২০২৪ সালে হজে যেতে
নিবন্ধনের সময় ১৮ দিন বাড়ানো হয়েছে। হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত
বাড়িয়ে আজ (২৮ ডিসেম্বর) বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়
জানিয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর হজ নিবন্ধনের সময় শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার
বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৪৭৮ জন হজযাত্রী
নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২ হাজার ৫৪৯ জন ও বেসরকারি
ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৯২৯ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।
২০২৪
সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি
মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার জন।
সময় বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হতে হজ চুক্তির আগেই হজযাত্রীর চূড়ান্ত সংখ্যা জানানোর তাগিদ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ বিবেচনায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। এ সময়ের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন বা প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে। প্রাথমিক নিবন্ধন করা হলে প্যাকেজের অবশিষ্ট মূল্য আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করাসহ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থন অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও জাতিসংঘের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।
গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৬ আগস্ট ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা। আমি বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। এই ক্রান্তিকালে সহিংসতার অবসান ঘটাতে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগিয়ে যেতে আপনার নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমি আশা করি- আপনার সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা অবলম্বন করবে, যার মধ্যে তরুণ ও নারীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমি সব নাগরিক ও বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা রাখছি। আমি আপনাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জোরালোভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, বিশেষ করে মিয়ানমারে অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে। বাংলাদেশ তার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন করে। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন
প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা নাশকতা
কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬ তলায় সড়ক পরিবহন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের এই আগুন লাগে।
আজ সকাল ৯ টায় উপদেষ্টা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সচিবালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫ থেকে ১১
পর্যন্ত হতে পারে। কি হয়েছে তা আমরা দেখবো। পুরোটা সার্চ করার পরে কিছু পাওয়া য়ায় কিনা
আমরা জানাবো। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬ তলায় আগুন লেগে তা উপরে ছড়িয়ে পড়েছে। আনুমানিক
রাত ১টা ৫০ মিনিটে ৭ নম্বর ভবনের ছয়তলায় আগুন
ধরে। ১টা ৫২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৪ মিনিট থেকে তারা তাদের কাজ
শুরু করে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সর্ম্পূণ নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য
পাইপ নিয়ে সচিবালয়ের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় একজন ফায়ার ফাইটারের ট্রাকচাপায় মৃত্যু
হয়।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ
সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত
সব আসামি খালাস পেয়েছেন।
রায়ে এ মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের
ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে এ রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি
সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশ বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।
এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ২১ নভেম্বর
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষ করেন। সেদিন আদালত মামলা দুটি
রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। আজ রায় ঘোষণা করা হল।
২০১৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা
দুটির নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। এটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
কোনো ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে
হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে।
পাশাপাশি দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে
আসামিদের জেল আপিল, নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সে অনুযায়ী আসামি
পক্ষ আপিল করে।
গত ৩১ অক্টোবর বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট
গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায়
২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ২০০১-২০০৬ আমলের বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী
আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও আসামি শেখ আবদুস সালাম ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা যান।
মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমান, বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন
সাজা দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে ১১ জনকে দণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এরপর ওই বছরই
হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। পাশাপাশি দণ্ডিত কারাবন্দিরা আপিল দায়ের করেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার
ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক
সরকার এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুন করে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে
২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত
হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১৮ সালের
১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) রায়
দেন। রায়ের পর একই বছর বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা দুটির নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।
পেপার বুক প্রস্তুত করাসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি
সম্পন্ন হলো। এখন হাইকোর্ট রায়ের অপেক্ষায়। এ মামলায় বিএনপি'র শীর্ষ নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত
করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে বারবার দাবি করে আসছিল দলটি।
মন্তব্য করুন
বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর কাজ শুরু করেছে সরকার।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ, পুলিশের সিআইডি ও দুদকের সহায়তায় আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।
সরকার খুব শিগগির একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর
পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন। এর সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান আছে। এই আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে বলে ধারণা করা যায়।
অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।
এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নতুন ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক
মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের কার্যক্রম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মন্তব্য করুন
জাহিদুল ইসলাম, হাইমচর প্রতিনিধিঃ
ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের হাইমচরে ভোলা থেকে ঢাকাগামী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় চরভৈরবী এলাকায় মেঘনা নদীতে লঞ্চ এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের সঙ্গে ভোলা টিপু- ১৪ লঞ্চের সংঘর্ষ ঘটে।
এ ঘটনায় সোহেল নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ওসমান আলি ফরাজি বাড়ির বাসিন্দা সেলিম ফরাজির ছেলে।
এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ রাসেল বলেন, কাল রাতে টিপু-১৪ লঞ্চটি আমাদের লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটির কেবিনে পেছনের অংশ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় আমাদের লঞ্চে থাকা সোহেল নামে এক ব্যক্তি আহত হন। পরে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে হাইমচরের নীলকমল নৌ পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চ থেকে আমাদের ফোন করা হয়। একটি অজ্ঞাতনামা লঞ্চ তাদের লঞ্চটি ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া জন্য তাদের ফোন করলে তারা জানায় এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। তবে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি আমার জানা নাই।
চাঁদপুর উপপরিচালক সাহাদাত হোসেন আরও জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশায় নৌযান পরিচালনা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে নৌযান পরিচালনা করছেন। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
ভোলা বন্দর কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, কাল সন্ধ্যা ৬টা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে আসে টিপু-১৪ লঞ্চটি। রাত সাড়ে ১০টায় ভোলা ছাড়ে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি সুরভী-৮। চাঁদপুরের হাইমচরে টিপু-১৪ লঞ্চটি সুরভী-৮ লঞ্চটিকে ধাক্কায় দেয়। এ ঘটনায় এক যাত্রী আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয়। সুরভী-৮ লঞ্চটি এবং নিহত সোহেলে মরদেহ এখন সদর ঘাটে আছে।
মন্তব্য করুন
''শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার" এই প্রতিপাদ্যটিকে গুরুত্ব দিয়ে আইসিটি ফর এডুকেশন জেলা অ্যাম্বাসেডর ফোরাম নাঙ্গলকোটের উদ্যোগে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। করাকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ আইসিটি ফর এডুকেশন অ্যাম্বাসেডর শিক্ষকদের সংবর্ধিত করা হয়।
সংবর্ধিত শিক্ষকরা হলেন- উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক বড় সাঙ্গীশ^র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফখরুল জসিম, শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষক (মাধ্যমিক) সঞ্জিত কুমার পাল সহকারী শিক্ষক চান্দগড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পক্ষে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদ উল্ল্যাহ।
চাটিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমাম হোসেনের সঞ্চালনা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরীফ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আনিসুর রহমান। এতে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন ঝিকুটিয়া ইসহাক মজুমদার আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আইসিটি ফর এডুকেশন এর অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চান্দগড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর লিটন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, হুসাইন আহমদ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পানকরা হাফেজা উচ্চবিদ্যালয় এর সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান, নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি অনার্স কলেজের প্রভাষক (আইসিটি) আনোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াছিন বাবুল, তাজুল ইসলাম মিলন, কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, নাজমা সুলতানা, আলমগীর হোসেন, ওমর ফারুক, রহিমা আক্তার, মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করার বিষয়ে
অগ্রগতি অর্জিত হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিভিন্ন খাতে দেশটির বিনিয়োগ প্রস্তাবকে
স্বাগত জানান।
আজ বুধবার (৭ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন
যমুনায় ইউএই’র টলারেন্স এ্যান্ড এক্সিসটেন্স বিষয়ক কেবিনেট মন্ত্রী শেখ নাহায়ান
বিন মুবারক আল নাহায়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় অধ্যাপক ইউনূস ইউএই’কে ধন্যবাদ জানান।
শেখ নাহায়ানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলটি আজ
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় স্বল্প সময়ের সফরে পৌঁছান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ বিন আলি আল সায়েঘ, বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের
আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুর রহমান আল হাওয়ি।
আল নাহায়ান প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, বাংলাদেশের
প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং আমাদের বন্ধুত্ব পুনর্ব্যক্ত করতে ‘আমি আমাদের প্রেসিডেন্টের
নির্দেশে এখানে এসেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সরকারের মধ্যে
সাম্প্রতিক সময়ের বাড়তি সংলাপকে আমরা প্রশংসা করি। আমরা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা
পর্যন্ত সব খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি এবং আমরা একসাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
এই সৌহার্দ্যমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করে অধ্যাপক
ইউনূস বলেন, আমরা এ ধরনের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই। আমরা বিভিন্ন খাতে
বিনিয়োগ প্রস্তাবকেও স্বাগত জানাই।
ভিসা নীতিতে শিথিলতার কথা উল্লেখ করে প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, ভিসার দরজা খোলার জন্য ধন্যবাদ। এখনও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি আছে,
আশা করি আমরা সম্পৃক্ত থাকবো এবং সমস্যাগুলো সমাধান করবো।
সম্প্রতি ইউএই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট
ভিসা ইস্যু করছে।
ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য ভিসাগুলোও সাম্প্রতিক
সময়ে দ্রুত অনুমোদিত হচ্ছে। সেইসাথে, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন
ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিপণন ব্যবস্থাপক,
হোটেল কর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ভিসাও এই
পদ্ধতিতে দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও, নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য ৫০০ ভিসা
ইতোমধ্যে ইস্যু হয়েছে এবং আরও এক হাজার ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি
আল হমোদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদও বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গা ও টামটা এবং হাজিগঞ্জ উপজেলার মাইশামোড়া মৎস্য আড়ত এলাকায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট অভিযান চালিয়ে ৩ প্রজাতির ৭ মণ কচ্ছপ (আনুমানিক সর্বমোট ওজন ২৮০ কেজি) জব্দ করেছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে কুচিয়া মাছের আড়ালে একদল অসাধু চক্র এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্তৃক চাঁদপুর জেলা থেকে ইতিপূর্বে ২০ মণ কচ্ছপ আটক করা হয় এবং উক্ত অভিযানের তথ্যে পর্যালোচনা করে এই অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। কচ্ছপ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অভিযানে জীবিত ৩ প্রজাতির কচ্ছপের মধ্যে রয়েছে সুন্ধি কাছিম ১৭০ কেজি, করি কাইট্ট ১০০ কেজি, হলুদ কচ্ছপ ১০ কেজি। প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবমুক্ত করা হবে কচ্ছপগুলো।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে উপনীত এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য তার অন্তর্বর্তী সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, সে সম্পর্কে কথা বলেন।
তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য এবং ভোটার তালিকা শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বিষয়টি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে ঢাকায় একটি দল পাঠিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে বাংলাদেশের পূর্ববর্তী স্বৈরশাসন উৎখাত করা ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে ব্রিফ করেন। তখন ক্রিস্টালিনা তাকে বলেন, এটি একটি ভিন্ন দেশ। এটি বাংলাদেশ ২.০।
আইএমএফের প্রধান নির্বাহী অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে তার সমর্থন জানিয়ে বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশ সরকারের জন্য আর্থিক সহায়তা দ্রুততর করবে।
তিনি বলেন, তিনি বাংলাদেশে ‘দ্রুত’একটি আইএমএফ দল পাঠিয়েছেন এবং এ মুহূর্তে সেটি ঢাকায় অবস্থান করছে। দলটি আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জর্জিয়েভা বলেন, আইএমএফ বোর্ড টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে, অথবা এটি গত বছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির অধীনে আরও ঋণ দিতে পারে।
জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপদেষ্টা
ফাওজুল কবির খান আইএমএফপ্রধানকে বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র এক সপ্তাহ সময়ে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে
অপরাধের ‘দুর্গ’
গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় দেশের অর্থ প্রদানের ভারসাম্য বাড়াতে আইএমএফের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে আইএমএফের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
মন্তব্য করুন
পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণার্থীদের
সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে
পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সম্পদে
পরিপূর্ণ পার্বত্য জেলাগুলো বাংলাদেশের সবচাইতে উন্নত অঞ্চল হতে পারতো, কিন্তু সবচেয়ে
পেছনে পড়ে আছে। এটা হওয়ার কথা না। আপনাদের ফসল, ফল-ফলাদি, ঐতিহ্যবাহী পণ্য দিয়ে অর্থনীতিতে
আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। পার্বত্য এলাকাগুলো দুর্গম, সেজন্য যোগাযোগ করা কঠিন হয়।
আর এ কারণেই সেখানে প্রযুক্তির প্রসার দরকার। প্রযুক্তি দিয়ে এই দূরত্ব জয় করা যাবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও
সদস্যবৃন্দের জন্য আয়োজিত 'পার্বত্য জেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ
দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নারী ফুটবল টিমে পার্বত্য জেলা থেকে
আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকের স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বের
অন্যান্য দেশের টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আপনাদের এলাকার মেয়েরা কী দুর্দান্ত
খেলল! কীভাবে বলবেন পিছিয়ে আছে? যারা আপনাদের এলাকা থেকে এসেছে তাদের সাথে আমি কথা
বলেছি। কী কঠিন পরিস্থিতি! কত কষ্ট করে পাহাড় ভেঙে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়! বাবা মা ঢাকায়
আসলে কত কষ্ট করে তাদের আসতে হয়। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই কিন্তু তারা বিশ্বজয় করে এসেছে।’
পার্বত্য এলাকার তরুণরা যেন বিশ্ব নাগরিক
হয়ে গড়ে ওঠে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বজয়
এনে দিয়েছে। তরুণরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, বিশ্ব নাগরিক হতে হবে। দুর্গম এলাকা
বলে পিছিয়ে থাকলে হবে না। সীমাবদ্ধতা থাকবে, কিন্তু মনের সীমারেখাকে বাড়িয়ে দিতে হবে।
সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্ব দিয়ে পৌঁছে যেতে হবে।’ জানুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসবে পার্বত্য
অঞ্চলের তরুণদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনাদের শিশুদের, তরুণদের
এ উৎসবে যোগ দিতে উৎসাহ দিন। স্থানীয় খেলা হোক, রচনা প্রতিযোগিতা, গান-নাচ তারা যা
পারে, যা চায় তা নিয়ে যেন অংশ নেয়। এটা সবার উৎসব। উৎসবটি বৈচিত্রময় হোক। সরকারি নির্দেশ
তাই অংশ নেবে এরকম না। তাদেরকে আপনারা উৎসাহ দিন, যেন নিজ থেকেই তারা উদ্যমী হয়ে এ
উৎসবে অংশ নেয়।
পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার
সংস্কার ও সঠিক পদ্ধতি, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি
আরও বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন।
শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম
অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। লেখাপড়ায়
তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য করুন