নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও সাইবার অপরাধী চক্রের হুমকি, হামলা, চাঁদাবাজি ও সামাজিক সম্মানহানির শিকার হচ্ছেন। তার দায়ের করা একাধিক মামলার জেরে চক্রটি মামলা প্রত্যাহার, মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মওদুদ।
তিনি জানান, ২০১৭ সাল থেকে তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালের ৩ মে ও ২০১৮ সালের ২৮ জুন দায়ের করা দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিডি।
মওদুদ অভিযোগ করেন, বরুড়া থানাধীন নিমসার এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হওয়ার পর তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে তদন্ত চলাকালে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা শহরের ইসলামপুরে তার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়।
পরে ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা (মামলা নম্বর: ৪১, জি.আর. নম্বর: ৮৫০/২৪) দায়ের করেন মওদুদ। এই মামলায় ৮ জন এজহারভুক্ত এবং আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ ও যৌথবাহিনী একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে মামলা প্রত্যাহার ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই অপরাধীরা নতুন একটি মোবাইল নম্বর (০১৩৪২-৭১৩৮১২) থেকে ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে মওদুদকে প্রাণনাশ, অশ্লীল ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং তার বাসার পানির ট্যাংকিতে বিষ মিশিয়ে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানায়।
এছাড়া, গত বছরের ৪ আগস্ট টিক্কাচর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা (দ্রুত সিআর ৩৬/২৪) দায়ের হলে তদন্তে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ মেলে। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক আইডি খুলে মওদুদকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় গত ২৯ মে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় আবারও অনলাইনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জিডি (নং: ২২৪২) করেন মওদুদ।
এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি নিয়ে ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একটি নন-এফআইআর মামলা (নন-জিআর নং: ২০/২৫) রুজু করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি হলেও তারা তা গ্রহণ না করে আদালত অবমাননা করছে। ইতোমধ্যে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুহিনুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিক মওদুদের দায়ের করা একাধিক মামলা ও জিডির বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে এবং অপরাধীদের চক্রটি আইনের আওতায় আনতে পুলিশ হার্ডলাইনে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক মামলা রয়েছে এবং এসব মামলার তদন্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করা যাচ্ছে যে, সরকার জরিমানা ব্যতীত মূল কর ও ফি প্রদানপূর্বক সকল প্রকার মোটরযানের কাগজপত্র (ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট) এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের সময়আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এমতাবস্থায়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে শেষবারের মত জরিমানা ব্যতীত মূল কর ও ফি জমা প্রদানপূর্বক সকল প্রকার মেটারযানের কাগজপত্র (ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট) এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স হালনাগাদ করে নেয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
জরিমানা মওকুফের এ সুযোগ শেষবারের মতো বৃদ্ধি করা হলো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২৫ বোতল বিদেশী মদসহ একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৫ জুলাই) বিকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন রাজমঙ্গলপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ইয়াসিন (২০)
নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২৫ বোতল বিদেশী মদ
উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ইয়াসিন (২০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের মৃত আবু তাহের এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য বিদেশী মদ সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পরকীয়ার জের ধরে মো: নজরুল ভূঁইয়া নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকা ও তার স্বামী। এ ঘটনায় তিতাস থানা পুলিশ প্রেমিকা স্মৃতি ও তার স্বামী মো: হোসেন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত নজরুল ভূঁইয়া উপজেলার সাহাবৃদ্দি গ্রামের মো: হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে। সে পোশায় একজন ট্রাক্টর গাড়ির চালক ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগষ্ট রাত ১০ টায় নজরুল ভূঁইয়া (৩৫) দোকানে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে ৮ আগস্ট নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তিতাস থানা পুলিশ জিডি মুলে নজরুলের ব্যবহৃত মোবাইলের সিম দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করে রবিবার (১০ আগস্ট) উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মো: হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে (২৭) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা নজরুলকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ৪ টুকরো করে বস্তাবন্দি করে লাশ খালে ফেলে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের হাত দুটো উদ্ধার করেছে। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
নিহতের বাবা হানিফ ভূঁইয়া জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ উল্যাহ বলেন, নজরুল (৬ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১০টায় ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি, পরে (৮ আগস্ট) নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেছেন, তারই সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আটককৃত সৃতি আক্তারকে শনাক্ত করে তাকে এবং তার স্বামী হোসেনকে রবিবার ভোর রাতে আটক করে থানায় নিয়ে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে চার টুকরো করে চারটি বস্তাবন্দি করে খালে ফেলে দিয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ নিহতের হাত দুটো খাল থেকে উদ্ধার করেছে। শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে প্রস্তুতিমূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার মণ্ডপগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মণ্ডপে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বৈদ্যুতিক সংযোগ ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন। তিনি পূজা উদযাপন কমিটিকে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। স্বেচ্ছাসেবকদেরও সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তৎপরতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সর্বদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। পূজাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তার শঙ্কা নেই। তবে গুজব, অপপ্রচার বা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্যে প্রতিক্রিয়া না দেখানোর অনুরোধ করছি। তিনি আরও জানান, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যাতে সর্বস্তরের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে উৎসব উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়া, পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
পরে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ান (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি জানায়, ২৯ জুলাই সকালে (০৯:৩০টার দিকে) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর অধীনস্থ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস সংলগ্ন “রাধানগর” নামক স্থান দিয়ে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক চোরাচালানের উদ্দেশ্যে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন।
এ সময় বিএসএফ তাদের আটকের চেষ্টা করলে দু’জন পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তবে একজন বিএসএফের হাতে আটক হন। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে বিজিবি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে, বেলা ১২টার দিকে সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস এর নিকটবর্তী বৈদ্দ্যেরখীল এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় পলাতক দুই ব্যক্তি এবং আটক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
ক্লুলেস শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে
ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত
২৭ মার্চ সকালে বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ শালুকিয়া এলাকায় শরীফ হোসেন(৩৫) এর মৃত
দেহ তার ঘরে মাটিতে পড়া অবস্থায় ছিলো।
মৃত
শরীফ হোসেন এর মা রৌশন আরা বেগম থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন এসআই(নিঃ)
নাজিম উদ্দিন।
ভিকটিম
শরীফ হোসেন(৩৫) এর লাশ পাওয়ার পর হতে পুলিশ সুপার, কুমিল্লার সার্বিক দিক নির্দেশনায়
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে,এম এমরানুল হক মারুফ, সদর দক্ষিণ সার্কেল, কুমিল্লার
তত্ত্বাবধানে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, এসআই(নিঃ) নাজিম
উদ্দিনসহ বরুড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টীম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে
নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে হত্যাকান্ডের কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছিল
না। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের
শনাক্তের জন্য বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ টীম বরুড়া বারবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও
জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কার্যক্রমের একপর্যায়ে হত্যাকান্ডে জড়িত
আসামী ১। আরিফ হোসেন(২২), ২। মোঃ নাছির উদ্দিন(৪৩), ৩। মিসেস খুকী আক্তার(৩৫) কে গ্রেফতার
করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ১নং আসামী মৃত
শরীফ হোসেন এর ছোট ভাই, ৩নং আসামী মৃত শরীফ হোসেনের বড় বোন এবং ২নং আসামী ৩নং আসামীর
স্বামী।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, মৃত শরীফ হোসেন উচ্ছৃঙ্খল
জীবন যাপন করত। সে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। এলাকার লোকজন তাকে
ভয় পেতো। মৃত শরীফ হোসেন তার মাকে প্রায় সময়ই গালিগালাজ ও মারধর করত। ছোট ভাই আরিফ
হোসেনের সাথেও তার ঝগড়াঝাটি ছিল। কিছুদিন আগে আরিফ হোসেন এর একটি অটোরিক্সা শরীফ হোসেন
জোরপূর্বক বিক্রি করে। ইহাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া
মৃত শরীফ হোসেন এলাকার লোকজনের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন তার বড় বোন
খুকি আক্তার এর নিকট বিচার প্রার্থী হলে বড় বোন শরীফ হোসেনকে শাসন করার জন্য বিভিন্ন
কথাবার্তা বলত। ফলে মৃত শরীফ হোসেন বোনকে শক্র মনে করত। এমনকি বোনকে বিভিন্ন রকম হুমকি
দিতো। মৃত শরীফ হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বড় বোন খুকি আক্তার, বোনের স্বামী মোঃ
নাছির উদ্দিন ও ছোট ভাই আরিফ হোসেন তাদের একজন প্রতিবেশীকে নিয়ে পরিকল্পনা করে যে,
শরীফ হোসেনকে মারপিট করে পঙ্গু করে ঘরে বসিয়ে খাওয়াইবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীগন
গত ২৬/০৩/২০২৪খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত ১টায় ঘটিকার সময় বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ
শালুকিয়া সাকিনের শঙ্কু ডাক্তারের পুকুর পাড়ে নির্জনস্থানে শরীফ হোসেনকে একা পেয়ে আসামীদের
হাতে থাকা রড, দা ও টর্চ লাইট দিয়ে শরীফ হোসেনের মাথা, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে
পিটিয়ে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত ও ফুলা জখম করে। তারপর শরীফ হোসেনের হাত পা বেধে আসামী
নাছির উদ্দিনের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ হোসেনকে আবারও মারপিট
করে। তারপর শরীফ হোসেন দুর্বল হয়ে গেলে আসামীগন হাত পা বাঁধা অবস্থায় শরীফ হোসেনকে
তার ঘরে মাটিতে ফেলে আসে। সকালে আসামীরা জানতে পারে শরীফ হোসেন মারা গেছে। সংবাদ পেয়ে
আসামীরা শরীফ হোসেনকে দেখতে যায়।
হত্যাকান্ডে
আসামীদের ব্যবহৃত দা, রড, টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ
জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ১।
আরিফ, ২। নাছির এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশন বন্যাদুর্গত জেলা ফেনী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লার
বুড়িচং ও চৌদ্দগ্রামে পানিতে আটকে থাকা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে ।
সেই সাথে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী ।
সেনাবাহিনীর
এই অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার
থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তিন জেলায় এ উদ্ধার অভিযানের এ তথ্য নিশ্চিত
করে সেনাবাহিনী সূত্র আরো জানিয়েছে, কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের
জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম বন্যাদুর্গত এলাকায়
উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সেনাবাহিনী
সূত্র এটাও জানিয়েছে যে, এছাড়া প্রায় ২০ জন রোগিকে হেলিকপ্টারে করে ফেনী থেকে
কুমিল্লা সিএমএইচ হাসপাতালে এনে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন প্রসূতিও
রয়েছে। তিনি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। মা ও ছেলে দুইজনেই সুস্থ্য রয়েছেন বলে
সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
নতুন
বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনের অংশ হিসেবে কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো
প্রতিযোগিতা উদ্বোধন হয়েছে।
আজ
শনিবার ( ১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে
এই খেলার উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য
সচিব সুমন কুমার মিত্র।
এই
সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল
আলম চপল, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক
ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, কুমিল্লা কারাতে এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি মোখলেছুর রহমান
আবু, সাধারণ সম্পাদক হাজী মামুন।
প্রতিযোগিতায়
বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন, আবু জায়েদ খান, রাহিমা ইসলাম রিপা ও ফাতেমা আক্তার।
এই
প্রতিযোগিতায় ৬০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন।
কুমিল্লা
তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতা
শুরু হয়। আগামীকাল রবিবার বিকেল ৪ টায় এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকমন্ডলীর পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে শতবর্ষী বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে দুই দিন ব্যাপি ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ-২০২৫ আজ শনিবার শেষ হয়। শুক্রবার সকাল ৯টায় বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
প্রশিক্ষণের ১ম দিনে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর উপ-পরিচালক ড. মো: আয়েত আলী, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ- বিদ্যালয় পরিদর্শক মো: আক্তার হোসেন, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের প্রাক্তন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) ও বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। উল্লেখ্য তিন প্রশিক্ষকই বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এছাড়া প্রশিক্ষণের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯২ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিশিষ্ট শিল্প উদ্যেক্তা মো: সুমন আহমেদ হানিফ।
২য় দিনে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (BEDU) এর কোর ট্রেইনার গোলাম কিবরিয়া খোন্দকার এবং আইসিটি বিষয়ে জেলা মাস্টার ট্রেইনার রুবাইয়া সুলতানা। প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ও সম্পর্ক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা ও এ সংক্রান্ত বিধিবিধান, প্রাতিষ্ঠানিক শিষ্টাচার, পাবলিক পরীক্ষা আইন, শিক্ষকতা পেশার উতকর্ষ সাধনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন অধিবেশনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মজুমদার,বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের প্রোগ্রামার মো: আবদুর রউফ, বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি কাজী আবুল হাছান।
এই প্রশিক্ষণে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মনির আহমদ,বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক হোসেন, বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র রায়সহ দুই বিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ পঠন পাঠনে বৈচিত্র্য আনে। প্রশিক্ষণ নিলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। এটা বাড়াতে হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
মুরাদনগরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমপাল গ্রামবাসীর কাছে
আতঙ্কের আরেক নাম ছিল সুমন সরকার । সেই সুমন সরকারকে স্ত্রী হত্যা মামলার অভিযোগে পুলিশ আটক করেছে।
শুক্রবার যাত্রাবাড়ী প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
কুমিল্লা
মুরাদনগর আমপাল গ্রামের মৃত আলিম সরকারের ছেলে সুমন সরকার। নিহত রিমা সুমনের দ্বিতীয়
স্ত্রী, তার দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রহমান বলেন, মামলার প্রধান আসামী নিহতের স্বামী সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত
১৯ জুন সোনারগাঁও থানাধীন সাদিপুর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে নিহত রিমার লাশ
একটি পলিথিন মোড়ানো বস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন