মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
শিক্ষকতা শেষে গাড়িতে চড়ে অবসরে গেলেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নরেশ চন্দ্র সাহা। প্রিয় শিক্ষকের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দিয়েছেন রাজকীয় সংবর্ধনা। বৃহস্পতিবার ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বিদায় ও সংবর্ধনা শেষে বিকেলে গাড়িতে চড়ে শাহরাস্তি উপজেলার উপলতা গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌঁছান এ শিক্ষক। এসময় স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গাড়ির পিছনে মোটরসাইকেল নিয়ে শিক্ষককে বাড়িতে পৌঁছে দেন। একই দিনে ওই বিদ্যালয়ের কর্মচারী শোভা রানীকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। পরে বিদায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীকে উপহারস্বরূপ পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দান করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর পর সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করেন। অবসরজনিত কারণে চলতি বছরের ১৮ জুন শিক্ষকতা জীবনের সমাপ্ত ঘটে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, তিনি অনেক ভালো ও উদার মনের মানুষ। শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ প্রিয় ছিলেন। কখনো রাগ বা ক্ষোভ দেখিনি। পিতার মতো শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছেন। আমাদের কর্ম জীবনে এমন শিক্ষক পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তিনি এতো উদার মনের মানুষ, কোনো শিক্ষকের বিপদ হলে সঙ্গে সঙ্গে যেতেন এবং খোঁজ খবর নিতেন। স্যার অবসর জনিত কারণে বিদায় নিয়েছেন। এটি সবাইকে মানতেই হবে। আমরা স্যারের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করছি।
ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক ফজলুর রহমান ও সেলিম হোসেনের যৌথ পরিচালনায় বিদায় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার, বিদায়ী শিক্ষক নরেশ চন্দ্র সাহা,পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম,সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম,সাধারন সম্পাদক এমদাদ উল্যাহ,বিশিষ্ট সমাজসেবক রুহুল আমিন চৌধুরী,আব্দুল্লাহ আল মামুন,সহকারী শিক্ষক মানিক সরকার,আব্দুল মবিন মজুমদার,মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ। এসময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও বিদায়ী শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রফুল্ল রাখতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের নৃত্য পরিবেশ করেন। পরে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আজ
বুধবার (৪ জুন) কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার
সদর ঝাউতলা এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এই
সময় জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট পাওয়া যাওয়ায় উক্ত অনুষ্ঠানকে
২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং SPICY
BURG ফাস্টফুডে তেলাপোকা ও ছাড়পোকা পাওয়া যায় ফলে এই প্রতিষ্ঠানকে ৫,০০০ টাকাসহ মোট ৩০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি
অনুযায়ী রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভোক্তাদের স্বার্থে
এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা।
অভিযান
পরিচালনা করেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো:
কাউছার মিয়া। উক্ত অভিযানে সহযোগিতা করেন অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা
পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
নগরীর কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ তিনজনকে
গ্রেফতার করেছে।
আজ
মঙ্গলবার ( ৮ এপ্রিল) পুলিশের বিশেষ অভিযানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা
হলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা গ্রামের শাফায়াত (২৭), নগরী কাপ্তান বাজার এলাকার
মো. জিহাদ (২১), নগরী শাসনগাছা এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে আসলাম (২১)।
এর
আগে গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে একটি
বিক্ষোভ মিছিল থেকে নগরীর রাণীর বাজার এলাকায় অবস্থিত কেএফসিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় বিক্ষোভকারীরা ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে রেস্টুরেন্টের কাঁচ ভাঙচুর করে এবং নিচ
থেকে ইট-পাটকেল ছুড়ে ক্ষতি করে।
কুমিল্লা
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর কুমিল্লা
নগরীতে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার
বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা তিনজনকে আটক করেছি। বাকিদের আটক করতে বিশেষ
অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছে খুলনা। আগে ব্যাট করে
লড়াই করার মতো পুঁজি
পেয়েছে বিজয়বাহিনী। আসরের
শুরুটা ভালোই ছিল খুলনা টাইগার্সের।
কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি
খুলনা টাইগার্স।
২০২৪
বিপিএলের ৩২তম ম্যাচে আজ
৮ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সামনে ১৬৫ রানের লক্ষ্য
ছুড়ে দিয়েছে খুলনা টাইগার্স। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন
দলটির ক্যারিবীয় মিডল অর্ডার ব্যাটার
এভিন লুইস। শেষদিকে ১১ বলে ২০
রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন
দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ওয়েইন পারনেল।
চট্টগ্রামের
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস আগে ব্যাট
করতে নামে খুলনা। ২
ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও আফিফ
হোসেন মিলে ৩২ রানের
জুটি গড়েন। হেলস ১৭ বলে
২২ রান করে বিদায়
নেন। তুলনায় আফিফ রান তোলেন
ধীরে। ৩৩ বলে ২৯
রানের ইনিংস খেলেন তিনি। হেলস বোল্ড হয়ে
ফেরেন ম্যাথু ফোর্ডের বলে। তারপর
অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ১৩
বলে ১৮ রান করে
মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বিদায় নেন।
আর আফিফ ফেরেন তরুণ
স্পিনার আলিস ইসলামের ঘূর্ণিতে
পরাস্ত হয়ে। দলীয় ৭৩
রানে ৩ উইকেট হারালেও
বিপদে পড়েনি খুলনা। কারণ হাল ধরেন
লুইস ও জয়। ২জনের
জুটিতে আসে ৫৭ রান।
ফেরেন ১৯ বলে ২৮
রান করে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়ার পালাখাল রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যাণ সংস্থার ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিগত করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা এবং রক্তদানে ভূমিকা রাখায় ৫৫জন সংগঠনের দায়িত্বশীল এবং গুনীজনকে সংবর্ধনা,গরীব দু:স্থ পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন,মাদ্রাসায় কোরআন শরীফ ও টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি আশরাফুল আলম রিজন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও কচুয়া উপজেলা পরিবারের টিম মেম্বার সাইফুল ইসলাম রনির পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিআরবি কেবলসের ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম রনি।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ এমরান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইকবাল উদ্দিন আহমেদ মিঠু,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন,শ্রীবাস সাহা,ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদ,শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেন্ট কালেক্টর ইনচার্জ সাজেদুল হাসান কামাল,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম,বাংলাদেশ স্কাউট কুমিল্লা অঞ্চলের সহকারী লিডার ট্রেইনার একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন সুমন প্রমুখ। পরে গুনী ব্যক্তিদের মাঝে সন্মননা ক্রেষ্ট ও অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন,টিউব ওয়েল ও পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় সংগঠনের সাধারন সম্পাদক অজিত সাহা,আবু সুফিয়ান সহ রেড রিলেশন সংগঠনের সদস্য ও জেলার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
২১ মার্চ রাতেকুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কাপ্তানবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ আজগর আলী (৩০), ২। মোঃ নাঈম হোসেন হৃদয় (২৬) এবং ৩। শেখ মোঃ মেহতাব দ্বীন (৪৮) নামক ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ আজগর আলী (৩০) গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর থানার জানবাগ গ্রামের আব্দুল গফুর মোল্লা এর ছেলে, ২। মোঃ নাঈম হোসেন @ হৃদয় (২৬) একই জেলার কাশিয়ানী থানার পদ্মবিলা গ্রামের মোঃ আতর আলী এর ছেলে এবং ৩। শেখ মোঃ মেহতাব দ্বীন (৪৮) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী জেলার কুমারখালী গ্রামের শেখ মোঃ নাছির উদ্দিন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ আজগর আলী এর বিরুদ্ধে পূর্বে বিভিন্ন থানায় ৮ টি মাদক মামলা সহ মোট ৯ টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কাপ্তানবাজার এলাকা হতে ১৬ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৯ নভেম্বর বুধবার বিকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কাপ্তানবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ১৬ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলোঃ কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার দেউষ গ্রামের মোঃ রওশন আলী এর ছেলে মোঃ বাদরুদ্দোজা (৫০)।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি বুধবার (২ অক্টোবর) ১১ পদাতিক ডিভিশন ও বগুড়া এরিয়া পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং তাঁর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
অতঃপর তিনি আর্মি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বগুড়া এর নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে তিনি সকল পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন।
এসময় তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের শুরুতেই শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, দেশমাতৃকার সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাঁর জন্য গর্বিত। এরপর সকলের উদ্দেশ্যে দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি তিনি বগুড়া সেনানিবাসে আয়োজিত সেনাবাহিনী ফুটবল প্রতিযোগিতা- ২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়া, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, সেনাসদর ও বগুড়া এরিয়ার উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ, অন্যান্য অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার এবং অন্যান্য পদবির সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৪ এ বিভিন্ন সেনা অঞ্চলের মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় ২৪ পদাতিক ডিভিশন দল চ্যাম্পিয়ন এবং ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড দল রানার-আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলায় ২৪ পদাতিক ডিভিশন দল ৪-০ গোলে ৪৬ পদাতিক ব্রিগেড দলকে পরাজিত করে। উক্ত প্রতিযোগিতা গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে শুরু হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি ও মাদক নির্মূলে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিরর লক্ষে মতবিনিময় করেছেন কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দোয়াটি মবিন মার্কেট এলাকায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে এ মতবনিমিয় সভা করা হয়। এসময় কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কে চুরি,ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাস্তার দু’পাশের আগাছা পরিস্কার,মাদক প্রতিরোধে নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন প্রধানের পরিচালনায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এম আব্দুল হালিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন স্বপন,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস,ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ,বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল মবিন,মাহবুব আলম প্রমুখ। এসময় কচুয়া থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন,মোশাররফ হোসেন,বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দেখিয়ে প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।
ডিবিপ্রধান আরো বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি গত দু-তিন বছর ধরে এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো।
গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠকর্মী, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্ট ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব-এজেন্ট এবং চক্রের মূলহোতা হিসেবে ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর মামলা করেন এক ভুক্তভোগী । মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারও চাকরি দিতে পারেনি। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।
তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
অভিনব কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ৬২ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১,সিপিসি-২।
গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন দেবিপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে মিনি পিকআপ ভ্যানের বডির ভিতরে গোপন প্রকোষ্ঠ বানিয়ে মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী মোঃ শাকিল হোসেন নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৬২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ শাকিল হোসেন (২৬) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার একবালিয়া (সর্দারবাড়ী)
গ্রামের মোঃ বিল্লাল হোসেন এর ছেলে।
র্যাব
জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মিনি পিকআপ কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক
দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের
নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে
তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১
এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের
মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন