নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার জন্মদিনে কেক কেটে অনুষ্ঠান করার অভিযোগে যুবলীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতের বিভিন্ন সময়ে বুড়িচং থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার আবিদপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার, আবুল হাসেমের ছেলে মোখলেসুর রহমান এবং আবু মুসার ছেলে মো. শাহজাহান। তিনজনই মোকাম ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতে পলাতক শেখ হাসিনার জন্মদিনে রোববার সন্ধ্যায় মোকাম ইউনিয়নে একটি কেক কেটে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনের নেতৃত্ব দেন বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মো. মজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে দোয়া শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও মজিবুর রহমান নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, যুবলীগ নেতাদের উপস্থিতিতে কেক কাটা, শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্লোগান ও দোয়া হচ্ছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
ভিডিও প্রকাশের পর রাতেই পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তিন যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, ভিডিওতে তাদের উপস্থিতি ও রাজনৈতিক কার্যক্রমের প্রমাণ মিলেছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা নগরীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক
শিক্ষার্থী ও
তার মায়ের লাশ
উদ্ধার করা
হয়েছে। সোমবার ভোরে
নগরীর কালিয়াজুড়ি খেলার
মাঠের পাশের
একটি ভবনের
দ্বিতীয় তলা
থেকে তাদের
লাশ উদ্ধার করা
হয়। তবে
তাদের মৃত্যুর সময়
এখনো নিশ্চিত করা
যায়নি।
বাড়ির মালিক
আনিছুল ইসলাম
রানা জানিয়েছেন, সাড়ে
তিন থেকে
চার বছর
আগে কুমিল্লার আদালতের কর্মকর্তা নুরুল
ইসলাম বাড়িটি ভাড়া
নেন। গত
বছর তার
মৃত্যুর পর
স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (৫০),
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া
মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (২৪) তার
আরও দুই
ছেলে বাড়িটিতে থাকছেন। তারা
অন্য কারো
সাথে তেমন
কথা বলতেন
না। গতকাল
রাতে তার
দুই ছেলে
ঢাকা থেকে
বাসায় আসলে
তারা ঘরের
দরজা খোলা
দেখে। এই
সময় তারা
ভাবে তাদের
মা ও
বোন ঘুমিয়ে আছে।
কিন্তু বাসায় ঢুকার
পর দীর্ঘ
সময় কেটে
গেলেও তাদের
কোন সারা
শব্দ না
পেলে জাগাতে গিয়ে
দেখেন তারা
নড়ছে না।
পরে ৯৯৯
এ কল
পেয়ে সোমবার ভোরবেলা পুলিশ
লাশ উদ্ধার করে
এবং কুমিল্লা মেডিকেল এর
মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে একজন ব্যক্তি রোববার দিনের বেলায় তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করেছিল। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি
মহিনুল ইসলাম
বলেন, মরদেহগুলি উদ্ধার করে
মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক
কারণ এখনো
জানা যায়নি। তবে
সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত
সংগ্রহ করা
হয়েছে। বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলেই
প্রাথমিকভাবে ধারণা
করেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকা থেকে একজন গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে শহরে নিয়ে আসা হয়।
মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা বৈষম্য বিরতি ছাত্র আন্দোলন রেসকিউ টিমের অভিযানে গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে এনে পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
শুধু
হাসপাতাল পর্যন্ত আনাই নয় বরং হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা
করে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার মেডিকেল টিমের সদস্যরা।
এসময় কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিম ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন উদ্ধারকারী টিমের সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হাসনাত এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ অন্যান্যরা।
সর্বশেষ সূত্রমতে জানা যায়, উদ্ধার করে আনা গর্ভবতী মহিলা দরিদ্র এবং অভিভাবকহীন। তাই তার চিকিৎসার সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে উক্ত মেডিকেল টিমের কয়েকজন সদস্য।
এবং
উক্ত মহিলার হাসপাতালে অবস্থানকালে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধান এবং সকল
সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সবকিছু তদারকির জন্য একটি টিম সার্বক্ষণিক তৎপর আছে ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
৪৩ তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় মাগুরা জেলা ক্রিকেট দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দল। এর আগে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ বিমানের সাথে ফাইনালে রানার্সআপ হয় কুমিল্লা। আগামী ৪মে রোববার কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে কিশোরগঞ্জ জেলা দলের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
আজ
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফিল্ডিং পাওয়া কুমিল্লা জেলা দলের দুই স্পিনার ইয়াসির আরাফাত এবং আশরাফুল হাসান রোহান এর ঘূর্ণি যাদুতে মাগুরা জেলা ক্রিকেট দল মাত্র ৩৮.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায়। মাগুরা জেলা দলের আসলাম, মোহাইমিন এবং তালহা যথাক্রমে ১৯,১৮ এবং ১৭ রান করেন। ইয়াসির আরাফাত ৫০ রানে ৫ উইকেট এবং রোহান ৩৮ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন।অপর উইকেটটি নেন পেসার সবুজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা জেলা দল ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দলের ওপেনার ইরফান তাকরির অপরাজিত ৮০ রান করেন। অপর ব্যাটসম্যানের মধ্যে রুবেল মিয়া ২৮ আবুবকর, ১৪ রান করেন।
কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ফখরুল আলম উল্লাস এবং কোচ মানিক কুমার দাস ২২বছর পর ফাইনালে উঠার সুযোগ পাওয়ায় ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ফাইনালে ভাল করার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, আজ ৩০ এপ্রিল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইঁয়ার পদত্যাগেরদা বিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মিছিল করার চেষ্টা করা হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি এই মিছিলের সাথে মুরাদনগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ন্যূনতম কোন সম্পর্ক নাই।
বুধবার ( ৩০ এপ্রিল) রাত ৯ টায় মুরাদনগর উপজেলার জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মুরাদনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মুরাদনগর শাখার আহ্বায়ক মোঃ ওবায়দুল হক সিদ্দিকী, সদস্য সচিব আল মামুন ও মুখ্য সংগঠক আসিফ সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ , ছাত্রলীগ এক হয়ে কায়কোবাদ সাহেব
নিজের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোর করে মিছিলে নিয়ে আসেন । এর ফলে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক ব্যানারটিকে বিতর্কিত করার জন্য ব্যবহার করছেন বলেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে ব্যানারে খুনি হাসিনার পতন হয়েছে সে ব্যানারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ ব্যবহার করে উপদেষ্টার মর্যাদাহানী করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ঐতিহাসিক ব্যানার ব্যবহার করে এমন হীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ ও অনুমোদনহীন ব্যক্তি কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহারকারীদের দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে মিছিলে অংশগ্রহণ কারী দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের করতে হবে। অন্যথায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগ ও অনুমোদনহীন ব্যক্তিকতৃর্ক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করার প্রতিবাদে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব
প্রতিবেদক:
আজ
বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী
হয় পথচারীরা। চট্টগ্রামমুখী একটি যাত্রীবাহী বাস হঠাৎ করেই রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে
পড়ে—কোনো নির্ধারিত স্টপেজ
কিংবা সংকেত ছাড়াই।
বাসটির
দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত বাস থেকে নামতে শুরু করেন। অনেকে
প্রাণ ভয়ে ডিভাইডারের ওপর লাফিয়ে উঠেন। একজন যুবক নিরাপদে পার হলেও তার ঠিক পেছনে থাকা
দুই মাদ্রাসাছাত্র ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান রাস্তায়।
ঠিক
তখনই সামনে দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটে আসে একটি মোটরসাইকেল। মুহূর্তের মধ্যে সবাই শ্বাসরুদ্ধ
হয়ে চেয়ে থাকেন সেই ভয়ংকর দৃশ্যের দিকে।
তবে
সৌভাগ্যক্রমে, মারাত্মক দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হন মোটরসাইকেল চালক এবং রক্ষা পান ওই
দুই ছাত্রও।
স্থানীয়রা
জানান, সেই মুহূর্তে পুরো এলাকা থমকে গিয়েছিল। আতঙ্ক আর বিস্ময়ে অনেক পথচারীর মুখ ফ্যাকাশে
হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "মনে হচ্ছিল, সবাই যেন মৃত্যুর খুব কাছ থেকে
ফিরে এল।"
ঘটনাটি
যানবাহনের নিয়ম না মানা এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ রোডে অব্যবস্থাপনার একটি উদাহরণ বলে
মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। এ নিয়ে প্রশাসনের আরও কড়া নজরদারি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে ১১ জন মাদক ব্যবসায়ী
ও একজন আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গতকাল (২৮ জুন) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ছুপুয়া
এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। বাবলু মিয়া
(২৩), পিতা-জাকির হোসেন, সাং-আইরল, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ২। বিল্লাল হোসেন
(২২), পিতা-মাহবুল হক, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
মুন্না হোসেন (২২), পিতা-মোঃ রেজাউল করিম, সাং- আলিপুর, থানা-সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরা;
৪। মোঃ সাইফুল ইসলাম কামাল (১৯), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট,
জেলা-কুমিল্লা; ৫। মোঃ সোহাগ (২৫), পিতা-আব্দুল খালেক, সাং-শফিবাদ, থানা-কচুয়া, জেলা-
চাঁদপুর; ৬। মোঃ ফয়সাল (২০), পিতা-আব্দুল বারেক, সাং-পানিপাড়া, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা
৭। ইমরান হোসেন বাবু (২৫), পিতা-মাহবুল হক, সাং-শহীদপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
৮। মোঃ সালমান হোসেন (১৯), পিতা-মৃত শহীদুল ইসলাম, সাং-মাঝিআলী, থানা- বাঘারপাড়া, জেলা-যশোর;
৯। মোঃ শাহেদ হাসান (২০), পিতা-মৃত কবির হোসেন, সাং-পানিপাড়া; ১০। মোঃ হুমায়ুন হোসেন
(২০), পিতা-মোঃ আবুল বাশার, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
১১। মোঃ কাওসার (২২), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে
গ্রেফতার করা হয় এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ১২। মোঃ জসিম উদ্দিন (১৬), পিতা-মোঃ
জাফর আলী, সাং-পশ্চিম নোয়াগাও, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৭০
গ্রাম গাঁজা ও ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানান, আসামীরা ও আইনের সহিত
সংঘাতে জড়িত শিশু দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয়
করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার
সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত
খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে
মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায়
রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার
হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে
অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে আটক করে।
মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গরু বহনকারী
ট্রাক উল্টে ব্যবসায়ীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
বুধবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জের পুটিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে
পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম মোল্লা।
তিনি বলেন, একটি ট্রাক ঢাকা থেকে ১৭টি
গরু নিয়ে লাকসামের দিকে যাচ্ছিল। কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির উদ্দেশে যাচ্ছিল তারা।
ইলিয়টগঞ্জের পুটিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়
ট্রাকটি। এ সময় ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আশপাশে ছিটকে পড়ে ট্রাকে থাকা
গরুগুলো। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে রাসেল নামের একজনের পরিচয় আমরা
পেয়েছি। তিনি গরু ব্যবসায়ী। অন্যজনের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। এ দুর্ঘটনায় দুটি গরু
মারা গেছে। আরও ১৫টি গরু স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে
আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
ঐতিহ্যবাহী খাদি কাপড়সহ মোট ২৪টি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে।
গতকাল
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট,
শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫-এর আলোচনা সভায়
সংশ্লিষ্টদের এসব সনদ হস্তান্তর করা হয়।
কুমিল্লার
ঐতিহ্যের স্মারক খাদি কাপড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার মানুষ
আনন্দিত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে পেয়েছেন সুখবর। খাদি কাপড়ের
বিশেষত্ব হলো এটি হাতে তৈরি, পরিবেশবান্ধব এবং আরামদায়ক। কুমিল্লার কারিগররা তাদের
অনন্য দক্ষতার মাধ্যমে খাদিকে একটি শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন।
কুমিল্লার
কান্দিরপাড় এলাকার রামঘাটলা থেকে শুরু করে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ খাদি পোশাকের
দোকান রয়েছে।
কুমিল্লার
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, জেলা প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গত বছর কুমিল্লার
রসমালাই জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার খাদি ও বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জিআই
স্বীকৃতির জন্য তখন থেকেই কাজ শুরু হয়। কুমিল্লার ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত তিনটি
পণ্যের মধ্যে দুটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
নিবন্ধন
সনদপ্রাপ্ত ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (ব্রাকেটে সনদ নম্বর) হলো, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা (৩৯), কুমিল্লার খাদি (৪০),
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি (৪১), গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা (৪২), সুন্দরবনের
মধু (৪৩), শেরপুরের ছানার পায়েস (৪৪), সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি (৪৫), গাজীপুরের কাঁঠাল
(৪৬), কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান (৪৭), অষ্টগ্রামের পনির (৪৮), বরিশালের আমড়া (৪৯),
কুমারখালীর বেডশিট (৫০), দিনাজপুরের বেদানা লিচু (৫১), মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর (৫২),
নওগাঁর নাকফজলি আম (৫৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ (৫৪) ও ঢাকাই ফুটিকার্পাস
তুলার বীজ ও গাছ (৫৫),নরসিংদীর লটকন (৩২), মধুপুরের আনারস (৩৩), ভোলার মহিষের দুধের
কাঁচাদই (৩৪), মাগুরার হাজরাপুরী লিচু (৩৫), সিরাজগঞ্জের গামছা (৩৬), সিলেটের মনিপুরি
শাড়ি (৩৭), মিরপুরের কাতান শাড়ি (৩৮)।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনীর যৌথ টহল দলের অভিযানে বিপুল মাদকসহ চারজনকে আটক করে। গতকাল
বুধবার দিবাগত রাতে লালার পুল এলাকার জোনাকি
হোটেলের পেছনে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম সেনা ক্যাম্প ৩৩ পদাতিক ডিভিশন থেকে পাঠানো
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আটককৃতরা
হলেন- রংপুর জেলার কাউনিয়া আল আমিন (২০), কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আব্দুর রহিম
(১৪), রাজীব (৩০) ও মোহাম্মদ ইউসুফ (২৭)।
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে সেনা সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
লালারপুল এলাকার জোনাকি হোটেলের পেছনে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ১২৫ কেজি গাঁজা, ৪২৪
বোতল ফেনসিডিল, ৭ লিটার চোলাই মদ, মদ তৈরির কাঁচামাল, বিয়ার, ইয়াবা ও নগদ ১৭ হাজার
টাকা জব্দ করে। এচাড়া চার কারবারিকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একজন পালিয়ে যায়। আটককৃতদের
বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে মিনি পিকআপে
করে মাদক পরিবহনকালে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১
সিপিসি-২।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন
চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিনব কৌশলে
মিনি পিকআপের পিছনে মাছ রাখার ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। মোঃ
দিপু , ২। কামরুল ইসলাম , ৩। মোঃ ছুটন মিয়া , ৪। শিপন এবং ৫। মোঃ মাহফুজ নামের পাঁচজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৪৮ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি পিকআপ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ দিপু
(২৭) বি.বাড়িয়া জেলার কসবা থানার কাইয়ুমপুর গ্রামের আইয়ুব খান এর ছেলে; ২। কামরুল ইসলাম
(৩০) কুলনা পাথর গ্রামের মৃত জামাল হোসেন এর ছেলে; ৩। মোঃ ছুটন মিয়া (৩০) কামালপুর
গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন এর ছেলে; ৪। শিপন (৩০) নোয়াগাঁ গ্রামের টুনু মিয়া এর ছেলে
এবং ৫। মোঃ মাহফুজ (২৪) কামালপুর গ্রামের বাছির মিয়া এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা সহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন
অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন