আজ (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগরসহ সারা
দেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক নকল ও ভেজাল পণ্যের উপর তদারকিসহ
বন্যার ত্রাণসামগ্রী (মুড়ি, চিরা, গুড় ইত্যাদি) ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল
ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাতে
অধিদপ্তরের ৬ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৬ টি টিম কর্তৃক ঢাকা মহানগরীর বনানী বাজার, কল্যাণপুর,
কলাবাগান ও মোহাম্মদপুর টাউনহল এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আজ দেশের ৫২টি জেলায় অধিদপ্তরের ৫৭টি
টিম কর্তৃক পরিচালিত এ অভিযানে ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬,২১,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানান, ভোক্তা অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তরের এসকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটি এলাকায় বোতাম তৈরি কারখানার আগুনে আরও ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ জন।
নিহতরা হলো: লালমনিরহাট সদর থানার হারাটি এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে মজমুল মিয়া (৩২)। পরিচয় জানা যায়নি অপর ২ জনের।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ওই কারখানা থেকে আরও ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটি এলাকায় এম এন্ড ইউ ট্রিমস্ বোতাম তৈরি কারখানার কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কারখানার গুদামে কেমিক্যালের ড্রাম বিস্ফোরণের কয়েকটি শব্দ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মন্তব্য করুন
শনিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রপ্রধান আশা করেন যে আগামী দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে।
সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতিকে জানান, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।
আজকের
এ সাক্ষাতকালে সেনাবাহিনী প্রধান কুশলাদি বিনিময়ের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম,
আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা রক্ষা এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম
ইত্যাদি সম্পর্কে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
মন্তব্য করুন
লন্ডনে
চার মাস চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে
ঢাকায় ফিরছেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন দুই পুত্রবধূ। এদিন সকালে কাতারের আমিরের পাঠানো একটি বিশেষ এয়ার
অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি।
বেগম
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশে
ফেরা উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, পাশাপাশি
থাকবে পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা।
ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার
(ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা
উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে তার বাসভবন
পর্যন্ত যাত্রা সুগম করতে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাও
থাকবে।
ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তার সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার ঢাকায় ফেরার উপলক্ষে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তার জন্য
কাজ করছে। একইরকম তথ্য দিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি
জানান, আগামীকাল সোমবার (৫ মে) যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহন করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণ করবে। এদিন
বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে থাকবে নিশ্ছিদ্র
নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া নেতাকর্মীদের জন্যও জারি করা হয়েছে কড়া নির্দেশনা।
নির্দেশনাগুলো
হলো: অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে কোনো যানজট সৃষ্টি না করে একহাতে
জাতীয় পতাকা এবং আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে দেশনেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
এছাড়া
সাধারণের চলাচলের জন্য ওইদিন বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত মূল সড়ক এড়িয়ে এলিভেটেড
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারেরও অনুরোধ জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
আরও
বলা হয়েছে, বিমানবন্দর ও চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সব নেতাকর্মী
দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার একপাশে দাঁড়াবে। চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে
মোটরসাইকেল এবং হাঁটা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ।
অভ্যর্থনা
জানানোর জন্য বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অবস্থানের কথাও জানিয়েছে দলটি।
সংগঠনের
নাম ও অবস্থান:
>মহানগর
উত্তর বিএনপি, বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল।
>ছাত্রদল,
লা মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত।
>যুবদল,
খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন।
>মহানগর
দক্ষিণ বিএনপি, হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম।
>স্বেচ্ছাসেবক
দল, আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান।
>কৃষকদল,
বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড়।
>শ্রমিক
দল, কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন হোটেল।
>ওলামা
দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল, বনানী শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার।
>মুক্তিযোদ্ধা
দল ও সব পেশাজীবী সংগঠন, বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২।
>মহিলা
দল, গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড।
>বিএনপি
জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা, গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড।
>বিভিন্ন
জেলা থেকে আগত নেতাকর্মী, যার যার সুবিধামতো স্থানে অবস্থান করবেন।
মন্তব্য করুন
৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে ইসির চিঠি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সারাদেশে ২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আর এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা উল্লিখিত সংখ্যার কম-বেশি করতে পারবেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন ১/২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
চিঠিতে ইসি আরো জানিয়েছে, ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের ২ দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। ওই সময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সংখ্যা হ্রাস করার প্রয়োজন হবে।
চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে উপরের বর্ণনা মোতাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ধরনের বিষয়ে চিঠিতে ইসি জানায়, প্রতি উপজেলায় ১ জন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় ২ জন, জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় ১ জন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে ২ জন। আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০, খুলনা সিটিতে ৬, গাজীপুর সিটিতে ৪ এবং অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ৩ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র্যাব ফোর্সের ১৪৮টি দলসহ সারাদেশে ৪৩২টি টহল
