

নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ১৪৪ ক্যান বিয়ারসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় জেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের।
আটকৃতরা হলো: চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের কড়িহাটি গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির মোহাম্মদ উল্ল্যার ছেলে মাহমুদ হাসান সজিব (২৯) ও সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ঘাসের খিল গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির সিদ্দিক উল্ল্যার ছেলে মো. ইউসুফ(৩৫)।
সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ আরও বলেন, আটকৃতরা একই বাড়ির বাসিন্দা। তাদের দুজনের বাড়ি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় বাড়ির এক অংশ চাটখিল উপজেলায় ও অপর অংশ সোনাইমুড়ী উপজেলায় অবস্থিত। এজন্য তাদের দুজনের থানা ভিন্ন। দীর্ঘদিন ধরে তারা দুইজন একসঙ্গে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি সজিবের বাড়ি থেকে ১৪৪ ক্যান রয়্যাল ডাচ বিয়ার জব্দ করা এবং ইউসুফের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়ার পর
আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ পেয়েছেন দুই ব্যক্তি।
এ দুজন ছাড়াও আরও একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো.
ইশতিয়াক আরিফ জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরা দুজনকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার
বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুরস্কারের অর্থের চেক পাওয়া আজাদ শেখ বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের
৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। ধন্যবাদ জেলা আওয়ামী লীগ, তাদের কথা রাখার জন্য।
সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত অফিসে
দুজনের হাতে পুরস্কারের অর্থের চেক তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ
মো. ইশতিয়াক আরিফ।
পুরস্কার পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন—ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম ও আজাদ শেখ। শাহজাহান
নামের আরও একজনকে পরে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, আমাদের
ঘোষণা অনুযায়ী তিন ব্যক্তিকে পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা। আমরা ঘোষণা
অনুযায়ী দুজনকে সোমবার রাতে আমার ব্যক্তিগত অফিসে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা দিয়েছি।
আর একজনকে আমরা পুরস্কার দেব। সেটা দুই-একদিনের মধ্যে দিয়ে দেব। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের
কথা রেখেছে।
প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে প্রথমে রাসেলস ভাইপার মারতে পারলে
গত ২০ জুন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
শাহ মো. ইশতিয়াক। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ার একদিন পরে ২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগ ওই ঘোষণা
থেকে কিছুটা সরে এসে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস
ভাইপার ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়া হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হব। তবে জেলা
আওয়ামী লীগের এ সংশোধিত ঘোষণাও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থি। এ ঘোষণার পর রাসেলস
ভাইপার জীবিত ধরার জন্য তোড়জোর শুরু হয়ে যায় ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে।
ইশতিয়াক আরিফ আরও বলেন, মৃত রাসেলস ভাইপার সাপ আনতে পারলে ও পরবর্তীতে জীবিত
রাসেলস ভাইপার ধরতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তবে প্রথমে মৃত রাসেলস ভাইপারের পুরস্কারের
কথাটা আমরা একটু ইমোশনাল হয়েই বলেছিলাম। তবে, এ ব্যাপারে নানা জনের নানা কথা শুনতে
হয় আমাদের, পরবর্তীতে জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণা করেও নানা
কথা শুনতে হয় এবং আইনগত সমস্যা আছে বলে জানানো হয়। পরে আমরা উভয় পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার
করে নিয়েছি। এরপর থেকে জীবিত কিংবা মৃত রাসেলস ভাইপারের জন্য কাউকে কোনো পুরস্কার দেওয়া
হবে না।
মন্তব্য করুন


শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে
নিবেদিত সংগঠন “আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্ম” বরুড়া উপজেলা শাখার ১৬ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক
কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক- মোহাম্মদ
শাহাবুদ্দিন এবং সদস্য সচিব- ফয়সাল হোসাইন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় তারা সমাজসেবা, শিক্ষা প্রসার
এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত করে গঠনমূলক কাজ করতে চায়। অচিরেই একটি
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, “আমরা বরুড়া উপজেলায় আর্তমানবতার সেবায় কাজ
করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে
ভূমিকা রাখা।” সদস্য সচিব ফয়সাল হোসাইন বলেন,
“কমিটি গঠনের পরপরই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য
কাজ শুরু করব।”
নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-
যুগ্ন আহবায়ক আসাদ মিরাজ, যুগ্ন আহবায়ক
ফয়েজুন্নবী পাটোয়ারী ফাহাদ, যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ সামধানী, যুগ্ন আহবায়ক রাকিব উল্লাহ
জাহিদ, যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ সাঈদ, সদস্য মোহাম্মদ সোহান, সদস্য মোহাম্মদ জুনায়েদ,
সদস্য হোসাইন, শুভ, আরিফ, ফখরুল, জহির, জাহিদ, হাসান।
মন্তব্য করুন


দিনাজপুরের খানসামায় অনুকূল পরিবেশে আশানুরূপ লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর বেড়েছে পপকনের চাষ। পপকনকে ঘিরে কৃষক দেখতে শুরু করেছেন রঙিন স্বপ্ন। ধান, সরিষা, আলু ও ভুট্টার পাশাপাশি এ ফসল অধিক লাভজনক।
অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ, উৎপাদন ভালো, লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি হওয়ায় পপকন চকষে ঝুঁকেছেন সাধারণ কৃষকরা। এছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরার্মশ প্রদান, সরকারি সহায়তার ফলে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েই চলছে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পপকন চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৫২০ হেক্টর জমিতে পপকন চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও ১৬৬০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।
গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পপকন চাষি মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ্ বলেন, আমি এ এলাকায় সর্বপ্রথম পপকন চাষ করি। আমাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এখন চাষ করছেন পপকনের। প্রথমের দিকে ৬০ থেকে ৬৫ বিঘা চাষ করেছি। গতবার ও এইবার ২০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গতবার ২০ বিঘা জমিতে শুকনা দেড় টন পপকন পেয়েছি। আশা করছি এবার আরো বেশি পাবো।
একই এলাকার পপকন চাষি লতিফ হাজ্বী বলেন, পপকন চাষে বেশ লাভবান হয়েছি। গতবারের ন্যায় এবারো ৫ বিঘা চাষ করেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে ভাল ফলন হবে বলে মনে করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৭০ ভাগ ও বাকী ৫ ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকন চাষ হয়। পপকন চাষে চাষিদের পাশে থেকে ভালো ফলন পেতে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, দিনাজপুরের শস্যভান্ডারখ্যাত এ উপজেলা। ভুট্টার পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষক পপকন চাষে বেশ আগ্রহী। পপকন চাষে উদ্ভুদ্ধকরণসহ সার্বক্ষণিক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান ও আবু রায়হানের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
বন্যার্তদের মাঝে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক রাশেদুল হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা মিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে এসেছি। আমরা এখানে ২০০ পরিবারকে সাহায্য করেছি।
আরেকজন সমন্বয়ক আবু রায়হান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমাদের
শিক্ষার্থীদেরকেই মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা মানুষদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে
এসেছি। আমাদের মত সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমরা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে
পারবো। বিপদে আমরা সবাই একসাথে মানুষদের পাশে দাঁড়াবো।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর উদ্যোগে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার মনোহরগঞ্জ থানার নাথেরপেটুয়া অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার ২৮ আগস্ট কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের শিক্ষার্থীদের
একটি টিম নিয়ে সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা গিয়েছে বন্যা দুর্গত
অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার জন্য।
সাম্প্রতিক সময়ে বন্যা কবলিত হয়েছে অনেকগুলো অঞ্চল। সবগুলো জায়গাতেই ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ভাবে যাওয়ার পরিবেশ এবং রাস্তা প্রতিকূল হওয়াতে অনেকেই সঠিকভাবে ত্রাণ নিয়ে সেখানে পৌঁছাতে পারছে না।
পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষ এই জায়গায় মানুষের দুরবস্থা সম্পর্কে ধারণা না থাকাতে এই অঞ্চলের মানুষকে অত্যধিক পরিমাণে সাহায্যের অভাবে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
আজকের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী এই অঞ্চলে পানির স্রোত নেই কিন্তু পানির উচ্চতা দুই পুরুষ সমান। নৌকা আছে কিন্তু ত্রাণ বেশি আসছে না।
যদিও বা কেউ ত্রান নিয়ে আসছে কিন্তু ভিতরে গ্রামগুলো পর্যন্ত সেগুলো পৌঁছাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতাপূর্ণ দৃষ্টি এই অঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষের
কষ্ট লাঘবে সহায়ক হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে লার্নিং সেশন এর আয়োজন করা হয়।
উক্ত লার্নিং সেশনে উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিজেএ সাউদ হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক।
লার্নিং সেশনের শুরুতে সভাপতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার বর্তমান ও অতীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে অবহিত করেন। সিজিএম মাদক মামলার জব্দ তালিকা প্রস্তুত, সাক্ষী গ্রহণ ও স্বাক্ষ্য প্রদান এবং বিধিমালা/নীতিমালার বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক ও মাদকের ক্ষতিকর দিক লেখা সম্বলিত বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর :
মা বাবার বুকের ধন ছোট্ট শিশু ফরহাদ। ছয় মাস বয়সের দুধের শিশু। ফুটফুটে এ শিশুটি জন্ম থেকেই পায়ুপথের সমস্যায় ভুগছেন। সংকীর্ণ পায়ুপথের বাঁধায় নিয়মিত পায়খানা হয় না ।পেট ফুলে যায়। ৮-১০দিন পরপর ওষুধ দিয়ে পায়খানা করাতে হয়। যন্ত্রণায় ছটফট করে সারাক্ষণ কাঁদে শিশুটি। মা বাবা ব্যস্ত হয়ে পড়েন শিশুটিকে নিয়ে। কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ । চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই মা বাবার। চিকিৎসকরা তিনটি অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। এদের মধ্যে ধার দেনা ও সর্বস্ব বিক্রি করে দেড় লক্ষ টাকায় একটি অপারেশন করিয়েছেন। তাতে সুস্থ হয়নি শিশুটি। আরো দুটি অপারেশন দরকার। এর জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। কিন্তু কোথায় পাবেন এ টাকা। এর চিন্তাই নির্ঘুম রাত কাটে বাবা মায়ের।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের বালাটারি গ্রামের মোকছেদুল হক ও ফরিদা বেগম দম্পতির সন্তান ফরহাদ। বাবা রিক্সা চালাতেন। ছেলে চিকিৎসার জন্য তাও বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার আয়ে ৪ সদস্যের পরিবার চলে। এখন ছেলের চিন্তায় কাজও ঠিকমতো করতে পারেন না। সম্বল বলতে তিন শতক জমির উপরে হাফ ওয়াল করে টিনশেডের দুই রুমের বাড়ি। ছেলের চিন্তায় অস্থির। তার ওপর মেয়ে বড় হচ্ছে। মহা বিপাকে দম্পতি। কি করবেন, কোথায় যাবেন। কুলকিনারা পাচ্ছেন না। শিশু সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায্য চান। তাদের সাহায্যে চিকিৎসায় বেঁচে যেতে পারে তাদের বুকের ধন। শিশু ফরহাদের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠানোর জন্য তার বাবা মোকছেদুল হকের বিকাশ নাম্বার ০১৭৯৫৭০৬৯২৫।
এলাকাবাসী আশরাফুল হক, ইমান আলী ও আকলিমা বেগম জানান, শিশু ফরহাদের বাবা-মা গরিব মানুষ কোনভাবে কাজ কামাই করে সংসার চালায়,তাদের শিশু সন্তানটি জন্ম থেকে অসুস্থ,তাকে তো করতে অনেক টাকার প্রয়োজন, আমার সবার কাছে তাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফরহাদের বাবা ও মা জানান,আমাদের কোন জমা জমি নেই মাত্র তিন শতাংশ জমির উপর একটি ঘর করে বসবাস করে আসছি,আমাদের শিশু সন্তানটি জন্মের পর থেকে অসুস্থ, তাকে সুস্থ করতে ধারদেনা করে একটি অপারেশন করেছি, ডাক্তার বলেছে আরও দুটি অপারেশন করতে হবে, একটি অপারেশন করতেই ধার-দেনা করেছি, বাকি দুটি অপারেশন করতে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে আমরা এত টাকা কোথায় পাবো, তাই সমাজের সকলের কাছে আবেদন সকলে যদি আমাদেরকে একটু সহযোগিতা করত তাহলে আমাদের শিশু সন্তানকে বেঁচে যেত।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়ালীউল্লাহ মন্ডল জানান, বাচ্চাটাকে দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চাটা খুব অসুস্থ, তাদের পরিবার খুব গরিব তারা আবেদন করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


গত ২০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩
ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১ দশমিক
২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও মৃদু
থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, এখনো যা বিদ্যমান আছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো.
শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৫ এপ্রিল) হতে
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি
বাড়তে পারে।
এর
আগের আরও তিনবার তথা গত ৩, ১৯ ও ২২ এপ্রিল তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা
হয়েছিল। তবে প্রথম দুইবার তাপমাত্রা বাড়ার আভাস ছিল।
চলতি
মাসে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। মাঝে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেলে বর্তমানে কিছুটা
কমেছে।
২০২৩
সালের ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ, ৪০ দশমিক ৬
ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি
সেলসিয়াসে।
এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এই রেকর্ড
এখনো ভাঙেনি।
মন্তব্য করুন


পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন