মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় দুটি নতুন সেতু নির্মানে বদলে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন ও পালাখাল মডেল ইউনিয়নের মানুষের জীবনযাত্রার মানও বদলেছে। বিশেষ করে মেঘদাইর-নাংলা নতুন ব্রীজ ও সহদেবপুর মোড় এলাকায় নতুন বীজের পাশ্ববর্তী এলাকাবাসীরা খুশি। বৃদ্ধি পেয়েছে জীবনযাত্রার মান ও অর্থনীতির চিত্র।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই ইউনিয়নের মেঘদাইর-নাংলা ব্রীজ ও সহদেবপুর মোড় এলাকায় ব্রীজটি ছিলো অকেজো। ফলে দুই ইউনিয়নের যানবাহন চালক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এলজিইডি’র আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এ দুটি ব্রীজ। ফলে বর্তমানে সেতু নির্মান করায় দীর্ঘদিনের চরম ভোগান্তির অবসান হয়েছে। পাল্টে গেছে দুটি ইউনিয়নের যোগাযোগের চিত্র। সেতু নির্মাণ হওয়ায় ভাগ্য বদলেছে দুই ইউনিয়নের মানুষের।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্রীজ দুটি চলাচলে অনুপযোগী ছিল। এতে করে সাধারন মানুষেরা খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সেতুটি নির্মানের ফলে যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে বলেও জানান তারা।
যানবাহন চালকরা জানান, সেতুটি অকোজা হওয়ার ফলে যানবাহন চলাচল করতে আমাদের খুব ভোগান্তি পোহাতে হতো। সেতু নির্মানের ফলে এখন সহজেই বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে যাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ব্রীজ গুলো নষ্ট হওয়াতে আমরা বিদ্যালয়ে যেতে অনেক সময়ে হিমসিম পোহাতে হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে কাদাযুক্ত কাপড় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়েছে। ব্রীজ দুটি নির্মান হওয়ার পর থেকে আমরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারছি।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলিম লিটন বলেন, দুটি সেতু নির্মানের ফলে দুটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে পালাখাল মডেল ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামের স্থানীয়রা খুবই ভোগান্তিতে ছিলেন। দুটি ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট ভোগান্তি দুর হয়ে বদলে গেছে জীবনযাত্রা ও যোগাযোগের ব্যবস্থা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার হোমনায় ঘরে ঢুকে তিনজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাতে উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৩৫), তার ছেলে-সাহাব উদ্দিন (৯) এবং ভাগ্নি তিশা আক্তার (১৪)।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের মো: শাহপরান ঢাকায় চাকরি করেন। বুধবার রাতে তার স্ত্রী-ছেলে ও প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা ঘুমিয়েছিলেন। রাতের কোনো একসময় তাদেরকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহগুলো খাটের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা তিনজনের মরদেহ একই কক্ষে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। মরদেহগুলোর মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামের ইছানগরে আগুনে পুড়তে থাকা চিনির গুদাম দেখতে এসে শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বলছেন, আগুন নেভার পর দুই দিনের মধ্যে চিনি পরিশোধনে ফিরতে চান তারা।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তীরে এস আলম সুগার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। ২৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকালেও সেই আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।
এস আলমের ওই চিনিকলের দৈনিক পরিশোধন ক্ষমতা ২২০০ টন। কারখানার পাশের পাঁচটি গুদামের মধ্যে চারটিতে অপরিশোধিত এবং একটি গুদামে পরিশোধিত চিনি রাখা হয়। রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে চিনিকলটির ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে, যাতে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার যখন গুদামে আগুন লাগে, তখন চিনিকলটি চালু ছিল। আগুন লাগার পর কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ওই দিনই এস আলমের কল থেকে বাজারে চিনি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
আগুনে ১ নম্বর গুদাম ভস্মীভূত হলেও অন্য গুদাম বা কারখানায় আগুন ছড়ায়নি। তবে ১ নম্বর গুদামের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে আগুনে পুড়তে থাকা গুদাম দেখতে এলে সাংবাদিকরা সাইফুল আলম মাসুদের কাছে জানতে চান, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব রোজায় চিনির বাজারে পড়বে কি না।
উত্তরে সাইফুল আলম মাসুদ বলেন, আপনারা জানেন কিছু ব্যবসায়ী আছে, দুয়েকদিনের জন্য করে এরা; এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো দুয়েকদিন হবে আরকি। দুয়েকদিন পর তো আমার ডেলিভারি ঠিক হয়ে যাবে।
এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ আরো বলেন, আমার প্রোডাকশন চালু করব। আমার বানানো মাল আছে। ওইটা দিয়ে এক সপ্তাহ মিনিমাম চলবে। প্রোডাকশনে যাইতে লাগবে দুই দিন। মালেরও সমস্যা নেই। মেইনলি আগুনটা নিভে গেলে হয়ে যাবে আমার।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত গাউসুল আজম মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।ফায়ার সার্ভিসের প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় শনিবার বিকাল সাড়ে পৌনে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে বিকাল ৪টার দিকে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন, যাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলায় সাপের কামড়ে তানজিনা আক্তার নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি হোমনা উপজেলার গোয়ারি ভাঙ্গা এলাকার আলী আহমেদের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
আজ (২৬ জুন) সকালে তাদের নিজ বাড়িতে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় তানজিনাকে সাপে কাটে। তবে সাপটিক কোন প্রজাতির তা জানাতে পারেনি কেউ।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সাপে কাটা তানজিনাকে এন্টিভেনম দেয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তার পরিবার সেটি না মেনে তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে কাজ না হয় আবার হাসপাতালে ফেরার পথেই তার মৃত্যু হয়।
তানজিনার স্বামী আলী আহমেদ বলেন, সকাল আনুমানিক ৭ টায় নিজ
বাড়ির বিছানাতেই শুয়েছিল তানজিনা। এ
সময় তার বাম পায়ে আঙ্গুলে সাপের ছোবল টের পায়। উঠে খাটের নিচে তাকাতেই কালো রঙের একটি সাপকে চলে যেতে দেখে। পরে
তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সকাল ৮
টায় নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঔষধ দেওয়ার পর সেখান থেকে
স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে
'পানপড়া' খাওয়ানোর
জন্য নিয়ে গেলে সেখান থেকে তানজিনাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ফেরার
পথে তানজিনার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি ঘটলে তাকে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেয়া হয়। হাসপাতালে
নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। তবে কি সাপে কেটেছে
বলতে পারছিনা। তবে সাপটি কালো রঙের ছিল।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাপে কাটা রোগী তানজিনা আসার পর তাকে অ্যান্টিভেনম এর ডোজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকাকালীন সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাবার জন্য জোরাজুরি করে এবং নিয়ে যায়। পরে শুনেছি তাকে মৃত অবস্থায় আবার হাসপাতালে আনা হয়েছে। সাপটি কি ধরনের সেটি তিনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি।
তবে তিনি জানান, তানজিনাকে কেটেছে তা বিষধর ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, তানজিনাকে যখন নিয়ে আসে তখন তার শরীরে বিষক্রিয়ার বিভিন্ন উপসর্গও দেখা গেছে। তার চোখের পাতা বারবার পড়ে আসছিল এবং গলা শুকিয়ে আসছিল। চিকিৎসকরা তাকে এন্টিভেনম দেয়ার মাঝামাঝি সময়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যায়। পরে আবার হাসপাতালে আনলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন
আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ৮৯ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
আজ (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অভিনব কৌশলে পিকআপের
পিছনে মালামাল পরিবহণের ক্যারেটের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। জুয়েল
রানা এবং ২। মোঃ আকাশ নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামী’দ্বয়ের
কাছ থেকে ৮৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। জুয়েল রানা (৩১) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার চন্ডীপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে এবং ২। মোঃ আকাশ (৩২) একই থানার উত্তর বাসুদেরপুর গ্রামের মোঃ খোকন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে দিনাজপুর সহ অন্যান্য জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ
করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেডের
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো.মাহবুব আলম শিকদার।
এসময় দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী
ও বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।
আজ (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার
পূর্ব গোমদণ্ডী লোকনাথ মন্দির পূজা মণ্ডপ ও জ্যৈষ্ঠ পুরা বীণা পাণি সংঘ পূজা মণ্ডপ
পরিদর্শনে যান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালখালী
থানা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর শওকত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা,
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা
সহিদুল আলম, চট্টগ্রাম পল্লী সমিতি-১ এর ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার প্রকৌশলী শ ম মিজানুর
রহমান সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
মাই টিভির ১৫ বছর পদার্পন উপলক্ষে কুমিল্লায় র্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
মাই টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি আবু মুসার আয়োজনে আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ওমর ফারুকী তাপসের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. লুৎফুর রহমান, এটিএন নিউজ ও এটিএন বাংলার কুমিল্লা প্রতিনিধি খায়রুল আহসান মানিক, আরটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. গোলাম কিবরিয়া, টেলিভিশন, সাপ্তাহিক সীমান্ত সংবাদ ও ডেইলি অবজারভারের প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম দুলাল, রূপসী বাংলার প্রতিনিধি অশোক বড়ুয়া, জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি হুমায়ুন কবির রনি, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের কুমিল্লা প্রতিনিধি মীর শাহ আলম, দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার সাদিক হোসেন মামুন, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক বাহার রায়হান, মানবজমিনের কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. জাহিদ হাসান, বৈশাখী টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসাইন, যমুনা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, সমকালের কুমিল্লা প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন, দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, দৈনিক যুগান্তরের কুমিল্লা ব্যুরো আবুল খায়ের, নাগরিক টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন আকাইদ, ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার মো. ফিরোজ হোসেন, যায়যায়দিনের কুমিল্লা প্রতিনিধি আব্দুল জলিল, চ্যানেল ২৪ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. জাহিদুর রহমান, জাগরনী টিভির জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান, আরটিভির প্রতিনিধি মো. সোহরাব সুমন, এনটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ নান্টু, আজকের পত্রিকা’র প্রতিনিধি জহিরুল হক বাবু, এশিয়ান টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, চ্যানেল এসের প্রতিনিধি রাজিব সাহা, ঢাকা ট্রিবিউনের কুমিল্লা প্রতিনিধি মহসীন কবির, রূপসী বাংলার নিজস্ব প্রতিনিধি সাইফুল সুমন, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদের প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন, ডাক্তার ও লেখক ডা. আব্দুল আউয়াল সরকার, দুর্নীতির সন্ধানের প্রতিনিধি ম্যাক রানা, ঢাকা মেইলের কুমিল্লা প্রতিনিধি সাকলাইন জুবায়ের, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামারাপার্সন মো. আমলগীর হোসেন, সদর দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাজী দেলোয়ার মজুমদার, জাতীয় অর্থনীতির কুমিল্লা ব্যুরো মো. শাহিন হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ কুমিল্লা প্রতিনিধি মারুফ কল্প, দৈনিক আমাদের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান,ময়নামতি টোয়েন্টি ফোর টিভির গিয়াস উদ্দিন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের কুমিল্লা প্রতিনিধি এনসি জুয়েল, বিজনেস বাংলাদেশর মহানগর প্রতিনিধি আয়েশা আক্তার, বাংলাদেশ সমাচারের প্রতিনিধি মো. সাফি, দৈনিক আলোকিত সকালের মহানগর প্রতিনিধি হাফেজ তামিম হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্তকরণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
মঙ্গলবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় রাজশাহী নগর ভবনের গ্রেটার রোড থেকে। এরপর বর্ণালির মোড়, রাজীব চত্বর, ঐতিহ্য চত্বর, বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার, মেডিকেল জরুরি গেট, লক্ষ্মীপুর মোড়, সিএন্ডবি মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, সোনাদিঘী মোড়, গণকপাড়া মোড় পর্যন্ত রাস্তা-ফুটপাতে গড়ে ওঠা সব প্রকার অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়। অভিযানকালে গণগ্রন্থাগার ও মেডিকেল জরুরি গেটের সামনে প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে জব্দকৃত একটি জেনারেটর নগর ভবনে নিয়ে রাখা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও রাসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।
মন্তব্য করুন
রফিকুল
ইসলাম বাবু, চাঁদপুর :
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার কিশোর অটোচালক মহিন মিয়াজী (১৭) হত্যা মামলায় ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।
আসামীরা হলেন- মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাব্বি (২৬), মো. জসিম (২৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন (৪৪)।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়। তবে প্রধান আসামী সুজন এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।
হত্যার শিকার কিশোর অটোচালক মহিন মিজি উপজেলার উপাদি উত্তর ইউনিয়নের ডিঙাভাঙা গ্রামের নাছিল উদ্দিন মিয়াজীর ছেলে।
মঙ্গলবার চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার বলেন, অটোচালক মহিন
হত্যার ঘটনায় ১ ডিসেম্বর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার সূত্রধরে মতলব
দক্ষিণ থানার ওসি পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করেন। ওই দলটি তদন্ত করে হত্যায় জড়িত
আসামী মো. রাব্বি ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ২ ডিসেম্বর
অভিযান চালিয়ে আসামী জসিম ও ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে এবং ইসমাইলের হেফাজতে
থাকা অটোবাইকের ৪টি ব্যাটারী উদ্ধার করে। তবে ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী সুজনকে
গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর দুপুরে পূর্ব পরিকল্পার আলোকে আসামী সুজন মোবাইল ফোনে কিশোর চালক মহিনকে মতলব ধনারপাড় আসার জন্য। ওই চালক তাদের কথামত বাড়ি থেকে ধনার পাড় চলে আসে। সেখানে আসলে সুজনসহ সকল আসমী তার ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা করে নাগদা, আশ্বিনপুর, নারায়নপুরসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরাঘুরি করে। সন্ধ্যার পরে তারা ঘটনাস্থল উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতি গ্রামের গোলগেইল্যা খালের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা কৌশল করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং অটোরিকশাটি চালিয়ে আসামী ইসমাইলের গ্যারেজে নিয়ে আসে। পরে তারা ব্যাটারীগুলো ২৩ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন