ভেনেজুয়েলায়
একটি সোনার খনির ধসে অন্তত
২৩ জন নিহত হয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলে একটি উন্মুক্ত সোনার
খনিতে এই দুর্ঘটনা ও
প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলে বেআইনিভাবে পরিচালিত একটি সোনার খনিতে
মাটির দেয়াল ধসে পড়ার পর
অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু
হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় সেখানে বহু
মানুষ কাজ করছিলেন।
স্থানীয়
কর্মকর্তা ইওরগি আর্কিনিগা বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, দেশের বলিভার প্রদেশের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামে পরিচিত
খোলা গর্ত থেকে প্রায়
২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত
মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বেসামরিক
নিরাপত্তা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এই ঘটনার একটি
ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং ধসের ঘটনায়
নিহতের সংখ্যাকে ‘বিশাল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
যদিও তিনি নিহতের কোনও
সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
ভিডিওটিতে
দেখা যাচ্ছে, একটি উন্মুক্ত খনির
অগভীর পানিতে কর্মরত লোকদের ওপর ধীরে ধীরে
মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে
পড়ছে। কেউ কেউ ঘটনার
সময় সেথান থেকে পালাতে সক্ষম
হলেও অনেকে আবার তাতে চাপা
পড়েন।
কর্মকর্তাদের
মতে, প্রায় ২০০ জন লোক
সেসময় খনিতে কাজ করছিল বলে
ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে
এই খনিটি অবস্থিত সেখানে পৌঁছাতে হলে নিকটতম শহর
লা প্যারাগুয়া থেকে সাত ঘণ্টার
নৌকায় যেতে হয়।
বলিভার
প্রদেশের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেছেন, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলটি লা
প্যারাগুয়া থেকে চার ঘণ্টা
দূরত্বে এবং রাজধানী কারাকাসের
৭৫০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
রেয়েস
বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামরিক, দমকল
বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো
‘আকাশপথে ওই এলাকায় চলে
যাচ্ছে’। তিনি বলেন,
অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য কারাকাস থেকে
উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হচ্ছে।
আল
জাজিরা বলছে, বলিভার অঞ্চল সোনা, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টান সমৃদ্ধ।
রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও এই
অঞ্চলে অবৈধভাবে এসব মূল্যবান ধাতু
উত্তোলনের বিকাশমান শিল্পও রয়েছে।
এর
আগে গত বছরের ডিসেম্বরে
একই অঞ্চলের ইকাবারুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি খনি ধসে
কমপক্ষে ১২ জন নিহত
হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন টালিউড অভিনেতা দেব। হেলিকপ্টারযোগে পশ্চিমবঙ্গের মালদা থেকে রানীনগরে যাচ্ছিলেন টালিউড অভিনেতা দেব। আর পথে হেলিকপ্টারে আগুন লাগে। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই হেলিকপ্টারটিতে আগুন লেগেছে বলে ধারণা পুলিশের।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে,
মালদা হেলিপ্যাড থেকে উড্ডয়নের পরপরই দেবকে বহন করা হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়।
পাইলট জরুরি অবতরণ করেন। অক্ষত অবস্থায় হেলিকপ্টার থেকে নামেন অভিনেতা দেব।
দুর্ঘটনার পর সড়কপথে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন দেব।
গণমাধ্যমকে দুর্ঘটনার বিষয়ে দেব জানান, কিছুটা ট্রমায় আছি আমি। অশান্তি, ধোঁয়া ও গন্ধ আমার ওপর মানসিক প্রভাব ফেলেছে।
মন্তব্য করুন
ফ্রান্সের প্যারিসে ‘উইমেন স্পিকার্স সামিটে’ যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
(৫ মার্চ)মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্রান্সের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। সেখানে পৌঁছে আজ থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী সামিটে অংশ নেবেন স্পিকার।
ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আয়োজনে ওই সম্মেলনে যোগ দিতে স্পিকারের সফরসঙ্গী হয়েছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ ও সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস সাব্বির আহমেদ খান। এছাড়া স্পিকারের স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনও নিজ খরচে তার সফরসঙ্গী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ফ্রান্স সফর শেষে স্পিকার ও তার সফরসঙ্গীরা আগামী ১০-১২ মার্চ যুক্তরাজ্যের লন্ডনে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘কমনওয়েলথ ৭৫ স্পেশাল সেলিব্রেশন’ শীর্ষক সম্মেলনেও অংশ নেবেন। ভ্রমণ শেষে আগামী ১৫ মার্চ স্পিকারের দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের প্রথম সংস্কৃতি হাটের উদ্বোধন করা হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরার আগরতলার দেবরাম গ্রামে গত রোববার ১০ডিসেম্বর এই হাটের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলা সংস্কৃতি বলয় এর প্রথম সংস্কৃতি হাটের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব পি কে চক্রবর্তী, বাংলা সংস্কৃতি বলয় এর বিশ্বকমিটির সভাপতি শ্রী সেবক ভট্টাচার্য, মহাসচিব কাজী মাহতাব সুমনসহ বাংলা সংস্কৃতি বলয় এর স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এর আগে শনিবার ৯ডিসেম্বর বাংলা সংস্কৃতি বলয় এর বিশ্বকমিটির দ্বিতীয় অধিবেশন বসে ধর্মনগরে। এই উপলক্ষে আয়োজিত হয় ধামাইল উৎসব।
উল্লেখ্য গত জুনে কুমিল্লায় বাংলা সংস্কৃতি বলয় এর বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত আগস্ট মাসে কলকাতায় প্রথম অধিবেশন বলয় এর মুখ্য পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির উপস্থিতিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
মন্তব্য করুন
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে ১২০ ফুট উঁচু
মোবাইল টাওয়ারে উঠে বসে থাকলেন স্বামী। আর সেখানেই বসে থাকলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
শনিবার ভারতের বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের পাত্রগাতি
গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের হাজার অনুরোধও
কাজে দেয়নি। রাগে ঠায় মোবাইল টাওয়ারের মাথাতেই বসে ছিলেন বছর আঠাশের ওই যুবক। খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকলের দু’টি
ইঞ্জিন। কিন্তু তাও নামিয়ে আনা যায়নি যুবককে। শেষ পর্যন্ত খবর দিতে হয় বিপর্যয় মোকাবিলা
বাহিনীকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় ক্ষেতমজুর
সীমন্ত মাঝি মাঝেমধ্যেই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। স্ত্রী মিঠু মাঝি প্রতিবাদ করলেই
তাদের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। শনিবার সীমন্তের সঙ্গে মিঠুর ঝগড়ার কারণ ছিল অন্য। মিঠু
জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে স্বামী বাড়ি ফেরার সময় মিঠু গ্রামে এক সাপুড়ের কাছে সাপ খেলা
দেখতে গিয়েছিলেন। সাপুড়ে তাকে বিভিন্ন দোষ কাটাতে কবচ-মাদুলি পরার নিদান দেন। কবচ-মাদুলির
প্রতি স্ত্রীর আগ্রহের কথা জানতে পেরে ঝগড়া শুরু করেন সীমন্ত। তিনি সাপুড়েকেও গালিগালাজ
করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, তা নিয়ে গ্রামের একাংশের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েও পড়েন সীমন্ত।
মিঠুর দাবি, এর পরেই সীমন্ত ছুটে গিয়ে
গ্রামের এক প্রান্তে থাকা ১২০ ফুট উঁচু একটি মোবাইল টাওয়ারের উপর উঠতে শুরু করেন। গ্রামবাসীরা
সীমন্তকে বারবার নেমে আসতে বললেও তিনি ক্রমশ টাওয়ারের চূড়ায় উঠে যান। শেষ অবধি টাওয়ারের
প্রায় ১২০ ফুট উচ্চতায় থাকা ল্যান্ডিংয়ে গিয়ে থামেন সীমন্ত। সীমন্তের এমন কাণ্ড দেখে
বিপদের আশঙ্কায় দমকলে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইন্দাস থানার পুলিশও।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দমকল ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমন্তকে
নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই ঘটনার
খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার আশপাশের বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জড়ো হয় টাওয়ারটির
নীচে। ভিড় সামাল দিতে পুলিশকেও হিমসিম খেতে হয়।
সীমন্তের স্ত্রী মিঠু বলেন, আমার স্বামী
প্রায় দিনই মদ খেয়ে বাড়িতে বসে থাকেন। বারবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কোনও ভাবেই মদের
আসক্তি কমানো যায়নি। আজ এমন কাণ্ড করে বসবে ভাবতে পারিনি।
মোবাইল টাওয়ার সংস্থার আধিকারিক পীযূষ
কুমার মণ্ডল বলেন, টাওয়ারের নীচের অংশ ব্যারিকেড করে ঘেরা রয়েছে। ব্যারিকেডের দরজাতেও
তালা লাগানো ছিল। কিন্তু ওই যুবক ব্যারিকেড টপকে ভিতরে ঢুকে এমন কাণ্ড করেছেন।
মন্তব্য করুন
নারী মমতাময়ী, পরিবার হোক
কি কর্মক্ষেত্র কোমল আর কঠোরতার এক অপূর্ব যুগলবন্ধী হলো নারী যে সর্বক্ষণ ঘেরা থাকে
দায়িত্বের ঘেরাটোপে ।বর্তমান যুগে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই নারীরা প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত
রেখে চলেছে । চিকিৎসাক্ষেত্র ও এর ব্যতিক্রম
নয় ।
তবে এবার সামনে এসেছে নতুন
তথ্য। গবেষণা বলছে, নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) এনডিটিভির
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা ও গবেষণাবিষয়ক জার্নাল ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল
মেডিসিন’
জানিয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যুহার কম। এমনকি নারীদের
কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের পুনরায় হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কম।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে,
২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এ সময়ে ৭ লাখ ৭৬ হাজার রোগীর
ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। এরমধ্যে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১০০ নারী ও তিন লাখ ১৮ হাজার ৮০০ জন
পুরুষ ছিলেন।
ওই গবেষণার ফলে বলা হয়েছে,
নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যু ও পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার
হার কম ছিল।
গবেষণাটিতে আরো দেখা গেছে,
নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া নারী রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ১৫
শতাংশ। অন্যদিকে পুরুষ চিকিৎসকের কাছে নারী চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মৃত্যুর হার ছিল ৮
দশমিক ৩৮ শতাংশ।
অন্যদিকে নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর পুরুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইয়োসুকে
তুগাওয়া নামের এক গবেষক বলেন, নারী চিকিৎসকরা ভালো মানের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সামাজিক
দিক দিয়ে নারী চিকিসৎকদের দিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীরা লাভবান হন।
নারী চিকিৎসকদের দেয়া চিকিৎসাসেবা
নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে নারী চিকিৎসকরা বেশি সময় ব্যয়
করেন। তারা রোগীদের রোগ নিয়ে ভালোভাবে খোঁজ নেন। এছাড়া নারী রোগীরা নারী চিকিৎসকদের
নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
এর আগে ২০২২ সালের এক গবেষণায়
দেখা যায়, একজন নারী চিকিৎসক একজন রোগীর পেছনে গড়ে ২৩ মিনিট সময় ব্যয় করেন। অন্যদিকে
একজন পুরুষ চিকিৎসক গড়ে একজন রোগীর পেছনে ২১ মিনিট সময় ব্যয় করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের প্রতি পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন ।
ভারতের আয়োজনে ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ-২০২৩’ শীর্ষক এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় দ্বিতীয় ভয়েস অব সাউথ সামিটে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্যাংশনস-পাল্টা স্যাংশনসের প্রভাব দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলেও পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ-২০২৩’ শীর্ষ সম্মেলনে আহ্বান করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘প্রত্যেকের প্রবৃদ্ধির জন্য সবার আস্থা নিয়ে ঐক্য’র প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব আজ ‘বিশ্বাসের ঘাটতি’নামক যে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মুখোমুখি সে সময় এ প্রতিপাদ্য সময়োপযোগী।
ইউরোপে চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার কথা উল্লেখ করে সংঘাত বন্ধে বিশ্বনেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,বিশ্বাসের ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাবে ইউরোপে চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলছে। এসব সংঘাত জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধরত দেশ এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে সত্যিকারের আস্থা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা তৈরির আহ্বান জানান।এক বিশ্ব হিসেবে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সংঘাত বন্ধের দাবি জানানোর এখনই সময়।
বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্মম গণহত্যার মুখে অসহায় ফিলিস্তিনিদের মর্মান্তিক ও অমানবিক অস্তিত্বে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।আমাদের পৃথিবী অসহনীয় দারিদ্র্য, অবাঞ্ছিত বৈষম্য, অসহনীয় সন্ত্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বনাশা হুমকিতে জর্জরিত। এছাড়াও এখন গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং দুর্ভোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা।এই সংকটময় সময়ে বিশ্বকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং প্রত্যেকের প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রত্যেকের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করতে হবে।
এসময় পাঁচটি প্রস্তাবনা পেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজন বিষয়ে বাংলাদেশ গ্লোবাল সাউথের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে প্রস্তুত।
প্রথম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষের একজন দৃঢ় সমর্থক হিসেবে বিশ্বাস করি মানবতার সার্বিক কল্যাণের জন্য বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্লোবাল সাউথকে অবশ্যই একতরফা নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট হিসেবে থাকতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী হিসেবে নারীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রাণবন্ত সমাজ গঠন গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্বপালনকারী নারীনেত্রী হিসেবে আমি নিশ্চিতভাবে জানি একটি উজ্জ্বল এবং ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন একটি কৌশলগত প্রয়োজন।
তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু প্রসঙ্গে বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা অত্যাবশ্যক। জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি বিনিময় অপরিহার্য।
চতুর্থ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, প্রধান জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশগুলো গ্লোবাল সাউথে, এ হিসেবে সবার জন্য উন্নত জীবন, জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ এবং আমদানিকারক দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে গ্লোবাল সাউথের উচিত উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অভিভাসনকে সুবিন্যস্ত করা।
পঞ্চম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত এবং কোভিড-১৯ এর কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এখানে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণকালে এবং উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে একটা ভালো সময় ধরে এসব দেশকে পণ্যের ডিউটি ও কোটা ফ্রি প্রবেশ সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানাই।
সম্মেলন উদ্বোধনের পর নরেন্দ্র মোদী বলেন, বৃহত্তর বৈশ্বিক মঙ্গলের জন্য এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যতের জন্য গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর অবশ্যই এক হয়ে কথা বলা উচিত এবং এটাই সেই সময়। আমাদের অবশ্যই ‘৫ সি নীতি - সমাবর্তন, সহযোগিতা, যোগাযোগ, সৃজনশীলতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি’ নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দরে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনুতিন
চার্নবাইরাকুল এবং দেশটির ইন্টেরিয়র মন্ত্রী পুয়াংপেত চুনলাইয়াড, ঢাকায় নিযুক্ত
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রাচার প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল
চুমফোন ক্লোইপায়ান।
সেখানে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে
গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এছাড়া শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ১৯ বার তোপধ্বনি
দিয়ে গান স্যালুট দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডের
প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
এর
আগে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৩ ফ্লাইটে হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী ও
তার সফরসঙ্গীরা।
এ
সফরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা-রানি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের
পাশাপাশি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক
কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।
সফরকালে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও
রানি সুথিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সেখানে
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের
মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক
সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও
মুক্তবাণিজ্য–সংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা আছে।
ব্যাংককে
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক
কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিবেন।
মন্তব্য করুন
আজ সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৌদির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি। সৌদি আরবে ইসলামে নারীবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদর দপ্তরের সমন্বয়ে সৌদি আরব এ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সৌদি আরব সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় তিনি মহানবী (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। রাতে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজে মদিনা থেকে জেদ্দায় যাবেন। জেদ্দা থেকে রাতেই তিনি মক্কা যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন ও মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দার হিলটনে তিনি ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইসলামে নারীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য দেবেন।
জেদ্দার হিলটনে সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, ইরানের নারী ও পরিবারবিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
রাতে সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে দেওয়া নৈশ ভোজে অংশ নেবেন।
মন্তব্য করুন
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের রাজধানী বাঙ্গুইর এমপাকো নদীতে নৌকা ডুবে অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরি ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গ্রামপ্রধানের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত প্রায় ৩০০ জন যাত্রী ছিল এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়
বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান।
নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান টমাস ডিজিমাসে রেডিও গুইরাকে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা ৫৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে এখনো কতজন আরো নিখোঁজ রয়েছেন তার সংখ্যা আমরা জানি না।
তবে গতকাল শনিবার আর ঘটনাস্থলে বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগের কাউকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে এএফপি।
ক্যানোর সাহায্যে নদীতে নিখোঁজ স্বজনদের লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ফেরিডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি ভাষার সম্প্রচারকারী আরএফআইকে বলেছেন, এইমাত্র যা ঘটেছে তা ছিল ভয়ংকর। আমি এমন একটি পরিবারকে চিনি যারা এই ট্র্যাজেডিতে সাতজন আত্মীয়কে হারিয়েছে।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,
কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের
অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সস্ত্রীক ভুটান ফিরে গেলেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল
ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে জেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন তিনি। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন
শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা
শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।
এর
আগে বৃহস্পতিবার সার্কিট হাউজ থেকে দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে ধরলার পাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে
যান এবং পনের মিনিট স্থানটি পরিদর্শনের পাশাপাশি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ
হারুনসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর
পরে রাজা সড়ক পথে সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে রওয়ানা দেন। রাজা সড়ক পথে দুপুর ১২ টা ১৫
মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে কুড়িগ্রাম
সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান।
কুড়িগ্রামের
জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে অবস্থান
করেন। এরমধ্যে তিনি দুপুরের খাবার সেরে নেন। এরপর দুপুর দেড়টায় তিনি ধরলার পাড়ের কুড়িগ্রাম
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত
জায়গা পরিদর্শন করেন। সেখানে রাজা পনের মিনিট অবস্থানের পর সড়ক পথে জেলার ভূরুঙ্গামারী
উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। স্থলবন্দরে বিশেষ ইমিগ্রেশনের
মাধ্যমে ভারত হয়ে নিজ দেশ ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন রাজা। বাংলাদেশ-ভুটান দুদেশের
যৌথ উদ্যোগে ধরলা পাড়ে ২১৯ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চল। রাজার আগমনকে ঘিরে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে প্রশাসন। ভুটানের রাজার আগমনে
কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি
অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
এ
সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম ৪- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ
সহ আরও অনেকেই।
মন্তব্য করুন