

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর দুই হাজার তেইশ-চব্বিশ সেশনের নবীন বরণ ও দুই হাজার বিশ-একুশ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং জমকালো কসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কনসার্টে অতিথি শিল্পী ছিলেন দেশের অন্যতম ব্যান্ডদল হাইওয়ে। শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস ও নেঁচে গেয়ে, দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখে।
এর আগে সকালে সিসিএন শিক্ষা পরিবারের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব ড. সানোয়ার জাহান ভূইয়া।
সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো: তারিকুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক (উপ-সচিব) কাজী ফারুক আহমদ, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো: লুৎফর রহমান। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলি মো: আমিনুল ইসলাম চৌধুরী।
মন্তব্য করুন


ঈদ উপলক্ষে কুমিল্লা বিসিকে (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন) উৎপাদিত সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুরসহ ২০-২২টি জেলায় যাচ্ছে।
সূত্রমতে, কুমিল্লা বিসিকের পাঁচটি কারখানায় সেমাই উৎপাদন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল,মেট্রো কনফেকশনারি, খন্দকার ফুড ও মক্কা কনজুমার এন্ড ফুড প্রোডাক্টস। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন হয়ে থাকে। কারখানা গুলোতে বাংলা ও লাচ্ছা নামে দুই ধরনের সেমাই তৈরি করা হয়।
কুমিল্লা বিসিকের কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলে গিয়ে দেখা গেছে, মেশিনে গর গর শব্দে বাংলা সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই সেমাই ছাদে শুকানো হচ্ছে। শুকানোর পর সেটা উনুনে ভাজা হয়। ঈদ বাজারের চাহিদা মেটাতে দ্রুত প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। ঘণ্টায় একজন শ্রমিক দুই থেকে আড়াইশ’ প্যাকেট করছেন। কেউ প্যাাকেট, কেউ ওজন, কেউ মুখ লাগানোর কাজ করছেন। কেউ কার্টনে সেমাই ভরছেন।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের সেমাই কারখানার সুপারভাইজার মো. মহসীন, শ্রমিক ফজলে রাব্বী ও হালিমা আক্তার বলেছেন, ঈদের অল্প কয়েকদিন বাকি। এখন বাজারে সেমাইয়ের চাহিদা রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে।
নগরীর কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী টিপু সুলতান বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাইয়ের সুনাম রয়েছে। তাই স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও ভালো।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের পরিচালক সৈয়দ গোলাম কাদের তানিন বলেছেন, আমরা ৩ দশক ধরে মান সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করি। এখানে সেমাই তৈরিতে কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা হয় না। আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়। বাংলা সেমাই আল-নূর, কুলসুম নামে এবং লাচ্ছা সেমাই তানিন নামে বাজারজাত করি। চরাঞ্চলে বাংলা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি।
বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম মো. মুনতাসির মামুন বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনে সুনাম রয়েছে। তার একটি সেমাই। এখানে উৎপাদিত সেমাই ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এখানের সেমাই মান সম্মত। মান রক্ষায় আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সেফটি ট্যাংক থেকে
প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।
তিনি জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের
ধরে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে খুন করা হয় ফেরদৌসী বেগমকে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে নিহতের
ঝা সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- দক্ষিণগ্রামের জাহাঙ্গীর
আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০) একই গ্রামের মোঃ সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার
(৩০), মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১), খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন
জিল্লু (২৭)।
ওসি জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ
গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন ও ঝা নুরজাহান
বেগম মধ্যে বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার
সুরহা না হওয়ায় ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঝা নুরজাহান বেগম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকার
মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সাথে দুই লাখ টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী
আনোয়ার হোসেন সাথে মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ
মাইনুদ্দিন জিল্লু এই দুজনকে যুক্ত করেন। চুক্তি অনুযায়ী গত ২৭ জুন শুক্রবার সকালে
ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকে ফেলে
দেয়। ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিসহ
থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় স্থানীয়রা বাড়ি
থেকে ২শ গজ দূরে একটি নির্জন বাগানের সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পেয়ে
বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
সেফটি ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনার পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান
বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুড়িচং থানা পুলিশ
প্রথমে নিহতের ঝা নুরজাহান বেগম আটক করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে হত্যার
ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আরও তিন আসামিকে গ্রেফতার
করা হয়।এ সময় আসামিদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল, গলার চেইন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে কুমিল্লা
আদালতে পাঠালে আসামিরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামিদের
কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের আরপি চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনরত এক মহিলারক্ষীর সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে এক নারী দর্শনার্থীর দেহ তল্লাশি করে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।মঙ্গলবার সন্দেহভাজন ওই নারী কারাগারে বন্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন বলে জানা গেছে।
দেহ তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার হওয়ার পর ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত অভিযুক্ত নারীকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
কারাগার সূত্র জানায়, কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বদা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। একই সঙ্গে অবৈধ দ্রব্য পাচার বা বহনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শৃঙ্খলা রক্ষা ও আইন প্রয়োগে তারা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে এবং ভবিষ্যতেও কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
কারা কর্তৃপক্ষ সাধারণ জনগণকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিরাপদ সমাজ গড়তে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি-
কুমিল্লা ১০ কেজি গাঁজা ও ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজন নারীকে আটক করেছে।
ডিএনসি
কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপ-পরিদর্শক তামাল
মজুমদার এর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১০ কেজি গাজা ও ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ
দুজনকে আটক করা হয়।
আজ
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টায় কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা
পৌর এলাকাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে চান্দিনা উপজেলা রাস্তার মোড়ে
পাকা রাস্তার উপর শাসনগাছা টু হোমনাগামী একতা বাস তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোসা:
ফারজানা আক্তার(৩০) নামের একজন আসামিকে আটক করে। আটককৃত আসামি কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
থানার কাটাবিল গ্রামের মৃত আলী মিয়ার মেয়ে।
অপর
এক অভিযানে কুমিল্লা টু ঢাকাগামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট নামের বাস তল্লাশি করে ২২ বোতল
ফেনসিডিলসহ মোসা: আসমা আক্তার (৪০) নামের একজনকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামি বাগেরহাট
জেলার কচুয়া থানার চরলক্ষীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল রাজ্জাকের মেয়ে।
আসামীদের
বিরুদ্ধে উপ-পরিদর্শক তমাল মজুমদার ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন বাদী
হয়ে চান্দিনা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন


এনসিপির
দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন,
কুমিল্লাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামীলীগ ফিরে আসলে ৪ কোটি
সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখবে না তারা। আপনি বিএনপি-জামাত করেন আমার সমস্যা নাই, কিন্তু আওয়ামীলীগের সাথে সখ্যতা আমরা মেনে নিবো না। বুধবার বিকালে
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউনহল মাঠে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই
পদযাত্রার ২৩ তম দিনে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর এনসিপি এ সভার আয়োজন করে।
হাসনাত
আবদুল্লাহ আরো বলেন, হাসিনা দম্ভ করে বলেছিলো,
কুমিল্লার নামের আগে কু রয়েছে, এই কুমিল্লা
নামে বিভাগ করা যাবে না। আমরা হাসিনাকে উৎখাত করেছি এবং কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে।
আমরা বলতে চাই, কুমিল্লা হবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র ক্যান্টনমেন্ট।
তিনি
বলেন,
রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছে কুমিল্লা। কুমিল্লার মানুষ
আত্মনির্ভরশীল। কুমিল্লার উন্নয়ন কুমিল্লার মানুষের টাকাতেই হয়েছে। কুমিল্লার
মানুষ রেমিটেন্সযোদ্ধা। কুমিল্লায় উন্নয়নের নামে যে বিনিয়োগ হয়েছে তা একটি দলের
পকেট ভারী করার জন্য। আমরা কুমিল্লার মানুষেরা রাষ্ট্রীয় বঞ্চিতের শেষ চাই।
তিনি
আরো বলেন,
আমরা আগে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত মনে করতাম। কিন্তু, উত্তরবঙ্গ ঘুরে আমরা কুমিল্লায় এসে দেখি কুমিল্লায় ঠিক করে টানা দুই
কিলোমিটার রাস্তা ঠিক নাই। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকার
এগুলো ঠিক না করলে আমরা নিজেরা টাকা তুলে তা ঠিক করবো। ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিলেট
রোড নাকি মহাসড়ক। কিন্তু এখানে দুটো বাস একসাথে ক্রস করতে পারে না।
কুমিল্লাবাসীকে
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন,
আমাদের লড়াই শেষ হয় নাই। কুমিল্লাবাসী আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন।
তিনি
বলেন,
হাসিনার দূশ্চিন্তার বিষয় ছিলো কুমিল্লা। কুমিল্লাতে সম্প্রীতির
বন্ধন নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। কুমিল্লাবাসী আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে৷
কুমিল্লা হবে এনসিপির ক্যান্টনমেন্ট।
এসময়,
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির উত্তরবঙ্গের মুখ্য সমন্বয়ক সার্জিস
আলমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম
সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিপা, সিনিয়র যুগ্ম মূখ্য
সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন
মোহাম্মদ, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, জাতীয় যুবশক্তির আহবায়ক এডভোকেট তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম
মূখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ, কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য
হাফসা জাহান, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ,
এনসিপির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম।
এর
আগে সভার শুরুতে, ঢাকায় এসময় মাইলস্টোন
স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনার প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়৷
এবং, সভাটিকে শোকসভা ঘোষণা করা হয়।
এর
আগে বিকাল ৫ টার দিকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে
কুমিল্লা টাউনহলে এসে শেষ হয়। এসময় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা
মিছিলে মিছিলে টাউনহল মাঠে জড় হয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানায়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা সদর উপজেলায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় মা–ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন বসন্তপুর গ্রামের কামাল। এ ঘটনার জেরে প্রতিবেশী বিল্লাল তার ওপর অতর্কিতে হামলা করে। ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে কামাল ঘটনাস্থলেই মারা যান।চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে কামালের মা-কেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে বিল্লাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় কামালের মায়ের পেট ফেটে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা বিল্লালের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম জানায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্ত চলছে। হামলাকারী বিল্লালকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনার পর পাঁচথুবী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বসন্তপুর গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মন্তব্য করুন


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয়
উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের
দ্বিতীয়া তিথিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) কুমিল্লা জগন্নাথপুর শ্রী শ্রী
জগন্নাথ দেবের মন্দির ও নগরী ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরের যৌথ আয়োজনে শ্রী
শ্রী জগন্নাথপুর মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের পূজা ও দর্শন
আরতী, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোম যজ্ঞ, ভজন কীর্তন, বাউল সংগীত ও পদাবলী কীর্তন
এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ ও দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহা হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে জগন্নাথ মন্দির হতে চকবাজার-রাজগঞ্জ-কান্দিরপাড়
হয়ে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির এসে শেষ হয় বর্ণাঢ্য শুভ রথযাত্রা।
ওই শোভাযাত্রায় লাখো পূণ্যার্থী ও ভক্তের সমাগম ঘটে। এতে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি
ছিলো চোখে পড়ার মতো। এরপর সন্ধ্যায় গুন্ডিচা মন্দিরে সন্ধ্যারতি কীর্তন ও ভজন কীর্তন
এবং রাত ৮টায় ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত
ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব
হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন
জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয়
না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
আজ কুমিল্লা জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর দুইটায় ধর্ম সভা শেষে সাড়ে ৪টায় বেলুন উড়িয়ে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম । এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা-৭ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
রথযাত্রা মহোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
বলেন- অসম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্ম জাতির মানুষ সম্মিলিতভাবে স্বপ্নের সোনার বাংলা
বিনির্মাণ করবে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫আগস্ট নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্য্যা করে এই
স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র৷ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো
ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে৷ এই বিভাজন আমরা মানতে পারিনি বলে পরবর্তীতে অসম্প্রদায়িক
চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশে তাই কোন ধর্মীয় বৈষম্য থাকবে না৷
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি
শ্রীমান সুদর্শন দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ধর্মসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার
মু. মুশফিকুর রহমানসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির হতে রথযাত্রার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে শ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও শুভদ্রাদেবের ৩টি পৃথক রথারোহনের মাধ্যমে মাসির বাড়ি পাথুরিয়া পাড়া আগমন করেন। সেখান তিনি প্রায় আটদিন অবস্থান করার পর পুনরায় উল্টো রথে নিজ বাড়ীতে ফিরে যাবেন। প্রতি বছর হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাগম ঘটে থাকে রথযাত্রা উৎসবে।
এদিকে, আগামী ১৪ জুলাই রবিবার (উল্টো
রথযাত্রা) গুন্ডিচা মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব এর পূজা ও
দর্শন আরতি, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, ভজন কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং
দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহাহরিনাম সংকীর্তন
সহযোগে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির হতে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ ও
চকবাজার হয়ে জগন্নাথপুর মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা'র মধ্যদিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা
মহোৎসব।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রসহ মো. টিপু নামে এক যুবককে আটক করেছে সেনাবাহিনী। টিপু গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
চৌদ্দগ্রাম সেনাক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি টিম শনিবার রাতে গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর-কর্তাম এলাকায় টিপুর বাড়িতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে টিপুর বসতঘর থেকে দেশে তৈরি একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অস্ত্রসহ আটককৃত টিপুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকায় কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৮৬ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের অবৈধ
ভারতীয় মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ২ জুন ২০২৫ তারিখ রাত
আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিবেরবাজার বিওপির অধীনে একটি বিশেষ
টহলদল সীমান্ত সংলগ্ন সোনাপুর এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায়।
অভিযানে সীমান্ত শূন্য লাইন থেকে প্রায় ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত
স্থানটি থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় একটি ইজিবাইকসহ মোট ২৭৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা
হয়।
উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলোর মধ্যে ১৮১টি নতুন এবং
৯৩টি পুরাতন মোবাইল ফোন রয়েছে। এসব মোবাইল ফোনের বাজারমূল্য আনুমানিক ৮৬,৫৯,২৭৪
(ছিয়াশি লক্ষ ঊনষাট হাজার দুইশত চুয়াত্তর) টাকা।
বিজিবি জানান,
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) জানান, জব্দকৃত মোবাইল ফোনসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
১৯.৫ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর)
বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত
অভিযানে আসামী মোঃ ইয়াছিন নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ
থেকে ১৯.৫ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ ইয়াছিন (৪০) মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার উত্তর সাহাপুর গ্রামের মৃত ইন্নত আলী
এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট
পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের
অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন