

রমজান মাসকে সামনে রেখে পর্যটক কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কক্সবাজারের উখিয়া থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) উখিয়ার ইনানীর নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ২টি চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটেও পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীর নৌবাহিনী জেটি থেকে এমভি বারো আউলিয়া ও কর্ণফুলী নামের ২টি জাহাজ চলাচল করে আসছিল।
বারো আউলিয়ার পরিচালক মাহাবুব হোসেন জানিয়েছেন, পর্যটক চাহিদার কারণে এক মাস ইনানী-সেন্টমার্টিন রুটে দুটি জাহাজ চলাচল করেছিল। রমজানে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে। এ কারণে সোমবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার(১০ মার্চ) সবশেষ জাহাজ দুটি সেন্টমার্টিনে গেছে। আগের দিন এবং এর আগে দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে জাহাজ দুটি ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে ফিরে এসেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেছেন, জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ হয়তো ব্যবসায়িক কারণে লোকসান এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের ট্রিপ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। স্পেশাল ট্রেনটি দিনে ২ বারের পরিবর্তে ৪ বার যাতায়াতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ প্রস্তাবনা গৃহীত হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।
তারা বলছেন, বিদ্যমান জনবল এবং লজিস্টিকস ব্যবহার করেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার স্পেশালকে নিয়মিত করা ও ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।
তাই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ডেন্টের প্রস্তাবটি রেলভবন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে বিপুল যাত্রীচাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়বে।
গত ১১ ডিসেম্বর রেলওয়ে মহাপরিচালককে চিঠি দেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। ওই চিঠিতে বলা হয়, যাত্রী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এই ট্রেন স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য কক্সবাজার ও আশপাশের এলাকার সামাজিক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি আরও এক জোড়া ট্রেন যোগ করে এখন দুই জোড়া ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব করা হলো।
নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রথম ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছাড়বে সকাল সাড়ে ৬টায়। কক্সবাজারে পৌঁছাবে সকাল ১০টায়। ওই ট্রেন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার রেলস্টেশন ছেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর সোয়া ২টায়। চট্টগ্রাম থেকে দুপুর পৌনে তিনটায় ট্রেনটি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফের ছেড়ে যাবে। ওই ট্রেন কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে। কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা ৭টায় আবার ছাড়বে। সেটি চট্টগ্রাম স্টেশনে এসে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১০টায়।
জানা যায়, ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ২০২৩ সালের নভেম্বরে উদ্বোধনের পর প্রথম এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয় ২০২৩ এর ১ ডিসেম্বর। বিপুল যাত্রীচাহিদা থাকলেও এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি নিয়মিত ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
এর বড় কারণ হচ্ছে, বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যমান ব্যবস্থায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ফলে এই রুটে স্বাভাবিক সময়েই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন অনেকটা ‘সোনার হরিণ’পাওয়ার সমান।
এমন বাস্তবতায় ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ঈদের দিন বাদ দিয়ে সেটি চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই ট্রেন ফের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ট্রেনটি এখনও চলছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার রুটে ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিন ও কোচসংকটের কারণে নতুন ট্রেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে বিশেষ ট্রেন চলছে, তা দিয়ে দুই জোড়া ট্রেন পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্রেন বাড়লে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মন্তব্য করুন


খবর ছড়িয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় মানবিক ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী। এ বিয়ের গুঞ্জন সবদিকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিশেষ কোনা কারণে মুখ খোলেননি কেউ। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী'র পক্ষ থেকেও কেউই সাড়া দেননি।
জানা যায়, অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে দেশের বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফারাজ করিম চৌধুরীর সাপোর্টার ও ফলোয়ার্স। কদিন আগেই একটি বিয়ের কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল অনেক বেশি বেড়েছে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটেছিলো।
ছোটবেলা থেকে মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো এই তরুণকে ঘিরে দেশবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। কেননা, দেশজুড়ে বিভিন্ন দূর্যোগকালীন মুহুর্তে সাহসিকতার সাথে মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা ফারাজ করিম চৌধুরীর পিতা এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, ইতোপূর্বে বিয়ে প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদামাটাভাবে মসজিদে শরীয়াহ নিয়ম মেনে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সত্যিই কি এমন কিছু ঘটতে থাকে এ জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক বৃদ্ধকে দেখে
‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় পপি আক্তার (১০) নামের এক কিশোরীর শরীরে গরম পানি
ঢেলে ঝলসে দিয়েছে ছায়ের খাতুন (৫৫) নামের এক নারী। আহত পপি আক্তার এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। পপি আক্তার স্থানীয় মৃত বিজলি আকতারের মেয়ে। ছোটবেলায়
প্রথমে তার বাবা ও পরে মায়ের মৃত্যু হলে সে নানার বাড়িতে থাকত।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন আনোয়ারা থানার ওসি মো: মনির হোসেন।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)
সন্ধ্যায় উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াজের বাড়িতে ঘটলেও কিশোরীটি অসহায়
হওয়ায় প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানা যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও কিশোরীর মামা
মো. দিদার জানান, বাবা-মা হারা কিশোরী পপি আক্তার বাড়ির উঠানে খেলছিল।
এসময় তার নানা সম্পর্কিত এয়ার মোহাম্মদ
(৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দুষ্টামিবশত ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলে হাসাহাসি করে।
কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাইয়ের বউ ছায়েরা খাতুন (৫৫) এসে ওই কিশোরীর শরীরে
গরম পানি ঢেলে দিলে তার শরীর ঝলসে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করাই। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি মো: মনির
হোসেন বলেন, আমি ঘটনা শোনার পর কিশোরীর অভিভাবককে থানায় আসতে বলছি, তবে এখনো কেউ অভিযোগ
করেনি। শুনেছি কিশোরীটি অসহায়, তার বাবা-মা কেউ নেই। অভিভাবকরা এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা
নেব।
মন্তব্য করুন


রমজান মাসকে সামনে রেখে পর্যটক কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কক্সবাজারের উখিয়া থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) উখিয়ার ইনানীর নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ২টি চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটেও পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীর নৌবাহিনী জেটি থেকে এমভি বারো আউলিয়া ও কর্ণফুলী নামের ২টি জাহাজ চলাচল করে আসছিল।
বারো আউলিয়ার পরিচালক মাহাবুব হোসেন জানিয়েছেন, পর্যটক চাহিদার কারণে এক মাস ইনানী-সেন্টমার্টিন রুটে দুটি জাহাজ চলাচল করেছিল। রমজানে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে। এ কারণে সোমবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার(১০ মার্চ) সবশেষ জাহাজ দুটি সেন্টমার্টিনে গেছে। আগের দিন এবং এর আগে দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে জাহাজ দুটি ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে ফিরে এসেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেছেন, জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ হয়তো ব্যবসায়িক কারণে লোকসান এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


নির্মাণকাজ পরিদর্শন ও কোনো ত্রুটি আছে কি-না যাচাই করতে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাচ্ছে একটি ট্রেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় আটটি বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে।
ট্রেনটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম ও রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রোববার ট্রেনটি সকাল ১০টায় দোহাজারী স্টেশনে পৌঁছবে।
এরপর সেখান থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবে। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে। রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। ৬ নভেম্বর ওই টিম কক্সবাজার রেলস্টেশন ইয়ার্ড পরিদর্শন করবে। ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় ওই টিম চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে।
সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আজ ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যাচ্ছেন রেলের পরিদর্শন দফতরের টিম। এসময় নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করা হবে। এতে কোনো ত্রুটি আছে কি না যাচাই করা হবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আসবেন। ওখানে সুধী সমাবেশ হবে। আইকনিক স্টেশন দেখবেন এবং একটা অংশ থাকবে উদ্বোধনের।
তিনি আরও বলেন, ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০ বা ২৫ নভেম্বর থেকে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের রুটিন কাজ। এটিকে ট্রায়াল রান বলা যাবে না। আমাদের সঙ্গে আছেন রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা এ রেল পরিদর্শন করবেন সেখানে কোন ত্রুটি আছে কিনা দেখবেন। ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্লার্টফর্ম উঁচু সঠিক কিনা, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং গেট এসব দেখবেন। পরে রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্টিফাই করবেন। এরপর ট্রেন চলবে।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে।
২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে বিদেশি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, বন্দর নিয়ে অনেকে
অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে
চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বেশিরভাগ
বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে। আমরাও সেভাবে এগিয়ে যেতে চাই।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের
পতেঙ্গা এলাকার লালদিয়া চর কন্টেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন
তিনি।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা
৫৬ হাজার টিইউএস থেকে ১০ হাজার বেড়ে ৬৬ হাজারে উন্নীত হবে। যারা বিজনেস করে তাদের জন্য
লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ। ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্যাপাসিটি বাড়বে।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন,
বন্দরকে গতিশীল করতে যে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে, সেই প্রতিষ্ঠানই কাজের ক্ষেত্রে
অগ্রাধিকার পাবে। সবক্ষেত্রেই দেশের স্বার্থ প্রাধান্য পাবে। বন্দর নিয়ে জাতীয় স্বার্থবিরোধী
কোনো কাজ করবে না সরকার। দেশের ক্ষতি করে কোন সিদ্ধান্ত হবে না। ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ
পায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের ঊর্ধ্বমুখী আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ সামলাতে
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই এবং অন্তর্বর্তী সরকার সেই লক্ষ্যেই
কাজ করছে।
লালদিয়ার চরের পরিত্যক্ত
এই টার্মিনাল বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্রমও গতিশীল হবে। বন্দরের ভেতরে অব্যবহৃত
পরিত্যক্ত স্থানগুলো কাজে লাগানো হবে। চট্টগ্রামে ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় নগরী ও
জেলায় যানজট বাড়ছে বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যান
রিয়ার এডমিরাল এম মনিরুজ্জামানসহ বন্দর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


এরমধ্যে ২০টি ফ্লাইট
সরাসরি জেদ্দায় যাবে, দুটি ফ্লাইট যাবে মদিনা।
বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ১৪ মে
ভোররাত ৩টা ৫০ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে
বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭১৭ যোগে প্রথম ফ্লাইট যাত্রা শুরু করবে। প্রথম ফ্লাইটে
৪১৯ জন যাত্রী মদিনা যাবেন।
এই
বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮
হাজার ৮৯৫ জন।
এর
আগে ৯ মে ঢাকা থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ঢাকা থেকে এদিন হজযাত্রীদের
নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী
ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে।
চাঁদ
দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পালিত হতে পারে হজ। প্রতিবছর সাধারণত একমাস আগে থেকে শুরু হয়
হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ শেষ করে থাকে
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন


আজ দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাসের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহান বলেন, হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আহতদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ঈদযাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২টি বিশেষ ট্রেনই আসা-যাওয়ার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭টি স্টেশনে থামবে।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ৫ দিন এই রুটে অন্তত ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই প্রথম এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেনে চড়ে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সড়ক পথের উপর বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা কমবে। স্বস্তিতে বাড়ি ফেরার আশা এ অঞ্চলের মানুষের।
তারা জানিয়েূছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষজনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে কি পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটা বুঝানো মুশকিল। এবার সে ঝামেলা ও দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। ট্রেনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া যাবে।
যে সকল স্টেশনে ট্রেন থামবে:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
পথে ট্রেনটি ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।
কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত ৩ মাস ধরে এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন এটি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। চট্টগ্রাম অল্পকিছু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। সেখানের টিকিট পাওয়াও দুর্লভ।
বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ঈদ যাত্রায় সেটি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
ঈদে বিপুল এ যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এতে ঈদযাত্রায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদযাত্রায় বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাতটায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি থামবে ৭ টি স্টেশনে ।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। অগ্রিম টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইনেই টিকিট মিলবে শতভাগ ।
মন্তব্য করুন


২০ মে থেকে ২৩জুলাই পর্যন্ত ৬৫দিন সমুদ্রে সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার তুষার মজুমদার জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠ প্রজনন ও মজুদ সংরক্ষণ এবং সহনশীল মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা(২) এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা ২০২৩ এর বিধি ৩এর ১ (ক)এর ক্ষমতাবলে ২০ মে হতে ২৩ শে জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে কিছুদিন পূর্বে জেলেদের ও জেলে সমিতির সদস্যদের সাথে উপজেলা পরিষদ হল রুমে সভা করা হয়েছে
আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং এই ৬৫দিন জেলেরা সরকারি বরাদ্ধকৃত চাল পাবেন সেবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। একই সাথে জেলেদের যাচাই বাছাই করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহায়তা নিয়ে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন