শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়।
এই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে
বিভিন্নজনের মতামত প্রকাশ করাকে ঘিরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তাঁর অভিমত প্রকাশ করেন
।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন
নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল
উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতেও রাতের অন্ধকার দেখে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের
যে উন্নতি ও উচ্চতা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এর লজ্জিত হওয়া নিয়ে
ওবায়দুল কাদের বলেন,
পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে একসময় মনে
হতো বোঝা আর এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত
হন।
সেতুমন্ত্রী এটাও বলেন, শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়ার
অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে
কাদের বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সকল
প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো্ব শুধু না একইসাথে এ যুদ্ধকে না বলার জন্যও
বিশ্বের নেতাদের প্রতি আমাদের নেত্রী আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত
ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক
বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক
রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান
ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
১৪
দলীয় জোট ও সমমনাদের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল
কাদের জানান, ১৪ দলে কারা নমিনেশন চায় দেখে নিই, পরে সিদ্ধান্ত। ৩০০ আসনেই নৌকার প্রার্থী
থাকবে। তবে কোথাও প্রয়োজন হলে সেখানে সমন্বয় করে ছাড় দেওয়া হবে।
আওয়ামী
লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে এক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের
এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের জোট আছে। ১৪ দলে কারা কারা নমিনেশন চায়, আমাদের আগে
তা বুঝতে হবে। আমাদের হাতে সময় আছে আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত । অবজারভ করব আমরা ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী
লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের ভোট দেওয়ার জন্য দেশের কোটি কোটি মানুষ মুখিয়ে আছেন ।
বুধবার
(২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচনী
ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে আরও সমৃদ্ধ, আরও উজ্জ্বল, আরও আলোকিত
করার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা আমাদের ডায়নামিক লিডার। ইনশাল্লাহ নির্বাচনে জয়
আমাদের হবে। অসত্যের কাছে আমরা মাথা নতো করবো না। এ আগুন সন্ত্রাস জ্বালাও-পোড়াও বারে
বারে আমরা দেখেছি। এসব ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই আমাদের লাল-সবুজের পতাকা
হাতে হৃদয়ের বন্ধরে পৌঁছাবো ইনশাল্লাহ। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আইআরআই তাদের
গবেষণা রিপোর্টে বলেছে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে। আমরা ভয়
পাবো কাকে। আমাদের জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন,ভোটে অনিয়মের ছবি প্রকাশ হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
আসনটিতে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনেও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী। ভোটের দিন দুপুরে দুই প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক। ভোটের পরদিন গতকাল সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এছাড়া আসনটিতে ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রে ‘জাল ভোটের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানকার একটি ভোটকেন্দ্রে একজনকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে বিরামহীনভাবে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এসময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাকে সিল মারতে দেখা যায় তাকে।
এরপরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা আজাদকে ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই দিনে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। তাদের মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙল প্রতীকে পান ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াত বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এরা পরাজিত শক্তির দালাল, এদের না বলুন। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, রেল লাইনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলে, এরা তো পরাজিত শক্তির দালাল, মনে রাখতে হবে এরা পরাজিত শক্তির দোসর। কাজেই এদের না বলুন।
শেখ হাসিনা বলেন, এদের (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশে রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নেই। কারণ খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্নীতিবাজ—এদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই।
‘এরা ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। এরা মানুষ খুন করতে পারে, মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা দিতে পারে না। এরা মানুষের সর্বনাশ করতে পারে, মানুষকে উন্নতি দিতে পারে না। কাজেই তাদের থেকে সাবধান।’
আওয়ামী লীগের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে; তারা শান্তিতে বাস করবে উন্নত জীবন পাবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা এদেশকে আর কখনো এই পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেব না। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে এবং এগিয়ে যাবে জাতির পিতার ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সারা দেশে তারা অগ্নি-সন্ত্রাস করে যাচ্ছে, তাদের আন্দোলন কী, অবরোধ-হরতাল। তাদের দেখা নেই; কয়েকটা গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, রেল লাইন কেটে দেওয়া, বাস পোড়ানো; এটাই হচ্ছে তাদের হরতাল, এটাই হচ্ছে তাদের আন্দোলন।
তিনি বলেন, তারা নাকি জনগণের স্বার্থে কাজ করে, জনগণের জন্য আন্দোলন করে। তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আন্দোলন করবে। আরে গণতন্ত্র বানান করতে পারবে? আর গণতন্ত্র তারা শিখেছে? ওর (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান) বাপ কি গণতন্ত্র দিয়েছিল? ওটা তো কারফিউ গণতন্ত্র ছিল।
বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ যদি মাঠে নামে এরা হালে পানি পাবে না। কাজেই আমি জনগণের কাছে আহ্বান করবো, সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এখন তাদের নানা রকম চক্রান্তও শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগেই চক্রান্ত হয়। কিন্তু এদেশের মানুষের শক্তি হচ্ছে বড় শক্তি, আমি যেটা বিশ্বাস করি। সেই শক্তি আছে বলেই আমরা পরপর এক টানা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ থাকলে এদেশের মানুষ সেবা পায়।
টানা তিন মেয়াদে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে হেয় চোখে দেখা হত। পাকিস্তানিরা বোঝা মনে করত, এটা চলে গেলেই ভালো। আজকে তারা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম।
মন্তব্য করুন
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনসভায় যোগ দিতে আগামী মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার প্লেনযোগে শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জে (রংপুর-৬) যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
গত ২০ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের পর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
২৩ ডিসেম্বর বিকেলে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা, রাঙামাটি এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন তিনি।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আরও ৬ জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন ।
এরপর আগামী ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসন নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এ ছাড়া এদিন মাদারীপুর-৩ আসনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ১ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুর শারীরিক চর্চা কেন্দ্র মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জন্য দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ৩শ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুরে ৩৩, রাজশাহীতে ৩৯টি, মোট ৭২টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ার পর্যন্ত ফল প্রকাশ করবো না। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। আমার একসঙ্গে আমাদের মনোনয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব। আগামী ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত সভা মুলতবি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা উপলক্ষে বরিশাল পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ঠিক বিকেল ৩টায় তিনি বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভা মঞ্চে ওঠেন। এর আগে দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী সড়ক পথে বরিশাল সার্কিট হাউসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে বিকেলে জনসভাস্থলে পৌঁছান এবং সেখানে বক্তব্য দেবেন।
স্থানীয় সার্কিট হাউসে অল্প সময় বিশ্রামের পর জনসভার মঞ্চে পৌঁছান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ও বরিশাল সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহও বক্তব্য দেবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভায় যোগ দেন। এর পাঁচ বছর পর এবারও নির্বাচনী সভায় যোগ দিতে আসছেন। এর আগে যদিও চলতি বছরের মার্চ মাসে বরিশাল সফরের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। পরে তা স্থগিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
আগামী ১লা জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।তিনি বলেন, ১লা জানুয়ারি বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুর শারীরিক চর্চা কেন্দ্র মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
গত বুধবার হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সিলেট সফর শুরু করেন শেখ হাসিনা। এরপর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ প্রধান এবং সেই জনসভা থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেলে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর পর আগামী ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ এবং মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসন নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এছাড়া এদিন মাদারীপুর-৩ আসনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
সব
দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে
আওয়ামী লীগ এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
নির্বাচনের দরজা সবার জন্য
উন্মুক্ত।
১৭
নভেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী
লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় বক্তৃতায় তিনি
এ আহ্বান জানান।
সব
রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের
আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
নির্বাচনের শিডিউল (তফসিল) ঘোষণা হয়েছে। সবাই আসেন, ইলেকশনে
অংশগ্রহণ করেন, ইলেকশনে জনগণের কাছে গিয়ে জনগণের
ভোট চান। এই যে
অপরাধ করেছেন জনগণের কাছে, বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি,
অগ্নিসংযোগ করে জনগণকে হত্যা
ও জানমালের ক্ষতি করেছেন, সেজন্য জাতির কাছে মাফ চেয়ে
তারপর নির্বাচনে আসেন, সেটাই আমরা চাই। নির্বাচনের
দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।
আন্দোলন
করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না
মন্তব্য করে শেখ হাসিনা
বলেন, আগুন নিয়ে খেলছে।
বিএনপি এবং তাদের যে
জোট আছে, তাদের শুধু
একটা কথা বলবো- এই
আগুন নিয়ে খেলা বাংলাদেশের মানুষ
কখনো মেনে নেবে না।
(অতীতে) তারা নির্বাচন বানচাল
করতে চেয়েছে, এটাও তারা বানচাল
করতে পারবে না।
তফসিল
ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে
ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
ধন্যবাদ জানাই আমাদের নির্বাচন কমিশনকে। তারা অন্তত এ
জ্বালাও-পোড়াওয়ে ভীত না হয়ে,
সাংবিধানিক নিয়ম মেনে সময় মতো
নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন,
এখন নির্বাচন যেন যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে
হয় সেজন্য জনগণ ও দেশবাসীর
সহযোগিতা আমি চাই। নির্বাচন
জনগণের অধিকার, এটা তাদের সাংবিধানিক
অধিকার। সময় এসেছে নির্বাচন
হবে। জনগণ ভোট দেবে।
কারও যদি সাহস থাকে
এসে ইলেকশন করবে। জনগণের ভোট পাওয়ার অবস্থা
যদি থাকে তাহলে ভোট
পাবে। জনগণ যাকে ভোটে
নির্বাচিত করবে সেই সরকার
গঠন করবে।
আওয়ামী
লীগ এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদেরসহ
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী
সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন