নির্বাচনকে ঘিরে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে এবং যারা হুকুমদাতা, তাদের সাজা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, নেব।
রোববার (জানুয়ারি ১৪) কোটালীপাড়া উপজেলা চত্বরে কোটালীপাড়া আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) আবার আন্দোলন করে গণতন্ত্রের জন্য। যারা গণতন্ত্রের ‘গ’-ও বোঝে না। তাদের আন্দোলন মানুষ পুড়িয়ে মারা, গণতন্ত্রের ‘গ’ কেন গণতন্ত্র বানানও করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা জানে জ্বালাও-পোড়াও। জীবন্ত মানুষগুলিকে আগুনে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারা, বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, লঞ্চে আগুন, রেলে আগুন… ২০১৩ সালে যা করেছে, ১৪ সালে করেছে, ১৫ সালে করেছে।
তিনি বলেন, এখন আবার এই নির্বাচন (২০২৪) ঠেকাও আন্দোলন করতে যেয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে মা সন্তানকে বুকে নিয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে, এ দৃশ্য কোনো মানুষ সহ্য করতে পারে না। যে কারণে তারা যতই চিৎকার করুক, চেঁচামেচি করুক তাদের কথায় কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে, কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি, নেব। যারা এই ধরনের কাজগুলো করেছে, তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা হুকুমদাতা এবং জ্বালাও-পোড়াও করার জন্য হুকুম দিয়েছে, তাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব আর যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো জঘন্য কাজ করতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি যতবার নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ তাতে সাড়া দেয়নি। মানুষ কিন্তু তার ভোটটা চুরি করলে সে ঠিকই ধরে নেয়। দৃষ্টান্ত হচ্ছে, ‘৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন।
ষড়যন্ত্রীদের চক্রান্ত এখনো চলছে জানিয়ে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা তো জানেন ষড়যন্ত্র চক্রান্ত কখনো শেষ হয় না। এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
কোটালীপাড়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, শক্ত একটা ঘাঁটি আছে বলেই আমি যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারি। সেই শক্তি আপনারা দিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়ার মানুষ আমার বড় শক্তি, বাংলাদেশের মানুষ আমার বড় শক্তি। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনা ভাইরাসের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আবার হামলা শুরু হয়েছে। এজন্য সামনে আরও দুর্দিন আসতে পারে। আমাদের দেশের মাটি উর্বর। আমাদের মানুষ আছে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সাথে সাথে হাস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন করতে হবে। আমাদের খাদ্য আমাদের উৎপাদন করতে হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন সেখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা শেখ রেহানা, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান হাওলাদার, এইচ এম ওহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন সেখ, মতিয়ার রহমান হাজরা, কামরুল ইসলাম বাদল, জাহাঙ্গীর আলম খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান,অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণ অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন আইজিপি। তবে যিনি তথ্য দেবেন তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে, সহিংসতা ও নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তাদের ধরিয়ে দিয়েছেন। চলমান অবরোধের মধ্যে যারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে ও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে তাদের ধরিয়ে দিলেই ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহর অনেক বড়। অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত করেছে। অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে আটক করেছে। হাতেনাতে আটক করার ক্ষেত্রে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদেরও আমরা নগদ পুরস্কার দেবো।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন। বিকাল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ৬টি জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।
আওয়মী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আজ পর্যায়ক্রমে জামালপুর ও শেরপুর জেলা, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী এবং চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা-থানা-পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাগুলোর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ৫ জেলায় এবং ২৩ ডিসেম্বর ৬ জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন।
মন্তব্য করুন
জীবনের শেষ সময় গ্রামে এসে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি গ্রামে এসে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াব, ভ্যানে করে ঘুরবো। ঢাকা শহরে তো আমার বাড়িঘর নেই। গ্রামে এসে গ্রামের বাড়িতেই শেষ জীবন কাটাতে চাই।
তিনি শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়ার মানুষই আমার আপনজন। আমার এই নির্বাচনটাও তারা করে দিয়েছেন। কাজেই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যবান যে আমার নিজের জায়গা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। সবাই ছুটাছুটি করে, কিন্তু আমি তো সময় পাই না। আমাকে সারা বাংলাদেশ দেখতে হয়। এবারের নির্বাচনও আপনারা করেছেন। বিশেষ করে নারীদের মিছিল দেখে এতো ভালো লেগেছে যে বলতে পারবো না।
এর আগে ঢাকা গণভবন থেকে সড়ক পথে পদ্মা সেতু হয়ে দুদিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ দিন বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রোববার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নির্বাচনী এলাকার কোটালীপাড়া যাবেন। কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন তিনি।
এতে আওয়ামীলীগ, সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজন উপস্থিত থাকবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বলে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনসভায় যোগ দিতে আগামী মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার প্লেনযোগে শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জে (রংপুর-৬) যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
গত ২০ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের পর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
২৩ ডিসেম্বর বিকেলে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা, রাঙামাটি এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন তিনি।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আরও ৬ জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন ।
এরপর আগামী ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসন নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এ ছাড়া এদিন মাদারীপুর-৩ আসনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ১ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুর শারীরিক চর্চা কেন্দ্র মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জন্য দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ৩শ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুরে ৩৩, রাজশাহীতে ৩৯টি, মোট ৭২টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ার পর্যন্ত ফল প্রকাশ করবো না। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। আমার একসঙ্গে আমাদের মনোনয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব। আগামী ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত সভা মুলতবি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির সাবেক নেতারা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরা স্বপ্রণোদিত হয়ে আসছেন। এরা সবসময় আমাদের নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তারা ইলেকশন করবেন, করতে চান। আমাদের কথা একটাই নির্বাচন ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে, আপনারা যেভাবে দল ভেঙে নতুন দল করেছেন, সেভাবেও আসুন বা আপনারা যেভাবে আসতে পারেন আসুন। আমাদের তরফ থেকে আপনাদের স্বাগত।
নির্বাচন কমিশন তো আহ্বান জানিয়েই দিয়েছেন। নির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছেন। আমরা তো একটা দল, আমরা তো তাদের আহ্বান করতে পারি না। তারা নিজেরা নির্বাচন কমিশনে যাবেন, তাদের যদি কিছু বলার থাকে বলবেন। আমি যদি এভাবে বলি বিএনপির সিদ্ধান্তটাই তাদের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। যার প্রমাণ আমি দেখালাম। তারা আরও দুটি দলে ভাগ হয়ে গেছে। বিএনপি নেতারাই ভাগ করেছেন। একটায় গেছেন তৈমূর আলম খন্দকার আর একটায় শমসের মবিন চৌধুরী। এরা সবাই বিএনপির প্রমিনেন্ট নেতা, তারাই ভাগ হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডে
ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার
(২৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ
করে।
এর আগে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিমানটি
ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে আসে।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল)
ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে যান।
এই
সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ও থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন।
প্রধানমন্ত্রীর
সফরে ঢাকা এবং ব্যাংককের মধ্যে পাঁচটি নথি সই হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোনো কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া এবং ২০২২-২৩ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদকে ভূষিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য শান্তিকালীন কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিকালীন পদক দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবার কল্যাণ কামনা করি, শান্তি কামনা করি। আমি জানি অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না একটা মানুষ কীভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এটা করতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ ও ১৪-এর পর এখন আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পোড়াতে পারে?. এদের চেতনা ফিরে আসুক, আমি এটাই চাই।
তিনি বলেন, একজন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার হয়। জনগণ পাশে থাকতে হয়। জনগণের কল্যাণ করতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না।
বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা ধরে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন
আজ সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৌদির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি। সৌদি আরবে ইসলামে নারীবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদর দপ্তরের সমন্বয়ে সৌদি আরব এ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সৌদি আরব সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় তিনি মহানবী (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। রাতে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজে মদিনা থেকে জেদ্দায় যাবেন। জেদ্দা থেকে রাতেই তিনি মক্কা যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন ও মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দার হিলটনে তিনি ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইসলামে নারীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য দেবেন।
জেদ্দার হিলটনে সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, ইরানের নারী ও পরিবারবিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
রাতে সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে দেওয়া নৈশ ভোজে অংশ নেবেন।
মন্তব্য করুন
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী, মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।তাঁর আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমি মনে করি, শহীদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (জানুয়ারি ২০) শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এভাবে আরও অনেক প্রাণ ঝরে যায় এবং অনেকে আহত হন। পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারী হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে বাঙালির প্রাণের দাবি।
তিনি বলেন, ছয়-দফার পক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত সামরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে, যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে সমধিক পরিচিত। বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষিত ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিণত হন নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির মূর্ত প্রতীকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গর্জে উঠে সারা বাংলার মানুষ। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে আসাদুজ্জামান শহীদ হন এবং অনেকে আহত হন। শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণিপেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। জনতার কঠিন রুদ্ররোষ ও গণ-আন্দোলনের চাপের মুখে পাকিস্তানি স্বৈরসরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।
তিনি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। আমি মনে করি, শহীদদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শহীদ আসাদসহ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
মন্তব্য করুন