

কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ছেলেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের উত্তর এলাইস গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন লাকসাম থানার ওসি শাহাবুদ্দিন।
নুরজাহান বেগম (৮০) ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়া মিয়াজি বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। এই দম্পতির সাত ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার বড় আসাদুজ্জামান বাহারের (৫০) বিরুদ্ধে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ সরকার জানান, বাহার প্রায় ২০ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। বিষয়টি আমরা সবাই জানি। বেকার অবস্থায় নিজ বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই থাকত সে। প্রায়ই টাকার জন্য ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করত। শুক্রবার দুপুরে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মাকে হত্যা করেছে সে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলাম জানান, বাহার ছোটকাল থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এ কারণে বিয়ের পরপরই তার স্ত্রীও তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়।“আমরা তাকে ‘পাগলা বাহার’ নামে ডাকি। সবসময় তার মাথা গরম থাকে। একটু এদিক-সেদিক হলেই সে পাগলামী শুরু করে। ”
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছেলে আসাদুজ্জামান
বাহারকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের
মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় নৌকা ডুবিতে
সামিয়া আক্তার এবং সামিয়া ইসলাম নামের দুই স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার
রামকৃষ্ণপুর কানাই শাহ ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সামিয়া ইসলাম (১২) বাঞ্ছারামপুর
উপজেলার চরলহনীয়া গ্রামের আবু মুছার মেয়ে ও সামিয়া আক্তার (১২) একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার
মেয়ে। তারা উভয়েই রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে স্কুল
ছুটি হলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরলহনীয়া ও কলাকান্দি কানাই লাল সাহার খেয়া ঘাট দিয়ে
৩০ থেকে ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ছেড়ে যায়। চরলহনীয়া গ্রামের কাছাকাছি গেলে
একটি বালুবাহী ট্রলারের ঢেউ লেগে নৌকাটি ডুবে যায়।
অনেকে সাঁতার কেটে পাড়ে পৌঁছালেও সামিয়া
আক্তার এবং সামিয়া ইসলাম নদীতে তলিয়ে যায়। পরে দু'জন কে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা
চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
কয়েদি থেকে কারামুক্ত এক কর্মজীবী নারীতে পরিণত হয়েছেন মোসা: পারভীন আক্তার। হত্যা
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০০২ সালের ১৯ আগস্ট কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ
করেছিলেন কয়েদি নম্বর ৩৮০২/এ, পারভীন আক্তার। পরে উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে তার সাজা
কমে গিয়ে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর পর, প্রশিক্ষণ ও কঠোর পরিশ্রমে
অর্জিত ৫৭ হাজার টাকা সঞ্চয় নিয়ে আজ তিনি মুক্ত হলেন।
কারা
বিভাগ "রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ" এই শ্লোগানে বন্দিদের দক্ষতা উন্নয়নে
নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায়, কারাগারে অবস্থানকালে পারভীন আক্তার নেন
নকশীকাঁথা সেলাই ও সুঁই-সুতার কাজের প্রশিক্ষণ। তার হাতে তৈরি কারাপণ্য বিক্রি হয় বাণিজ্য
মেলা ও কারাগারের শো-রুমে। বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫০ শতাংশই পারিশ্রমিক হিসেবে বন্দিদের
হাতে তুলে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
সেই
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয় থেকেই পারভীন আক্তার নিজের প্রিজনার ক্যাশ একাউন্টে জমা করেন ৫৭
হাজার টাকা। যা তিনি আজ মুক্তির দিন নিজের হাতে পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ ও সঞ্চয়ের এই ফল
পেয়ে আবেগাপ্লুত পারভীন জানান, "কারা কর্তৃপক্ষ শুধু শাস্তিই দেয়নি, জীবনের নতুন
আলো দেখিয়েছে। আমি চিরকৃতজ্ঞ।"
বাংলাদেশ
জেলের এই মানবিক ও পুনর্বাসনমূলক দৃষ্টান্ত সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে।
পারভীন আক্তারের জীবন আমাদের মনে করিয়ে দেয়— সংশোধনের সুযোগ থাকলে, প্রত্যেক মানুষই
পরিবর্তনের পথে ফিরতে পারেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার গাইনি চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা আজিম কাকলী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।চিকিৎসকের বড় ভাই মনজুরুল আজীম পলাশ এই মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েক দিন আগে ডা. কাকলী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এ সময় তার কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতকাল শনিবার অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই আজ সকালে তিনি মারা যান।
ডা. কাকলীর মৃত্যুতে কুমিল্লায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং নগর মাতৃসদন কুমিল্লার কনসালট্যান্ট ছিলেন। বহু দরিদ্র রোগীর বিনামূল্যে সিজার করিয়েছেন বলে মানবিক চিকিৎসক হিসেবে তার পরিচিতি ছিল।
স্বজনরা জানিয়েছেন, তার মরদেহ আপাতত হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তার একমাত্র কন্যা তুর্ণা দেশে ফিরলে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হবে
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
হাইওয়ে
পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের কুমিল্লা হাইওয়ে থানা ১টি যাত্রীবাহী বাসসহ ১ জন বাস চোর আটক
করেছে।
আটককৃত
চোর হলেন- চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানাধীন কানুনগো পাড়া এলাকার মৃত রশিদ আলির ছেলে বাস
গাড়ির চালক শহিদুল ইসলাম (৩২)।
মঙ্গলবার
(৭ জুলাই) ভোর অনুমান ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে একজন মিনি বাসের
জনৈক শরীফ হোসেন নামক যাত্রী মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ কুমিল্লা হাইওয়ে থানার সরকারি মোবাইল ফোনে ফোন করে জানান যে,
মিনি বাসের চালক বেসামাল হয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করার
হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। উক্ত যাত্রীর মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান জানার পর অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক
ভাবে রাত্রীকালীন মোবাইল পার্টিকে গাড়িটিকে আটক করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। ইনচার্জ
এসআই (নিঃ) মোঃ ফারুক আজম সংঙ্গীয় ফোর্স সহ সীতাকুন্ড থানাধীন উত্তর ইদুলপুর সাকিনস্ত
হোটেল কিছুক্ষন এর সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার পাশে ভোর অনুমান
৫টা ৫ মিনিটে অবস্থান নিয়ে বাসটিকে আটক করে। বাসের চালককে গাড়ির কাগজ পত্র প্রদান করার
জন্য বললে দেখাইতে ব্যর্থ হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে
ড্রাইভার একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। তখন পার্টি ইনচার্জ এর মনে সন্দেহ
হয় যে, এই ধরনের গাড়ি সাধারণত চট্টগ্রাম সিটির মধ্যে চলাচল করে। নিশ্চয় চালক চুরি করে
গাড়িটি ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন গাড়িসহ চালক শহিদুল ইসলামকে আটক করে।
উক্ত
বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে যাত্রীরা একেখান, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থান
হইতে বাসে উঠেন এবং তাদের গন্তব্যস্থল মীরসরাই, মহিপাল, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে বলে
জানান। আটককৃত চালককে আরো জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে সে উক্ত গাড়িটি চুরি করে ঢাকায়
নিয়ে যাচ্ছিল।পরবর্তীতে কুমিল্লা হাইওয়ে থানা চট্টগ্রামের বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে
বাসের প্রকৃত মালিককে খোজ করে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে। উক্ত বাসের মালিক
ভানুদে জানান যে, সে তার মিনি বাসটি প্রতিদিনের
ন্যায় যাত্রী পরিবহন শেষে ৬ জুলাই ২০২৫ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ১১টায় তার বাড়ির পাশে
রাস্তায় রেখে বাড়িতে অবস্থান করেন। ভোর অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় রাস্তায় এসে দেখেন তার
গাড়িটি নাই। তখন উক্ত এলাকার নাইট গার্ডকে জিজ্ঞাসা করলে রাত অনুমান ১টা ৩০ মিনিটে
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসটি চালিয়ে নিয়ে যায় বলে মালিককে জানায়। তিনি সকালে বোয়ালখালী
থানায় গিয়ে বাস চুরির বিষয়টি থানাকে অবহিত করেন এবং বাসটি খুজতে থাকেন। পরবর্তীতে অত্র
কুমিল্লা হাইওয়ে থানার ফোন পেয়ে নিশ্চিত হন যে, গাড়িটি তার। আটককৃত চালক রাতের বেলায়
চুরি করে তার বাসটি চট্টগ্রাম হতে ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। এই সংক্রান্তে চট্রগ্রাম
জেলার বোয়ালখালী থানায় ১টি নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর অভিযানে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
২৯ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন মনোহরপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি ম্যাগাজিন ও ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় অজ্ঞাতনামা একজন আসামী পালিয়ে যায়।
র্যাব জানান, অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামী কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডিআর সরকারী
উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য নকল সরবরাহ করতে যাওয়ায় ৩ যুবককে
আটক করে ২ বছরের কারাদন্ডসহ অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুরাদনগর উপজেলার
ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা ভ্রাম্যমান
আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো: মুরাদনগর উপজেলার
মুরাদনগর সদরের মঙ্গল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, ফরিদ উদ্দিনের ছেলে কাউছার ও আবদুল মালেক
মিয়ার ছেলে রিমন মিয়া।
জানা যায়, আজ রোববার এসএসসির গনিত বিষয়ের
পরীক্ষা চলাকালে ডি.আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে সমাধান
শেষে নকলের কপি পরীক্ষা কেন্দ্রে দিতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে আটক হয় ওই ৩ যুবক। তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ও নকলের কপি উদ্ধার
করে পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইনে প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদন্ড ও ১০০টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে কুমিল্লা
কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা জানান, চলমান এসএসসি পরীক্ষাসহ সকল পাবলিক পরীক্ষা
নকলমুক্তভাবে গ্রহন করতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। নকলমুক্ত শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। নকলের
বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা নগরীর
রাজগঞ্জ বাজার এলাকায় "সাহা মেডিকেল হলে" রোগীর কাছে ৯ টাকার (MRP)
একটি ওষুধ ৮০ টাকায় বিক্রি করায় প্রতিষ্ঠানটিকে
৫০ হাজার টাকা জরিমানা
করেছে ভোক্তা অধিকার।
আজ
রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে
অভিযান চালিয়ে সাহা মেডিকেল হলকে একাধিক অনিয়মের অভিযোগে এ জরিমানা করে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা।
অভিযানে
নেতৃত্বদেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: কাউছার
মিয়া।
এই
অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো: আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহকারী
ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে আজ শুক্রবার
(২০ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারের পশ্চিমে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে গাড়ি চালকদের বিশ্রামাগারের পাশে রাস্তার উপর গৌরিপুর-হোমনা অভিমুখী নিউ একতা সার্ভিস
বাস তল্লাশী করে ৮ কেজি গাঁজাসহ মোঃ সোহেল রানা নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়।
আসামী মোঃ সোহেল রানা একটি প্লাস্টিকের
বড় জেরিক্যান নিয়ে কুমিল্লার আলেখারচর বিশ্বরোড থেকে নিউ একতা সার্ভিস নামক বাসে ওঠেন।
আসামি জানান যে সাদ্দাম নামীয় একজন
তার হাতে প্লাস্টিকের জ্যারিকেন তুলে দেয় এবং ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে এটি ঢাকার গুলিস্তানে
পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিবে সে ব্যাপারে
আসামি অবগত নয়। আসামী সোহেল রানা এর আগেও নওগাঁ জেলায় গাজাঁসহ ডিএনসি-র হাতে আটক হয়েছিলো
বলে জানায়।
আটককৃত আসামি সোহেল রানা (৩২) চাঁপাইনবাবগঞ্জ
জেলার শিবগঞ্জ থানার মনাকষা গ্রামের মো: বদিউজ্জামানের ছেলে।
আসামীর বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার
বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আজ
বুধবার (৪ জুন) কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার
সদর ঝাউতলা এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এই
সময় জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট পাওয়া যাওয়ায় উক্ত অনুষ্ঠানকে
২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং SPICY
BURG ফাস্টফুডে তেলাপোকা ও ছাড়পোকা পাওয়া যায় ফলে এই প্রতিষ্ঠানকে ৫,০০০ টাকাসহ মোট ৩০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি
অনুযায়ী রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভোক্তাদের স্বার্থে
এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা।
অভিযান
পরিচালনা করেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো:
কাউছার মিয়া। উক্ত অভিযানে সহযোগিতা করেন অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা
পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
ক্লুলেস শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে
ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত
২৭ মার্চ সকালে বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ শালুকিয়া এলাকায় শরীফ হোসেন(৩৫) এর মৃত
দেহ তার ঘরে মাটিতে পড়া অবস্থায় ছিলো।
মৃত
শরীফ হোসেন এর মা রৌশন আরা বেগম থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন এসআই(নিঃ)
নাজিম উদ্দিন।
ভিকটিম
শরীফ হোসেন(৩৫) এর লাশ পাওয়ার পর হতে পুলিশ সুপার, কুমিল্লার সার্বিক দিক নির্দেশনায়
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে,এম এমরানুল হক মারুফ, সদর দক্ষিণ সার্কেল, কুমিল্লার
তত্ত্বাবধানে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, এসআই(নিঃ) নাজিম
উদ্দিনসহ বরুড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টীম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে
নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে হত্যাকান্ডের কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছিল
না। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের
শনাক্তের জন্য বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ টীম বরুড়া বারবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও
জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কার্যক্রমের একপর্যায়ে হত্যাকান্ডে জড়িত
আসামী ১। আরিফ হোসেন(২২), ২। মোঃ নাছির উদ্দিন(৪৩), ৩। মিসেস খুকী আক্তার(৩৫) কে গ্রেফতার
করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ১নং আসামী মৃত
শরীফ হোসেন এর ছোট ভাই, ৩নং আসামী মৃত শরীফ হোসেনের বড় বোন এবং ২নং আসামী ৩নং আসামীর
স্বামী।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, মৃত শরীফ হোসেন উচ্ছৃঙ্খল
জীবন যাপন করত। সে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। এলাকার লোকজন তাকে
ভয় পেতো। মৃত শরীফ হোসেন তার মাকে প্রায় সময়ই গালিগালাজ ও মারধর করত। ছোট ভাই আরিফ
হোসেনের সাথেও তার ঝগড়াঝাটি ছিল। কিছুদিন আগে আরিফ হোসেন এর একটি অটোরিক্সা শরীফ হোসেন
জোরপূর্বক বিক্রি করে। ইহাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া
মৃত শরীফ হোসেন এলাকার লোকজনের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন তার বড় বোন
খুকি আক্তার এর নিকট বিচার প্রার্থী হলে বড় বোন শরীফ হোসেনকে শাসন করার জন্য বিভিন্ন
কথাবার্তা বলত। ফলে মৃত শরীফ হোসেন বোনকে শক্র মনে করত। এমনকি বোনকে বিভিন্ন রকম হুমকি
দিতো। মৃত শরীফ হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বড় বোন খুকি আক্তার, বোনের স্বামী মোঃ
নাছির উদ্দিন ও ছোট ভাই আরিফ হোসেন তাদের একজন প্রতিবেশীকে নিয়ে পরিকল্পনা করে যে,
শরীফ হোসেনকে মারপিট করে পঙ্গু করে ঘরে বসিয়ে খাওয়াইবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীগন
গত ২৬/০৩/২০২৪খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত ১টায় ঘটিকার সময় বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ
শালুকিয়া সাকিনের শঙ্কু ডাক্তারের পুকুর পাড়ে নির্জনস্থানে শরীফ হোসেনকে একা পেয়ে আসামীদের
হাতে থাকা রড, দা ও টর্চ লাইট দিয়ে শরীফ হোসেনের মাথা, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে
পিটিয়ে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত ও ফুলা জখম করে। তারপর শরীফ হোসেনের হাত পা বেধে আসামী
নাছির উদ্দিনের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ হোসেনকে আবারও মারপিট
করে। তারপর শরীফ হোসেন দুর্বল হয়ে গেলে আসামীগন হাত পা বাঁধা অবস্থায় শরীফ হোসেনকে
তার ঘরে মাটিতে ফেলে আসে। সকালে আসামীরা জানতে পারে শরীফ হোসেন মারা গেছে। সংবাদ পেয়ে
আসামীরা শরীফ হোসেনকে দেখতে যায়।
হত্যাকান্ডে
আসামীদের ব্যবহৃত দা, রড, টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ
জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ১।
আরিফ, ২। নাছির এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন