

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান,অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণ অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন আইজিপি। তবে যিনি তথ্য দেবেন তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে, সহিংসতা ও নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তাদের ধরিয়ে দিয়েছেন। চলমান অবরোধের মধ্যে যারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে ও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে তাদের ধরিয়ে দিলেই ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহর অনেক বড়। অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত করেছে। অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে আটক করেছে। হাতেনাতে আটক করার ক্ষেত্রে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদেরও আমরা নগদ পুরস্কার দেবো।
মন্তব্য করুন


শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও পূজা পরিদর্শন করতে আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে যাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আজ বিকেল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন করতে যাবেন। তখন তিনি সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিনিময় সভায় অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ গণমাধ্যমকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা আজ শনিবার বিকেল ৩টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে যাবেন।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে এসএসএফসহ
বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে
টেকসই সংহতি এবং বর্ধিত সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এমন
সহায়তার প্রয়োজন যাতে আর্থিক সংকট লাঘব করা যায় এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর
জন্য বাংলাদেশের সহায়তা আরো জোরদার করা যায়।
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন
লুইস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে
তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তার চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্ব
সহকারে আলোচনা করেন।
তাঁরা
উভয়ে অর্থায়নের ব্যাপক কাটছাঁটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর
শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
আবাসিক
সমন্বয়ক গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং উভয়
নেতা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তাঁরা
সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার কার্যক্রম শক্তিশালী করতে জাতিসংঘ কীভাবে ব্যাপক সহায়তা
দিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আবাসিক
সমন্বয়ক বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বিঘ্ন
রূপান্তর নিশ্চিত করতে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
আবাসিক
সমন্বয়কারী বাংলাদেশের সংস্কার ও সংস্কারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে তার অবিচল সংহতি পুনর্ব্যক্ত
করেন এবং টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে জাতিসংঘের সমর্থনের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিধি আরও বড় হচ্ছে।
নতুন করে ৫ উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন। এরমধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, লে.ক. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম ও মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন।
বঙ্গভবন সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাগণ উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, গত ৮ আগস্ট রাতে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় গঠিত হলো দেশের বহুল আলোচিত অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় আরও ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে ১১ ও ১৩ আগস্ট আরও তিন জন উপদেষ্টা শপথ নেন। তারা ঢাকার বাইরে থাকায় পরে শপথ নেন।
অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত
হোসেন, ড. আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ,
ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), আদিলুর রহমান খান, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন
রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন


পবিত্র রমজান মাসে সিন্ডিকেট
করে বাজার অস্থিতিশীল না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।
রোববার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর
মিরপুর ১৪ পুলিশ লাইনসে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ঘুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেছেন, যারা অস্থিতিশীল করবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর হবে সরকার।
পাশাপাশি রমজান মাসে সবাইকে
সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গেল বছরের তুলনায় বাজার স্থিতিশীল,
অস্থির যাতে না হয় সেদিকে নজর আছে সরকারের।
মন্তব্য করুন


উন্নয়ন
প্রকল্প পরিকল্পনার ক্ষেত্রে নদীর পানিপ্রবাহ যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে তা নিশ্চিত করার
জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৮ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সমন্বিত অর্থনৈতিক
করিডোর উন্নয়ন’ প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকে
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জোং ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের
(ইআরডি) কর্মকর্তাদের একটি দল এই প্রকল্পের বিস্তারিত রূপকল্প, কৌশল এবং বাস্তবায়ন
প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার
আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ
এবং মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
বৈঠকে
প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে নির্দেশ দেন।
তিনি
বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের নদীপ্রবাহকে। বাংলাদেশ একটি
বদ্বীপ। আমরা কোনোভাবেই আমাদের পানিপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আরেকটি বিষয় হলো, যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের
ক্ষেত্রে ওই এলাকার জনসংখ্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশ বন্যাপ্রবণ।
তাই পানিপ্রবাহ বন্ধ করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে
তুলবে। বন্যার সময় আমাদের দেশের মানুষ উঁচু রাস্তা, সেতু এবং রেলপথে আশ্রয় নেয়। সুতরাং
সেতু শুধু নির্মাণ করলে হবে না, এটি জনগণের জন্য আশ্রয় হচ্ছে নাকি বিপদ ডেকে আনছে সেটাও
বিবেচনা করতে হবে।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তৃতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক সংযোগ। আমরা এ অঞ্চলে একটি ইনভেস্টমেন্ট
হাব তৈরি করতে চাই। সেজন্য প্রকল্প এমন হতে হবে যা নেপাল, ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও
সংযুক্ত করবে।
বৈঠকে
এ উন্নয়ন প্রকল্পে পানি বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করতে এবং একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির
নির্দেশ দেন তিনি।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ বিভাগের ৪১তম সভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ
নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস উইং ও তথ্য বিবরণী থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায়
বিদ্যুৎ বিভাগের ‘বেসরকারি অংশগ্রহণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ
উৎপাদন/বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা, ২০২৫’,
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা, ২০২৫’ এবং আইন ও বিচার বিভাগের
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (তৃতীয় সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
এসব
খসড়াসমূহ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


নতুন বছর- ২০২৫ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার লাখো শহীদের রক্ত ও গত জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করছে। আমরা দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো এবং যেকোনো সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করবো।’
নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক এই কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন


পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় তো বটেই, সব সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়েই পাকিস্তানের মাটিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যেন নতুন এক ইতিহাস গড়ারই অগ্রপথিক হলেন। এমন বর্ণিল সাফল্যের দিনে ঢাকা থেকে নিশ্চয়ই অভিনন্দনসিক্ত অনেক ফোন পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার মধ্যে একটি ফোনকল নিশ্চিতভাবেই আলাদা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও যে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে। মাঠে দাঁড়িয়েই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য ম্যাচের পরই নাজমুল ও তাঁর ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে মুঠোফোনে প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ককে বলেছেন, ‘আমার ও সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। পুরো জাতি তোমাদের নিয়ে গর্বিত।’
দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে একই পোস্ট দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজেও।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়। এরপর আজ একই মাঠে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ২–০ তে সিরিজও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বন্যাদুর্গতদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদানের চেক তুলেন দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
পাশাপাশি চীনা রেড ক্রসও বাংলাদেশের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এক লাখ মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা প্রদান করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় চীনা নেতা এবং জনগণের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবুজ অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীনের কিছু সোলার প্যানেল কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং ঢাকার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত এবং আমি আশাবাদী যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণ সফল হবে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধ হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও বাংলাদেশের কৌশলগত এবং সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বের সম্পর্ক উচ্চ শিখরে রয়েছে এবং উভয় দেশ আগামী বছর তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর উদযাপন করবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বেইজিং ও ঢাকার মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চীন সোলার প্যানেলের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, তবে রপ্তানি বাজারে ক্রমবর্ধমান বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তিনি উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে চীনে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। তিনি উভয় দেশের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বানও জানান।
ইয়াও ওয়েন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা কবলিত অঞ্চলে অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে চীনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
বৈঠকে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে চীন।
প্রধান উপদেষ্টা চীনে তার স্মৃতি স্মরণ বলেন, চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং অনেক তরুণ ত্রি-জিরো ক্লাব গঠন করেছে। এসব ক্লাবের সদস্যরা দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি দুই দেশের তরুণ সম্প্রদায় এবং জনগণের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসকে তার সুবিধাজনক সময়মতো চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটা সন্ধিক্ষণ পার করছে, তবে বাংলাদেশের জনগণ এই চ্যলেঞ্জ অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বৈঠকে বসবেন ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়ে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর এবং উপাসনালয় আক্রমণ হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব সময় আছে। আগেও ছিল এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে। এখন আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় এবং যাদের বাড়িঘর বা অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা সংগ্রহ করছি।
সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় এবং বাড়িঘরে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠক হচ্ছে।
খালিদ হোসেন বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণকারীরা দুর্বৃত্ত। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, আগামীকাল বিকেলে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি। ওখানে আমরা আরও বিস্তারিত কথা শুনবো। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য কতটুকু করতে পারি সেই বিষয়ে আমরা কালকে সিদ্ধান্ত নেব। এছাড়া মাঝখানে পুলিশের অনুপস্থিতির কারণে আক্রমণটা একটু বেশি হয়েছে। পুলিশ যেহেতু যোগদান করেছে আমরা আশাবাদী এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটবে না।
পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে তথ্য জানানোর জন্য একটি হটলাইন চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন