বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, মিয়ানমার সংঘাতে সৃষ্ট উদ্বেগ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতিসংঘকে লিখিতভাবে জানানো হবে ।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের সৃষ্ট সমস্যায় বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থান আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। আমরা সীমান্ত উদারভাবে খুলে দেওয়ার পক্ষপাতী নই এবং এ সুযোগ আমরা কাউকে দেব না। যারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তারা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তারা তাদের ফিরিয়ে নেবে এবং ফিরিয়ে নিতেই হবে। ফিরিয়ে না নেওয়ার বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। চিঠি দিবে জাতিসংঘকে। মিয়ানমার সীমান্তের রেশ ভারতেও গেছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার সীমান্ত ইস্যুটাও আছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলে জানিয়েছেন এখন সরকারের মূল লক্ষ্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।
শুক্রবার
(২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের
সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব
বড়ুয়া প্রমুখ।
সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, জজ মিয়া, মিয়া আরেফিসহ বিএনপি যতই নাটক সাজাক না কেন জনগণের
সমর্থন তাদের নেই। তারা যতই করুক, জনগণ আন্দোলন চায় না। তারা নির্বাচন বয়কটের পরও
জনগণ ৪১.৮ শতাংশ ভোট দিয়েছে। ২৮টি দল অংশ নিয়েছে। সারা দুনিয়া থেকে বিভিন্ন দেশ ও
সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ওবায়দুল
কাদের আরও বলেন, গতকালও দেখলাম রেমিট্যান্স বেড়েছে, তবে রিজার্ভ কমেছে। ওঠানামা থাকবেই।
তারপরও আমাদের কৃষি খাদ্য যেখানে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি। এটা একটা ভালো দিক। এ অস্থিরতার
মধ্যেও জনগণের মধ্যে কোথাও হাহাকার নেই, বিক্ষোভ-দ্রোহ দেখিনি। সবাই স্বাভাবিক জীবন-যাপন
করছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। কথা
বেশি না বলে কাজে মনোযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
পুলিশের মহাপরিদর্শক
(আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
দায়িত্ব পালনের জন্য সারাদেশে পুলিশ বাহিনী সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে, নির্বাচনকে
কেন্দ্র করে নাশকতার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি)
দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলস্থ উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ আগামী ৭ জানুয়ারি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্রিফিং পরবর্তী মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি
এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে। সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি সদস্যকে আমরা ব্রিফ করেছি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে। আমরা সকলের সহতায় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। আমরা সারাদেশে ৪২ হাজার ২৫ টি ভোট কেন্দ্রে নিরাপদ দিব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
আজ সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৌদির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি। সৌদি আরবে ইসলামে নারীবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদর দপ্তরের সমন্বয়ে সৌদি আরব এ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সৌদি আরব সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় তিনি মহানবী (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। রাতে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজে মদিনা থেকে জেদ্দায় যাবেন। জেদ্দা থেকে রাতেই তিনি মক্কা যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন ও মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দার হিলটনে তিনি ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইসলামে নারীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য দেবেন।
জেদ্দার হিলটনে সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, ইরানের নারী ও পরিবারবিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
রাতে সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে দেওয়া নৈশ ভোজে অংশ নেবেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তিনি বাংলার
মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের
রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে
বিপদগামী একদল সেনা কর্মকর্তার নির্মম বুলেটের আঘাতে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের
মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে
হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ
হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের
চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু
করে ঘাতক গোষ্ঠী।
বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের
মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক তেমনি এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫
ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার
অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে
নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু
কন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতক গোষ্ঠী। খুনি সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যা
শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি
করে।
সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা
উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ
৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া
আর প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ
ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার,
স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম
সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার
গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা
বিমান থেকে সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে
এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা। এই সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট
স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন সেখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়
তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।
১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর
জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধু
কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে
হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের
নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি
ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’
আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব
গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের
অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার
দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর
খুনি ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর
করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন,
দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে
জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের
নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল
দেশে পরিণত হয়েছে।
শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪৩ বছরের
আন্দোলন-সংগ্রামের এই পথচলা কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল।
গণমানুষের মুক্তির লক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার
ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং
নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত
হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক
উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন
তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের
মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ প্রেম এবং অক্ষয় ভালোবাসাই হলো তার রাজনৈতিক শক্তি।
মন্তব্য করুন
উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিবেশবান্ধব
ও ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে পরিকল্পনাই
হোক, সেটা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। কারণ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের
লক্ষ্য। পাশাপাশি পরিকল্পনাগুলো যেনো টেকসই হয় এবং খরচের দিকটাও বিবেচনায় নিতে হবে।
শনিবার “Engineering and Technology for Smart
Bangladesh” - প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর ৬১তম কনভেনশনের
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগ
সরকারের মূল লক্ষ্য। তৃণমূল থেকে মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা। তৃণমূল থেকে মানুষের
ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সম্পদের সীমাব্ধতা মাথায় রেখে কীভাবে উন্নয়ন সচল রাখা
যায় সেদিকে প্রকৌশলীদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া যেকোনো প্রকল্প সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব
ও টেকসই হওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।পাশাপাশি নিজস্ব বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
এবারের ৬১তম কনভেনশনের মূল
প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট
বাংলাদেশ’। কনভেনশনে সেমিনারের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স
ফর ট্রান্সফর্মিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
আরো বলেন, কীভাবে জ্বালানি উদ্ভাবন করতে পারি, কীভাবে আমরা স্বল্প খরচে উন্নয়নের কাজ
সচল রাখতে পারি, যোগাযোগব্যবস্থার কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি; সেটি চিন্তা করেই প্রকল্প
নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শিল্পায়নের
সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, আমাদের নিজস্ব বিশাল বাজার, সেই বাজার আমাদের
সৃষ্টি করতে হবে এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে ডিজিটাল
বাংলাদেশ করা হয়েছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করা হবে।
মন্তব্য করুন
আজ পুরান ঢাকার বকশিবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউটে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি এখন উপলব্ধি করছে তাদের চরম ভুল হয়েছে এবং এখন তাদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। আজ পুরো পৃথিবী নতুনভাবে নির্বাচিত হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাই আবোল-তাবোল বকছে। তারা এখন উপলব্ধি করছে নির্বাচন বর্জন করা তাদের জন্য আত্মাহুতির শামিল হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার যখন ২০০৯ সালের সরকার গঠন করি, এরপর যখন উপজেলা নির্বাচন হয় তখন কিন্তু প্রতীক ছিল না। প্রতীক দেওয়ার বিধান পরে চালু হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বরাবরই প্রতীকবিহীন হয়েছে। আমরা আগের সেই পদ্ধতির কথাই বলেছি। সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে এবং যে যার মতো নির্বাচন করবে। যারা বিজয়ী হবেন, তারা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন। এটা নতুন কিছু না।
মন্তব্য করুন
নাশকতা করে নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে কারো ক্ষমা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোট বানচালের জন্য যারা মানুষ খুন করবে, এদেশের মানুষ তাদের উৎখাত করবে। এদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, তারা বিএনপির হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে।
তার আগে সিলেট পৌঁছে হজরত শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত করেন। ছোটবোন শেখ রেহানা তার সঙ্গে আছেন।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরে রেললাইন কাটা
এবং ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনাকে নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতা
বলে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন।
বুধবার (ডিসেম্বর ১৩)
সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ
কথা বলেন।
জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ
রেললাইনে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে আওয়ামীলীগ সাধারণ
সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র, এই নাশকতার
লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে দেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
নাশকতার মাধ্যমে এই নির্বাচনকে বানচাল করা। ’
নির্বাচন বানচালে
বিএনপি-জামায়াত গভীর ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আজকে তারা গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা কিছু
প্ল্যানও আছে তাদের। তারা চায় গুপ্ত হত্যা, গুপ্ত হামলা, আজকে বাসে ট্রেনে আগুন
দিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করা। এই সব অপকর্ম বিএনপি ও তাদের দোসররা করতে চায়। ’
বিএনপি-জামায়াতের
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আওয়ামীলীগ সতর্ক আছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমরা সতর্ক পাহারা আরও জোরদার করছি। এবং আইন প্রয়োগকারী
সংস্থার দায়িত্ব আছে, তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
বিএনপি-জামায়াতের
সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বাসে-ট্রাকে আগুন দিয়ে, ট্রেনে নাশকতা করে, আগুনসন্ত্রাস করে তারা দেশে
কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়?’
ওবায়দুল কাদের আশা
প্রকাশ করেন আরও বলেন, ‘৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন
হবে। আমরা ক্রমেই গণতন্ত্রকে ত্রুটি মুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এই নির্বাচনে
গণতন্ত্র আরও পারফেক্ট হবে।’
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ
করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো
শুভেচ্ছা বার্তায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোয় অস্ট্রেলিয়া ও
বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ। ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন,
অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা
করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে
চান বলেও উল্লেখ করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ।
মন্তব্য করুন
জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার
(১৭ মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের
সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময়
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে
দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
পুষ্পস্তবক
অর্পণের পর স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের শহীদদের
আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কোরআন তেলাওয়াত এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশের
অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।
মন্তব্য করুন