দল মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার
(২২ নভেম্বর) সকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান
খান এ তথ্য জানান।
তিনি
জানান, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদানে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার
গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে র্যাব টহলের মাধ্যমে এস্কর্ট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যে
পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ
গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে
শপথ নিয়েছেন আরও চারজন। তাঁরা হলেন ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, ড. মুহাম্মদ
ফাওজুল কবির খান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টার
দিকে বঙ্গভবনে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় আরও
উপস্থিত ছিলেন, কয়েকজন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, তিন বাহিনীর প্রধান,
বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আকার প্রধান উপদেষ্টাসহ ২১ জনে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য ভালো মাইলফলক হবে। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ একটা সংকটকালীন পার করছে, আবার একইসঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু বিবেচনায় এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই, এখন এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। ড. মুহাম্মদ ইউনূস (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) স্যার আছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। আইসিসির সঙ্গেও আমাদের আলোচনা চলমান আছে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।
বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আগামী ২০ আগস্ট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসবে আইসিসি। তারা চাচ্ছে সেই সময়ের মধ্যে যেন বিসিবি নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
সূচি অনুযায়ী আগামী ৩-২০ অক্টোবর বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যার জন্য আয়োজকদের হাতে আর মাত্র দেড় মাস বাকি। সে হিসেবে দ্রুত জটিলতার অবসান চায় আইসিসি।
মন্তব্য করুন
মেয়ে শিশু জন্ম নেওয়ায় ওই নবজাতককে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা নবজাতককে হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ওই ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বিষয়টি জানাজানি হয় বিকেলে।
নবজাতক রেখে পালিয়ে যাওয়া দম্পতি হলো আলমগীর হোসেন ও পাপিয়া খাতুন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নবজাতককে মা-বাবা।
নিজেদের সন্তান হাসপাতালে ফেলে পালানোর বিষয়ে জানা যায়, তিন মেয়ের পর এবার ছেলেসন্তানের আশায় বুক বেঁধেছিলেন এ দম্পতি। ফের কন্যাসন্তান হলে স্ত্রী পাপিয়াকে তালাকের হুমকিও দেন আলমগীর! কিন্তু এবারও কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন পাপিয়া। তাই তারা হাসপাতালে সন্তান রেখেই পালিয়ে গেছেন।
হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, প্রসব বেদনা উঠলে সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে পাপিয়া খাতুনকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন পাপিয়া। পরে তাকে ভর্তি করা হয় গাইনি ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পর নবজাতককে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের বিলকিস বানু নামে এক নারীর কাছে রেখে পালিয়ে যান ওই নবজাতকের মা-বাবা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী।
পরে নবজাতকটিকে সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা ওই নবজাতকের নাম রাখেন ‘পুষ্প’।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ওই দম্পতি হাসপাতালে যে নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন তা যাচাই করা হয়েছে। তারা ভুল তথ্য দিয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও ছবি দেখে ওই নারী ও তার স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
নবজাতকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে খাবার খেয়ে ২৮ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এবং ২৫ জন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়) রাত ৯টার পর।
এদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকায় এবং ২৫ জনে বাড়ি রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নে।
তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে।
তারা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে খাবার গ্রহণ করেন। তারা সন্ধ্যার পর থেকে অসুস্থ হতে শুরু করেন। বমি এবং পাতলা পায়খানা করেন অনেকেই।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম জানান, তারা অসুস্থ হয়েছেন ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়ায়। তবে কোন ধরনের খাদ্যে বিষক্রিয়া ছিল, এ চিকিৎসক সেটা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের হাসপাতালে ২৫ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর, তবে অনেকের অবস্থা ভালোর দিকে। ঠিক কোন খাবারের বিষক্রিয়া হয়েছে, সেটা আমরা নিশ্চিত নই। নমুনা ল্যাবেটরিতে পাঠালে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আরও ৩ জন ভর্তি রয়েছেন।
অসুস্থরা ধারণা করছেন, তারা অসুস্থ হয়েছেন বিয়ে বাড়ির দধি খেয়েই।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়ির তছলিম পাটওয়ারীর ছেলে মো. মানিকের সঙ্গে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চর মান্দারী গ্রামের তফাদার বাড়ির তোফায়েল আহমেদের মেয়ের বিয়ে হয়। শুক্রবার বউ ভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় রব পক্ষের লোকজন।
বর মানিকের ভাই মো. মাসুম জানান, আমরা বর পক্ষের প্রায় ২০০ অতিথি নিয়ে কনে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের দুপুরের খাবার খাই। বিকেলে চলে আসি। এরপর আমাদের পক্ষের অন্তত ৫০ জন অতিথির বুমি এবং পাতলা পায়খানা শুরু হয়। তাদের মধ্যে ২৫ জনকে রায়পুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আবার অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বিভিন্নভাবে।
মন্তব্য করুন
খেজুরের রস পান করে নড়াইল সদরের একটি বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় এ ঘটনাটি ঘটে জেলা সদর উপজেলার শাহাবাদ এলাকায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে স্কুলে আসার পরে ১০টায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী মিলে পাশের একটি জমিতে কয়েকটি খেজুরের গাছে উঠে রসের হাঁড়ি নামিয়ে আনে। এরপর সবাই সেটি পান করে। কিছুক্ষণ পর ৬ জনের তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হয়। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এর মধ্যে একজন বমি করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক অসুস্থদের অন্যদের সহায়তায় নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
খেজুরের রসের মধ্যে অন্য কিছু ছিল কি না তা শিক্ষার্থীরা জানে না, তবে রস খাওয়া কয়েকজন সুস্থ আছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ, দলজিতপুরের বাসিন্দা।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেশমী খাতুন জানান, শিক্ষার্থীরা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মাত্রা বেশি না হওয়ায় ওয়াশ করার প্রয়োজন পড়েনি। একজন বমি করেছে, অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
আপাতত তাদের ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন