণ অগ্রগতিও জানতে চান। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম জানান, চাক্তাই খাল থেকে পানি সরানোর জন্য ১২টি পাম্প বসানো হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি ইতোমধ্যেই কার্যকর রয়েছে। সব পাম্প চালু হলে প্রতিদিন ২৪ কোটি লিটার পানি অপসারণ করা সম্ভব হবে। শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য মোট ৫৬টি পাম্প বসানো হচ্ছে।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নিজস্ব অর্থায়নে দুটি খাল সংস্কার করেছে। এ জন্য তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম এবং নাগরিক প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক :
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সারাদিন সদর ও সদর দক্ষিণ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছে মনিরুল হক চৌধুরী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০ টায় তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার বারোপাড়া ইউনিয়নের বড় ধর্মপুর এলাকায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
পরবর্তীতে দুপুর ১২ টায় বিশ্বরোডস্থ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।
বিকেলে গোলমার্কেট বড় মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে মহানগর বিএনপি আয়োজিত দোয়া মিলাদে অংশ নেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মোনাজাত করেন মনিরুল হক চৌধুরী। দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় মোনাজাতে কাঁদলেন তিনি।
দোয়া মিলাদ শেষে নগরীর কাটাবিল, নুরপুর, গোলমার্কেট এলাকায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।
দোয়া ও লিফলেট বিতরণে অংশ নেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সালুর রহমান পাভেল, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়ার যুগ্ন আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক সেলিম রুবেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাদিমুল ইসলাম শিশির, সাবেক কাউন্সিলর সেলিম খান, খলিলুর রহমান মজুমদার, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক শিল্পীসহ মহানগর ও দক্ষিণ জেলার নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন


স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
ভূঁইয়া বলেছেন, বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা।
উপদেষ্টা
তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন
বাংলাদেশিরা। সম্প্রতি এমনটি জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল
সৈয়দ তারেক হোসেন।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ বলেন, গেল এক সপ্তাহ ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত না হলেও বাংলাদেশিরা
ভিসা পাচ্ছেন বিশেষ অনুমতি ছাড়াই। ভিসা নিয়ে প্রতারণা না করার ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক
করেন রাষ্ট্রদূত।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফাইড ফেসবুকে অপর এক পোস্টে বলেন, তফসিলি ব্যাংকগুলো
বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির সময় বিভিন্ন হারে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ও চার্জ এবং অতিরিক্ত
সার্ভিস ফি বা কমিশন নিচ্ছে। অতিরিক্ত ফি আদায় করায় ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে
নিরুৎসাহিত হন গ্রাহকরা। এ কারণে বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে উৎসাহিত করতে প্রথমবারের
মতো পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ
৩০০ টাকা আদায় করতে পারবে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এই ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এর বাইরে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বাবদ বাড়তি কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না।
মন্তব্য করুন


গণভবনকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের
জাদুঘর নির্মাণের জন্য উপদেষ্টাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূস।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণভবন পরিদর্শনের
সময় এই নির্দেশ দেন তিনি।
‘‘গণভবনে ক্ষমতাচ্যুত ‘স্বৈরশাসক’ শেখ
হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে বাস করেছিলেন, যা দমন ও তার নৃশংস শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছে’’
বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গণভবনের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনকালে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) দুঃশাসনের স্মৃতি এবং জনগণ যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল, যখন তারা তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিল, সেসব জাদুঘরের রাখা উচিত হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কয়েক মুহূর্ত পর ৫ আগস্ট গণভবনে কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে এবং খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নোট লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আয়নাঘর, যেখানে হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে শত শত ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী কর্মীকে আটক করেছিল, তার একটি রেপ্লিকাও গণভবনের জাদুঘরে নির্মাণ করা উচিত। আয়নাঘরের উচিত দর্শকদের গোপন বন্দিদের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া।
গণভবন পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টাদের জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের
সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত
করতে বলেন তিনি।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল
থেকে শুরু হওয়া হাসিনার শাসনের অপকর্মগুলো জাদুঘরে যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


রিপোর্ট : বিপ্লব চক্রবর্ত্তী
আপডেট
গত ১০-০৬-২০২৪ ইং তারিখের ডকেট নং- ১২-৬০২৭ এর একটি অভিযোগ অনুযায়ী ০১-০৮-২০২৪ ইং তারিখ দুপুর ১২.৩০ মিনিটে ইকো ল্যাব মেডিকেল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে নিম্ন লিখিত অসংগতি/অনিয়ম সমূহ পরিলক্ষিত হয়।
(ক) ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করেননি।
(খ) বিদেশগামী ব্যাক্তিগনের নিকট হতে ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ৮৫০০/- নেওয়া হলেও রশীদে এবং কম্পিউটার সফটয়ার সিষ্টেমে ১৫০০/- নেওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান।
(গ) এক্স-রে পরীক্ষার কক্ষে দুইজন ছাত্র কর্তৃক কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল এবং প্রতিষ্ঠানটিতে কোন রেডিওগ্রাফার উপস্থিত ছিলেন না। প্রতিষ্ঠানের রেডিওলজী এন্ড ইমেজিং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংগে ফোনে আলাপ করে জানা যায় গত ১৩ দিনে উনি প্রতিষ্ঠানে আসেননি এবং অনলাইনে স্বাক্ষর করেন।
(ঘ) প্যাথলজী ল্যাবে আফিফা আক্তার সুমা নামে একজন ডিএমএফ ডিগ্রীধারীকে কর্মরত পাওয়া যায় এবং তার আইডি কার্ডে মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাব) লেখা ছিল যা সম্পূর্ন বিধি বর্হিভূত।
(ঙ) প্যাথলজি ল্যাবে আরোও একজন এমটি (ল্যাব) ডিগ্রীধারী নারী কর্মচারী থাকলেও উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান তার কোন নিয়োগপত্র দেখাতে পারেনি।
চ) উপরে উল্লেখিত অভিযোগ অনুযায়ী রাজশাহী জেলার কাজিরহাটায় অবস্থিত "সততা মেডিকেল চেক আপ সেন্টার" বন্ধ আছে (রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর গত ২৯/০৭/২০২৪ ইং তারিখে ১২৪৩ স্মারকের পত্র মারফত)
ছ) উল্লেখিত ডকেটের অভিযোগ অনুযায়ী জনৈক মোহাম্মদ আবু নোমান রাজশাহীর সততা ল্যাবের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বিদেশগামীদের পরীক্ষা করেন ও রিপোর্ট প্রদান করেন। সরবরাহকৃত চুক্তি (ফটোকপি) পর্যালোচনা করে দেখা যায় চুক্তিটি সততা মেডিকেল
চেকআপ সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী জনাব আব্দুল আওয়াল রাজার সাথে জনাব মোহাম্মদ আবু নোমানের।
এমতাবস্থায় উল্লেখিত অনিয়মের জন্য প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম আগামী ০১ (এক) মাসের জন্য স্থগিত করা হলো এবং অনিয়মসমূহ সংশোধনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। পরবর্তীতে পরিদর্শন কমিটির সন্তোষজনক রিপোর্ট প্রদান সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটি চালু করার অনুমতি প্রদান করা যেতে পারে।
মন্তব্য করুন


শাহানাজ পারভিন চৌধুরী
পরিচালক, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ
আজ ২১ মার্চ। বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস।পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও ভালোবাসার একটি শব্দ হচ্ছে মা। মায়ের কাছে একটি সন্তান যেমন তার জগৎ তেমনি সন্তানের কাছে তার মা-ই সব। আর এজন্য মা এবং সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটি সবচেয়ে মধুর ও মমতাময়। একটি সন্তান যখন ঠিক মতো খেতে পারে না কথা বলতে পারে না এমন কি নিজের কাজ নিজেও করতে পারে না তখন তাকে আগলে রাখেন মা। তার পরম মমতার চাদরের উষ্ণতায় তাকে বড় করে তোলে। সন্তানের সব আবদার মা হাসি মুখে মেনে নেয়। সেই ভালোবাসা মাখা মা ডাক মায়ের কাছে যেন মধুর থেকেও মধুর হয়ে যায়। এই ভাবেই মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক সুন্দর আর ভালোবাসা পূর্ণ হয়ে ওঠে। ডাউন সিনড্রোম শিশুরা সময়ের সাথে সাথে বয়সে বড় হলেও তাদের হৃদয় থাকে শিশুদের মতো কোমল। ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিরা মা-বাবা,আত্মীয়-স্বজন,প্রতিবেশী সকলের কাছ থেকে সব সময় শুধু একটা জিনিস ই চায় আর তা হলো - ভালোবাসা ।
প্রতি বছরের মতো ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ- দেশব্যাপী ডাউন সিনড্রোম কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে যথাযথ মর্যাদায় এ বিশেষ দিবসটি উদযাপন করছে। এ বছর জাতীয়ভাবে ১১তম ও আন্তর্জাতিকভাবে ১৯তম বারের মতো বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসটি পালিত হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘ সারাবিশ্বে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসটি উদযাপন করে আসছে। এরই মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিরা সমাজে তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে একীভূত সমাজ গঠনে কার্যকরী অবদান রাখবে বলে আশা রাখি।
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাকে প্রায়শই মায়েদের কাছ থেকে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তা হলো- ‘আপা, আমি আমার ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর যত্ন কিভাবে করবো? এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমার আজকে এই প্রবন্ধটি লেখা। যাতে করে মায়েরা তাদের শিশুকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেন।
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর যত্নে পিতামাতার ভূমিকা মুখ্য। কারণ শিশু স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তুলনায় বাবা-মার সাথেই বেশি সময় অতিবাহিত করে থাকে।
আমি আমার সন্তান রাফানকে যেভাবে গড়ে তুলেছি তাই আজকে আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো। নিম্নে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুকে বাবা-মা কিভাবে লালনপালন করবে তার একটি বয়সভিত্তিক সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করা হলো। উপস্থাপনাটি কোন গবেষণা বা প্রমিত মানদন্ডের ভিত্তিতে প্রণীত হয়নি। তাই এটি স্থান, কাল, পাত্রভেদে পরিবর্তিত হতে পারে।
৬-১২ সপ্তাহ
কিছুর প্রয়োজন হলে কান্না করা, শিশুর মাথা স্থির রাখা ও কোন জিনিসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা এই বয়সে শিশুর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের বিকাশ অন্যদের থেকে তুলনামূলক দেরিতে হওয়ায় মা-বাবাকে অল্প বয়স থেকেই ঘাড়, মেরুদণ্ড, শরীরের পেশীসমূহে দিনে দুইবার করে ম্যাসাজ করতে হবে। শিশুর সামনে ঝুনঝুনি বা হালকা রকমারি আলোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যাতে করে তার দৃষ্টির স্থিরতা আসে।
৩ মাস
বিভিন্ন ধরণের কু-ধ্বনি উচ্চারণ করা, মাকে চিনতে পারা, তার গলার আওয়াজ শুনে খোঁজা ও কিছুক্ষণ মাথা সোজা রাখা এই বয়সে সাধারণ শিশুদের বৈশিষ্ট্য। সেক্ষেত্রে মা শিশুকে কোলে নিয়ে আধবোলে কথা বলা, তালি বা শব্দের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা ও নিয়মিত পেশীর ম্যাসাজ- এই বয়সে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে নিয়মিত করতে হবে।
৬ মাস
আধবুলি (বা…বা, দাদা….দা, মা…মা, মা…ম) করা, আশেপাশের শব্দে মাথা ঘোরানো, ঠেকা দিয়ে অল্প সময়ের জন্য বসা, চিত ও উপুড় হতে পারা এই সময়ের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। এই সময়ে বাবা-মা শিশুকে নরম বালিশে শোয়ানো ও নরম কিছু দিয়ে ঠেকা দেওয়ার মাধ্যমে বসানোর চেষ্টা করতে পারে।
৯ মাস
কিছু না ধরে বসা ও হামাগুড়ি দেওয়া এই বয়সে শিশুর মধ্যে না দেখলে বাবা-মা শিশুর চারপাশে বালিশ দিয়ে বসানোর চেষ্টা করবে এবং নিয়মিত পেশীর ম্যাসাজ করাবে।
১২ মাস
সব শেষ/আরো দাও বলতে পারে, দাঁড়ানোর চেষ্টা করা এবং আসবাবপত্র ধরে হাঁটা এই বয়স থেকেই একজন সাধারণ শিশু শুরু করে। কিন্তু এই বৈশিষ্ট্যগুলো একজন ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর মধ্যে না দেখা দিলে শিশুকে একটি ওয়াকার কিনে দিতে হবে এবং সাথে সাথে পেশীর ব্যায়ামগুলো চলমান রাখতে হবে।
১৮ মাস
কুকুরকে কুকুল, দুই শব্দে কথা বলা, গ্লাস ধরে পানি পান করা এবং হাঁটা এ বয়সের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর বিকাশ ধীরে হয়। তাই বাবা-মা শিশু কিছু না ধরতে পারলে শিশুর আঙ্গুল ও কব্জির সংযোগস্থলে নিয়মিত দুইবেলা ম্যাসাজ করবে এবং ওয়াকারের মাধ্যমে হাঁটানোর চেষ্টা করাতে হবে। এই বয়সেও সে এক শব্দের কথা না বললে, মা শিশুকে নিয়ে আয়নার সামনে বসে ধীর লয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করবে।
২ বছর
সীমিত বহুবচনের ব্যবহার, কি/কোথায় জাতীয় প্রশ্ন ও এ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, দৌঁড়াতে পারা, কিছু চাওয়া, পায়জামা ধরণের জামাকাপড় খুলে ফেলা এই বৈশিষ্ট্যগুলো দুই বছর বয়সে স্বাভাবিক। অন্যথায় বাবা-মা শিশুকে কোন কিছুতে দড়ি বেঁধে দিয়ে বা আসবাবপত্র ধরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করাতে হবে এবং ধীরেধীরে হাঁটানোর চেষ্টা করাতে হবে।
৩ বছর
প্রায় ৮০০০ শব্দ বলতে পারে, স্মৃতি হতে ৫ পর্যন্ত সংখ্যা, মৌলিক রংয়ের নাম, ক্রিয়ার অতীতকালের রূপ, তিন শব্দ বিশিষ্ট বাক্য যেমন, আমি ভাত খাই, বাবা কই যাও?, হাত তুলে কাঁধের উপর থেকে কিছু ছোঁড়া, কিছু সরিয়ে রাখা এই বয়সের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হলেও ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে তিন বছর বয়সে এই বৈশিষ্ট্যগুলো নাও পরিলক্ষিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাবা-মা পরিচিত জিনিসপত্রের নাম বলা, শিশু যে শব্দগুলো বলে তা পুনরাবৃত্তি করা, বিভিন্ন রংয়ের সাথে পরিচয় করানোর চেষ্টা করতে হবে।
৪ বছর
নিজের নাম ও বয়স বলা, বস্তুর ব্যবহার সম্পর্কে জানা, সাইকেলে প্যাডেলিং করা, বই বা ম্যাগাজিন দেখে ছবির নাম বলা এই বয়সে শিশুদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। সেক্ষেত্রে বাবা-মা উক্ত ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু যদি এগুলো না করতে পারে তাহলে তাকে নিয়মিত বিভিন্ন রঙিন বই বা ছবিযুক্ত ম্যাগাজিন নিয়ে নিয়ম করে সকাল ও সন্ধ্যা দুইবেলা পড়ার টেবিলে বসাতে হবে। এর মাধ্যমে শিশুর যেমন বসার অভ্যাস তৈরি হবে তেমনি সে পড়ালেখার প্রতিও আগ্রহী হবে। এছাড়া বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালা শিশুকে লিখানোর চেষ্টা করাতে হবে এবং ধীরে ধীরে তাকে প্রি-স্কুলিংয়ের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
৫ বছর
১৫০০-২০০০ শব্দ বলতে পারা, শব্দের অনিয়মিত বহুবচনের ব্যবহার, বিভিন্ন জটিল বাক্য যেমন, আমরা নানা বাড়িতে এত সুন্দর ঘুরেছি যে খুব মজা হয়েছিলো, জামাকাপড়ের বোতাম লাগানো, কয়েকটি রংয়ের নাম বলা, সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারা, পা ফাঁকা করে লাফানো পাঁচ বছর বয়সী শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের ধাপ।
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান
রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ
বিকেল ৫টায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং মঙ্গলবার
জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক
দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন।
বৈঠকে অংশ নেবে এবি পার্টি, নাগরিক
ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট
এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন