নাজিম উদ্দিন মিলন ,নোয়াখালী:
নোয়াখালীতে শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব ২০২৪ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ নিত্যানন্দ মন্দিরে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভানামৃত সংঘ (ইসকন) নোয়াখালী শাখার আযোজনে তপন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে আশ্বস্ত করে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম।
এছাড়াও বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেদ শাহরিয়ার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, চৌমুহনী পৌর মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে দাউ দাউ করে গাছটি পুড়তে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পথচারীদের মধ্যে।
আর এ আগুন হেয়ার রোডের বড় একটি গাছে ধরেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে ।
সে এলাকার ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক বলেন, সোমবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে কাকরাইল মোড় থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলগামী সড়কের বাম পাশে একটি গাছে আগুন লেগেছে। আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি থেকে গাছটিতে আগুন ধরেছে।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ছাত্র-জনতার
ওপর হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলীকে গ্রেফতার
করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৮ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কোরপাই এলাকা থেকে
তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সাহেব আলী বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এছাড়াও তিনি বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং মোকাম ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক
সভাপতি।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাহেব আলীর বিরুদ্ধে গতবছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার
ঘটনায় মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক আবু হানিফ কাজী কে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী ও আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানের উদ্যোগে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে অফিস সহায়ক আবু হানিফ কাজী কে রাজকীয় ভাবে গাড়ি চড়ে চাঁদপুরে প্রেরন করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলী আশ্রাফ খানের সভাপতিত্বে ও আশ্রাফপুর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন সোহাগের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম মো. সোহেল রানা, আশেক আলী খান স্কুর এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: মিজানুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহীদ উল্যাহ পাটওয়ারী, কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাকিবুল হাসান, তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস, মনোহরপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার কর, চাঁদপুর এমএ খালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, মনপুরা বাতাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ও কচুয়া ক্যামিব্রয়ান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আমির হোসেন মজুমদার প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাজকীয় ভাবে গাড়িতে চড়ে তার নিজ বাড়ি চাঁদপুরে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
মুরাদনগরে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ইভটিজিং এর অভিযোগে বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে
বহিরাগত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। হামলায় বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষকসহ আহত হয়েছে প্রায়
১৫ জন। এ ঘটনায় বহিরাগত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ
শিক্ষার্থীরা। পরে মুরাদনগর থানা পুলিশ ও মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ
সাকিব হাসান খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে আনেন।
বুধবার
সকালে মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় পৃথক দুইটি অভিযানে ২০ কেজি
গাঁজা ও ৯০৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
৩ জুলাই রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি
বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নালনগর
এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মনির হোসেন নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি
সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে ৩ জুলাই রাতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পান্ডানগর এলাকা থেকে আসামী মোঃ আনিছুর রহমান
তুষার নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৯০৫ পিস ইয়াবা
ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মনির হোসেন
(৩২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার তেলিহাটি গ্রামের মৃত নজির ইসলাম এর ছেলে এবং
২। মোঃ আনিছুর রহমান তুষার (২৮) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সুবর্নপুর গ্রামের
মৃত জাকির হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা ও ইয়াবা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৬৪ হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৬০ বিজিবি।
শুক্রবার
(৮ নভেম্বর) বিকালে আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুলতানপুর ব্যাটেলিয়ন (৬০ বিজিবির) অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার দুপুরে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর থেকে হতে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ
টাকা মূল্যের ভারতীয় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৬৪ হাজার পিস এবং টয়োটা
গাড়ি ১ টি উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
শীতকে
উপেক্ষা করে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষসহ সকল বয়সী মানুষের
ঢল নেমেছে। কেউ দাঁড়িয়ে, আবার কেউবা মাটিতে বসে উৎসবমুখর পরিবেশে উপভোগ করছেন ঘোড়দৌড়
প্রতিযোগিতা। গ্রামের একটি ফসলের মাঠে অতিথিদের বসার স্টেজ। তার সামনে মাঠের চারপাশে
দড়ি দিয়ে গোল চত্বর চিহ্নিত করে, তার চারপাশ দিয়ে ঘুরছে ঘোড়ার দল। মাঠের এক পাশে নানা
রকম খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
মঙ্গলবার
পড়ন্ত বিকালে এমন চিত্র দেখা যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর
গ্রামে। সেখানে এলাকাবাসীর উদ্যোগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
হয়। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ফুলবাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে তিনটি
গ্রুপে ২০ জন খেলোয়াড় তাদের নিজ নিজ ঘোড়া নিয়ে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
দুপুরের পর থেকে দূর-দূরান্ত থেকে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাকে ঘিরে ওই এলাকায়
তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। খেলা দেখতে পেরেও খুশি দর্শকরা।
প্রধান
অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান
ফিজার এমপি। খেলা শেষে এ প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীদের
মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে কলা গাছের ভেলায় ভেসে এলো ভারতীয় এক শিশুর লাশ। রবিবার (২৭ জুলাই)সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের দুধকুমার নদে গারুহারা ঘাটে ভেলাটি ভাসতে দেখে স্থানীয় মানুষজন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কলা গাছের কয়েকটি গুঁড়ি দিয়ে তৈরিকৃত একটি ভেলায় চাটাইয়ের ওপর প্রায় ৬ বছর বয়সী একটি শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখেন তারা। মরদেহটি চাদর, মশারি এবং পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা। শুধু মুখটা দেখা যায়। সেখানে শিশুটির ছবি সম্বলিত নাম ঠিকানা ও একটি ফোন নম্বর উল্লেখ করা ছিল।
উল্লেখিত ঠিকানায় দেখা যায়, শিশুটির নাম সুমীত দাস, তার পিতার নাম আকুমনি দাস, মায়ের নাম পদ্মা দাস। সেখানে ঠিকানা উল্লেখ করা ছিল ডেকাবঘাট লালবাড়ি আসাম।
যাত্রাপুরের গারুহারা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী ফারুক খান বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কলা গাছের ভেলায় একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। পরে লাশের সঙ্গে একটি চিরকুট দেখতে পাই। ওই চিরকুটে একটি ভারতীয় ফোন নম্বর ছিল। ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ যোগাযোগ করলে অপরপ্রান্ত থেকে সাড়া পাই। অনকু দাস নামে এক ব্যক্তি শিশুটির মামা পরিচয় দেন।। পরে তিনি জানান 'গত ১০ জুলাই শিশুটি সাপের কামড়ে মারা গেলে তাকে কলা গাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়।'
এ বিষয়ে যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যার আব্দুল গফুর বলেন, শুনেছি শিশুটি নাকি সাপের কামড়ে মারা গেছে। তার স্বজনরা তাকে একটি কলা গাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেয়। তবে ভেলাটি কেউ আটকায়নি। দুুপুরের পর জানতে পেরেছি ভেলাটি ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসতেছিল।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের আয়োজনে সকল বয়সের নারী পুরুষদের নিয়ে কুড়িগ্রামে দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় করছে।
আজ সকালে কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নে কালে ডাক্তার পাড়া গ্রামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল থেকেই বেশ কৌতূহল নিয়ে ডাক্তারপাড়া গ্রামে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ বয়সী মানুষদের আগমনে মিলন মেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানটি। এসব খেলা দেখতে এলাকার সব বয়সী মানুষের অংশ গ্রহণে সৃষ্টি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশ। কিছুক্ষণের জন্য অনেকে যেন নিজের বয়স ভুলে ফিরে যান অতীতে কিংবা শৈশবে।
গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে ছিল বিস্কুট দৌড়, হাড়িভাঙ্গা, বালিশ খেলা, সুঁই সুতা, সাঁতার, চোখ বেঁধে হাঁস ধরা, তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে চড়া, পানিতে বলিশ খেলা ও যেমন খুশি তেমন সাজ। সকল বয়সের শতাধিক নারী পুরুষ ৯টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ী ৩০জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও পিপি এস এম আব্রাহাম লিংকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান, কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদ, কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তরুণ কুমার রায়, বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ লিটন মিয়া, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক মাহফুজার রহমান খন্দকার, ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সূর্য, দৈনিক মানবজমিন ও করতোয়ার সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিন্টু, উলিপুর ডট কমের সিনিয়র রিপোর্টার অমিত চন্দ্র পাল প্রমুখ।
খেলা দেখতে আসা মোঃ আব্দুল হাই বলেন, এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১০-১৫ বছর পর গ্রামের অতীত খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম।
শিক্ষার্থী মোঃ নুর মামুন বলেন, টিভিতে মাঝে মধ্যে এসব খেলা দেখি।আজ স্বচোখে দেখে খুব মজা করছি। আগে গ্রাম গঞ্জে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে বৈশাখী মেলায় গ্রামে গ্রামে এসব খেলা হতো।এখন এগুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ও নতুন প্রজন্মদের জন্য এসব খেলা অবহ্যত রাখা উচিৎ।
দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের সভাপতি রেজওয়ানুল হক নুরনবী বলেন, গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আহবায়ক শ্যামল ভৌমিক বলেন, কালের বিবর্তনে গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক যুগে মোবাইল ইন্টারনেটের কারনে এসব খেলা থেকে মানুষজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকার ও সচেতন মহলের উচিৎ গ্রামীণ খেলাধুলাকে বাচিয়ে রাখতে সু দৃষ্টি রাখা।
মন্তব্য করুন
আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন