বিমানবন্দরে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনুতিন
চার্নবাইরাকুল এবং দেশটির ইন্টেরিয়র মন্ত্রী পুয়াংপেত চুনলাইয়াড, ঢাকায় নিযুক্ত
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রাচার প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল
চুমফোন ক্লোইপায়ান।
সেখানে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে
গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এছাড়া শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ১৯ বার তোপধ্বনি
দিয়ে গান স্যালুট দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডের
প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
এর
আগে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৩ ফ্লাইটে হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী ও
তার সফরসঙ্গীরা।
এ
সফরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা-রানি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের
পাশাপাশি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক
কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।
সফরকালে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও
রানি সুথিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সেখানে
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের
মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক
সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও
মুক্তবাণিজ্য–সংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা আছে।
ব্যাংককে
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক
কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিবেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটদানে বাধা দিলে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। ভোট দিতে
কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
শুক্রবার
(৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দলটির তেজগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, হরতাল হলো একটা মরিচা ধরা হাতিয়ার, এ অস্ত্র বিএনপি আগেও ব্যবহার করেছে।
তাতে লাভ হয়নি। এবারও হবে না৷ ৭ জানুয়ারি সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবে। তারা নির্ভয়ে ভোট
দেবে। ওইদিন যারাই বাধা দেবে তাদেরই প্রতিরোধ করা হবে। কত আসন পাবে তা এখনই বলতে চাই
না। তবে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। আর ভোটের ফলই বলে দেবে কারা বিরোধী দলে যাবে।
মন্তব্য করুন
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেছেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
পরে বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তার আগে সূর্যোদয়ক্ষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেছেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
পরে বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তার আগে সূর্যোদয়ক্ষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের প্রতিকৃতি এবং বনানীতে বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন
করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার
(৯ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ
সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ
পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
শেখ
হাসিনা ও শেখ রেহানা বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট
নিহত স্বজনদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে
আলাদাভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ রেহানা।
মন্তব্য করুন
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজের নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার(১৫নভেম্বর) থেকে ২০২৪ সালের সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা ১৫ই নভেম্বর থেকে আগামী ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত সব হজযাত্রী নিবন্ধন করতে পারবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বশেষ নিবন্ধনের ক্রমিক হল ৯১০০৯৬।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ই জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এই চলতি বছরের মতো আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। তার মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
সরকারি ভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
অপরদিকে বেসরকারি ভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হবে ।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ - প্রতিপাদ্যে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন ।
অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা এবং ২১০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পদকে ভূষিত করা হয়।
বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা- এই চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যারা এ পদকে ভূষিত হন তাদের নামের শেষে বিপিএম-পিপিএম উপাধি যুক্ত হয়।
এদিকে, ২০২০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) পান ১১৮ জন। ২০১৯ সালে ৩৪৯ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে যথাক্রমে ২০১৮ সালে ১৮২ জন, ২০১৭ সালে ১৩২ জন, ২০১৬ সালে ১২২ জন, ২০১৫ সালে ৮৬ জন কর্মকর্তা বিপিএম-পিপিএম পদক পেয়েছেন।
২০২২ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১১৫ পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হয়। ২০২০ ও ২০২১ সালে দেওয়া হয় ২৩০ পুলিশ সদস্যকে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলার শুভ উদ্বোধন শেষে প্রথমবারের মতো ডিএমপির বুক স্টল পরিদর্শন করেছেন । এসময় তিনি ডিএমপির স্টল থেকে দুটি বই কেনেন।
শত ব্যস্ততার মাঝেও সাহিত্যপ্রেমী পুলিশ লেখকদের মননশীল বই পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে বইমেলায় এবার রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) স্টল।
ডিএমপির বুক স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই মাঠের উত্তর দিকের সারিতে রয়েছে । এখানে বইপ্রেমী পাঠকদের জন্য রয়েছে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রচিত মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ: মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা (১ম, ২য় ও ৩য় খন্ড); ‘ঠার’ বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা: LETTERS OF SHEIKH MUJIBUR RAHMAN (VOL.1: 1948- 1950); ‘চিঠিপত্র’ শেখ মুজিবুর রহমান (খণ্ড ১: ১৯৪৮-১৯৫০): স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান; LETTERS OF SHEIKH MUJIB (VOL.2: 1951-1952); শেখ মুজিবের চিঠিসহ (খণ্ড ২: ১৯৫১-১৯৫২) বিভিন্ন পুলিশ লেখকদের গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও ছড়ার জনপ্রিয় বই।
প্রধানমন্ত্রী ডিএমপি কমিশনারকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ লেখকদের লেখা বিভিন্ন বই দেখেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বই কেনার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান সম্পাদিত বঙ্গবন্ধু জেলখানায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর চিঠিপত্রের সংকলন LETTERS OF SHEIKH MUJIB (VOL.2: 1951-1952) ও শেখ মুজিবের চিঠি (খণ্ড ২: ১৯৫১-১৯৫২) বই দুটি কেনেন।
এসময় স্টলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমির উদ্যোগে পড় বই, গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ - শীর্ষক প্রতিপাদ্যে একাডেমির প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বার্ষিক এই বইমেলা আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে নিয়ে আর কেউ যেন কোনো ষড়যন্ত্র করতে
না পারে।
শুক্রবার
(১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে স্থানীয় সময় রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে
তিনি প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন আর ব্যাহত না হয়। বাংলাদেশের মানুষের
ভাগ্য নিয়ে আর যেন কেউ কোনো রকম ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আজকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই অগ্রযাত্রা
যেন অব্যাহত থাকে। আমি শুধু সেইটুকু চাই, কেউ যেন আবার এই দেশকে কখনো পেছনে না নিতে
পারে। আবার যেন রাজাকার খুনিদের দেশ যেন না বানায়। আমরা যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা
দিয়েছি, সেই অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের
উন্নত সমৃদ্ধি স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা
গঠন করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব, এটাই আমার প্রতিজ্ঞা।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চে ভাষণের দিনটি স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু এখন আমাদের নয়, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য। আর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালিকে উদ্বুদ্ধই করেনি, বিজয় এনে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে লন্ডনে যান, সেখানে বসে পূর্ব বাংলায় গেরিলা যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কখনওই ক্ষমতা ছাড়বে না। ওই বৈঠকে ভারতের দু’জন প্রতিনিধিও ছিলেন। এখন আমিই একমাত্র সেই ঘটনার জীবিত সাক্ষী।
প্রধানমন্ত্রী সেদিনের কথা স্মরণ করে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে পাকিস্তানি সেনারা তাদের বইতে লিখেছেন, তারা স্থম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন, কী করবেন বুঝতে পারেননি সেদিন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী চেয়েছিল এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে। তারা ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে এবং ‘জয় বাংলা’শ্লোগানও নিষিদ্ধ করে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে দিতে উদ্যত হয়। কিন্তু ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না আর তারই প্রমাণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি। শুধু তাই নয়, ইউনেস্কো মনে করে এ ভাষণটির মাধ্যমে জাতির পিতাই প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।
মন্তব্য করুন
শনিবার
(২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে
উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন
দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী-এমপির
নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী
বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী
প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া
হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি
বলেন,আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই
নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি
গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
নির্দেশনা
দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের
তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
সংবাদ
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ,
আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন,
সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান
গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন