সকালে ভারী বর্ষণ চলাকালে মার্কেটের ওপর বজ্রপাত হয়। সেই বজ্রপাত থেকে সৃষ্ট বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান ও ১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়ে গেছে। এ সময় আরো ৩টি অটোরিকশা আংশিক পুড়ে গেছে।
সোমবার (১০ জুন) এ ঘটনা ঘটে এয়ারপোর্ট সড়কে লাক্কাতুড়া এলাকায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনের সড়ক সংলগ্ন একটি আধাপাকা মার্কেটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুনু মিয়া জানান, বজ্রপাত থেকে সৃষ্ট আগুনে কিংবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুনে ৯টি দোকান ও ৪টি অটোরিকশা পুড়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে ভারী বর্ষণ চলাকালে মার্কেটের ওপর বজ্রপাত হয়। এ সময় বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে ৯টি দোকান ও ৪টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আগুনে পুড়ে যায়। এরমধ্যে ১টি সেলুন, ১টি খোলা তেলের দোকানসহ ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গ্যারেজে থাকা ১টি সিএনজি অটোরিকশা পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এছাড়া সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ৩টি সিএনজি অটোরিকশাও পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে সিলেট ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর
হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক
চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের
ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে
সহায়ক।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায়
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি
করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক
ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে
তুলবে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি,
যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত
হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি
সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন
এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি,
যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি
আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর
জোর দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের
প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয়
যে, সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না।
ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি।
এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে,
তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন,
সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাতার
যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন,
ঐতিহ্য ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ
মোকাবিলা করতে পারে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর মূল
বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন
শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে
সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন
ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নড়াইলে কালিয়ার চাচুড়ী বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করায় ৪ জন ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার ৭শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ কেজি পলিথিন জব্দ করেছেন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় ঘোষ এ অভিযান চালান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় ঘোষ জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও মজুদ করায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মেজবাহ উদ্দিনকে ৩ হাজার, বাবুলাল সাহাকে ১ হাজার, পরমানন্দ বিশ্বাসকে ৫০০ ও মুজাম খানকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন
দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি।
সেপকসের পৃষ্ঠপোষক, লেডিস ক্লাব ও চিলড্রেন ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সারাহনাজ কমলিকা জামান আজ জলসিঁড়ি এলাকার শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে প্রধান অতিথি থেকে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সেপকসের এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, এ ধরনের মানবিক কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের সকল সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, সেপকসের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক শাখাসমূহের মাধ্যমে দেশব্যাপী শীতার্ত গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সেনাসদরে কর্মরত ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সহধর্মিনীগণ, সেপকস ঢাকা অঞ্চলের সভানেত্রী, সেপকস ঢাকা অঞ্চলের পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যগণ, অফিসারগণ; অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যগণ; বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ ।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইলিশ ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে
না, রপ্তানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা ইলিশ চাচ্ছেন, তারাও
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন দিয়েছেন। ইলিশ রপ্তানি করা
হচ্ছে, রপ্তানির টাকা বাংলাদেশ সরকার পাবে। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার
দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শন শেষে সুইডেন
প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী একে জুয়েলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা
বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখনো যায়নি। শুধু একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার আগেই তো দাম বেড়ে গেছে।
কাজেই রপ্তানি হলে দাম বাড়বে এ কথাটা ঠিক না। যেটা সরকারের বিবেচনায় আছে। যারা ইলিশটা
চাচ্ছে, তারাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন দিয়েছে। সেটা
আমরা সবাই দেখেছি। আমরা খুব সহজে কথা বলে ফেলি। সব সময় মনে রাখতে হবে, প্রতিবেশীর সঙ্গে
অনেক বিষয়ে আমাদের আলাপ আলোচনা করতে হবে। সেই আলোচনার ধারাটা ছোট ছোট বিষয়ে বন্ধ হয়ে
যাক, সেটা আমরা চাই না।
রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টার
সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নোয়াখালী জেলা
প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার
হোসেন পাটোয়ারীসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা উপলক্ষে তিন হাজার
মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন উত্তর রামপুর ও কোতয়ালী মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকা হতে ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩২ কেজি গাঁজা’সহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন উত্তর রামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলো: নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার বাতানিয়া গ্রামের মৃত মোঃ আনোয়ার হোসেন এর ছেলে আলী হোসেন রতন (২২) এবং সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ার থানার দোয়ারগাঁও গ্রামের ইফসুফ আলী এর ছেলে আকির মিয়া রাকিব (২৫)।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৯ নভেম্বর রবিবার রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৩২ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হলো: কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর রামপুর গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন এর ছেলে মোঃ সোহেল রানা (৩৯) এবং একই জেলার কোতয়ালী মডেল থানার আড়াইউড়া গ্রামের শামসুল হক এর ছেলে মোঃ সোহাগ (২৬)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল, গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ ও কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল
ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে নিশ্চিত
করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মত অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির
বৈঠক হতে চলেছে।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকার প্রধানের
মধ্যে আগামীকাল বৈঠক হবে। ব্যাংককে আজ বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার সাক্ষাৎ
হয় এবং তারা কুশলাদি বিনিময় করেন। নৈশভোজে উভয় নেতাকে বেশ কিছু সময় ধরে ঘনিষ্ঠভাবে
কথা বলতে দেখা গেছে। বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ
সম্মেলন উপলক্ষে অধ্যাপক ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে ব্যাংককে অবস্থান করছেন। ২
থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খুলনা মহানগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা সদর থানার সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. কুতুব উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: যশোর কেশবপুরের সফিনর দফাদারের ছেলে সজল দফাদার (২২), মহানগরের সবুপাড়া মেইল রোডের জনি হাওলাদারের ছেলে সাব্বির গাওলাদার (১৯) ও বাগমারা ২নং ব্যাংকার্স গলির বাসিন্দা মো. সেলিম শেখের ছেলে আকাশ শেখ (১৯)।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. কুতুব উদ্দিন জানান, ৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টায় খুলনা সদর থানাধীন শেরে বাংলা রোডস্থ পুরতন নির্বাচন অফিসের বিপরীতে হিমু লেনের ভেতর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে কভারসহ একটি গুপ্তি, একটি ডাবল সুইচ গিয়ার ছুরি, একটি বাটযুক্ত ধারালো ছুরি এবং একটি লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো লোহার রড উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধ খুলনা সদর থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা খুলনা মহানগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন জায়গায় অপরাধজনক ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে। তাদের তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন
কমিশন গঠন হয়ে গেছে। এখন ধাপে ধাপে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে সরকার বলে মন্তব্য
করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান
আরিফ।
আজ
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বিআইসিসিতে এশিয়ান আন্তর্জাতিক
বাণিজ্যমেলার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, নির্বাচন কমিশনে যারা এসেছেন সবাই অভিজ্ঞ। তারা ভালো একটি
নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।
উপদেষ্টা
আরও বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কাজ চলছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা
এ দেশে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বেসরকারি
উদ্যোগে মেলা আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামের মেলার আমেজ এ
মেলায় পেলাম। এ ধরনের মেলায় বিদেশিরাও আসেন। তারা বাংলাদেশে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য দেখতে
মেলায় আসেন। মেলাগুলো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার একটা জায়গা। এ মেলা আমাদের পর্যটন
বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত
৭ নভেম্বর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আদলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী
সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে ১৭ দিনব্যাপী এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। মেলা শেষ হবে আগামী
২৩ নভেম্বর।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার এবং মালয়েশিয়ায় পেশাজীবী ও কর্মী বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সফর নিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে তার ‘মহান বন্ধু’হিসেবে উল্লেখ করে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
ঢাকায় এলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনারসহ লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
দুই নেতার মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক ও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সফরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বৈঠকের সময় দুই নেতা দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ডেটা সায়েন্স, সেমি-কন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অর্থ, স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও হালাল অর্থনীতিসহ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় নেতা শিগগিরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে পরবর্তী দফা আলোচনা করতে সম্মত হন।
আগামী বছরের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ কমিশনের বৈঠকে বসতেও সম্মত হন তারা।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যত্র ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশাল অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে সফররত প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
‘আমরা একটি নতুন বাংলাদেশে যাচ্ছি, যা আমাদের গর্বিত করবে’- বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিপথকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন