তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের
(পিবিআই) প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. তওফিক
মাহবুব চৌধুরী। তিনি পুলিশ সদর দফতরে ডেভেলপমেন্ট শাখায় অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে কর্মরত
ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান
শেখ সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে পদায়ন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত আইজিপি মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী ১৫তম বিসিএসের মাধ্যমে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কসভো (২০০২), লাইবেরিয়া (২০০৬) ও দারফুর, সুদান (২০১১) মিশনে ইউএন পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভার্জিনিয়ায় ইউএস-এর এফবিআই ন্যাশনাল একাডেমিতে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতে সুফল পাওয়ায় ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকালে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় আর বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, প্রথম যখন আইনটি প্রণয়ন করা হয়, তখন একটির মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরবর্তীতে কয়েক ধাপে সেটার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ আইনটি মন্ত্রিসভায় তুলেছিল। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী আইন হিসেবে নীতিগত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এটিকে আর নতুন করে মেয়াদ বাড়াতে হবে না।
আইনটিতে কোনো পরিবর্তন আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটি পুরোনো। আগে যা ছিল, তা-ই থাকবে। কেবল মেয়াদ দুই বা তিন বছর না বাড়িয়ে স্থায়ী করা হয়েছে।
আগে ছিল দুই বছর পর পর মেয়াদ বাড়ানো হবে, তাহলে কেন স্থায়ী করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে মাহবুব হোসেন বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এ আইনটির অনেক সুফল আছে, এ আইনটির কারণে এই ক্ষেত্রে তাদের তরফ থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুব কাজে লেগেছে, এজন্য তারা আইনটি কন্টিনিউ করতে চাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাদের লড়াই এখনো চলমান রয়েছে। আমরা
অবশ্যই আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করব এবং মাতৃভূমিকে নতুন করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু
করে দাঁড় করাব।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব
পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় যুব দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া
মন্ত্রণালয় এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের তরুণ, যুবক ও ছাত্ররা
জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে একটি নতুন পথ দেখিয়েছেন। পুরো পৃথিবী এখন দেখতে
চায়, এই তারুণ্য, এই যুবশক্তি বাংলাদেশকে এরপর কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী। আমরা
বলি, তারুণ্য হবে দেশের চালিকাশক্তি। আমরা বলেছিলাম বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন
আমরা দেখছি। সেই স্বপ্ন আজ বাংলাদেশের সবাই দেখছে। এবং তরুণদের এ স্বপ্ন বাংলাদেশে
পূরণ হবে, সেটিই সবার প্রত্যাশা। যুব অধিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমরা আশা করব, নতুন বাংলাদেশে সেই ভূমিকা তারা পালন করবে।তরুণরা
বাংলাদেশকে নতুন করে পথ দেখিয়েছেন। ফলে বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে তরুণরা নেতৃত্বে আসবেন,
সেটিই সবার প্রত্যাশা। রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি সব কিছুতেই তরুণরা নেতৃত্বে আসার জন্য
প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যে প্রজন্ম রক্ত দিয়েছে, স্বপ্ন দেখিয়েছে, সেই প্রজন্ম স্বপ্নও
পূরণ করতে পারে, তা প্রমাণ করতে হবে। আমাদের এ সামষ্টিক অগ্রযাত্রায় সবার সহযোগিতা
পাব, সবাই তরুণদের জায়গাটি করে দেবেন, আমাদের এমন প্রত্যাশা থাকবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে
ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য
দেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম
ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সফল যুব উদ্যোক্তাদের
হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
বলেছেন, দেশের দুর্যোগ দুর্দিনে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশবাসীর কল্যাণে পাশে আছে
এবং থাকবে। বন্যায় যাদের ঘর ভেসে গেছে, তাদের নতুনভাবে ঘর করে দেওয়া হবে।
আজ (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর
জেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া আল আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসা মাঠে বানভাসিদের
মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বন্যায় যারা অত্যন্ত
ক্ষতিগ্রস্ত, যাদের ঘর পানিতে মিশে গেছে, যারা রাস্তার ওপর থাকছেন তাদের ছোটখাটো বাড়ি
করে দেওয়া হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, লক্ষ্মীপুর,
ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে আলেম সমাজ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তারা মাঠে ময়দানে
গিয়ে সাহায্য করছেন। ফেনী মুহুরি নদীর দিকে বেসরকারি উদ্যোগে এক কোটি টাকা খরচ করে
বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগেও কাজ চলছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা এ বিপদ থেকে উদ্ধার
হতে পারবো। আমরা আল্লাহর সাহায্য কামনা করি।
আল-মানাহিল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ আয়োজন
করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া জিরির মুতামিম মাওলানা
খোবাইন বিন তৈয়ব, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ
তারেক বিন রশিদ ও কমলনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ
প্রমুখ।
আয়োজকরা জানায়, আল-মানাহিল ফাউন্ডেশনের
উদ্যোগে বন্যায় দুর্গত ৫০০ পরিবারে মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দুই শতাধিক
মানুষের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
পবিত্র হজ পালন শেষে এখন
পর্যন্ত ৫১ হাজার ৯৮১ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
হজ পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এই তথ্য এর পাশাপাশি আরো জানানো হয়, চলতি বছর ৬০ জন
বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ইসমাইল হোসেন (৬৪) নামে একজন হাজি
মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, মৃত্যুবরণকারী এসব হাজির মরদেহ সৌদি আরবেই দাফন করা হবে। প্রখর
তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী,
মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা
শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪৩ জন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর মারা গেছেন। সবার নাম-পরিচয়
প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৪৭ জন মক্কায় মারা গেছেন।
মসজিদুল হারামে তাদের জানাজা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া হজ পালনের বিভিন্ন পর্যায়ে মদিনায় চারজন, মিনায় সাতজন ও জেদ্দায়
দুজন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, মোট ১২৭টি ফ্লাইটে
৫০ হাজারের বেশি হাজি দেশে ফেরার তথ্য জানানো হয় বুলেটিনে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইনস ৫৩টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪৮টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইটে হজ পালন
শেষে তারা দেশে ফেরেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে হজ পালন
করতে যান।
মন্তব্য করুন
পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণার্থীদের
সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে
পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সম্পদে
পরিপূর্ণ পার্বত্য জেলাগুলো বাংলাদেশের সবচাইতে উন্নত অঞ্চল হতে পারতো, কিন্তু সবচেয়ে
পেছনে পড়ে আছে। এটা হওয়ার কথা না। আপনাদের ফসল, ফল-ফলাদি, ঐতিহ্যবাহী পণ্য দিয়ে অর্থনীতিতে
আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। পার্বত্য এলাকাগুলো দুর্গম, সেজন্য যোগাযোগ করা কঠিন হয়।
আর এ কারণেই সেখানে প্রযুক্তির প্রসার দরকার। প্রযুক্তি দিয়ে এই দূরত্ব জয় করা যাবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও
সদস্যবৃন্দের জন্য আয়োজিত 'পার্বত্য জেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ
দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নারী ফুটবল টিমে পার্বত্য জেলা থেকে
আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকের স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বের
অন্যান্য দেশের টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আপনাদের এলাকার মেয়েরা কী দুর্দান্ত
খেলল! কীভাবে বলবেন পিছিয়ে আছে? যারা আপনাদের এলাকা থেকে এসেছে তাদের সাথে আমি কথা
বলেছি। কী কঠিন পরিস্থিতি! কত কষ্ট করে পাহাড় ভেঙে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়! বাবা মা ঢাকায়
আসলে কত কষ্ট করে তাদের আসতে হয়। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই কিন্তু তারা বিশ্বজয় করে এসেছে।’
পার্বত্য এলাকার তরুণরা যেন বিশ্ব নাগরিক
হয়ে গড়ে ওঠে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বজয়
এনে দিয়েছে। তরুণরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, বিশ্ব নাগরিক হতে হবে। দুর্গম এলাকা
বলে পিছিয়ে থাকলে হবে না। সীমাবদ্ধতা থাকবে, কিন্তু মনের সীমারেখাকে বাড়িয়ে দিতে হবে।
সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্ব দিয়ে পৌঁছে যেতে হবে।’ জানুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসবে পার্বত্য
অঞ্চলের তরুণদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনাদের শিশুদের, তরুণদের
এ উৎসবে যোগ দিতে উৎসাহ দিন। স্থানীয় খেলা হোক, রচনা প্রতিযোগিতা, গান-নাচ তারা যা
পারে, যা চায় তা নিয়ে যেন অংশ নেয়। এটা সবার উৎসব। উৎসবটি বৈচিত্রময় হোক। সরকারি নির্দেশ
তাই অংশ নেবে এরকম না। তাদেরকে আপনারা উৎসাহ দিন, যেন নিজ থেকেই তারা উদ্যমী হয়ে এ
উৎসবে অংশ নেয়।
পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার
সংস্কার ও সঠিক পদ্ধতি, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি
আরও বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন।
শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম
অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। লেখাপড়ায়
তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
দিবস উপলক্ষে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
সোমবার
(১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদ দিবস
ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের
তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি
কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার এলাকা জুড়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা
ব্যবস্থা রয়েছে। ফুট পেট্রোলিং, ড্রোন পেট্রোলিং, মোবাইল পেট্রোলিং এবং সাইবার পেট্রোলিংয়ের
মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুঁকির কোনো
তথ্য নেই। তারপরও পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিয়েছে। একুশে বইমেলায় আমাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে একটি
কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে, সিসি ক্যামেরার দিয়ে, সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট, সিকিউরিটি ইউনিট
সব সেখানে কাজ করছে। আর যে ছোটখাটো ব্যবস্থাগুলো হচ্ছে সেগুলো বইমেলা কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিকভাবে
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ সব সময়
সেখানে প্রস্তুত রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই মানুষজন এখানে আসবেন। যানজট নিয়ন্ত্রণের
জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শহীদ মিনার এলাকায় কিছু কিছু গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে৷
আমরা লিখিতভাবে জানিয়ে দেব। সাধারণত পলাশীর মোড় থেকে এখানে আসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই এলাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলো দেওয়া হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা সেটি
জানিয়ে দিয়েছি। এখানে আমাদের একটি ম্যাপ তৈরি করে দেওয়া আছে। যারা আসবেন তাদের প্রতি
আমাদের অনুরোধ, শৃঙ্খলা মেনে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এখানে রেখে আসবেন।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টা
২০ মিনিটে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের কয়েক মিনিটেই শিক্ষার্থীদের
জনস্রোতে পালিয়ে গেছেন হাজারো আনসার সদস্য।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক
সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে সচিবালয়ে আটকে রাখে আনসার সদস্যদের একটি দল।
এই খবরে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন তারা। পেটুয়াদের
ভূমিকায় অবতীর্ণ হন আনসার সদস্যদের অনেকে। পরে স্রোতের মতো আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের ধাওয়ায় পালিয়ে যান আনসার সদস্যরা।
জানা যায়, মেনে নেওয়া হয়েছে তাদের যৌক্তিক দাবি। তারপরও আনসারদের একাংশ ঘেরাও করেন সচিবালয়। সেখানে আটকে রাখেন সমন্বয়কদের। সচিবালয় থেকে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে করা লাইভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান সেখানের পরিস্থিতি। এরপর পরই এক পোস্টে তিনি লেখেন, সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে পেটাচ্ছে।
এর আগে বিকেলে কয়েক দফা
দাবিতে আন্দোলন করে আসা আনসার সদস্যরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন বলে জানান।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সমন্বয়ক
হাসনাত আবদুল্লাহ্ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, সবাই রাজুতে আসেন। স্বৈরাচারীশক্তি
আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতেতে এ কথা জানিয়ে আরো বলা হয়েছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে বলে আশাবাদী দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকারের পতনের গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর
যাত্রাবাড়ি এলাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ,
কবি নজরুল কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীর মধ্যে হামলা, মারধর ও
সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন,
‘ভাঙচুরসহ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কারা জড়িত, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং
আগামীতে এ ধরনের ঘটনাকে কোনোভাবেই টলারেট করা হবে না। সংঘর্ষ এড়াতে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কোনোভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ না হয়,
সেজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে যাচ্ছিল। কিন্তু কোনোভাবেই সংঘর্ষ এড়ানো
যায়নি।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি
এসব কথা বলেন।
এ
সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল
আলম উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের
মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, সামাজিকমাধ্যমে
বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা দেখেছি,
তিনজন নিহত হওয়ার একটি খবর রটেছিল। তবে এখন পর্যন্ত কারও নিহত হওয়ার কোনো
সংবাদ আমরা পাইনি। নানা মাধ্যমে চেষ্টা করেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠিত কোনো
গণমাধ্যমেও এ ধরনের খবর আমরা পাইনি।
তিনি
বলেন, তবে
অনেকেই আহত হয়েছেন, হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছেন। এটি আমরা জানতে পেরেছি। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি
উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা
বলেন, আমরা
বারবার আহ্বান জানাচ্ছি ছাত্ররা যেন কোনো প্রকার উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য সহকারে
তাদের যেকোন সমস্যা কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে। কিংবা প্রয়োজন হলে
সরকারও এর মধ্যে অংশীভূত হতে পারে।
মাহবুবুর রহমান কলেজের হামলার ঘটনা নিয়ে কাজ করার সময় জানতে পারলাম যে ৬ দিন
আগ থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। একজন শিক্ষার্থী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সঠিক
চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগে এই ঘটনা শুরু হয়,
অভিযোগ ছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখানে সোরহাওয়ার্দী কলেজ
কীভাবে এলো সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এক
প্রশ্নের উত্তরে আসিফ মাহমুদ বলেন,
বিগত দিনগুলোতে পুলিশ যেকোন সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য রাবার বুলেট বা গুলি ছুড়তো।
এটা কোনো আন্তর্জাতিক প্রাকটিস না। আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
অপর
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,
কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পেছনে কারা জড়িত এ বিষয়ে অনেক ধরনের
তথ্য আসছে। জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জানাতে পারবো কারা এর
পেছনে জড়িত আছে।
দেশে অস্থিরতা তৈরির জন্য পরিকল্পিতভাবে যড়যন্ত্র করা হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার সফলভাবে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাক, এটা তো অনেকে চাচ্ছে না, বিশেষ করে বিগত দিনের ফ্যাসিস্ট সরকার নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি
বলেন, সরকারের
কার্যক্রম নস্যাত করতে এবং সারাদেশের মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য
এসব করা হচ্ছে।’ তবে
যারা দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে এসব করছে তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে
বলে তিনি জানান।
পরিকল্পিত
যড়যন্ত্র ও অপপ্রচার রুখে দিতে বিল্পবী চেতনার রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনকে
দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের কাছে
আহবান থাকবে যেহেতু আমরা একটা অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে আছি। সকলের ভেতরে
বিপ্লবী চেতনা আছে, উত্তেজনা
আছে সেটা যেন আমরা ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করি।'
তিনি
আরো বলেন, 'আমরা
সচেতনতা সবদিক থেকে তৈরি করি এবং রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এখানে অনেক
ভূমিকা নেওয়ার আছে। গণঅভ্যুত্থানে যেমন আমাদের মধ্যে ঐক্য ছিল- আমরা মনে করি
বর্তমান পরিস্থিতিতেও সকলের ঐক্যের ভিত্তিতে এসব রুখে দিতে হবে। মিথ্যা
প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে রাজধানীতে জড়ো করা
হয়েছিল। যে সংগঠনের ব্যানারে সাধারণ মানুষ ঢাকায় আনা হয়েছিল, সেই সংগঠনের
প্রধানকে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে।
মন্তব্য করুন
বর্তমান পরিস্থিতিতে চলমান এইচএসসি
ও সমমানের অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার ফলাফল কীভাবে হবে, তা পরে
সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান
তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, এসএসসির ফলাফলের সঙ্গে সমন্বয়
করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের দাবিতে সচিবলায়ে বিক্ষোভ করেন এইচএসসির পরীক্ষার্থীরা।
সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন তারা। দুপুরের দিকে স্লোগান দিতে
দিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, বন্যা, কোটা সংস্কারসহ
নানা কারণে গত ৫ মাস ধরে পরীক্ষার মধ্যে আছেন। এ ছাড়া কোটা সমন্বয় ও সরকার পতনের এক
দফা আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। এমন পরিস্থিতিতে
বারবার পরীক্ষার পেছানোর ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাই আহতদের রেখে
এ বছর আর পরীক্ষা দিতে চান না তারা।
এ ছাড়াও তাদের এসএসসি ফলাফলের সঙ্গে
সমন্বয় করে দ্রুত এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের দাবিও জানান তারা।
মন্তব্য করুন