সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ বিজয় আমার একার নয়, এ বিজয় জনগণের বিজয়।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটকে বিজয়ী করেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবনের অধিকারী হয়। আমরা সরকারে এসে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমি আর আমার ছোট বোন শেখ রেহানা বেঁচে যাই। আমরা ছয় বছর রিফিউজি ছিলাম। খুব কষ্টকর জীবন পার করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যারা নারী ধর্ষণ-লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করেছিল, যেখানে আমার মা-বাবার খুনিরা এবং যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়, ওই অবস্থায় দেশে ফিরে আসি আমি। আমার আসার একটাই লক্ষ্য ছিল- বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আর্থসমাজিক উন্নতি করা।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২৩ আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। এ জয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ দফা সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬১টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর অন্যান্য দল পেয়েছে ৩টি আসন।
মন্তব্য করুন
আমরা বিশ্বাস করি, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি। আমরা সেই তারুণ্যকেই স্মার্ট তরুণ সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়তে চাই। কারণ আমাদের লক্ষ্য আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবদিকে আজ বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবো। একটা স্মার্ট পপুলেশন, আমাদের সরকার হবে স্মার্ট, আমাদের ইকোনমি হবে স্মার্ট, আমাদের সমাজ হবে স্মার্ট।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় এ দেশের জনগণ যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে। আর আজকের তরুণরাই হবে ২০৪১ সালের সৈনিক। তারাই চালাবে এই দেশ। সেভাবেই নিজেদের তৈরি করে তুলতে হবে।
নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এবার প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছে তাদের আমি অনুরোধ করবো, নৌকা মার্কায় ভোট দিতে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাদারীপুরে আমাদের যারা প্রার্থী তাদের ভোট দেবেন। আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কারণ, নৌকাই উন্নয়ন, নৌকাই দেবে সব। নৌকা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। এই নৌকা নূহু নবীর নৌকা। যে নৌকা মহাপ্লাবন থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই নৌকাই বাংলাদেশের উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার।'
মন্তব্য করুন
শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশে বিশেষ করে মুখস্থ শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ মে) সকালে গণভবনে ডিজিটালভাবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪ এর ফল প্রকাশকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শুধু মুখস্থ বিদ্যা শিখবে না। একটা শিশুর ভেতর যে মেধা ও মনন থাকে তাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া। তার ওই মেধা দিয়েই যেন সে এগিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বাচ্চাদের হাতে খেলনার মাধ্যমেই অনেক কিছু তৈরি করা বা অনেক কিছু শেখার সুযোগ রয়েছে। তাদের জন্য ওই সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাদের কেবল বই দিয়ে বসিয়ে না রেখে খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া যেমন- ফ্লোরে যদি একটি মানচিত্র থাকে যেখানে মহাদেশ ও মহাসগর থাকল, সেখানে বাচ্চাদের শেখানো যে, একটা জায়গা থেকে আর একটা জায়গায় তোমরা লাফ দিয়ে যাও। তাহলে খেলতে খেলতেই সে ওই নামগুলোও জেনে যাবে। কাজেই খেলার মাধ্যমে তাদের শিক্ষা যেন প্রাথমিক পর্যায়ে আসে সেটা করে দেওয়া যায়। তা করলে আমার মনে হয়, তাদের কয়টি মহাদেশ আর মহাসাগর তা মুখস্থ করতে হবে না। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে সবসময় প্রচেষ্টা ছিল মানুষের মাঝে এই সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা, যেন তারা লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেয়। ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সাক্ষরতার হার যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি পাঠ্যক্রমে অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও আমি বলব, যদি কেউ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব তাদের স্কুলে পাঠানো এবং পড়াশোনা করানো। শুধু সাধারণ বিএ, এমএ পাস করবে তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সার্বিকভাবে শিক্ষিত হওয়ায় জন্য যা যা দরকার সে ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো শিক্ষা ব্যবস্থাই আমরা প্রবর্তন করতে চাই।
মন্তব্য করুন
দেশবাসী
ও বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পবিত্র
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার (১০ এপ্রিল) ভিডিও
বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান ।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের
মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ
সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি। ঈদুল ফিতর আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক সীমাহীন
আনন্দ, সুখ ও শান্তি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন। ঈদ মোবারক।
বৃহস্পতিবার
(১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার
(২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চুক্তি ও
সমঝোতা স্মারক সই হয়। কাতেরের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী।পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তিগুলো
হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক
বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।
বৈঠকে
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ফলে সৃষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এর বাইরে শ্রমশক্তি, বন্দর পরিচালন, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, কূটনৈতিক
প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
এদিকে
দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন
হামাদ আল থানির সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ
বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
সোমবার
(২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন
আজ রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সেনাবাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী যেখানে যাচ্ছে, সেখানেই আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও তারা অবদান রেখে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সেনাবাহিনীকে আধুনিক, স্মার্ট ও যোগ্য বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী যোগ্য হয়ে উঠুক, সেটিই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ‘টাইম ম্যাগাজিন’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশ করেছে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সত্তরোর্ধ্ব শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত এক নাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রখ্যাত সাংবাদিক চার্লি ক্যাম্পবেল প্রতিবেদনটি লিখেছেন। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফর করে গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেন ক্যাম্পবেল। সেই সাক্ষাৎকার ও সার্বিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি।
শেখ হাসিনাকে একজন বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি গত এক দশকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাপক উত্থান ঘটিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপির হার, মাথাপিছু আয়, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সমুদ্রসীমা জয়, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ, মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ১০ মেগা প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, তিনি ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড। এর আগেও তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সময়ের হস্তক্ষেপকারী সামরিক শক্তি এবং ইসলামপন্থিদের মোকাবিলা করে কৃতিত্বের সঙ্গে দীর্ঘ এই সময় তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিগত সময়ে শেখ হাসিনাকে ১৯ বার গুপ্তহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী শেখ হাসিনা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী এ কারণে যে, আমার দেশের জনগণ আমার সঙ্গে আছে। তারা আমার প্রধান শক্তি। ’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সদস্য নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ সর্বাগ্রে। দেশটি নিয়মিতভাবে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির শীর্ষ দেশও যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে রুশি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের নিন্দা জানানো কয়েকজন উন্নয়নশীল বিশ্বের নেতার একজন শেখ হাসিনা নিজেকে পশ্চিমাদের জন্য দরকারি প্রমাণ করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেনীতে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ল্যাপটপ বিতরণ করেছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের পিটিআই মাঠে জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর এ আয়োজন করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ফেনী ছাড়াও চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার মোট ৭৪৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীকে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনীর ২৪০ জন ছাড়াও লক্ষ্মীপুরে ২৬৫ ও চাঁদপুরে ২৪০ জন নারী রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, পুলিশ সুপার জাকির হাসান ও ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোস্তফা কামাল।
এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফেনীর চৈতি সাহা, লক্ষ্মীপুর জেলার ইসরাত জাহান তানজিনা ও চাঁদপুর জেলার সাবিহা জামান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বজয়ের হাতিয়ার একটি স্মার্ট ল্যাপটপ। প্রতিবছর ২০-২৫ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন। সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। সবাই ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে চলে যেতে পারবে না। তাহলে নিজের গ্রামে বসে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তরুণ-তরুণীদের ওপর নির্ভর করছে স্মার্ট বাংলাদেশ।
পলক আরও বলেন, দেশে যৌতুকপ্রথা ব্যাধি হয়ে উঠেছিল। ৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে নারী শিক্ষার প্রসার, যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখে। এক সময় প্রাইমারি স্কুলে অনেক বেশিপুরুষ শিক্ষক ছিলেন। এখন ৬০ শতাংশ নারী। প্রধানমন্ত্রীর অসংখ্য সিদ্ধান্তে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন অনেকে হাস্যরস করেছেন। ১৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি ২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছেন। আজ একটি ল্যাপটপ একজন তরুণীকে মাথা উঁচু করে থাকার প্রেরণা দেবে।
সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পিছিয়ে নেই। আজ যারা ল্যাপটপ পাচ্ছেন তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
এরপর প্রতিমন্ত্রী পলক পরশুরাম উপজেলার আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম কলেজ সংলগ্ন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করবেন।
দাগনভূঞা উপজেলা কো-অর্ডিনেটর আল ইমরান জানান, উইমেন আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার কোর্সে ছয় মাসব্যাপী ৮০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রশিক্ষণ শেষে অনলাইন ও অফলাইনে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি গণভবনে গিয়ে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।
রবিবার ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছান।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সালাম গ্রহণ করেন। এর আগে সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা সফিপুর আনসার একাডেমিতে সমবেত হন।
জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে বাহিনীর কর্মকর্তা, ব্যাটালিয়ন আনসার, সাধারণ আনসার, ভিডিপি-টিডিপি সদস্যদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন।
পদক বিতরণ, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, সংঘবদ্ধ মার্চ ও কুচকাওয়াজের পর অনুষ্ঠান শেষ হয়।
গাজীপুর জেলায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনর পর এই প্রথম গাজীপুর সফর। এই উপলক্ষে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরন করে নেয় জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বীবৃন্দ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সিনিয়র সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাজিম উদ্দিন, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট মো: নূরুল হাসান ফরিদী, বাহিনীর উপমহাপরিচালক, অন্যান্য কর্মকর্তা ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা। অপরদিকে কূটনৈতিক ব্যক্তি, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা আমন্ত্রিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন