বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেছেন,বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র উন্মুখ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই, কারণ তারা ২৬ মার্চ তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি, রোহিঙ্গা সংকটে সহযোগিতা, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। আমাদের অংশীদারত্ব একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার আরেকটি বছর উদযাপন করছে, তখন আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি- যে প্রচেষ্টাগুলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমি এই বিশেষ দিনে সকল বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইবুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইনট্যারক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন তিনি। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সে সব কথা জানান।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে
আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা যে ব্যাপক টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে তা দিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ইইউ প্রতিনিধিদের বিশদভাবে জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করায় অনেক শিক্ষার্থী দিল্লি গিয়ে ইউরোপের ভিসা নিতে পারছেন না। ফলে তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। ভিসা অফিস ঢাকা অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তর হলে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই উপকৃত হবে।’
বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। তিনি অন্য দেশগুলোকেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানান।
সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন জানান ইইউ প্রতিনিধিরা। বেশ কিছু পরামর্শ ও সুপারিশ তুলে ধরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (সেপ্টেম্বর ২৫) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে আজারবাইজানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এলচিন হুসেইনলি আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় তারা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলন এবং জ্বালানি, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।
আশা করা হচ্ছে অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৩২ হাজার মানুষ জলবায়ু অর্থায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত হুসেইনলি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে তিনি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ উন্মোচন এবং আরও বেশি ব্যবসার উপায় খোঁজার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি জানান, জুন মাসে বাকুতে দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তর পর্যায়ে একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আজারবাইজান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানকে "ভাল বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস আজারবাইজানের জনগণ, দেশটির নেতৃত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
মন্তব্য করুন
দেশের
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তিনি উপদেষ্টা পরিষদের
সদস্যদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত কেবিনেট সভায় এই নির্দেশনা দেন
তিনি।
দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে
উপদেষ্টারা এই জেলাগুলো পরিদর্শন করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস
ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ কেবিনেট বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে এবং ড. ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা
বলেছেন।’
তিনি আরো জানান, ১০ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে এবং সর্বশেষ হিসাবে ৩৬ লাখ মানুষ
বন্যাকবলিত হয়েছে।
আবহাওয়া
অধিদপ্তরকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম জানান, দীর্ঘ সময় ধরে অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা
পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, আমার ওপর ভরসা রাখুন, দেশের কোথাও কারও ওপর হামলা হবে না ।
দুপুর ২টার পর ড. ইউনূসকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দেশে ফেরার পর তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এ ছাড়াও সেখানে উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তারা ছিলেন।
এ সময় শুরুতেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে স্বরণ করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, নতুন এই বাংলাদেশ যাতে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে।
নোবেলবিজয়ী আরো বলেন, এই স্বাধীনতাটা আমাদের রক্ষা করতেই হবে। শুধু রক্ষা না এর সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তা নাহলে এই স্বাধীনতার কোনো দাম নেই।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই দেশ তরুণ প্রজন্মের হাতে। তোমরা যেভাবে এটা স্বাধীন করেছো, তোমরাই এটা গড়ে তুলবে।
এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে কড়া নিরাপত্তা দেন ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়েছিল, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে ফিরবেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।
জানা গেছে, ড. ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে আজ রাত ৮টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।
মন্তব্য করুন
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম পাকিস্তান হয়ে ঢাকায় আসবেন।
সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। আগামী ৪ অক্টোবর তিনি ঢাকা সফরে আসতে পারেন।
সোমবারের (৩০ সেপ্টেম্বরের) মধ্যে সফরের তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
আগামী ৪ অক্টোবর পাকিস্তান হয়ে ঢাকায় আসবেন আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি ঢাকা সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরে শ্রম বাজার ইস্যুতে সুখবর পেতে পারে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব প্রফেসর লুইস ফ্রান্সেচি জানিয়েছেন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের পাশে থাকবে ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সারা পৃথিবী থেকে সমর্থন পেয়েছে, যা এখনো অব্যাহত আছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কেয়ারটেকার সরকার নয়, এটি বিপ্লবী সরকার তাই শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়। ইতোমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যে গণহত্যা হয়েছে তার বিচার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এই বিচার প্রক্রিয়া নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা প্রয়োজন।
পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা।
সহকারী মহাসচিব প্রফেসর লুইস ফ্রান্সেচি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারসহ সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগের প্রতি সম্ভাব্য সব উপায়ে কমনওয়েলথের সমর্থনের আশ্বাস দেন।
তিনি বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য কমনওয়েলথের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।
লুইস ফ্রান্সেচি বলেন, তারা সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে এবং তারা শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সাইবার নিরাপত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে স্বৈরাচারী বা অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।
এ বিষয়ে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের স্বার্থরক্ষা হয় এমন যেকোনো কাজ করতে অন্তবর্তী সরকার প্রস্তুত বলেও উপদেষ্টা মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, কমনওয়েলথের অ্যাডভাইজার অ্যান্ড হেড অব এশিয়া ড. দিনুসা নিহারাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
সাতক্ষীরার কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোরে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী এলাকা থেকে কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুল ইসলামকেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রিয়াজুল সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেয়ালা-নলতা গ্রামের মৃত বাছতুল্লাহ মোড়লের ছেলে।
রিয়াজুল ইসলাম ডাকাত দল রিয়াজুল গ্রুপের প্রধান। তার বিরুদ্ধে তালা থানাসহ অন্যান্য থানায় ডাকাতি, দাঙ্গা সৃষ্টি ও অস্ত্র মামলাসহ ৭টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুল হোসেন বলেন, কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুল গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি জেলায় ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। তালা থানায় হস্তান্তর করা হবে কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুলকে।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৫২মিনিটে ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
ফেনী রেলস্টেশনের মাস্টার মো. হারুন জানান, ঢাকা চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১টি বগির ৪ চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটির ৯টি বগির মধ্যে ৭টি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে। আর ২টি বগির মেরামত কাজ শেষ করে পরে রওনা করবে।
এঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, সাগরিকা এক্সপ্রেসের আনসার কমান্ডার শফিকুর রহমান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত সিসিএন শিক্ষা পরিবার তথা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, সিসিএন মডেল কলেজের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুইদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান দেয়া হয়েছে। দেশে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে দূর্গত অঞ্চলের মানুষের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই অনুদান প্রদান করা হয়েছে। জানা যায়, সিসিএন পরিবারের প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একদিনের বেতন বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং এই বিষয়ে সিসিএন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী কে অবহিত করেন। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যোগ করার ঘোষণা দেন। এদিকে কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকেই সিসিএন শিক্ষা পরিবারের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীরাও বন্যা দূর্গতদের পাশে দাড়িয়েছে। তারা ত্রাণ সরবরাহ, বন্যা দূর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে পৌছে দেয়া, জরুরী চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রক্টরিয়াল টিম ও শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জেলার বন্যাদূর্গত উপজেলা চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা সহ অন্যান্য এলাকায় সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন