

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে দুই বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের দমদমা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন দমদমা সীমান্তসংলগ্ন পূর্ব তুরুং গ্রামের বাসিন্দা বুরান উদ্দীনের ছেলে আশিকুর (১৯) এবং একই গ্রামের মৃত রব মিয়ার ছেলে মোশাঈদ (২২)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, দমদমা সীমান্তের ১২৬০ নম্বর মূল পিলারের ২ নম্বর সাব-পিলার সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৬০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পরিহাট এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গেলে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে আশিকুর গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তার মরদেহ বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।একই সময়ের দিকে সীমান্তের কাছাকাছি ভারতের রাদনে এলাকায় মোশাঈদকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিহত মোশাঈদের মরদেহ বর্তমানে ভারতের টোকা ক্যাম্পে বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে টোকা ক্যাম্প থেকে মোবাইল ফোনে বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিজিবির তথ্যের ভিত্তিতে জানান, সীমান্তের ওপারে বিএসএফ ও খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত আশিকুরের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়েছে এবং অপর নিহত মোশাঈদের লাশ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।
মন্তব্য করুন


কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি ॥
চট্টগ্রামের ভান্ডার শরীফে হারিয়ে যাওয়ার পর ফেইসবুকের কল্যাণে ১৮ বছর পর চাঁদপুরের কচুয়ায় নিজ বাড়িতে ফিরেছে খানু মিয়া নামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক যুবক। ওই যুবক তার নিজ বাড়িতে ফিরে আসায় আনন্দিত তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
সরেজমিনে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার চাংপুর গ্রামের মৃত. খলিলুর রহমানের শারীরিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলে খানু মিয়া ২০০৬ সালের দিকে একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের সাথে চট্টগ্রাম ভান্ডার শরীফে গিয়ে হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি ফেনী জেলার সোনাগাজী চন্দ্রনাথ এলাকায় ছিলেন। সম্প্রতি আলোকিত সোনাগাজী নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে তাকে নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে খানু মিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসী তার সন্ধান পেয়ে সোনাগাজীতে গিয়ে বৃহস্পতিবার তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।
খানুর বড় বোন মানছুরা আক্তার জানান, আমরা ৩ ভাই ও ২ বোন। ১৮ বছর আগে আমার ভাই খানু মিয়া চট্টগ্রামে ঘুড়তে গিয়ে হারিয়ে যায়। সে থেকে আমরা তাকে বহু জায়গায় খোজাঁখুজি করে অবশেষে তাকে পেয়েছি।
খানু মিয়ার চাচাতো ভাই সাজলু মিয়া বলেন, আমার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের সাথে তৎকালীন ভান্ডার শরীফে যায় সরল প্রকৃতির খানু মিয়া। পরে সেখানে হারিয়ে যায় তিনি। তাকে পেয়ে আমরা আনন্দিত।
মন্তব্য করুন


যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ (শনিবার) পর্যন্ত অভিযানে এসব লোককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীর মিরপুর-১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং দেশের অন্যান্য এলাকা টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট হতে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্য তেল ও নকল ফলের জুস এর কারখানা সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালা সহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
“প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী এবং যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কুমিল্লার ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার। এছাড়া সহকারী পরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ, এনসিপির প্রধান মুখ্য সমন্বয়কারী মোঃ সিরাজুল হক, যুগ্ম সমন্বয়কারী মোঃ রাশেদুল হাসানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, উদ্যোক্তা, সংগঠক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে যুব সংগঠনগুলোকে নিবন্ধন সনদ ও যুব ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি সফল যুব সংগঠক ও উদ্যোক্তা আত্মকর্মীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন


মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় আরমান
খান নামের এক স্কুলছাত্র ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (১২ মে) সন্ধ্যায় নড়াইলের
কালিয়া উপজেলার কালিয়া পৌরসভার গোবিন্দনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরমান খান গোবিনগর
গ্রামের হান্নান খানের ছেলে।
নিহত আরমান খান (১৬) কালিয়া সরকারি
পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, আরমান এর
আগেও একবার মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বিষ পান করেছিলেন। সে সময় তার বাবা তাকে একটি
মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। সেই মোটরসাইকেলটি পুরাতন হাওয়াই আবারও একটি মোটরসাইকেল
কিনে দিতে পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন আরমান। কিন্তু তার দাবি পরিবার মেনে না
নেওয়ায় কয়েক দিন ধরে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। পরে আজ সন্ধ্যায়
নিজ ঘরে সাউন্ডবক্স চালিয়ে নিজের বেল্ট দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
করেন আরমান।
কালিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কমিশনার
প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, আরমান সবসময় ফিটফাট থাকতো। সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক
ও টিকটকে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতো। অনেকেই তাকে টিকটকার আরমান নামে চিনতো। তার পিতা
হান্নান খান পেশায় একজন অটোচালক। তার পক্ষে সব আবদার সবসময় মেনে নেওয়া আসলেই সম্ভব
ছিল না।
কালিয়া থানার এসআই টিপু সুলতান বলেন,
মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর
মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে
তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা দাউদকান্দিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁশ বোঝাই মিনি ট্রাক সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা দিলে ট্রাক থেকে ছিটকে সেতুর নিচে পড়ে বাঁশ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত একজন আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ১১টায় (২৫আগষ্ট) ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি-গোমতী সেতুর উপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন(৪৫) গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার লাগালিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল ভুইয়ার ছেলে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী বাঁশ বোঝাই মিনি ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কায় ভিতরে থাকা ব্যবসায়ী ছিটকে সেতুর নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। আর ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর চালক পলাতক।
মন্তব্য করুন


হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার জাল নোটসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন: মাধবপুরের সুলতানপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে রোজিনা আক্তার রোজা (২২) এবং নোয়াপাড়ার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা নূর হোসেনের মেয়ে হামিদা খাতুন (১৬)। তাঁদের কাছ থেকে ১ হাজার, ৫০০ ও ২০০ টাকার জাল নোটসহ মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
হবিগঞ্জ জেলা ডিবির ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, রোজিনা ও তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে নোয়াপাড়া বাজারে জাল নোট দিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা এক সবজি বিক্রেতার কাছ থেকে তিন কেজি আমড়া কিনে ১ হাজার টাকার জাল নোট দেন। পরে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে একইভাবে প্রতারণা করার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
ওসি আরও বলেন, অভিযানের সময় রোজার মা পালিয়ে যান। জাল নোট চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুরে বজ্রপাতে ১ কিশোরসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ২ শিশু আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানাধীন বেতিল চর এলাকায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে এক যুবক ও এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলো: বেতিল চরের তারা মিয়ার ছেলে আল-আমিন হোসেন (২৮) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে মারুফ হোসেন (১৪)।
অপরদিকে সন্ধ্যায় শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর পোরজনা গ্রামে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুস সালাম (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই গ্রামের জয়নালের ছেলে কৃষক আব্দুস সালাম।
বজ্রপাতে আহত শিশুরা হলো- বেলাল হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান (৮) ও বেতিল চরের ময়েন উদ্দিনের ছেলে সিয়াম (৭)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বেতিল চরের একটি মাঠে শিশু-কিশোর ও এলাকার প্রাপ্তবয়স্করা মিলে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ফুটবল খেলছিলেন। এসময় বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাত হলে দুই শিশু, এক কিশোরসহ চারজনের দেহ ঝলসে যায়। এ অবস্থায় তাদের স্থানীয় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে এক কিশোর ও এক যুবকের মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আসলাম আলী জানান, বিকেলে ক্ষেত থেকে কাটা ধানের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কৃষক আব্দুস সালাম।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অটো মিশুক চালক সৈকত হত্যার ঘটনা জড়িত অন্যতম আসামি তুহিন মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ সদস্যরা।
গ্রেফতার হওয়া তুহিন মজুমদার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবুল মজুমদারের ছেলে। ৭ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৩ জুলাই রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে সৈকত (১৯) নামে এক অটোমিশুক চালক নৃশংসভাবে খুন হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভিকটিম তাফরুল ইসলাম সৈকত (১৯) অটো মিশুক চালানোর উদ্দেশ্যে গত ০২ জুলাই বিকাল ৫ টায় বাড়ী থেকে বের হয়। রাত ১১ টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সৈকত বাড়ীতে না ফেরায় তার পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজ করতে থাকে। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫ টায় চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে ভিকটিম সৈকত (১৯) এর লাশ পাওয়া যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৭। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদার (৩২) এর অবস্থান চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ০৭ আগষ্ট রাতে র্যাবের অভিযানে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বসন্তপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদারকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে ভিকটিমের সু-সম্পর্ক ছিল। সে সূত্র ধরে গত ০১ জুলাই রাতে গ্রেফতারকৃত আসামী সহ তার অন্যান্য সহযোগী আসামীরা একত্রে মিলিত হয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে তার অটো মিশুকটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ০২ জুলাই রাত ১১ টায় আসামীরা অটো মিশুকসহ ভিকটিমকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল এলাকায় গিয়ে সবাই মিলে বসে গল্প করে। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামীর নির্দেশে ঘটনাস্থলের পাশে লুকিয়ে রাখা চাপাতি দিয়ে অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে কুপিয়ে হত্য করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল এবং অটো মিশুকটি নিয়ে লাশ খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বসবাসরত সকল নাগরিককে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিবেন না।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ ও নিরাপদ সমাজ গড়তে বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে কচুয়া থানার আয়োজনে পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মতবিনিময় সভা করা হয়।
পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মাষ্টার মো. কামরুল হাসান চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুর হালিম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর আহমেদ সেলিম,আহ্বায়ক সদস্য ইয়ার আহমেদ মজুমদার,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা,সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন পাটোয়ারী,জেলা যুবদলের সদস্য সেলিম মাসুদ প্রধান প্রমুখ।
এসময় বিএনপি নেতা সেলিম পাটোয়ারী,তাজুল ইসলাম,জিন্নত আলী মাষ্টার,কামাল হোসেন মুন্সী,ইমান হোসেন বেপারী,শ্রমিক দল নেতা আব্দুর রহমান ফরাজী,ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন,সদস্য সচিব মহসিন মিয়া,সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আমির হোসেন আপন,সদস্য মেহেদী হাসান,যুবদল নেতা গোলাম সারওয়ার,বিতারা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক ফয়েজ মিয়া,পালাখাল মডেল ইউনিয়ন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াদ হাসান সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন