কৃষিতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়ার
জন্য ২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে
সিআইপি'র সমমর্যাদায় Agricultural Important
Person এআইপি প্রবর্তন করেন সরকার।
২০২১ সালের এআইপি খেতাবে
ভূষিত হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার
আদমপুর গ্রামের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত
কৃষি পরিবেশ সমাজ উন্নয়ন সংগঠক, অধ্যাপক এম এ মতিন (মতিন সৈকত)।
২০২১ সালের পদকটি আগামী ৭
জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে মতিন সৈকত সহ অনান্য এআইপিদের
সন্মাননা সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
তিনি চার দশক ধরে কৃষি পরিবেশ
সমাজ উন্নয়নে বৈপ্লবিক অবদান রাখছেন। কৃষি উদ্ভাবন জাত/প্রযুক্তি বিভাগে মতিন সৈকত-কে
এআইপি সম্মাননা দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়।
এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে-
মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন
জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার
পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার, ব্যবসা/দাফতরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে
Letter of Introduction ইস্যু করবে, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি
হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার
সুবিধা পাবেন।
মতিন সৈকত একজন বহুমুখী সৃজনশীল
উদ্ভাবক-উদ্যোক্তা। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি
স্বরূপ তিনি ১৯৮৭ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির
অভিনন্দন পত্র পেয়েছেন। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ব্যাবহার এবং সম্প্রসারণে
অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ এবং ২০১৭ সালে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী মতিন সৈকত-কে দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাক্তিগত ক্যাটাগরিতে
২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে
মতিন সৈকত ছয়বার সরকারিভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন। বিষমুক্ত ফসল,
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মতিন সৈকত নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান
সৃষ্টিতে সমবায় ভিত্তিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মতিন সৈকত সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে তুলেন
আপুসি, আপুবি, বিসমিল্লাহ, আদমপুর আদর্শ মৎস্য চাষ প্রকল্প।
প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষে
দাউদকান্দি মডেল এবং নিরাপদ খাদ্য উপজেলা দাউদকান্দি মডেলের অন্যতম অংশীজন তিনি। সারাদেশে
বোরোধান উৎপাদন করতে সেচের পানির জন্য কৃষককে যখন ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা বিঘাপ্রতি সেচ
খরচ দিতে হয়। সেখানে মতিন সৈকত বিঘাপ্রতি এককালীন
মৌসুমব্যাপী মাত্র দুইশ টাকার বিনিময়ে ত্রিশ বছর যাবত বোরোধান লাগানো থেকে পাকা ধান
কাটা পর্যন্ত যার যতোবার সেচের পানির প্রয়োজন ততোবারই সেচের পানি সরবরাহ করে জাতীয়
দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন।
বোরোধানের জমিতে ধান উৎপাদনের
পাশাপাশি মৎস্য চাষ করে বিঘাপ্রতি ১০/ ১৫ হাজার
টাকা মুনাফা পাচ্ছেন কৃষক। মতিন সৈকতের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সরকার কালাডুমুর নদী পূনঃখনন
করে দিয়েছেন।
এছাড়া মতিন সৈকত খাল-নদী
পূনঃখনন জলাভূমি সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণী, পাখি
প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা
হয় -
তিনি নিজ এলাকা দাউদকান্দি কুমিল্লায় ২০০৬ সালে ১০,০০০ কৃষক নিয়ে আইপিএম-আইসিএম
ক্লাব গঠন করেন। তার এ উদ্যোগের ফলে ২০১৭ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দাউদকান্দি
উপজেলাকে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ
তিনি ২০১০ ও ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক এবং ২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
রোববার (১৪ জুলাই) জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রত্যয় স্কিম নিয়ে দেওয়া এক
নির্দেশনায় জানানো হয়েছে , সরকারি কর্মচারীদের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্ব-শাসিত,
স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের কর্মচারীরা নতুন কর্মচারী হিসেবে ১
জুলাই ২০২৫ সাল বা তার পরবর্তীসময়ে চাকরিতে যোগদান করবেন ,তারা বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন
পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন।
সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্ব-শাসিত,
স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরাও সরকারি
কর্মচারীদের মতো যারা নতুন কর্মচারী হিসেবে ১ জুলাই ২০২৫ সাল বা তৎপরবর্তী সময়ে চাকরিতে
যোগদান করবেন তারা বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই পেনশন
ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর আওতায় গত ১৭ আগস্ট
২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন।
মন্তব্য করুন
রাতের তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি দেশের কিছু কিছু জায়গায় টানা ৩দিন বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বির্স্তৃত।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
তাছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সারাদেশে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিয়ে করেছেন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
হাসনাতের একাধিক বন্ধু ও বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা একাধিক সমন্বয়ক বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসনাত বিয়ে করেছেন, এটি নিশ্চিত করে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন অ্যাকটিভিস্ট আব্দুল্লাহ হিল বাকী, সমন্বয়ক
তারিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদারসহ অনেকেই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক
সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম শনিবার সন্ধ্যায় হাসনাতের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে ঘরোয়া আয়োজনে হাসনাত আবদুল্লাহর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। হাসনাতের স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী।
সারজিস আলম হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে
ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফেসবুকে। তিনি লিখেছেন, আল্লাহ পৃথিবীতে আমাদের জন্য
যা দিয়েছেন তার সবই নেয়ামত। তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নেয়ামত হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী।
আজ থেকে তুমি তেমনই একজন স্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করছো।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬–১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক ছাত্র তিনি।
মন্তব্য করুন
মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে ।
তিন দিনব্যাপী এ বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগে তিনজন ও ইজতেমা শুরু হওয়ার পর একজন মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় চারজন মুসল্লি মারা গেলেন।
শুক্রবার ভোররাতে এখলাস উদ্দিন (৭০) নামে এক মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমা ময়দানে মারা যান যার বাড়ি নেত্রকোনা জেলা সদরে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ভোররাত ৩টা ১৫ মিনিটে ইজতেমা ময়দানে নির্দিষ্ট খিত্তায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এখলাস উদ্দিনকে টঙ্গী শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কুমরি বাজার গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৭০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬৫) নামে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক
মানের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরিতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনসকে (বিসিপিএস)
কার্যকরী ভূমিকা রাখার তাগিদ দিয়েছেন।
(২৪ জুন) সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড
সার্জনস (বিসিপিএস)-এর নির্বাহী কমিটির একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের সাক্ষাৎ এর বিষয়টি নিয়ে
ব্রিফ করে ।
প্রেস সচিব জানান, বিসিপিএস এর কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাতকালে বিসিপিএস-এর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব
দেন। তিনি বিসিপিএস এর একাডেমিক কার্যক্রম ও ডিগ্রি প্রদানের সার্বিক প্রক্রিয়া রাষ্ট্রপতিকে
জানান।
বিসিপিএস এর কার্যকরী ভূমিকা রাখা নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, চিকিৎসা মানুষের অন্যতম
মৌলিক অধিকার। তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানেও
দ্রুত পরিবর্তন আসছে। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার
পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ারও তাগিদ দেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি
করা গেলে চিকিৎসা সেবার জন্য বিদেশমুখীতার প্রবণতা কমবে। পাশাপাশি মূল্যবান বৈদেশিক
মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। জনগণও কম খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে।
অধ্যাপক সহিদুল্লা জানান, বিসিপিএস থেকে ইতোমধ্যে ৮ হাজার ৮১৫ জন চিকিৎসক ফেলাশিপ
(এফসিপিএস) এবং ৩ হাজার ৭৯১ জন চিকিৎসক মেম্বারশীপ (এমসিপিএস) লাভ করেছেন। বাঙালি জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৬ জুন রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে যুক্তরাজ্যের
রয়েল কলেজগুলোর আদলে বিসিপিএস প্রতিষ্ঠা করেন।
এই কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য
ভূমিকা রাখছে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের
সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিষয়টি ঝুলে থাকার কারণে এতে কোনো দেশেরই
লাভ হচ্ছে না বলে জানান তিনি। (খবর এনডিটিভির)
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে দেয়া
এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন ড. ইউনূস। ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে এ সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, আমি যদি জানি, আমি কতটুকু পানি পাব, সেটা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ
নিয়ে যদি আমি খুশি নাও হই, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়টি সমাধান হতেই হবে। কারণ
পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে বসে থাকার ফলে এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে অন্তর্বর্তী
সরকার ভারতকে চাপ দেবে কিনা- পিটিআইয়ের এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, চাপ শব্দটি অনেক
বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে
হবে।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে
গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর
ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তার রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা আরও বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন নতুন কোনো ইস্যু নয়, এটি অনেক পুরাতন ইস্যু।
বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার কথা বলেছি। এমনকি পাকিস্তান পিরিয়ডেও কথা হয়েছে। আমরা সবাই
চেয়েছি এটির সমাধান করতে, এমনকি ভারত সরকারও এর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের
সরকার এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমরা চাই এর সমাধান করতে। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের
পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মন্তব্য করুন
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড.
আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংবিধান সংশোধন করা হবে কিনা প্রশ্নে
তিনি বলেন, এ বিষয়ে অনেক দাবি আছে। কিন্তু আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো জবাব দিতে পারব না।
এটা আমার এখতিয়ারাধীন বিষয় না। আমরা উপদেষ্টা পরিষদে এ বিষয়ে আলোচনা করব।
মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কোনো
চেষ্টা করবেন কিনা, জানতে চাইলি তিনি বলেন, অবশ্যই চেষ্টা করব। একটা পুরোজাতির ভোটাধিকারকে
এমনভাবে প্রহসন করা! এ রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে সেই
অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া
হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে
আইন মন্ত্রণালয়কে যে সহযোগিতা করতে হয়, সেটা আমরা সম্পন্ন করেছি। এরইমধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ
আপিল বিভাগের বিচারপতিরা নিয়োগ পেয়েছেন।
আমরা এমন একজন প্রধান বিচারপতি পেয়েছি,
যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করেছেন। এখান থেকে আপনারা বুঝে নেবেন, আমরা
কীসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগ্যতা ও সততার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আগে যারা প্রধান বিচারপতি
ছিলেন, তাদের সিভি, আর বর্তমান প্রধান বিচারপতির সিভি তুলনা করলে বুঝতে পারবেন, আমরা
কীসের ওপর জোর দিচ্ছি,’ যোগ করেন আইন উপদেষ্টা।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার
না হলে জাতির কাছে আমরা দায়ী থাকব বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সাগর-রুনি হত্যার বিচার গতি পাবে কিনা;
জানতে চাইলে, উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই, আপনারা রাজপথে থেকে আমাদের চাপে রাখবেন। এই বিচার
না হলে জাতির কাছে আমরা দায়ী থাকব। আমি বিশ্বাস করতে পারি না, এমন একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড
নিয়ে কীভাবে প্রহসন করা হয়।
অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেকোনো অপরাধের বিচার করার ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য আমাদের আছে।
আমাদের দেশের ব্যাংক ও সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যাবে, এটা তো আমার-আপনার টাকা। সাবেক
সরকারের মন্ত্রীদের টাকা না। জনগণের টাকা যারা নিয়ে গেছেন, তাদের অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা
করা ও বিচারের সম্মুখীন করার জন্য যতটুকু করা দরকার, অবশ্যই আমরা করব।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মো. আলা উদ্দিন আল মামুন সব সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য পাঠানো নির্দেশনাটিতে আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তিত তারিখ পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।
নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন। তবে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা এলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে বা কমতে পারে।
চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাদের ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন , দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং কর্মকর্তা। মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেছে ।
মন্তব্য করুন
ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালামের ২৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে,আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব অনিয়মের তদন্ত করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রতি জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩০০ আসনের জন্য ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করল ইসি।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধানপূর্বক তৎমর্মে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে পাঠাবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে পাঠাবেন। এর পর তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে ০১(এক) জন বেঞ্চ সহকারী/ স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন।
এদিকে জেলা প্রশাসককে ইসি নির্দেশ দিয়েছে , কমিটির কর্মকর্তাদের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে সার্বক্ষণিকভাবে জিপগাড়ি বা মাইক্রোবাস বা স্পিডবোট এবং ক্ষেত্রমতো প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহের ব্যাবস্থা রাখার।
একইসঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তার স্বার্থে অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর ০২(দুই) জন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপারকেও নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার।
আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ফসল কাটার উৎসব ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বনবাসীদের সাথে বন বিভাগের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করা হবে। এলক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন বিধিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধনের কাজ চলছে। গারোদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আদিবাসী পরিষদ কাজ শুরু করেছে। মধুপুর বনের বিরোধপূর্ণ সীমানা চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে বনবাসীদের বাইরে রেখে কিছু করা হবে না। বালু দস্যু ও পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে ভূমি ও পানি মন্ত্রণালয় একসাথে কাজ করবে। ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিশেষ প্রতীক। এটি আমাদের সমাজে সম্প্রীতির শক্তি বাড়ায়। ওয়ানগালা প্রকৃতি ও মানবসমাজের সম্পর্কের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফসল কাটার এই সময় প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মুহূর্ত। আমাদের সকলের উচিত পরিবেশ সুরক্ষায় গারোদের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের যত্ন নেয়া।
ঢাকা ওয়ানগালা ২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে নকমা সীমান্ত চিসিম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এনবিআর সদস্য ফজলুল হক, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) নাফরিজা শায়মা, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কবি ও গবেষক পরাগ রিচিল, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি রেজিস্ট্রার মো. শাকির হোসেন, কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এর পরিচালক থিওফিল নকরেক, উন্নয়ন গবেষক ড. বাপন মানখিন, বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান, দ্য ক্রিশ্চিয়ান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন সভাপতি হেমন্টো করায়া প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা ওয়ানগালা উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
মন্তব্য করুন