খেজুরের রসে মারাত্মক প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খেজুরের রস বিক্রেতাদের কাঁচা রস বিক্রি বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম) ডা. শ. ম. গোলাম কায়ছার স্বাক্ষরিত জরুরি এক স্বাস্থ্য বার্তায় অধিদপ্তর জানায়, নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এই রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।
এতে বলা হয়েছে, নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ওই বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ।
স্বাস্থ্য বার্তায় আরো বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাছিকে এবং জনসাধারনগণকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিজ্ঞপ্তিতে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়,নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। অধিদপ্তর জানায়, প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়। খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে বিক্রি করবেন না।
নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণ সমূহ :
১. জ্বরসহ মাথা ব্যাথা
২. খিচুনি
৩. প্রলাপ বকা
৪. অজ্ঞান হওয়া
৫. কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া
নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় :
১. খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না
২. কোনো ধরনের আংশিক খাওয়া ফল খাবেন না
৩. ফল-মূল পরিস্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে খাবেন
৪. নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন
৫. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন
মন্তব্য করুন
সোমবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে দেয়া এক তথ্যে জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্মানি বাড়ছে। প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের একদিনের সম্মানি দ্বিগুণ করা হচ্ছে। সাধারণত জাতীয় নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা ৩ হাজার টাকা সম্মানি পান।
এবার শুধু নির্বাচন পরিচালনায় নয়, আইন-শৃঙ্খলা খাতের ব্যয়ও বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে।
আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়বে। প্রায় ৯ লাখ প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের ভাতাবাবদ গত নির্বাচনের চেয়ে এবার দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এছাড়া যাতায়াত বাবদ প্রত্যেকে অতিরিক্ত আরও এক হাজার টাকা করে পাবেন।
সবমিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি।
শুধু ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতা বাবদ ব্যয় বেড়েছে ২৮০ কোটি টাকা। এগুলোসহ নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় দাঁড়াচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া নির্বাচনী প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় হচ্ছে আরও ১৩৫ কোটি টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন পরিচালনা- এই দুই খাত মিলিয়ে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
ইসি জানায়, জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলায় ব্যয় হবে এক হাজার ৭১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে নির্বাচনে পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্য মোতায়েন ও তাদের যাতায়াতের পেছনে ওই টাকা ব্যয় হবে বলে বাহিনীগুলো থেকে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৪৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা চেয়েছে পুলিশ। আর আনসার চেয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। সব দল অংশ নেওয়ায় ওই নির্বাচনে সহিংসতাও কম ছিল। তবে এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
ইসি আরো জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখ সাত হাজার ৩১৯টি ভোট কক্ষ ছিল। তখন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছিলেন ৬ লাখ ৬২ হাজার ১১৯ জন। আর ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল ছয় লাখ ৮ হাজার। এবার ভোটার বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখ ৬০ হাজার ভোটকক্ষ হিসাবে ধরে সব পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসি। এবার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রয়োজন হবে প্রায় ৯ লাখ।
ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ৪৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা চেয়েছে, একাদশ নির্বাচনে চাহিদা ছিল ৪২৪ কোটি টাকা। চাহিদা কাটছাঁট করে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১২৯ কোটি ৫৭ লাখ কোটি টাকা। এবার আনসার ও ভিডিপি চেয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। গত নির্বাচনে এ বাহিনীকে দেওয়া হয় ২৪২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
তবে, এবার বিজিবি চেয়েছে ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। গত নির্বাচনে বিজিবি পেয়েছিল ৭৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে র্যাব চেয়েছে ৫০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা; যা গত নির্বাচনে ছিল ২২ কোটি ১২ লাখ টাকা। এবার কোস্টগার্ড চেয়েছে ৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা গত নির্বাচনে ছিল ২৫ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের
আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে রমজান মাস শুরু।
সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান ধর্মমন্ত্রী
ফরিদুল হক খান।
আজ
রাতেই এশার নামাজের পর ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা তারাবির নামাজ আদায় শুরু করবেন এবং শেষরাতে
সাহরি খাবেন।
তার
আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক
করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি
মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র
রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়,
বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন
প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,সেনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানকে এ নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে ন্যস্ত করেছে ।
অন্যদিকে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মহাপরিচালকের দায়িত্ব চালিয়ে আসা মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসানকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আর এজন্যই তার চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
ব্যালটপেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম থাকবে বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে। আর
সেই অনুযায়ী নামে পাশে থাকবে দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক।
৫ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের
পরের দিন এভাবেই প্রার্থীদের নামের তালিকা করে প্রতীক বরাদ্দের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের
নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়।
নির্দেশনায় বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ১৬ এর দফা (৫) ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৭ অনুসারে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরের দিন বিধিমালায় বর্ণিত ‘ফরম-৫’ এ নির্ধারিত তালিকার ২ নম্বর কলামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে সাজিয়ে লিপিবদ্ধ করবেন এবং প্রত্যেকের নামের বিপরীতে ৩ নম্বর কলামে মনোনয়ন প্রদানকারী রাজনৈতিক দলের নাম বা স্বতন্ত্র উল্লেখপূর্বক ৪ নম্বর কলামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পিতা/স্বামীর নাম, ৫ নম্বর কলামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ঠিকানা এবং ৬ নম্বর কলামে বরাদ্দকৃত প্রতীক উল্লেখ করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকার নির্দিষ্ট স্থানে ভোটগ্রহণের দিন এবং সময় উল্লেখ করতে হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণের কাজ চলবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৭অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকার ভিত্তিতে বিধি ১০ অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ব্যালট পেপার মুদ্রণ করতে হবে এবং ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম, প্রতীক ও ক্রম প্রদর্শনের উপযোগীকরণ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। তাছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়নের পর তার এক কপি রিটার্নিং অফিসারের অফিসের দৃষ্টি আকর্ষণীয় স্থানে টানিয়ে দিতে এবং প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্টকে এক কপি প্রদান করার জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, প্রতীক
বরাদ্দের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালিকার দুই কপি প্রস্তুত
করে বিশেষ বার্তাবাহক মারফত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে
হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা পাঠাতে যাতে কোনো বিলম্ব না হয়
বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা
নির্ভুল হতে হবে। কারণ তালিকায় ভুল তথ্য পরিবেশিত হলে মুদ্রিত ব্যালট পেপারে তার প্রতিফলন
ঘটবে, যার পরিণতি মারাত্মক হবে। সুতরাং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়নের
সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ব্যালট পেপার মুদ্রণের সুবিধার্থে প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থীদের তালিকার উপরিভাগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার প্রকৃত ভোটার সংখ্যা লিপিবদ্ধ
করতে হবে।
দলীয় প্রার্থীরা দলের প্রতীক পাবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিধিমালায় সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকা থেকে পছন্দমতো প্রতীক পাবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাধিক প্রার্থী একই প্রতীক পছন্দ করলে আলোচনার মাধ্যমে না হলে
লটারি করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার
দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের
সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক
৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের
৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর
আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা
প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।
নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জাতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে ।
গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের জাতীয় মেধাতালিকা নিয়ে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে সভায় বসে এনটিআরসিএ। সভায় জাতীয় মেধাতালিকার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টেলিটকের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় এক বিষয়ে একাধিক প্রার্থী সনদ অর্জন করেন। পরবর্তীতে প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী প্রার্থীদের জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এনটিআরসিএ এই মেধাতালিকা অনুযায়ী পরবর্তীতে নিয়োগের সুপারিশ করে ।
গত বছরের ৫ ও ৬ মে অনুষ্ঠিত এই নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় ২৬ হাজার ২৪২ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ২৫ হাজার ২৪০ প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলপ্রকাশিত হয়।
মন্তব্য করুন
ঘূর্ণিঝড়
মিধিলির প্রভাবে কক্সবাজারে গতকাল (১৬ নভেম্বর) থেকে
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
উত্তাল হয়ে আছে সমুদ্র উপকূল
। জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে
দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী
ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ব্যাপক
প্রস্তুতি নিয়েছে।
কক্সবাজার
ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর এবং
মোংলা ও পায়রা বন্দরকে
৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে
যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার
(১৭ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায়
এই প্রস্তুতির কথা জানান জেলা
প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।
জেলা
প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, জেলার ৫৭৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলে
মাইকিং করা হয়েছে। সাগরে
মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলে
নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা
হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান
চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাহাজ
মালিকদের সংগঠন স্কোয়াব এর সাধারণ সম্পাদক
হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, বুধবার ৩টি জাহাজে করে
৫১৯ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন
ভ্রমণে যান। তার মধ্যে
২ শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল
শুরু হবে। তখন সেন্টমার্টিনে
থাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন এটকো নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন,গুজব, অর্ধ সত্য তথ্য গণতন্ত্র, গণমাধ্যম, সরকার, রাজনীতির কোনো কল্যাণে আসে না তাই আমরা গুজব ও অপতথ্যমুক্ত গণমাধ্যম চাই।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই শুধু তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকবে। সরকার বা অথরিটিকে অবশ্যই প্রশ্ন করবে এবং সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। শুধু প্রশ্ন না, সমালোচনা বা ক্রিটিসিজমের সুযোগ থাকতে হবে আমরা এটা চায়। তবে সেই ক্রিটিসিজম যেন সঠিক তথ্যের ওপর হয়, সেই বিষয়ে আমরা জোর দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, প্রথম যে কেবিনেট মিটিং হয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটা কথা বলেছেন এবং খুবই প্রবিধান যোগ্য। উনি বলেছেন অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, আমরা যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ক্রিটিসিজমের বিপক্ষে না। কিন্তু উনি চান ক্রিটিসিজম হোক সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। অনেক সময় মিথ্যা তথ্যের চেয়ে অর্ধসত্য অনেক বিপদজনক। পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে না ধরে পারসিয়াল একটা ইনফরমেশনের ওপর ভিত্তি করলে অডিয়েন্স কিন্তু বিভ্রান্ত হয়। কিছু কিছু সমালোচনা হয় সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে, সেখান থেকে আমাদের যে ধরনের ব্যর্থতা বা বিচ্যুতি আছে সেটা জেনে নেওয়া। জেনে নেওয়ার পর সেগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণতন্ত্র এবং অগ্রগতির স্বার্থে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া খুবই জরুরি। ঠিক একইভাবে ক্ষতিকর অপতথ্য এবং তার বৃস্তিত ও বিস্তার। মানুষের কোনো কল্যাণে আসে না, কোনো ধরনের মিস ইনফরমেশন। কোনো গুজব বা কোনো অর্ধ সত্য গণতন্ত্রের কোনো কল্যাণে আসে না, গণমাধ্যমের কোনো কল্যাণে আসে না। সরকার, রাজনীতির কোনো কিছুর কল্যাণে আসে না। গণমাধ্যম সরকারকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনবে এটাই কাম্য এবং আমরা জবাব দেব। একই সঙ্গে গণমাধ্যম বা অন্য কিছুকে ব্যবহার করে অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা করে, সেটাকে আমরা সবাই মিলে একটা সলিট স্ট্রাকচারের মাধ্যমে জবাবদিহিতায় আনতে পারি এবং সেটা করতে পারি সে বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।
সবশেষে তিনি বলেন, সরকার বা সরকারের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট বা মন্ত্রণালয় বা বিভিন্ন কাজ নিয়ে যদি কোনো বিচ্যুতি ব্যর্থতা থাকে অবশ্যই সমালোচনা হবে এবং সেটা যদি প্রথম পাতায় হেডলাইনে আসে প্রিন্ট মিডিয়া হোক বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়, তাহলে সরকারের সেই কনসার্ন মন্ত্রণালয় বা ব্যক্তিবর্গ যখন জবাব দেবে সেই জবাবগুলো যেন গুরুত্বসহকারে প্রচার করা হয়। যেন জনগণ দুই ধরনের ভিউ থেকে একটা সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে কে আসবে না আসবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। এমনও কিছু হতে পারে যা আপনি-আমি, কেউ ভাবছি না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ রংপুরের ৩৩টি, রাজশাহীর ৩৯টিসহ মোট ৭২টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ফল প্রকাশ করব না। একসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশের ফল ঘোষণা করব। বর্তমান সংসদ সদস্য কয়েকজন বাদ পড়ছেন। এই মুহূর্তে আমি তাদের নাম বলতে পারছি না, তবে বাদ পড়ছেন। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর (শনিবার) প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। আগে আমরা দেখি কারা বিদ্রোহী হয়, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।
মন্তব্য করুন
বিএনপি
এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকে চলছে ষষ্ঠ দফার অবরোধ কর্মসূচি। অবরোধে আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজধানী ঢাকায় র্যাবের ১৪২ টহল দলসহ সারাদেশে ৪২৮
টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৩নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান র্যাবের
লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
তিনি
বলেছেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। দেশের বিভিন্ন
স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে র্যাবের টহলের মাধ্যমে এস্কর্ট প্রদান
করে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিদর্শন বইয়ে শেখ হাসিনা লিখেছেন, ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। এ বিজয় জনগণের বিজয়, এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়। বাংলাদেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে উঠবে ইনশাল্লাহ।
পরিদর্শন বই স্বাক্ষরের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, লাখো শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা চতুর্থবার ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আর পঞ্চম মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হচ্ছেন ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। বঙ্গভবনে একই অনুষ্ঠানে শপথ নিয়েছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন