

রাজশাহীর
তানোরে নলকূপে পড়ে দুই বছর বয়সী শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে শিশু সাজিদের
পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ অরক্ষিত নলকূপ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার
দাবি জানানো হয়েছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো.
মনিরুল ইসলাম মিয়া নোটিশটি পাঠান।
লিগ্যাল
নোটিশে বলা হয়েছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় শত শত পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত
নলকূপ জনসাধারণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
সম্প্রতি
রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্ব পাড়া গ্রামে একটি পরিত্যক্ত নলকূপে পড়ে শিশু
সাজিদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক
উদাসীনতার স্পষ্ট প্রমাণ।
নোটিশে
সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
এনে ১৫ দিনের মধ্যে একাধিক নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
সব পরিত্যক্ত নলকূপ চিহ্নিত করে জরিপ, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে সিল/ভরাট বা স্থায়ীভাবে বন্ধকরণ,
অবৈধ নলকূপ খননে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা, নিরাপদ নলকূপ ব্যবস্থাপনায় মানসম্মত
কার্যপ্রণালি (SOP) প্রণয়ন, অননুমোদিত নলকূপ স্থাপনা রোধে কঠোর নজরদারি এবং দায়িত্বে
অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন
না হলে বিষয়টি জনস্বার্থ মামলা (PIL) হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়ের করা হবে বলেও জানানো
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার
আজ বুধবার (২৫ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাৎ বাংলাদেশে তাঁর চার বছরের কূটনৈতিক
কর্মজীবনের শেষ কার্যক্রম।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত
ট্রস্টারকে তাঁর দায়িত্ব সফলভাবে শেষ করার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ-জার্মানি
সম্পর্ক জোরদারে তাঁর অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, জার্মানি আমাদের উন্নয়ন যাত্রার নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার বাংলাদেশে তাঁর
সময়কাল সম্পর্কে আবেগভরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমার কর্মজীবনে অনেক আকর্ষণীয়
পোস্টিং ছিল, তবে বাংলাদেশ সত্যিই অনন্য। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তা ছিল অভূতপূর্ব,
আমি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “বিনিয়োগ সম্মেলন ছিল
একটি ভালো উদ্যোগ। আমি বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানাই এবং আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া সফল হবে। পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে বলেও আমি আশাবাদী।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জার্মানির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইউরোপে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ
বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে জার্মানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশটি যে অব্যাহত
উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়।
তিনি বিশেষভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য জার্মানির
মানবিক সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, “সংকটময় মুহূর্তে
বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আপনার দেশের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
আরও বলেন, আপনার বিদায়ের পরও আমরা আপনার মতামত শুনতে চাই ু তা ইতিবাচক হোক অথবা সমালোচনামূলক। কারণ আপনার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের কাছে
গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাকে বাংলাদেশের একজন সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করি।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম
ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন।
মন্তব্য করুন


আসন্ন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীরা দেশের ভোটারদের চেয়ে ২০ দিন আগে
ভোট দেবেন এবং ভোট দিয়ে ব্যালট ফেরত পাঠাতে হবে অন্তত ১৭ দিন আগে।
আজ
সোমবার (১০ নভেম্বর ) নির্বাচন ভবনে অনলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন
কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। এ সময় নির্বাচন
ভবনে ইসি সচিব ও জাতীয় পরিচয়
নিবন্ধন অনুবিভাগে মহাপরিচালকও উপস্থিত ছিলেন।
আবুল
ফজল মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, কোনো পরীক্ষা ছাড়া প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট নিতে যাচ্ছে ইসি। এটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি
বলেন, ১৮ নভেম্বর পোস্টাল
ব্যালটে ভোটদানের জন্য অ্যাপ চালু হবে। এরপর অনলাইনে যে ফর্মটা পাওয়া
যাবে সেটা ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে প্রার্থীর তালিকা হয়ে যাবে। এরপর ভোট দিয়ে নিকটস্থ পোস্ট বক্সে ড্রপ করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের অন্তত ১৭ দিন আগে
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়ে তা পাঠিয়ে দিতে
হবে। না হলে নির্বাচনের
পরে ভোট পৌঁছাতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোটটি নেওয়া যাবে না। ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে হবে।
আগামী
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করায় লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে কমিশন।
মন্তব্য করুন


নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন


আসন্ন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে প্রচারণা চালাতে পারবেন না জামায়াতের কোনো
প্রার্থী। দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর
দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব দাঁড়িপাল্লার প্রচারণায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
আজ
সোমবার (২৪ নভেম্বর ) গণমাধ্যমে
পাঠানো এক বার্তায় এ
কথা জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মন্তব্য করুন


আজ (২৭ নভেম্বর) নৌপরিবহন এবং শ্রম
ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে ঢাকায়
নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশীদ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতকালে তারা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য
সম্পর্কের পাশাপাশি পর্যটন প্রসারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তারা মালদ্বীপের
সাথে বাংলাদেশের শিগগিরই জাহাজ চলাচল শুরু করার ব্যাপারে একমত হন।
সাক্ষাতকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন উপস্থিত
ছিলেন।
নৌ-উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে পরিবেশবান্ধব
পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানী করতে মালদ্বীপকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, মালদ্বীপের সাথে বাংলাদেশের
সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু হলে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে।
মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশীদ
বলেন, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করা
হবে। মালদ্বীপের ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক। উভয় দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ
আরো বৃদ্ধি করতে সরাসরি জাহাজ চলাচল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কন্টেইনার,
সাধারণ যাত্রী বা মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি সমুদ্রপথে উভয় দেশের মধ্যে ক্রুজ সার্ভিস
চালু করার ব্যাপারেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে উভয় দেশের পর্যটন বিকশিত হবে
বলেও হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াৎ বাংলাদেশের মেরিন
একাডেমিগুলোতে প্রশিক্ষণের জন্য মালদ্বীপ থেকে ক্যাডেট প্রেরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন,
বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে মেরিন বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। মালদ্বীপের নিয়মিত ক্যাডেটরা এখান থেকে
উন্নতমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে।
শিউনিন রশীদ উপদেষ্টার এ প্রস্তাবকে
সমর্থন করে বলেন, মালদ্বীপ সরকার বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিনিময় কর্মসূচিতে
একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।
এছাড়াও মালদ্বীপের ব্যবসায়ীরা পণ্য
পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ট্রান্সশিপমেন্ট নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। দুই দেশের
বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত ২০২৫
সালে অনুষ্ঠিতব্য আইএমও নির্বাচনে সি-ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দিতার বিষয়েও
মালদ্বীপের হাইকমিশনারকে অবহিত করেন।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক
দেশ। এ দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিভিন্নভাবে নদ-নদীর উপর নির্ভরশীল। বিদ্যমান
তিনটি বৃহৎ সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা
হচ্ছে। প্রায় চুয়ান্নটি প্রধান নদীবন্দর রয়েছে। হাজারের উপর নদ-নদী দেশজুড়ে জালের মতো
বিস্তৃত। দেশের দক্ষিণে বিশাল বঙ্গোপসাগরের অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের
ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরকে আরো এগিয়ে নিতে এবং মেরিটাইম সেক্টরের
বৈশ্বিক পর্যায়ে অবদান রাখতে বাংলাদেশ আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা এ বিষয়ে মালদ্বীপের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০
মার্চ) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর তথ্য ভবনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল
ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময়
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের
মালিক, সম্পাদক এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গুজব ও অপপ্রচারের ব্যাপকতা
তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সত্য প্রচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে গুজব
ও অপপ্রচার মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। গণমাধ্যমের সমালোচনাকে স্বাগত
জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা
করে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
মাহফুজ আলম আরও বলেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি গণমাধ্যমে সরকারের ইতিবাচক
পদক্ষেপসমূহও প্রচার হওয়া উচিত।
তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের
ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথম রাতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে তাদের জালে। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ভালো পরিমাণ মাছ পেয়ে ভোরেই ঘাটে ফিরেছেন অনেকে। এতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ইলিশ ঘাটগুলোতে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বুড়িরচর সূর্যমুখী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটজুড়ে চলছে ব্যাপক বেচাকেনা। শ্রমিকরা টুকরি ভর্তি ইলিশ মাথায় নিয়ে দৌড়াচ্ছেন নৌকা থেকে বাজারে। পাইকার ও ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে মুখরিত পুরো এলাকা। কেউ দরদাম করছেন, কেউ ট্রলারে মাছ তুলছেন।
সূর্যমুখী ঘাট মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি “আলাউদ্দিন” বলেন, ভোর থেকেই মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলেরা মাত্র কয়েক ঘণ্টায় সাগর থেকে ভালো মানের ইলিশ ধরে এনেছেন। বহুদিন পর এমন জমজমাট বাজার দেখছি।
স্থানীয় জেলে ও নৌকার মাঝি আব্দুল কাদের বলেন, রাত ১২টার পর নদীতে গিয়েছিলাম, সকালে ঘাটে ফিরে এসেছি তিন মণ মাছ নিয়ে। যদিও মাছগুলো একটু ছোট, তবুও দাম ভালো থাকায় লাভ হয়েছে। এখন আবার সাগরে যাচ্ছি। কয়েক দিন এমন মাছ পেলে আগের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।
নিষেধাজ্ঞার সময়কাল নিয়ে কিছু জেলের ছিল ক্ষোভ। তারা বলছেন, ৪ অক্টোবরের পরিবর্তে যদি ১৩ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু করা হতো, তাহলে ক্ষতি কিছুটা কমে আসত। কারণ নিষেধাজ্ঞার আগেই সাগরে প্রচুর ইলিশ মিলছিল। তবুও সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে ৪ অক্টোবর বিকেলেই তারা ঘাটে ফিরে আসেন। এখন হাতিয়ার ঘাটগুলো কর্মচঞ্চল, জেলেদের জালে রুপালি ইলিশের নাচন, আর তীরে উঠছে আশা আনন্দে ভরা মাছভর্তি ঝুড়ি। ২২ দিনের অপেক্ষা শেষে আবারও রুপালি স্বপ্নের সন্ধানে সাগরে নেমে হাসি ফিরে এসেছে জেলেদের মুখে। এভাবে যদি মাছ পাওয়া যায়, তবে অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখা যাবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী এবং জেলেরা।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থান
ছাড়াও সুফি মাজারে যেকোনো বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী
সরকার। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে
কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে সরকার।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে পাঠানো
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত কয়েকদিনে কিছু দুর্বৃত্তের
দেশের সুফি মাজারগুলোতে হামলা চালানোর বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে। অন্তর্বর্তী
সরকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা এবং সুফি মাজার সম্পর্কিত যেকোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য
এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায়
আনা হবে। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধর্মীয় উপাসনালয়
ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের
দেশ। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা
সরকার দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করবে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সামরিক
বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়ে বলেছেন, আগামী
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে আয়োজন
করতে হবে।
আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি কমপ্লেক্সে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) কোর্স ২০২৫-এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন নির্বাচনের
সময়। আমরা প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সামরিক
বাহিনী, পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন। এটি একটি বড় প্রয়াস। অভ্যুত্থান
থেকে নির্বাচনের পথে যাত্রা। এটি হবে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, আনন্দ ও মিলনের সময়। মানুষ
তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারবে।
মন্তব্য করুন


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (৬ অক্টোবর ২০২৪) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করেন।
১ম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও
লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত
হবেন।
পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সকলকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের
প্রতি।
তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী
সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সকল বীর সেনানীদের যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি
চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা,
নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি
নিযুক্তিগত উপযুক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা
প্রদান করেন। এছাড়াও সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন
অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া রাজনৈতিক
মতাদর্শের উর্দ্ধে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য
নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সকল অফিসারদেরকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার
নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের
মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে
ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ
করেছে বলে তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি; প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি, চীফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
মন্তব্য করুন