মুকুল বসু, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
:
ফরিদপুরের
বোয়ালমারীতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে এসে বোরহান উদ্দিন (২৭) নামের পুলিশের এক উপপরিদর্শক
(এসআই) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা
লাগায় ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
শনিবার
(১৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে মাজকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী পৌরসভার
সোতাসী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বোরহান উদ্দিন যশোরের অভয়নগর থানার পায়ড়া
গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে। গত প্রায় এক বছর ধরে তিনি পার্শ্ববর্তী মাগুরা জেলার মহম্মদপুর
থানায় কর্মরত ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বোরহান উদ্দিন মহম্মদপুর থানা
থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে বোয়ালমারীর দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে বোয়ালমারী পৌরসভার
সোতাসী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে
এবং তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক
ডাঃ মোরশেদ আলম বলেন, সম্ভবত তার মাথায় হেলমেট ছিলো না। মাথার পেছনে আঘাত লেগে মস্তিষ্ক
বের হয়ে যায়। হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুল হাসান বলেন,
তিনি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তার মরদেহ বর্তমানে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। মহম্মদপুর থানায় জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ
করছে। বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
উত্তর জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য তানিয়া আক্তার বিথিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় দেবীদ্বার পৌরসভার ছোটআলমপুরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে
গ্রেপ্তার করা হয়।
বিথি
দেবীদ্বার পৌরসভার ছোটআলমপুরের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।
পুলিশ
জানান, গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে নিহত আব্দুর রাজ্জাক রুবেল ও ৫ আগস্ট আমিনুল ইসলাম
সাব্বির হত্যাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
৪
আগস্ট ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় বিথির সরাসরি যুক্ত থাকার
একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দীন
মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর
হামলা ও মারধরের ঘটনায় মোট ৬টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে মাদক, বিভিন্ন হাঁট বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি,ট্রাফিক কন্ট্রোল, বাজার নিরাপত্তা ও চেকপোস্ট নিয়ন্ত্রণসহ মাঠে ২৪ ঘন্টা কাজ করছে সেনাবাহিনী।
বুধবার সকাল ১০ টায় শহরের শাপলা চত্বর জিরো পয়েন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আহাদ জানান কুড়িগ্রামে চাঁদাবাজিবন্ধ,অবৈধভাবে দখল,চোরাকারবারি রোধ,মাদকসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি যাতে না ঘটে এজন্য আমরা সর্বদা সোচ্চার। তিনি আরও বলেন এছাড়া সেনাবাহিনী সারাদেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে এজন্য নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। মানুষের যান ও মালের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় ক্যাপ্টেন খালিদ জানান সর্ব সাধারণ জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যাত্রী সাধারণ যেন ঈদের বাড়তি যানজটের চাপের কারণে কোন ধরনের ভোগান্তির স্বীকার না হন এবং কোন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে লক্ষ্যেই এই টহল ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। দিন রাত এই স্ট্রাইকিং টহল চলবে।
এ সময় পথচারী আফজাল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় যানজট নিরসন ও বাড়তি চাপ কমাতে সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। সেনাবাহিনীর এরকম কার্যক্রম দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
এছাড়া কুড়িগ্রাম সদর এলাকার মটর সাইকেল আরোহী মোকছেদ বলেন- কুড়িগ্রাম সেনাবাহিনী বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় শহরের যানজট কমেছে। আমার ফ্যামেলী নিয়ে সুন্দরভাবে যেতে পারছি। সেনাবাহিনীকে অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে একুশে পরিবহনের একটি বাস উল্টে যায়। সায়েদাবাদ টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায়। পরে বাসটি মেরামত করে বাস টার্মিনালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় বাসটির চালক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, একুশে পরিবহন নামের বাসটি ব্রেক ফেল করে টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে যায়।
একুশে পরিবহনের এক কর্মী জানিয়েছেন, বাসটিতে কোনো যাত্রী ছিলেন না। দুপুর ২টার কিছু আগে বাসটি শনিরআখড়ার একটি গ্যারেজ থেকে মেরামত শেষে বাস টার্মিনালের দিকে নেয়া হচ্ছিল।
এরপর সায়েদাবাদ টোল প্লাজার কাছাকাছি আসলে বাসটি ব্রেক ফেল করে টোল প্লাজার অবকাঠামোতে ধাক্কা লাগে। একপর্যায়ে উল্টে যায় বাসটি। এতে বাসচালকের হাতে প্রচণ্ড আঘাত পান। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার কারণে টোল প্লাজার চার লেনের একটি লেন বন্ধ হয়ে যায়। বাকি তিনটি লেন দিয়ে যানবাহন পারাপার হতে থাকে। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পরে বিকেল ৪টার দিকে রেকার দিয়ে বাসটি দুর্ঘটনা স্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে উপজেলার সীমান্তবর্তী শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ আবু হানিফ (৫০) নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে যৌথবাহিনী তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে মাদক কারবারী আবু হানিফ মাদকসহ তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এসময় যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
মাদক কারবারী আবু হানিফ শশীদল ইউনিয়নের আশা বাড়ি গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে।
এ সময় যৌথবাহিনী তার কাছ থেকে ৭ হাজার ৬ শত পিস ইয়াবা টেবলেট ও নগদ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪০ টাকা এবং ৩ টি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। অভিযান পরিচালনা করেন, যৌথবাহিনী এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার এস আই অমর্ত্য মজুমদারসহ পুলিশের একটি দল।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতিক উল্লাহ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা তাকে গ্রেফতার করি। তার বিরুদ্ধে থানার একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬১০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে ধ্বংস করা হয়েছে শতবর্ষী ২টি পুকুর ও ২২ একর প্রাকৃতিক জলাশয়। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও পলাতক, হত্যা মামলার আসামী আবু জাহের রাতের আঁধারে গোমতী নদীর মাটি কেটে এই জলাধার ও পুকুর ভরাট করেন—যা পরিবেশ আইন ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।
আইনের অপমান
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, খাল, নদী কিংবা প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু কারাগারের অভ্যন্তরের পুকুরসহ ২২ একর জলাশয় বুলডোজারের নিচে চাপা পড়েছে নিরব প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে।
ঐতিহাসিক জলাধার, আজ শুধু স্মৃতি
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬৭ একর জমির মধ্যে দুটি পুকুর ও একটি ২২ একরের বিশাল জলাশয় রয়েছে। একসময় এ জলাশয়ে হাজারো অতিথি পাখির সমাগম হতো। পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছিল। এসব পুকুরে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দও গোসল করেছিলেন—স্মৃতি হিসেবে সেই ছবিও সংরক্ষিত আছে।
কিন্তু এখন সেই পুকুরগুলোর দুটি সম্পূর্ণভাবে ভরাট, অপরটি আংশিকভাবে ভরাটের প্রক্রিয়ায়। আর বিশাল জলাশয়টি রাতারাতি মাটি ফেলে সমতল করা হয়েছে।সেখানে গড়ে উঠেছে দশতলা চারটি ভবন।
ক্ষমতার ছত্রছায়ায় কাজ
সূত্র মতে, কারাগারের এই উন্নয়ন কাজটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাব খাটিয়ে সাবেক এমপি আবু জাহের ও তার ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জলাধার ভরাটের ঠিকাদার ছিলেন আবু জাহের নিজেই। অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের অধিকাংশ অর্থাৎ কোটি কোটি টাকার কাজ তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে দখলে রেখেছেন।অধিকাংশ কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর নির্লিপ্ত?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুসাব্বির হোসেন মোহাম্মদ রাজিব জানান, “আমরা কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ পর্যন্ত গিয়েছে। কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত আছে, তবে তারা আমাদের অনুমতি না নিয়েই জলাশয় ভরাট করেছে।”
গণপূর্ত বিভাগ দায় এড়ালো
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ৬১০ কোটি টাকার প্রকল্পটি তাদের তত্ত্বাবধানে হলেও জলাধার ভরাটের বিষয়ে তিনি বলেন,খতিয়ান নাল জমি উল্লেখ আছে। “পুকুর ভরাটের জায়গার কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে, তবে কারা কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।”
কর্তৃপক্ষের নীরবতা
সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে রিজার্ভ গার্ডের প্রধান কারারক্ষী জানান, তিনি ব্যস্ত। পরে তাঁর সরকারি নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। একইভাবে জেলার আব্দুল্লাহ আল-আমিনের নম্বরেও যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি।
এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষার দাবিতে পরিবেশবাদী ও সচেতন মহল সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন
আলোচনা সভা, র্যালী, হুইল চেয়ার বিতরন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে কুমিল্লায় জাতীয় সমাজ সেবা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) সকালে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অলোচনা সভা ও হুইল চেয়ার বিতরন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক জেড এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা পুলিশ নাজির আহমেদ খাঁন, জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার।
পরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ও শিশু পরিবারের নিবাসীদের অংশ গ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় এবং ক্রেস্ট ও হুইল চেয়ার বিতরন করেন অতিথি বৃন্দ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৮ বছর পর জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর কুমিল্লা বিভাগীয় উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে খেলার সূচনা হয়। তিন জেলার অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে দুটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে – সবুজ দল এবং লাল দল।
সবুজ দল গঠিত হয়েছে কুমিল্লা দক্ষিণ ও মহানগরের খেলোয়াড়দের নিয়ে, আর লাল দল গঠিত হয়েছে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা মিলে। ২০ ওভারের এই খেলায় টসে জিতে সবুজ দল প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেহেদী হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৯ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের একটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সবুজ দল।
পরে, জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে লাল দলের প্রথমে নাজুক অবস্থা থাকলেও দলের হাল ধরেন নাহিদ ও সুমন। দুজনের পার্টনারশিপে রানের পার্থক্য কমিয়ে আনেন তারা৷ পরে, সবুজ দলের সানজিদ মজুমদারের বোলিংয়ের সামনে কাবু হয়ে যায় লাল দল। ৪ উইকেট হাতিয়ে নেয় সানজিদ। কিন্তু, লাল দলের নাহিদের ব্যাটিং জড়ে হাফ সেন্সুরি ও নাহিদ-ইয়াসির জুটির কাছে হার মানতে বাধ্য হয় সবুজ দল। ঘুরে দাঁড়ায় লাল দল৷ ৪ উইকেট হাতে রেখে ও ১৯ ওভারে ইয়াসির আরাফাতের বাউন্ডারির মাধ্যমে লাল দল নিজেদের ঝুড়িতে টার্গেট রান তুলে নেয়৷ সবুজ দলের দৃঢ় বোলিংয়ের সামনে লাল দল নিজেদের ব্যাটিংয়ের জড় দেখিয়ে এভাবেই একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জয় তুলে নেয়।
পরে, খেলোয়াড়দের মাঝে একে একে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা৷ উদ্বোধনী এই ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হন লাল দলের ইয়াসির আরাফাত। পরে, একে একে অতিথিদের হাত থেকে পুরষ্কার তুলে নেন দু’দলের খেলোয়াড়রা৷
এসময়, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারি আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম এবং কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা বিভাগীয় এই উদ্বোধনী ম্যাচের সাফল্যের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের বাকি খেলা নিয়ে স্থানীয় খেলোয়াড় ও দর্শকদের মাঝে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্ট ক্রীড়ার মাধ্যমে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন
এরমধ্যে ২০টি ফ্লাইট
সরাসরি জেদ্দায় যাবে, দুটি ফ্লাইট যাবে মদিনা।
বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ১৪ মে
ভোররাত ৩টা ৫০ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে
বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭১৭ যোগে প্রথম ফ্লাইট যাত্রা শুরু করবে। প্রথম ফ্লাইটে
৪১৯ জন যাত্রী মদিনা যাবেন।
এই
বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮
হাজার ৮৯৫ জন।
এর
আগে ৯ মে ঢাকা থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ঢাকা থেকে এদিন হজযাত্রীদের
নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী
ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে।
চাঁদ
দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পালিত হতে পারে হজ। প্রতিবছর সাধারণত একমাস আগে থেকে শুরু হয়
হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ শেষ করে থাকে
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
ফেনী জেলার পরশুরামে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পরিদর্শনকালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর বিবিধ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন সেনাপ্রধান। এরপর তিনি হেলিকপ্টার যোগে ফেনী জেলার পরশুরাম এবং সংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় তিনি উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়াসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭, ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ যথাক্রমে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা এলাকায় বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে মোতায়েন রয়েছে। মোতায়েনরত সেনাসদস্যগণ নিরলসভাবে পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেই সাথে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রধান বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারির কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
কুমিল্লা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. অমৃত কুমার দেবনাথ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং স্বাগত বক্তব্যসহ জনশুমারির জেলার তথ্য তুলে ধরেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান।
পরে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্টের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের বইটি ব্যবহারের ওপর গুরত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে জনশুনানির রিপোর্টে বলা হয়, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী কুমিল্লার বর্তমান জনসংখ্যা ৬২ লাখ ১২ হাজার ২শ ১৬ জন। জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা বেশি।
বর্তমানে কুমিল্লা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার কারী ৭১ দশমিক ৪২ ভাগ। এর মধ্যে নারী চেয়ে পরুষ ব্যবহারকারী সংখ্যা বেশী। ইন্টারনেট ব্যবহার কারী কুমিল্লায় ৫০ দশমিক ২৯ ভাগ।নারী চেয়ে পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেশী।
এদিকে কুমিল্লায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন জেলার ৯৯ দশমিক ৩৪ ভাগ মানুষ। যেখানে ১৯৯১ সালে ছিলো ১২ দশমিক ১৪ ভাগ। এছাড়াও জনশুমারিতে উঠে আসা জেলার নানা তথ্য তুলে ধরা হয় এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
মন্তব্য করুন