স্ত্রী জন্মদিনে দুবাই নিয়ে যাওয়ার আবদার করেছিলেন । ইচ্ছে ছিল সেখানেই স্বামীর সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদযাপন করবেন। তবে ইতিবাচক সাড়া দেননি স্বামী আর এতে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই নারী স্বামীকে ঘুষি দিলে তার মৃত্যু হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের ওয়ানওয়াদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিখিল খান্না পেশায় একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ছিলেন।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ।
ওয়ানওয়াদি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তে আরো উঠে আসে যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিখিলের ৩৬ বছর বয়সী স্ত্রী রেনুকার জন্মদিন ছিল। তিনি এই দিনটি দুবাইতে উদযাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বামী তাতে সম্মতি দেননি।এ ছাড়া গত ৫ নভেম্বর এই দম্পতির বিবাহবার্ষিকী ছিল। এই উপলক্ষে স্বামীর কাছ থেকে ভালো কিছু উপহারও আশা করেছিলেন। এক আত্মীয়ের জন্মদিন উপলক্ষে রেনুকা দিল্লি যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বামীর কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাননি। আর এসব কারণেই তিনি আপসেট ছিলেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, এসব বিষয় নিয়ে শুক্রবার এই দম্পতির মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। ক্ষোভের মধ্যে ওই নারী তার স্বামীর নাকে ঘুষি মারেন। এতে তার প্রচুর রক্ত ঝড়ে। ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখিলকে সসুন জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
দক্ষিণ কোরিয়ার ১৮১ জন আরোহী নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ জিওলা প্রদেশে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অন্তত ২৯ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। পরে ক্রমেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। সর্বশেষ খবর অনুসারে, দুর্ঘটনায় ৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু বহনকারী ওই উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর ২ জন থাই নাগরিক।
জেজু এয়ারের ২২১৬ ফ্লাইটটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নিউজ এজেন্সি নিউজ ওয়ান জানিয়েছে, জরুরি পরিষেবাগুলো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবিসি জানায়, মধ্য আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে উড়োজাহাজ চলাচল করে।
উড়োজাহাজটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা কেন রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল তা এখনো জানা যায়নি। তবে, পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি ঘটে থাকতে পারে বলে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়িসহ অন্তত ৮০ জন দমকলকর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন
জার্মানিতে প্রায় এক সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হওয়া ৬ বছরের এক শিশুকে খুঁজতে পুলিশ, সেনা, দমকলকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী মিলে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন কাজ করছেন। উত্তর জার্মানির শহর ব্রেমারফ্যোরডের এলম এলাকায় এই খোঁজ চলছে।
সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় আরিয়ান নামের ওই শিশু বাসা থেকে বের হয়ে কাছের বনের দিকে যাচ্ছে। সেই সময় তার পরনে কমলা রঙের ফুলহাতা সোয়েটার ও কালো ড্রাগন প্রিন্টের প্যান্ট ছিল।
পুলিশ বলছে, আরিয়ানের অটিজম আছে। তাকে খুঁজতে নৌকা, ড্রোন, স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া সেনারা নাইট ভিশন গগলস, আর পুলিশ ডাইভার ব্যবহার করছে। নদী, বিল এমনকি পাইপের মধ্যেও খোঁজ চলছে।
তদন্তকারীরা জানান, আরিয়ানের নিখোঁজের পেছনে কোনো অন্যায় কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানান, যে জায়গায় খোঁজ চলছে সেখানে গত কয়েক দিনে আরিয়ানের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে।
সূত্র - ডয়েচে ভেলের
মন্তব্য করুন
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (০৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
ড. ইউনূস বলেন, ৮ মার্চ- আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লাখ লাখ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদতবরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে ‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. উইনূস বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের একদিন
আগে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে International Convention for the Protection of
All Persons from Enforced Disappearance (ICPPED) যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের
সভায় গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক
সনদটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পর ২০১০ সালে
এ সনদের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এ সনদে যুক্ত হয়েছে।
গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের লক্ষ্য
হলো: গুম বন্ধের পাশাপাশি এ অপরাধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের
সহায়তা দেওয়া।
মন্তব্য করুন
চপস্টিক
দিয়ে ১ মিনিটে ৩৭টি
ভাত খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন ২৪ বছর বয়সী
বাংলাদেশি তরুণী সুমাইয়া খান। ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখাতে পেরে সুমাইয়া খুব খুশি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম ছিল, প্রতিবার কেবল ১টি করে ভাতের দানাই মুখে তোলা যাবে। চপস্টিকে একটির বেশি ভাত তুললেই রেকর্ড করার প্রয়াস বাতিল বলে গণ্য হবে।
এর আগে বাংলাদেশের আরেক তরুণী নুসরাত জাহান নিপা এক মিনিটে চপস্টিক দিয়ে ২৭টি ভাত খেয়ে রেকর্ড করেছিলেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে সুমাইয়া বলেন, এটা অবিশ্বাস্য। দারুণ অনুভূতি। আর আমার আশপাশের সবাই আমাকে নিয়ে গর্বিত। এটা আসলেই দুর্দান্ত। আমি সম্মানিত, আনন্দিত। রামেন আমার খুবই পছন্দের খাবার। কোরিয়ান সংস্কৃতিও আমাকে খুব টানে। ফলে আমার সঙ্গে সব সময় চপস্টিক রাখতে শুরু করি। এর পর থেকে প্রায় সব ধরনের খাবার খাই চপস্টিক দিয়ে। আর যেহেতু আমি বাংলাদেশি, তাই ভাত খাই প্রতিদিনই।
মন্তব্য করুন
বোনের বিয়ে দুদিন পরই। চলছিল হলুদের
অনুষ্ঠান। আর সে হলুদের অনুষ্ঠানে আনন্দে নাচছিলেন ১৮ বছর বয়সী কনের ছোট বোন। তবে আনন্দ
মুহূর্ত বিষাদে রূপ নিতে সময় লাগেনি।
নৃত্য করার মাঝেই মৃত্যুর কোলে ঢলে
পড়েছেন ওই তরুণী। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই
তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের
মিরাটে বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে থাকা ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরী মারা গেছে। মেয়েটির
নাম রিমশা এবং গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বোনের ‘হলদি অনুষ্ঠানে’ নাচছিল সে।
মর্মান্তিক এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রিমশা তার
পরিবারের সদস্যদের সাথে উচ্চস্বরে গানের সাথে নাচের তাল মেলাতে চেষ্টা করছেন।
কিন্তু, কয়েক সেকেন্ড পরে তাকে তার
বুকে স্পর্শ করতে দেখা যায় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আগে পাশে নাচতে থাকা ছেলেটির
হাত ধরে রাখার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
পরে রিমশাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে
গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বোনের মৃত্যুর পর কোনো ধরনের গানবাজনা
ছাড়াই এবং শুধুমাত্র পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন
হয়।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ।
এ দিনের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রীতি অনুযায়ী রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভাষাসৈনিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজপথ ও দেয়াল বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। চারুকলার শিক্ষার্থীরা রাত-দিন খেটে রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিবাদের নানা ভাষা। শহীদ মিনারের বেদি, কালো রাজপথ, দেওয়াল সেজে উঠছে বর্ণিল আল্পনায়।
মন্তব্য করুন
চীনের
সিচুয়ান প্রদেশের একটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে ১৬ জন।
স্থানীয়
সময় বুধবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয়
সিচুয়ান প্রদেশের জিগং শহরের একটি হাই-টেক জোনের একটি ১৪ তলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ধারণা
করা হচ্ছে নির্মাণকাজ থেকেই আগুন লেগেছে।
চীনের
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভির বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় দমকল
বিভাগ থেকে প্রায় ৩শ জরুরি কর্মী এবং কয়েক ডজন গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানোর হয়। তারা
প্রায় ৩০ জনকে এই আগুন থেকে উদ্ধার করে।
চীনের
জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে, উদ্ধার কর্মী এবং প্রাদেশিক
কর্মকর্তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগুনের কারণ নির্ণয় করতে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জন্য এই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
পেরুতে একটি যাত্রীবাহী বাস পাহাড়ি
খাদে পড়ে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশটির পাহাড়ি আয়াকুচো
অঞ্চলে ভ্রমণের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বুধবার
(১৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মলদোভা নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি ৪০ জনেরও
বেশি যাত্রী নিয়ে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল আন্দিজের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে ছিটকে
১০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।
তবে দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আয়াকুচোর কর্মকর্তা
ওয়াইবার ভেগা।
সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ১৩ জনের মৃতদেহ
ইতোমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও তিন মরদেহ বাসের নিচ থেকে উদ্ধার করা বাকি রয়েছে।
শিলাবৃষ্টি-সহ খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পেরুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির
বরাতে এএফপি বলছে, বাসটি লিবার্তাদোরস হাইওয়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে লিমা থেকে আয়াকুচো
শহরে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে একটি ঢালে গড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন