

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কীভাবে বা কখন তাদের মৃত্যু হয়েছে—সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড্ডা থানার ওসি হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল এলাকার ৩ নম্বর রোডের ২ নম্বর গলির একটি বাসা থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃতরা হলেন সাইফুল ইসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী শাকিলা। সাইফুল ওই ভবনের দারোয়ান হিসেবে কাজ করতেন এবং শাকিলা একই বাসায় রান্নার কাজ করতেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ২৫ অক্টোবরের পর কোনো এক সময় তাদের মৃত্যু হতে পারে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালে বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে আশপাশের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কেউ গাড়ির হেলপার-ড্রাইভার, কেউ দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, কেউবা পুরাতন মালামাল ক্রেতা কিংবা রাজমিস্ত্রী। আছে সবজি বিক্রেতাও। কিন্তু ভিন্ন পেশা হলেও সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় তাদের পেশা-পরিচয়। বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ।
এসব ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় তারা ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। প্রত্যেকের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। প্রত্যেকেই জেল খেটেছেন। বেরিয়ে আবারো জড়িয়েছেন গ্যাং কালচারে।
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৩৬ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব এবং লেভেল হাই এর অন্যতম মূলহোতা মো. শরিফ ওরফে মোহন ও চাঁন গ্রুপ,মাউরা ইমরান গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন লেভেল হাই, ৬ জন চাঁন গ্রুপ, ৫ জন লও ঠ্যালা গ্রুপ, এবং ৭ জন মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে।
র্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
র্যাব-২ অধিনায়ক আরও বলেন, পাটালি গ্রুপটি সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। লেভেল হাই গ্রুপটি গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেফতাররা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এসব গ্রুপের গ্রেফতাররা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাদক সেবনসহ এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তারা। মূলত তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।
গ্রেফতারদের পেশা সম্পর্কে র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।
অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব পাটালি গ্রুপ এর মূলহোতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। সে এই সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছিল।
গ্রেফতার রানা শিকদার, জুয়েল মিয়া ও সাগর গ্রেফতার ফর্মা সজীবের সহযোগী। তারা গ্রেফতার পাটালি গ্রুপ এর ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ১১টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে।
র্যাব-২ এর সিও আরও বলেন, গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহন লেভেল হাই গ্রুপের মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতো। সে টাকলা হায়াতের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল।
টাকলা হায়াতের অবর্তমানে সে গ্যাংটি পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতার দুলাল, সোহাগ ও তারেক তারা লেভেল হাই গ্রুপের সদস্য। তারা গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৮টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতার সাকিব ওরফে প্রকাশ রিয়াম চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী সদস্য। সে ২০১৮ সালে বরিশাল হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করেছে।
২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে চাকরির সময়ে চাঁন গ্রুপ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৩টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকের কারবারে গ্রেফতার ইমরান ওরফে মাউরা ইমরান মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।
২০২১ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময়ে নিজেই একটি কিশোর গ্যাং মাউরা ইমরান গ্রুপ গঠন করে। মাউরা ইমরান মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৪টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।
মুরগী রাকিব লও ঠ্যালা গ্রুপের সদস্য । র্যাব-২ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান আরও বলেন, রাকিব ওরফে মুরগী রাকিবের জন্ম বরিশাল এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি ও ডিসের লাইনে চাকরি করতো। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরির সময় লও ঠ্যালা গ্রুপে যোগ দেয়। সে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত দুটির অধিক মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন শ্রী বল্লভপুর এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার
( ৮/১২/২৩) রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ আহসান হাবিব, সঙ্গীয়
অফিসার এএসআই(নিঃ) মোঃ হারুন-অর-রশিদ, এএসআই(নিঃ) মাসুদ রানা, মুর্শিদ আলম, হানিফ মিয়া,
ফয়সাল আকন্দ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ও ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটিতে নিয়োজিত থাকা অবস্থায়
সংবাদ পান সদর দক্ষিণ মডেল থানার একাধিক মামলায় অভিযুক্ত (সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা
নং- ২৩) ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী মোঃ সবুজ সদর দক্ষিণ থানাধীন শ্রী বল্লভপুর এলাকায় তার
নিজ বসত ঘরে অবস্থান করিতেছে। অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: মোঃ সবুজ (২৪), পিতা- মোঃ আবুল হোসেন মিয়া, মাতা- মোছাঃ পারভীন, সাং- শ্রী
বল্লভপুর (পূর্ব পাড়া), পোঃ- আহাম্মদনগর, ২২নং ওয়ার্ড, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, থানা-
সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
তার কাছ থেকে একটি ছয় চেম্বার বিশিষ্ট রিভলবার, একটি স্টীলের সুইস গিয়ার, একটি লোহার চাপাতি,
একটি স্টীলের তৈরী তলোয়ার সদৃশ সামুরাই উদ্ধার করেন।
উক্ত
আসামীর বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
থেকে ওমান প্রবাসী ছোট ভাইয়ের মরদেহ আনতে যাওয়ার পথে বাসে স্ট্রোক করে মারা যান বড়
ভাই। বুধবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের
মৃত্যুতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে ছোট ভাইয়ের
মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে বড় ভাইয়ের জানাজা
শেষে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ির পারিবারিক
কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মো. দ্বীন ইসলাম (৫৮) ও তাজুল ইসলাম
(৫৫) নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ির
সিদ্দীক উল্যাহ মিয়ার ছেলে।
জয়াগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি
সদস্য মো. মাকছুদুর রহমান জানান, গত ২০ বছর ধরে তাজুল ইসলাম জীবন জীবিকার তাগিদে ওমানে
বসবাস করছিলেন। পাঁচ দিন আগে তিনি ওমানে স্ট্রোক করে মারা যান। শুক্রবার (১২ জুলাই)
সকালে তার মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল। এজন্য বড় ভাই দ্বীন
ইসলাম দুই দিন আগে ঢাকা চলে যান। যাত্রা পথে তিনি বাসে স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে
পড়েন। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দ্বীন ইসলামও দীর্ঘ দিন ওমানে ছিলেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে দেড় বছর আগে
দেশে ফিরে আসেন। পরে তার সন্তানরা তাকে আর ওমান যেতে দেয়নি।
জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত
আকবর জানান, শুক্রবার সকালে তাজুলের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এরপর তার স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনায় একই দিনে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে হোমনা থানা পুলিশ।
রোববার (১৭ আগস্ট) পৃথক স্থান হতে সকালে নৌকাতে ভাসমান অবস্থায় একজনের মৃতদেহ ও দুপুরে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় আরেকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের তিতিয়া রঘুনাথপুর এলাকায় তিতাস নদীতে ভাসমান একটি নৌকা থেকে কবির হোসেন ওরফে আরশ মিয়া (৬১) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের সবদর আলীর ছেলে।
অপরদিকে দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামে মো.নজরুল ইসলামের ছেলে সাইজুদ্দিন (৩৫) এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উভয়েই মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। একাধিকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল।
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাগুলো আত্মহত্যা। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।
মন্তব্য করুন


নড়াইলের নড়াগাতি থানার মহাজন গ্রামের
মালোপাড়ায় অতিরিক্ত মদ্যপানে পূজা নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে
ছাত্রীর মৃত্যু হলেও আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়। মৃত পূজা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি
উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গ্রামের ননী বিশ্বাসের মেয়ে।
এ ঘটনায় আরেক স্কুলছাত্রী ত্রিনয়নী
বিশ্বাসকে (১৫) অসুস্থ অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ত্রিনয়নী রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আবাশপুর গ্রামের পলাশ বিশ্বাসের মেয়ে।
মৃতের স্বজনদের থেকে জানা যায়, কার্তিয়ানী
পূজা উপলক্ষে পূজা ও তার খালাতো বোন ত্রিনয়নী মহাজন গ্রামে তাদের নানা মৃত দিল্লীশ্বরের
বাড়িতে বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার দু’জনে মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাদের লোহাগড়া
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক পূজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদ সাইফুল্লাহ বেলাল জানান, পূজাকে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে
হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। স্বজনদের বরাতে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূজা অতিরিক্ত
মদ্যপানে মারা গেছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামে এক যুবককে দুটি খুঁটির সঙ্গে
বেঁধে গান গেয়ে পিটিয়ে মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিশ
সেকেন্ডের সে ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবককে উড়ালসড়কের নিচে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা
হয়েছে। এ সময় গান গেয়ে তাকে মারধর করতে দেখা যায় কয়েকজন তরুণকে।
তবে ঘটনাটি গত ১৪ আগস্টের হলেও সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায় গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে যুবককে মারধর
করা হয়, সে যুবকের নাম মো: শাহাদাত হোসেন (২৪)। তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পাঁচবাড়িয়া
গ্রামের ২নং নদনা ইউনিয়নের মিয়া জান ভুঁইয়া বাড়ির মৃত মোহাম্মদ হারুনের ছেলে। শাহাদাত
থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি এলাকার বয়লার কলোনিতে। তিনি নগরের
ফলমণ্ডির একটি দোকানে চাকরি করতেন।
তবে যে স্থানে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল
সেটি চট্টগ্রাম নগরীর আখতারুজ্জামান উড়াল সড়কের নিচে ২নং গেট মোড় এলাকায়। গত ১৪ আগস্ট
রাতে নগরে প্রবর্তক এলাকা থেকে পুলিশ শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন শাহাদাতের
চাচা মো: হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি
করা হয়। কিন্তু কেন এ হত্যাকাণ্ড কিংবা কার সঙ্গে বিরোধ, তা এজাহারে উল্লেখ নেই।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ আগস্ট রাতে প্রবর্তক
এলাকা থেকে ক্ষতবিক্ষত ও অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে
ওই ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা
তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার চাচা ফেসবুকে লাশের ছবি দেখে থানায় এসে মামলা করেন। তবে মারধরের
শিকার ব্যক্তি যে শাহাদাত, সেটি জানা গেছে তার স্ত্রীর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে
শনাক্ত করার পর।
মামলার এজাহারে নিহত শাহাদাতের চাচা
মো: হারুন উল্লেখ করেছেন, ১৩ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের
হন শাহাদাত। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফোন করলে কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় চলে আসবেন বলে তার
স্ত্রীকে জানান শাহাদাত। গভীর রাত পর্যন্ত স্বামী বাসায় ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করেন
স্ত্রী শারমিন। সে সময় শাহাদাতের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গেল ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকে
বাদী দেখতে পান, নগরের প্রবর্তক মোড়ের অদূরে বদনা শাহর মাজারের বিপরীতে সড়কের পাশে
তার ভাতিজা শাহাদাত হোসেনের মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে এদিন রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শাহাদাতের লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী শারমিন আক্তার
ও বাদী।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার
ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শাহাদাতের স্ত্রী মারধরের শিকার ব্যক্তি
শাহাদাত বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে যারা মারধর করছেন, তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে
সাতজন মাদক ব্যবসায়ীকে গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
আজ
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন জগমোহনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের
কাছ থেকে এক কেজি গাঁজা ও ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট
উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত
আসামীরা হলো: ১। কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন জগমোহনপুর এলাকার মোঃ জসিম উদ্দিন’র
ছেলে মোঃ মাসুদ রানা (২৪), ২। বুশতল এলাকার আবুল কাশেম’র ছেলে আব্দুল খালেক (১৯),৩।
২ নং বদরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম’র ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (২৭), ৪। বরুড়া থানাধীন দেওড়া
এলাকার আব্দুছ ছাত্তার’র ছেলে শরীফ হোসেন (৩৯), ৫। চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নারায়ণপুর এলাকার
ছায়েদ মিয়ার ছেলে মোঃ পারভেজ (৩৫),৬। কেছকী মোড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম‘র ছেলে মোঃ
নূর নবী (২৮),৭। বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন তেরকান্দা এলাকার মোঃ আনোয়ার হোসেন’র
ছেলে মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম (১৯)।
র্যাব জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ধৃত আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয় করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


একসঙ্গে সময় কাটতো দুই বন্ধুর। খেলাধুলা থেকে শুরু করে ঘোরাফেরা সবকিছুই চলতো একসঙ্গে। সেই দুই বন্ধুর একজন বড়াল নদে গোসলে নেমে তলিয়ে যাচ্ছিল; তা দেখে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয় অন্যজন। শেষ পর্যন্ত সেই নদে তলিয়ে একসঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে দুজনের।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা সদরের বড়াল নদের উৎসমুখের পাশেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- উপজেলার থানাপাড়ার “ইসরাফিল ইসলামের” ছেলে রিহান ইসলাম (১৭) ও সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে মাহিদ হোসেন (১৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিহান ও মাহিদ প্রায় প্রতিদিনই একসঙ্গে সময় কাটাত। সোমবারও অন্য দিনের মতো তারা কয়েক বন্ধুর সঙ্গে নদীর পাড়ে ফুটবল খেলা শেষে গোসল করতে নামে। বড়াল নদে বর্তমানে বেশিরভাগ জায়গায় পানি কম থাকলেও কিছু স্থানে গভীর গর্ত রয়েছে। গোসলের একপর্যায়ে রিহান গভীর পানিতে তলিয়ে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয় মাহিদ। কিন্তু এরপর তলিয়ে যায় দুজনই। সঙ্গে থাকা অন্যান্য বন্ধুরা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
সর্বশেষ দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। চারঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা “আরিফুল ইসলাম” বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই রওনা হয়েছিলাম। তবে ডুবুরি দল জেলা সদর স্টেশন থেকে আসায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা সময় লেগেছে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন


বগুড়া শহরের সাতমাথায় তিনতলা টেলিফোন ভবনটি বুয়েট কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) জানিয়েছে, ভবন স্থানান্তরের জন্য বগুড়া শহর ও উপজেলাগুলোতে তিন দিনের জন্য টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে।
বিটিসিএল এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (টেলিকমের) কার্যালয় থেকে টেলিফোন ও ইন্টারনেট বন্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ভবন থেকে সুইচ রুমের যাবতীয় যন্ত্রপাতি অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে। এ কারণে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা বগুড়া শহর, উপজেলাসমূহ এবং জয়পুরহাট জেলায় বিটিসিএল কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেতার ও গ্রন্থাগারে সংযোগকৃত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এ অফিসের আওতায় টেলিফোন (AGW) কপার ক্যাবলের মাধ্যমে দেয়া সংযোগ বগুড়া শহরে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি ঘোষিত এই সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানায় সংস্থাটি। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিটিসিএল।
মন্তব্য করুন


সাইদুর রহমান, কুমিল্লা :
কুমিল্লার
লালমাইয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সহায়তা, এতিমদের ঈদ উপহার ও বৃক্ষরোপণ
কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলা পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক
মো. আমিরুল কায়ছার।
সফরকালে
উপজেলার বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। সভায় জনগণের কাছে সরকারি সেবা সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ
করেন জেলা প্রশাসক।
মতবিনিময়
শেষে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ২৫ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৭৫,০০০
টাকা বিতরণ করেন তিনি। পাশাপাশি ৫০ জন দরিদ্র ব্যক্তির মাঝে খাদ্য সামগ্রী, এতিম শিশুদের
মাঝে ঈদ উপহার এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এদিন
নবনির্মিত লালমাই উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের হলরুমেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মো. আমিরুল
কায়ছার। পরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মন্তব্য করুন