আজ (৬ মে) থেকে সারা দেশে টানা সাত-আট দিন বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া
অধিদপ্তর। কোথাও কোথাও কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া
অধিদপ্তর।
পরবর্তী
পাঁচ দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতে বলা হয়েছে,
এ সময়ও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। সে হিসেবে আগামী এক সপ্তাহ টানা
বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওবিদ
মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী তিন দিন দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারি বৃষ্টি, কোথাও কোথাও
বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস রয়েছে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এ
সময়ের শুরুতে দিনের তাপমাত্রা কমতে এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। পরে তা
অপরিবর্তীত থাকবে।
মন্তব্য করুন
ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারান্তরীণ রাখে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে করা পোস্টে এ কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চায়।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা।’‘১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ও হরতালের আহ্বান করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হরতাল কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। যার ফলে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় এবং ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে।এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে বঙ্গবন্ধুসহ ২৪ জন নেতাকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।’
‘১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আটক থাকা অবস্থায় গোপনে বৈঠক করে ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি ১৯৫২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল হাসপাতালে থেকে নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল ডেকে গণপরিষদ ঘেরাও করার পরামর্শ দেন।’
সজীব ওয়াজেদ আরো লিখেছেন, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই আন্দোলন দমনের লক্ষে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত সংঘবদ্ধ ছাত্র-জনতাকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি।
‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহীদের রক্তে। ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখে। তবে জেলে অবস্থানকালেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠা ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অনশন করেছিলেন। মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাঁথা অধ্যায়। শহীদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন।’
পোস্টের শেষে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি-আমি কি ভুলিতে পারি?’ লিখে ভাষা শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাও জানান সজীব ওয়াজেদ।
মন্তব্য করুন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু অ্যাপের শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণভবনে অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়। অ্যাপটি তৈরি করেছে দুর্বার টেকনোলজিস লিমিটেড।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই মানুষ জাতির পিতার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন সম্পর্কে জানতে পারবে। সেই সঙ্গে আমাদের মহান স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের মহান স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যাপটি তৈরির মহতী উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রেরণা ও দিক নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এস এম ফারুকী হাসান, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, লুৎফুর রহমান, রেজাউল মাকসুদ জাহেদী, লে. কমান্ডার মসিউল, জামিলুর রহমান ও মো. সুমন মিয়া।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন- আগামী দিনে সংস্কৃতিতে আরও বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ
করতে হবে।
শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের ২য় দিনের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক দিক থেকে ও অবকাঠামো উন্নয়নের জায়গায় আমরা অনেক অর্জন করেছি, সামনে আরও এগিয়ে যেতে হবে। তবে আগামী দিনগুলোতে সংস্কৃতির জন্য আরও বিনিয়োগ দরকার। শুধু অর্থের বিনিয়োগ নয়, আমাদের আরও বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা এখানে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ সংস্কৃতিতে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে একটি উদারনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশের একটা মূল্যবোধের জায়গা তৈরি হবে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, আমাদের দারিদ্র্য কমছে, দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা সবকিছুতে উন্নততর জীবনের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু একইসাথে মূল্যবোধের উন্নয়নের জন্য, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সংস্কৃতিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। রবীন্দ্র সংগীত এবং আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির যত আয়োজন গোটা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেজন্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করতে চায়। কারণ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জন্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের, সাংস্কৃতিক আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে রবীন্দ্র সংগীত, আমাদের রাজনীতি, বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জন্ম, বাংলাদেশের বিকাশ হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে অতীতে ও বর্তমানে, ভবিষ্যতেও হাঁটবে। বাঙালিরা একটা স্বাধীন সত্তার কথা চিন্তা করলো এবং সবার প্রথমে ফুঁসে উঠলো অর্থনৈতিক বৈষম্যের জন্য নয় বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়। যখন সবার প্রথমে আমাদের ভাষার ওপর আঘাত হানা হলো এবং বলা হলো রবীন্দ্র সংগীত গাইতে দেবে না, তখন সবার প্রথম বাঙালিরা ফুঁসে উঠেছিল পাকিস্তানিদের বিপক্ষে এবং তখন ধীরে ধীরে বাঙালিরা চিন্তা করলো একটা নিজস্ব স্বাধীন আবাসভূমি দরকার যেখানে আমরা রবীন্দ্র সংগীত গাইব, নজরুল গীতি গাইব, আমাদের মতো করে আমাদের সংস্কৃতির চর্চা করব। সেই বাস্তবতা থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়া, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ। কাজেই রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্র সংগীত এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ব একেবারে নিবিড়ভাবে একই অঙ্কুরে গাঁথা। যে কারণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের একটি গানকেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করেছেন। রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে যে উৎসব, রবীন্দ্র সংগীতকে ঘিরে যে আয়োজন সেটি শুধু শিল্প ও সংস্কৃতির অংশ নয়, এটি একটি আন্দোলন, একটি মুভমেন্ট। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক মুভমেন্টকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং সব ধরনের উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদের বিপক্ষে উদারনৈতিক চিন্তা আরও বিস্তৃত করার জন্য রবীন্দ্র সংগীত, রবীন্দ্র সংগীতকে ঘিরে এই আন্দোলন আরও সামনে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বরেণ্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ানকে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা সম্মাননা, ১৪৩১ প্রদান করা হয়। এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. মকবুল হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংস্থার সভাপতি সাজেদ আকবর ।
মন্তব্য করুন
বর্তমান সময়ে চলমান উত্তপ্ত
রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে ২৩৩ প্লাটুন বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৩নভেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ
কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা এবংআশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুনসহ সারা দেশে ২৩৩ প্লাটুন
বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আজও বিএনপি-জামায়াত
ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ষষ্ঠ দফার অবরোধ চলছে। এই অবরোধ চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত।
অবরোধ চলাকালীন সময়ে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আজ (শুক্রবার) থেকে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে।
৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন সম্পর্কে জানা যায়, ঈদুল ফিতরে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১ ও ৩) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর; চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ ও ৪) চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরে ৫ দিন চালানো হবে।
কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৯ ও ১০) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ঈদের আগে (৮ ও ৯) এপ্রিল ও ঈদের পরের দিন থেকে ৩ দিন চলাচল করবে।
এছাড়া শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।
ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে ঈদের আগে ৭-৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ দিন এবং ঈদের পরের দিন থেকে ৩ দিন চলাচল করবে।
কিন্তু ঈদুল ফিতরের দিন সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে বিশেষ সিদ্ধান্তে দু-একটি কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। তবে কোন কোন ট্রেন চলবে তা ঈদের দুই দিন আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঈদের দিন সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে কয়েকটি কমিউটার ও মেইল ট্রেন চলাচল করবে। তবে রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মেইল ট্রেনের মধ্যে শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চট্টগ্রাম মেইল চলাচল করবে।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।
শুক্রবার(৮ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন-ময়মনসিংহের আনার কলি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।
মন্তব্য করুন
দেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আজ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও
খনিজ
সম্পদ
মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য
কর্মকর্তা মীর
মোহাম্মদ আসলাম
উদ্দিন
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আজ সোমবার (২২
এপ্রিল)
রাত
৯টায়
১৬
হাজার
২৩৩
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ
রেকর্ড
হয়।
আজকের দিনের এর
আগে পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
ছিল
গতকাল
রবিবার
১৫
হাজার
৬৬৬
মেগাওয়াট।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা
হয়, দেশের ইতিহাসে
বিদ্যুৎ উৎপাদনে
রেকর্ড হয়েছে। এ
সময় ১৬ হাজার
২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে
দেশব্যাপী চলছে
তীব্র দাবদাহ। জনজীবনে
স্বস্তি বজায়
রাখতে এই মুহূর্তে
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ
উৎপাদনে আন্তরিকভাবে
কাজ করে যাচ্ছে
বিদ্যুৎ বিভাগ।
মন্তব্য করুন
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি দূর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে অভিযোজন ও প্রশমন উভয়
ক্ষেত্রে উপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ
প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই। এজন্য প্রয়োজন অভিযোজন
সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ
গ্রহণ করা।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)
এক্সপো’ এবং ‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্বের (বিসিডিপি)’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণের কারণে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম
উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবস্থান ০.৪৮ শতাংশের
কম হলেও, এর নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের মধ্যে
আমরা অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো ব্যাপক কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা
বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে রক্ষা করা
তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি থাকাকালে
অভিযোজন এবং প্রশমন কার্যক্রমে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার
প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি। আমার প্রত্যাশা, উন্নত
দেশসমূহ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশসহ জলবায়ু
পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের হুমকিতে থাকা অন্যান্য দেশগুলো যাতে অব্যাহতভাবে আর্থিক,
বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায় সেজন্য আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধনী দেশগুলোর
প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আরো কয়েকটি বিষয়
তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- কার্বন-নির্গমনকারী দেশগুলোকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি
১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে তাদের নির্গমন হ্রাস করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ
নিতে হবে। উন্নত দেশগুলোর দ্বারা জলবায়ু তহবিলে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ
করতে হবে। অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে তা সমানভাবে বণ্টন করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে
উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি স্থানান্তরের পাশাপাশি সবচেয়ে কার্যকর জ্বালানি সমাধানে এগিয়ে
আসতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের সময়, সংশ্লিষ্ট দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার
তাদের ক্ষতি অনুসারে বিবেচনা করা উচিত।
পাশাপাশি যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে, তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয়
করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে, তা
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করুন।
সুনির্দিষ্ট তহবিল ও অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণে ধনী দেশ এবং
আন্তর্জাতিক সকল সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৭ বছরে
ন্যাপের গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন ।
সবশেষে জলবায়ু সমস্যা সমাধানে সকলের সমানভাবে অংশগ্রহণে গুরত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী-ভাঙন, বন্যা এবং খরার
কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সব দেশকে ভাগ করে নিতে হবে ।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে
লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো বন্ধের নির্দেশ
দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, নিজেরাই যদি লাইসেন্স ছাড়া ক্লিনিক-হাসপাতালগুলো বন্ধ না
করে, তাহলে কঠিন পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয়। শিশু আয়ানের মৃত্যুতে ইউনাইটেড হাসপাতালের
কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত হচ্ছে, তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিপক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে আদালতের যে নির্দেশনা
আছে, তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন