

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে
বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় উপস্থিত হন দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের
নেতারা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল
কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর। আর স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে আছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার
জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম
খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমির খসরু মাহমুদ
চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এলডিপির
চেয়ারম্যান অলি আহমদ সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানান তিনি।
বিএনপির নেতারা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার
জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন বেগম খালেদা জিয়া।
তাই তার আগে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। সাক্ষাতের সময়ে দেশের
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী দিনের বিএনপির করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া কয়েকদিন
আগে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধান সাক্ষাৎ করে গেছেন। এই বিষয়ে নেতাদের সঙ্গে
আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া তিনি কত মাস পর আবার দেশে ফিরবেন সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়, কারণ
তিনি বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছেন, ফলে তারা যাত্রা দীর্ঘ হবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে সবার
কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার বিষয় রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন,
এটা মূলত ম্যাডাম চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগে আমাদের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ। সবকিছু
ঠিক থাকলে আগামী ৭ জানুয়ারি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে। ‘এটা তো
স্বাভাবিক বিষয়, ম্যাডামের সাক্ষাতে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হবেই।
মন্তব্য করুন


ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চার দিনব্যাপী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত চারদিনের সম্মেলনে দুই দেশ সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। অপর দিকে বিএসএফের মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশসহ হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি জোর আহ্বান জানান। এ ছাড়া আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে সীমান্তে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সম্মেলনে যেসব বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ একমত হয়েছে, সেগুলো হলো—
১. সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, হত্যা, আহত বা মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বৃদ্ধি, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে, এমন তাৎক্ষণিক এবং আগাম গোয়েন্দা তথ্য একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের আর্থসামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং সীমান্তে যেকোনো হত্যা সংঘটিত হলে তার যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২. আলোচনায় সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা, কাঁটাতারের বেড়া, প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয়, এমন কোনো স্থাপনা বা বাংকার নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শক দলের পরিদর্শন এবং যৌথ আলোচনার দলিলের ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে যথোপযুক্ত পর্যায়ে জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের (যৌথ যাচাই) মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে।
৩. বিভিন্ন ধরনের আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন, বিশেষ করে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও গবাদিপশু পাচার রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট প্রভৃতি চোরাচালান রোধ এবং এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করা হবে।
৪. আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিক ও বাহিনীর সদস্যদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের ফলে সৃষ্ট ভুল–বোঝাবুঝি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে উভয় বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
৫. মানব পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, বিশেষ করে মানব পাচারের মতো অমানবিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত উভয় দেশের অপরাধী বা দালালচক্রের কার্যক্রম প্রতিরোধে পরস্পরকে সহায়তা এবং মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত দেশের আইন অনুযায়ী উদ্ধার ও পুনর্বাসন করা হবে।
৬. উভয় পক্ষ ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার’ আওতায় পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। উভয় পক্ষ আগামী দিনে যৌথ খেলাধুলা, জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
৭. এ ছাড়া আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী চারটি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন, জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ, আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান এবং তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে একটি
প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর যেসব এসপি ও ইউনিট প্রধানরা বিপিএম-পিপিএম পদক পেয়েছিল তাও বাতিল করা হয়েছে।
এই
একই
কারণে এর আগে ওএসডি করা হয় ১২ ডিসিকে।
ওএসডি করা কর্মকর্তাদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
মন্তব্য করুন


মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মির চলমান সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তে। সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় এখনো আতঙ্ক কাটেনি। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দীর্ঘ সময় ধরে গোলাগুলি চলাকালে ছোড়া কিছু গুলি বাংলাদেশের অংশে এসে বসতবাড়িতে আঘাত হানে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা রাতভর আতঙ্কে সময় কাটান। একদিন পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি; রাতের বেলায় গুলির শব্দ শোনায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ শহর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চল প্রায় দুই বছর ধরে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতাও রয়েছে। এর ফলে মাঝেমধ্যেই কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। অনেক সময় সংঘর্ষের গুলি এপারে এসে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে।টেকনাফের এক জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলী জানান, শনিবার টানা গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে এলাকার ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে বহু পরিবার শিশুদের নিয়ে ঘরের ভেতর নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। ভয়ের কারণে সারা রাত অনেকেই ঘুমাতে পারেননি। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে মাছ ধরতেও যেতে পারেননি তিনি।হোয়াইক্যং বালুখালির বাসিন্দা সরওয়ার আলম বলেন, শনিবারের গোলাগুলির সময় একটি গুলি তার বাড়িতে এসে পড়ায় পরিবারের সবাই চরম আতঙ্কে পড়েন। এখনও যেকোনো মুহূর্তে আবার গুলি আসতে পারে—এমন আশঙ্কা কাজ করছে বলে তিনি জানান। মধ্যরাতেও কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে।এ বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমার অংশে শনিবার ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একদিন পার হলেও ভীতি পুরোপুরি কাটেনি। রোববার মধ্যরাতে আবার গুলির শব্দ ভেসে আসায় স্থানীয়রা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। তবে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, নাফ নদীসংলগ্ন এলাকায় ভয়ের কারণে মানুষ চিংড়িঘের, কৃষিজমি কিংবা নদীতে যেতে পারছেন না। কয়েকটি বসতবাড়িতে গুলি লেগে টিনের চাল ফুটো হয়েছে এবং তাজা গুলির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। অধিকাংশ গুলি চাষের জমি ও ঘেরে গিয়ে পড়ে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইনামুল হাফিজ নাদিম জানান, সীমান্তে গোলাগুলির বিষয়টি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন


জাতীয় নির্বাচন ইভিএম এ নয়, ব্যালটে
হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। এছাড়া কমিশন
যেকোনো সময় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছেন সিইসি।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির
উদ্দীন বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা প্রথম দিন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময়সীমার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন
পরিচালনার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেই প্রাধান্য
দিচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা
আসেনি।
ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে
বিদ্যমান ভোটার তালিকায় অনেক অসংগতি রয়েছে। দুই মাসের মধ্যে সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার
তালিকা তৈরি করা হবে। নতুন তালিকা তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, অনুপস্থিত বা বিদেশে থাকা ভোটারদের তথ্য যাচাই
এবং ডুপ্লিকেট ভোটার শনাক্ত করে তালিকা সংশোধনের কাজ করা হবে।
রোডম্যাপ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, প্রধান
উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা
করা হবে না, তবে নির্বাচন কমিশনের কাজের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা থাকবেই।
মন্তব্য করুন


ইনকিলাব
মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী শহীদ ওসমান হাদি হত্যা মামলার বিচার ৯০ দিনের
মধ্যে সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
সোমবার
(২২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘শহীদ
শরীফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল
আইন, ২০০২ এর ১০ ধারা অনুযায়ী পুলিশ রিপোর্ট আসার পর সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে বিচার
সম্পন্ন করা হবে’।
এর
আগে, শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল
গঠনের দাবি জানায় ইনকিলাব মঞ্চ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ
আল জাবের।
জাবের
বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য একটি দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। প্রয়োজনে
আন্তর্জাতিক পেশাদার তদন্ত সংস্থার সহায়তা নিতে হবে। কোনো তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’
নয়-আমরা চাই প্রকাশ্য বিচার।
মন্তব্য করুন


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার একতারপুর গ্রাম থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী একতারপুর গ্রামের মৃত রেজাউল ইসলামের ছেলে রাজন বিশ্বাস (২৮)।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু আজিফ বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার একতারপুর গ্রামের এক নারী রাজনের নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করে।
এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। তার নামে থানায় নাশকতা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু আজিফ বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘পুরোনো ব্যবস্থার রাজনীতি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হবে”। যেই রাজনীতি হবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, খুনের বিরুদ্ধে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে, মামলাবাজদের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি-অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত যুব ম্যারাথন কর্মসূচির উদ্বোধনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, তারুণ্যের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মান না হওয়া পর্যন্ত ম্যারাথন চলবেই। যত বাঁধা, ভয়ভীতি আসুক আমরা থেমে যাবো না। আমরা জাতির স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আগামীর নির্বাচনে কোনো ধরনের কারিগরি ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো আনুকূল্য চাই না কিন্তু কমিশন যদি কারো প্রতি আনুকূল্য দেখায় তবে সেটি বরদাস্ত করা হবে না। কালো টাকায় কেউ মানুষকে কেনার চেষ্টা করলে মানুষ মুখে ছাঁই মেরে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জাতিকে কেউ কালো টাকায় কিনতে পারবে না।
আমীরে জামায়াত বলেন, পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের ওপর অবিচার করার কারণে, বৈষম্যের সৃষ্টি করায় মানুষ ফুঁসে উঠেছিল। যারা ৭০ এর নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিল তারা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বৈষম্যহীন শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর তারা ক্ষমতায় বসে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিল। তারা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। রক্ষী বাহিনী গঠন করে যখন যাকে ইচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছিল, মা-বোনদের ইজ্জত লুন্ঠন করা হয়েছিল। বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে পরিবারতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের ছেলেরা ব্যাংক ডাকাতি করেছিল। বিদেশী দাতা সংস্থাদের দান করা খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ লুট করা হয়েছিল। তাদের সাড়ে চার বছরের দুঃশাসন মানুষকে বিদ্রোহী করে তুলেছিল। কে তাদেরকে হত্যা করেছিল?- একাত্তরের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় বীরদের হাতেই তারা হত্যার শিকার হয়েছিল। কেন হত্যার শিকার হয়েছে সেই উত্তর আওয়ামী লীগকেই খুঁজতে হবে। ৭২ এর ১০ জানুয়ারী, ৯৬ এর ১০ জানুয়ারী, ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারী তারা তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। ৯৬ সালে তারা ক্ষমতায় আসার আগে অতীতে তাদের দল যেই খুন করেছে, জুলুম করেছে তা স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। জনগণ সরল বিশ্বাসে তাদেরকে ক্ষমতায় বসানোর পর তারা আবার নিজের রূপে ফিরে আসে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চট্রগ্রামে গিয়ে ঘোষণা দিয়েছিল তার দলের একজন মারা গেলে ১০ জনকে হত্যা করা হবে। একজন প্রধানমন্ত্রী কতটা দায়িত্ব জ্ঞানহীন হলে এমনটা বলতে পারে। সেই সময় তারা মানুষকে হত্যা করে খালে-বিলে লাশ ফেলেছে।
পরবর্তীতে তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন মোড়ে মানুষকে সাপের মতো পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় হত্যার পর তারা লাশের উপর নৃত্য করেছিল। যেই দৃশ্য দেখে পুরো বিশ্ব ব্যথিত হয়েছে। ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে তারা প্রথমেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। একে একে তারা জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছিল। শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে এদেশের আলেম-ওলামাদের হত্যা করেছিল। তাদের শাসনামলের ১৫ বছরে এমন কোনো জনপদ নেই যেখানে আওয়ামী লীগের জুলুম থেকে মানুষ রক্ষা পেয়েছে। যার কারণে জুলাই আন্দোলনে তাদের বিরুদ্ধে পুরো দেশবাসী ফুঁসে উঠেছিল। তারা জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। এখন তারা পলাতক থেকেই চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। তাদের টার্গেট এখন এদেশের তরুণ ও বিপ্লবীরা। সেই টার্গেটের অংশ হিসেবে তারা জুলাইয়ের অন্যতম শীর্ষ নেতা ওসমান হাদীকে হত্যা চেষ্টা করেছে। ওসমান হাদীর কিছু হলে বিপ্লবীরা বসে থাকবে না। আওয়ামী লীগ ভেবেছে ওসমান হাদীকে শেষ করতে পারলে কিংবা কয়েকজন বিপ্লবীকে শেষ করতে পারলে তারা সফল হবে কিন্তু না! বিপ্লবীর সংখ্যা তারা কমাতে পারবে না। বরং ক্রমেই বিপ্লবী তরুণদের সংখ্যা বাড়বে। তরুণরা আওয়ামী লীগের সকল অপশক্তি রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আমীরে জামায়াত, উপস্থিত যুব সমাজকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ম্যারাথন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘‘রাজপথে বিজয়ে, চলো এক সাথে বাংলাদেশ গড়ি’’- স্লোগানে জামায়াতে ইসলামী সকলকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে প্রস্তুত। আজকের এই যুব ম্যারাথন অতীতের বস্তা পঁচা রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ধারার রাজনীতির বার্তা দেয়। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা যেই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম সেই বাংলাদেশে মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি। ৭১ এর চেতনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণেই চব্বিশে নতুন চেতনায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জুলাই বিপ্লব অর্জিত হয়েছে। জুলাই চেতনার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবেই, হবে। বুলেট-বোমাকে ভয় না করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ যুব সমাজকে দৃঢ় শপথ নিতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেনের পরিচালনায় যুব ম্যারাথন কর্মসূচির উদ্বোধনী সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক প্রমুখ। এসময় কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী সভা শেষে, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে যুব ম্যারাথন উদ্বোধন করেন। যুব ম্যারাথনে অর্ধ লাখ তরুণ যুবক অংশগ্রহন করেন। ম্যারাথনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু করে শাহবাগ-সাইন্সল্যাব হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। অবকাঠামো ও শিল্প থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে তাদের সেবা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা আমাদের আধুনিক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি বৃহত্তর পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে আইডিইবি এই দক্ষ কর্মীবাহিনীকে লালন-পালন, কারিগরি শিক্ষার প্রচার এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছে। গণপ্রকৌশল দিবস-২০২৫ ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আইডিইবি প্রতিবছর ৮ নভেম্বর গণপ্রকৌশল দিবস পালন করে থাকে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘দক্ষ জনশক্তি-দেশ গঠনের মূল ভিত্তি’।
প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, একটি জাতির প্রকৃত শক্তি কেবল তার প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যেই নয়, বরং তার জনগণের জ্ঞান, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার মধ্যেও নিহিত। অব্যাহত প্রতিশ্রুতি, পেশাদারিত্ব এবং উদ্ভাবনের চেতনার মাধ্যমে আইডিইবি’র সদস্যরা আমাদের জাতি গঠনের প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকবেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং আমাদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অবদান রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রধান উপদেষ্টা ‘গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের
টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভি, যমুনা টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলের
সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে ভারত
সরকারের অনুরোধের পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে ইউটিউব।
আজ
শুক্রবার (৯ মে) এই চার চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছে তথ্যব্যবস্থায়
প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ
ডিসমিসল্যাব।
ডিসমিসল্যাবের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, যমুনা টিভি এবং মোহনা টিভির ইউটিউব
চ্যানেল ভারতের দর্শকেরা দেখতে পারবেন না। ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এই চ্যানেলগুলোতে
প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা সামনে আসে। তাতে বলা হয়, এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই
দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের
আওতায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন