

মো: মাসুদ মিয়া,কচুয়া:
ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিতারা গ্রামের যুবক আক্তার বেপারী। প্রথমে ৬০টি ড্রাগন চারা রোপন করে বছর খানেক পর ২ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। একদিকে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছেন অপরদিকে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। প্রথমে একটু কষ্ট ও পরিশ্রম হলেও এখন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।
জানা যায়, বিতারা গ্রামের অধিবাসী ইসমাইল বেপারীর ছেলে আক্তার বেপারী ৩ বছর পূর্বে প্রথমে ইউটিউব দেখে যশোরের বেনাপোল থেকে সখের বশে ড্রাগন চারা ক্রয় করে বাড়ির আঙ্গিনা রোপন করেন। পরে নিজেই এবং শ্রমিকদের দিয়ে পরিচর্চা করেন। বছর খানেক যেতেই ফল ধরা শুরু হয়। এতে নিজের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তিনি। তার এ ড্রাগন বাগান থেকে এলাকার স্থানীয়রা চারা সংগ্রহ করছেন।
ড্রাগন চাষী যুবক আক্তার বেপারী বলেন, প্রথমে অনেকের ভুল ধারনা থাকলেও এখন আর নেই। পরিশ্রম ও পরিচর্চার কারনে প্রতি বছর ভালো ফলন আসছে। গত বছর প্রায় ২লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি। আশা করছি চলতি মৌসুমে ভালো ফলন হবে। তাছাড়া অনেক যুবক বেকার না থেকে ইচ্ছা ও উদ্যমী হলে ড্রাগন ফল চাষ করলেও তারা লাভবান হতে পারবেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা,
২০ জুলাই ২০২৫:
বাংলাদেশ
রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানের নির্দেশনা এবং বিভাগের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং)
মহোদয়ের মনিটরিংয়ের আওতায় কুমিল্লা সার্কেলে এক বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন বিআরটিএ, সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
উক্ত
অভিযানে:
মোট
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়: ১টি
১৪টি
মামলা দায়ের করা হয়
আদায়কৃত
জরিমানার পরিমাণ: ৬২ হাজার টাকা
কোনো
কারাদণ্ড প্রদান করা হয়নি
অভিযানে
ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত কোনো গাড়ি পাওয়া যায়নি। তবে কিছু ফিটনেসবিহীন গাড়িকে অর্থদণ্ড
প্রদানসহ মালিকদের সচেতন করা হয়।
বিআরটিএ
কুমিল্লা সার্কেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনসাধারণের নিরাপদ যাত্রা ও সড়ক নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লায়
প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা জেলা
প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলার ১৭টি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক
সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
আলম।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো.আমিরুল কায়ছার
এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, সকল উপজেলার
নির্বাহী অফিসার, র্যাবের কর্মকর্তা, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী
আবু ও সদস্য সচিব ইউছুফ মোল্লা টিপু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লা মহানগরীর
আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে আসা এক পর্যটককে জিম্মি করে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার ( ১৯ অক্টবর ) রাতে শহরের কলাতলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ , সোমবার দুপুরের দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) “আহমেদ পেয়ার”। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারী অটোরিকশাযোগে সৈকত থেকে হোটেলের দিকে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের পর্যটক সাইফুল্লাহকে জিম্মি করে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা সাইফুল্লাহকে ছুরিকাঘাত করে মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত পর্যটককে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা “মো. ইলিয়াস খান ” বলেন, ঘটনার পরপর পুলিশ ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযানে নামে। রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত পাঁচজন তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ১০টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে, মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ছিনতাইকারীদেরও শনাক্তের কাজ চলছে।
গ্রেপ্তার পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ডিককুল গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে মো. বাবুল (২৮), কক্সবাজার পৌরসভার পিটি স্কুল এলাকার মো. সেলিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২১), নতুন বাহারছড়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে মো. সোহেল (২২), কলাতলীর কালা পুতুর ছেলে মো. সিদ্দিক (৪০) ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মো. সারোয়ারের ছেলে ইমরান সারোয়ার (২৫)।
ছুরিকাঘাতে আহত পর্যটক “ সাইফুল্লাহ ” তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের ০৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাহালি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম সিদ্দিক সিকদার। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ সময় তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো: সেলিম উদ্দিন।
জামায়াতের আমির ওমরা পালন শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করবেন। সফর শেষে আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি ঢাকা প্রত্যাবর্তন করবেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে শনিবার রাতে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ডিএমপি ঢাকা জেলার মিরপুর থানার ৬৮নং জনতা হাউজিং, শাহ আলীবাগ এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে মাঃ ইমামুল হক @শুক্কুর এবং কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর থানার পূর্ব মুক্তার পোল, ০৬ নং ওয়ার্ড এর মৃত দানু মিয়ার ছেলে দিদারুল আলম (৫০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জানায়, তারা উভয়েই একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা সাধারণ পেশার আড়ালে এসকল মাদকদ্রব্যের পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ ইমামুল হক শুক্কুর ড্রাইভার পেশার আড়ালে মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এই চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাক, পিকআপ, কার্ভাড ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পণ্যদ্রব্য পরিবহনের আড়াঁলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুমিল্লা ও ঢাকা সহ পাশর্^বর্তী জেলা সমূহে সরবরাহ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় আরো জানায় এই বিপুল পরিমান ইয়াবা এর চালান ঢাকাসহ পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ ইমামুল হক @শুক্কুর ও দিদারুল আলম’দ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক তাদের দেখানো মতে সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকার ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক হতে গ্রেফতার করে ০১ টি ব্যাগে সর্বমোট ৪০,০০০ পিস উদ্ধার করে যার আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার গৌরীপুর-হোমনা সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (১২জুলাই) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের দরিকান্দি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তিতাস থানার ওসি শহিদ উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়রা রাস্তার পাশে এক যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো বলেন, নিহত অজ্ঞাত(৩৫) যুবকের গলায় জখম রয়েছে। পরনে ছিল জিন্স পেন্ট ও কালো রংয়ের গেঞ্জি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিচয় শনাক্তে পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নিজ কৃষি খামারে কাজ করতে গিয়ে পঁয়ত্রিশ বছরের যুবক মো. সুমন (৩৫) কে সাপে কাটে।
খামারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ওঝার কাছে সেই সাপে কাটা রোগী।
চমেকে রোগীতে যথারীতি ভর্তি করালেও মায়ের আকুতি মিনতি আর নানা হুমকিতে গ্রামের উদ্দেশ্যে আবারো হাসপাতাল ছাড়ে সাপে কাটা সুমন। জানা যায়, ওঝার কাছে চিকিৎসা করতেই মূলত রোগীকে চমেক ছাড়তে বাধ্য করেন তাঁর মা শাহিদা বেগম (৫০)। শাহিদার একমাত্র ছেলে মো. সুমন।
গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার খামারবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দপুরের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, সুমনের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর হলেও সুমন বসবাস করতেন মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা গোবিন্দপুর ইউনিয়নে। মেঘনা নদীর করাল ভাঙ্গনে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন এখন বিলিন প্রায়। সব দিকে চর এলাকা।
ঘটনার দিন গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে সুমন নতুন চর এলাকায় নিজ খামারে কাজ করছিলেন। খামারটিতে গরু লালন পালন ও ডাল চাষ করতেন। এলাকাটি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ভরপুর ছিল। রাতে সুমন জমিতে কাজ করতে গেলে হঠাৎ পায়ে কামড় দেয় বিষধর চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপ। কয়েক ঘন্টার মধ্যে গলা দিয়ে রক্ত পড়ে সুমনের। দ্রুতই আত্মীয় স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতাল হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
পরে সাপে কাটা রোগী হাসপাতাল ছেড়ে ওঝার কাছে নিতে সিট কেটে দেন। এ ঘটনা শোনে চমেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগিরাও হতভম্ব হয়ে পড়েন। কেননা, চট্টগ্রাম বিভাগে সাপে কাটা রোগীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে চমেক হাসপাতাল। এখানেই দেওয়া হয় সাপে কাটা রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা। রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম টিকা ও আইসিইউ ব্যবস্থা।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ সাপে কাটা মো. সুমনকে চমেকে ভর্তি করেন তাঁর খালু মোহাম্মদ খলিল। ভর্তি করানোর পর ডাক্তারেরা নিশ্চিত হন সুমনকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড় দিয়েছেন। কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। ফলে, দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয় রোগীকে। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর ১২ ঘন্টা না যেতেই রোগীর সিট কেটে গ্রামের উদ্দেশ্যে দৌঁড় দিলেন খলিল।
পরে রোগীর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রোগী হাসপাতাল ছেড়ে মূলত ওঝার কাছে গেছেন। সাপে কাটা রোগী সুমনের মা শাহিদা বেগমকে নাকি পাশের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন ছেলেকে ওঝার কাছে চিকিৎসা করাতে। এই ধারণায় পেয়ে বসে শাহিদা বেগমকে। ছেলেকে যেকোন মূল্যে হাসপাতাল থেকে ওঝার কাছে পৌঁছাতেই চাপ দেন রোগীর এ্যাটেনডেন্ট হিসেবে আসা খালু মোহাম্মদ খলিলকে। এতেই ঘটে বিপত্তি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সুমন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ফজলে করিম হাওলাদারের ছেলে। সুমনের এক ছেলে, এক মেয়ে। বর্তমানে তাঁর পরিবারের সবাই অসুস্থ। সুমনকে সাপে কামড় দিয়েছে এ খবরে তাঁর স্ত্রী রিক্তা বেগমও পাগলপ্রায়।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আসলাম রোগীর এ্যাটেনডেন্ট খলিলের বরাত দিয়ে বলেন, 'সুমনের মা সরাসরি খলিলকে হুমকি দিয়েছেন। সুমন মারা গেলে তাঁকে আসামি করে মামলা করবে। সুমনকে যেন তাড়াতাড়ি ওর মায়ের কাছে পৌঁছায় দেন। এ কথা শোনে মূলত খলিল সাপে কাটা রোগীকে চমেকে ভর্তি করলেও পরে কোন মতে রোগী নিয়ে পালিয়ে যান।'
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা বলেন, 'ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। আমি খবর নিচ্ছি। বর্তমান যুগে যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞান এত উন্নত হয়েছে সেখানে এখনও ওঝার ঝাঁড় ফুক বিশ্বাস করা দুর্ভাগ্যজনক। মানুষকে সচেতন হওয়া দরকার।'
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, 'আমরা যতটুকু জেনেছি রোগীকে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপে কেটেছে। অলরেডি চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি রোগীকে হাসপাতালে রাখতে। কিন্তু রোগীর মা কিছুতেই রাজি ছিলেন না। রোগীকে নিয়ে গেলেন। বিষয়টি রোগীর এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কোন ওঝা যদি মাকে প্রলুব্ধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বণ্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাইদ বলেন, 'সাপে কামড়ানোর পর যারা আগে ওঝার কাছে যান, তাদের মধ্যে মারা যাওয়ার হার বেশি। সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সাপে কামড়ানোর পর ৬১ শতাংশ মানুষ যান ওঝার কাছে। আর ৩৫ শতাংশ মানুষ যান হাসপাতালে।সাপে কামড়ানোর পর প্রথম ১০০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দ্রুত হাসপাতালের বিকল্প নেই।'
মানুষের শরীরের ওপর সাপের বিষের প্রভাব নিয়ে পিএইচডি করা গবেষক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম এ ফয়েজ জানান, 'সাপের দংশনের শিকার মানুষের প্রাণ বাঁচানোর পথে অন্যতম অন্তরায় অপচিকিৎসা। কেননা, অধিকাংশ সময় রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে, যাওয়া হয় ওঝা বা বৈদ্যের কাছে। এতে রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি অপচিকিৎসা রোধে আইন প্রণয়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা চান্দিনা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ শে মে ) দূপর পৌনে ১২টার দিকে চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ড খান বাড়ীর মোঃ নজরুল ইসলাম খান এর তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ২য় তলার পশ্চিম পার্শ্বর ফ্লেটের দঃ পশ্চিম রুম হইতে অফিসার্স ইন্চার্জ চান্দিনা থানার নেতৃত্বে এসআই মো রায়হান হোসেন এর সর্গীয় ফোর্স এসআই মোঃ ইমাম হোসেন সহ আরো কয়েক জনের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো–(১) মো হুমায়ন কবির প্রঃ জুয়েল (৪৫) পিতা ফজলুল হক ব্যাপারী মাতা হোসনেয়ারা বেগম সাং গোপালপুর ব্যাপারী বাড়ী থানা তিতাস।( ২) আব্দুল আজিজ পিতা আবুল হোসেন মোল্লা মাতা আমেনা বেগম সাং বুধাইরকান্দি পো উজানচর থানা বাঞ্ছারামপুর, (৩)মো খাইরুল ইসলাম প্রঃ পারভেজ পিতা শামীম প্রধাান মাতা খাদিজা বেগম সাং তালতলী থানা দাউদকান্দি , (৪)মাসুদ রানা পিতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া মাতা পারভীন বেগম সাং রাগদৈল ভুঁইয়া বাড়ী ইউপি সাচার থানা কচুয়া(৫) মো হাসান খান পিতা কাশেম খান মাতা সেফালী বেগম সাং পশ্চিম শ্যামপুর( আটরশী দরবার ) থানা সদরপুর ,(৬) মোঃ মোহর আলী পিতা হরমুজ সাং ঘোলঘর সূরমা ইউপি থানা সুনামগন্জ( ৭) মো নজরুল ইসলাম খান পিতা আশ্রাফ খান মাতা হাসিনা বেগম সাং চান্দিনা খান বাড়ী চান্দিনা পৌরসভা থানা চান্দিনা, শুক্রবার (৩০ মে ) দুপুরে চান্দিনা থানার ওসি প্রেস এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপরে গোপন সংবাদে জানা যায়, চান্দিনা পৌরসভার মো নজরুল ইসলাম খান এর বাড়ীতে কিছু দুষ্কৃতকারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে থানা-পুলিশ অভিযান চালায়।
অভিযানকালে পালানোর সময় সাত জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাত চার-পাঁচ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার কৃত সাত জনসহ অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।’মামলা নং ২৪ তাং ৩০/৫/২০২৫ ইং ধরা ৩৯৯/ ৪০২ পেনাল কেড ১৮৬০ রজু করা হয়। এমামলার তদন্তবার এসআই ইমামের হাতে তদন্তবার দেওয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানায়, গ্রেফতার কৃত ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা ইলিয়টগঞ্জ দাউদকান্দি এলাকাসহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের মধ্যে , আজিজ, মাসুদ, খাইরুল, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, মাদক, হত্যা চেষ্টা, মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ
অভিযানে ৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ।
শনিবার রাতে (০১ জুন ২০২৪ ইং)
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে মোঃ ফারুক (৩২) ও মোঃ
ফাহিম (২১) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ।
এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে
৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়,
গ্রেফতারকৃত মোঃ ফারুক (৩২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ঘোষতল গ্রামের মৃত আব্দুর
রহমান এর ছেলে এবং মোঃ ফাহিম (২১) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার খামারগাও গ্রামের
মোঃ চান মিয়া এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃদের হতে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন
ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট
পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা সদর উপজেলায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় মা–ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন বসন্তপুর গ্রামের কামাল। এ ঘটনার জেরে প্রতিবেশী বিল্লাল তার ওপর অতর্কিতে হামলা করে। ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে কামাল ঘটনাস্থলেই মারা যান।চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে কামালের মা-কেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে বিল্লাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় কামালের মায়ের পেট ফেটে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা বিল্লালের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম জানায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্ত চলছে। হামলাকারী বিল্লালকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনার পর পাঁচথুবী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বসন্তপুর গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ঘরের দরজা ভেঙে আড়াই বছর বয়সী শিশুসহ মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা সদর বিবিরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পেছনে কামাল ভবনের নিচতলা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর আফরোজা আফরিন (২৫) ফটিকছড়ি পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী ও শিশু আতকিয়া তাদের একমাত্র কন্যাসন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ওই গৃহবধূ তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। পরে শ্বশুর এবং ননদ অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খুললে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে গৃহবধূর মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তার শিশু সন্তানের মরদেহ খাটের উপর দেখতে পায়।
নিহতের শ্বশুর মো. কামাল বলেন, আড়াই বছর আগে আমার ছেলের সঙ্গে আফরোজার বিয়ে হয়। পরে তাদের এক কন্যা সন্তান হয়। কিছুদিন ধরে আফরোজার মানসিক সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসা নিয়েছে।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দরজার তালা ভেঙে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ঘরের ভেতর গৃহবধূর লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তার শিশু সন্তানের লাশ খাটের উপর পাওয়া যায়। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার আসল কারণ বের করা হবে।
মন্তব্য করুন