বাংলাদেশে এ বছর তিন তিনটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ল - মোখা, হামুন ও মিধিলি।
আগামী ২৬ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা ২৯ নভেম্বরের মধ্যে নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিচাং সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু গবেষকরা জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা প্রবল ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা ঘনীভূত হয়ে আগামী তিন দিনে নিম্নচাপ ও পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি আগামী ২৬ নভেম্বর সৃষ্টি হতে পারে, যা ২৯ নভেম্বরের মধ্যে নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিচাং সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে আঘাত হানবে কি না, তা ঘূর্ণিঝড়ের গতি-প্রকৃতি দেখে পরবর্তীতে জানা যাবে। এই ঘূর্ণিঝড়টি বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড পথকস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেলের পূর্বাভাস বিশ্লেষণে এমন তথ্য দেখা গেছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী শনিবার থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী তিন দিন সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশ ও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এরপর ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে প্রাণহানি এবং বসতবাড়ি ও ফসলও নষ্ট হয়। তারপর গত ১৮ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি।’
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা চলছে। শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল পৌনে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে এই বিশেষ সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভার শুরুতে প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সূচনা বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এদিকে সকাল ৮টা থেকে সারা দেশ থেকে আসা নেতারা গণভবনের সামনে জড়ো হন এবং ৮:৩০ মিনিট থেকেই এক এক করে নেতারা গণভবনে প্রবেশ শুরু করেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী
মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ
সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার মহান মে দিবস ২০২৪
উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,আমি বাংলাদেশসহ
বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্বের অন্যান্য
দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মহান মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথাযথ
ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ২০৪১
সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে
শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতা, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, উন্নত কর্মপরিবেশসহ
শ্রমিকের সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে
শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত
করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই মে দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে দিনটিতে সরকারি ছুটি
ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং
শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা দেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ৬টি কোর কনভেনশনসহ
২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় যা ছিল
এক অনন্য মাইলফলক।
বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার
পাশাপাশি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্নপূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ
শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করা নিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন
বলেন, শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি ও যৌথ প্রয়াস
দেশের উন্নয়নকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, টেকসই শিল্প
ও বাণিজ্য খাত গড়তে বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের একাগ্রতা এবং শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক
সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের
সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জীবনমান উন্নয়ন
এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সকলে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সকলে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন
এ প্রত্যাশা করি।
রাষ্ট্রপতি মহান মে দিবস
২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।
১৮ নভেম্বর (শনিবার) সকালে
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি
কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেন, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা হয়। অনেক
আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা চাই
জনগণের এই ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে এবং ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে। আজকের
দিনে আমাদের আহ্বান অনেক কষ্টে অর্জিত এই গণতান্ত্রিক ধারা যেন কেউ ব্যাহত করতে না
পারে। ভোটের অধিকার,দেশবাসীর অধিকার। ভোট দিয়ে তারা তাদের পছন্দমতো নেতা নির্বাচন
করবে, যারা সংসদে বসবে,আইন পাস করবে,রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। নির্বাচন বানচাল করার
যদি কেউ চেষ্টা করে, অগ্নিসন্ত্রাস অব্যাহত রাখে এর পরিণতি ভালো হবে না।যারা
নির্বাচন বানচাল করতে চায়, অগ্নিসন্ত্রাস করে, মানুষকে পুড়িয়ে মারে। এত সুন্দর
রাস্তাঘাট, মেট্রো রেল থেকে শুরু করে থার্ড টার্মিনাল সবকিছু করে দিয়েছি; এগুলো
যারা ধ্বংস করতে যাবে আমি জনগণকে আহ্বান করব তাদের প্রতিরোধ করতে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, যে
সকল দল নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকুরী শেষে
ফেয়ারওয়েল আছে, আছে এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
কিন্তু যারা আল্লাহর ঘর মসজিদে খেদমতের কাজ করেন, দীর্ঘ দিন কাজ করার পরও তাদের
ভাগ্য জুটে না কোনো বিদায় সংবর্ধনা। তবে এবার স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ একই মসজিদে ৩৬ বছর খেদমত শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন
মুয়াজ্জিন পেলেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর
গ্রামের গুড়াগাজী বেপারী বাড়ি মসজিদে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জানা যায়, গুড়াগাজী জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন হুজুর। তিনি একই
মসজিদে একটানা ৩৬ বছর, ৩ যুগেরও অধিক সময় মুয়াজ্জিন হিসেবে খেদমত করে গেছেন। বয়স
এবং কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় দীঘ কর্মজীবন শেষে তিনি অবসর নেন। তার এই দীর্ঘ খেদমত
জীবনকে স্মরণীয় করতে রাখতে মসজিদ কমিটির পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠন মানবতা এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে এলাকার হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে তাদের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ
পঞ্চাশ হাজার টাকা সহ পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে মুয়াজ্জিনকে।
এই সময় হাজারো মুসল্লি কয়েকটি পিকআপভ্যান এবং ফুলসজ্জিত একটি মাইক্রোবাসে করে
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় পুরো গ্রাম ঘুরিয়ে নিজ বাড়ীতে
পৌঁছে দেন। এইদিকে একজন দীর্ঘদিন মসজিদে খেদমত জীবন শেষে এমন শুভেচ্ছার উদ্যোগকে
স্বাগত জানান এলাকার অনেক উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
একজন সাধারণ মুয়াজ্জিন হিসেবে এমন বিরল সম্মান পেয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে
আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুর।
অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদের উপদেষ্টা ও দৈনিক নয়াদিগন্তের নোয়াখালী
অফিস প্রধান মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম মানিক, স্থানীয় ইউপি
সদস্য জিল্লুর রহমান, সমাজ সেবক শরীফ উল্লাহ, সাংবাদিক মোঃ সুমন ভূঁইয়া,
মানবতা এক্সপেসের মনির হোসেন, মনসাদ আলম প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী জীবন শেষে
এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা সুযোগ-সুবিধা আছে। কিন্তু আল্লাহর ঘর
মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের জন্য এ সুবিধা না থাকলেও গুড়াগাজী জামে মসজিদের
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরের সম্মানজনক রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার এই উদ্যোগ
আগামীতে অন্যান্য মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের সম্মানে নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্য
বেড়েছে, যার প্রভাব আছে, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের, তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে গ্রামে
যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন, তাদের জন্য খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে
সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবিতে
যে লোকবল আছে, তা দিয়েই আমরা এখন মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আর সাধারণ মানুষের যাতে
কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা, দ্রব্যমূল্য
যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে পণ্যের প্রয়োজন, আমরা দেশে যেমন উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি,
তেমনি আমদানিও করে যাচ্ছি, যত টাকা-ই লাগুক। আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি, যার জন্য
আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। রিজার্ভে চাপ পড়লেও মানুষের কল্যাণই হলো সবচেয়ে বড় কথা।
সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। আমরা যে পারিবারিক কার্ড দিয়েছি, তাতে স্বল্পমূল্যে চালসহ
অন্যান্য পণ্য কেনারও সুযোগ করে দিয়েছি। আবার যারা আরও দরিদ্র, তাদের জন্য আরও কমমূল্যে
চাল বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। আবার যারা হতদরিদ্র, তাদের বিনামূল্যে চাল দিচ্ছি। টিসিবির
এখন যে জনশক্তি আছে, সেই জনশক্তি দিয়েই কিন্তু আমরা যথাযথভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে
সক্ষম হচ্ছি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক শুভেচ্ছাপত্রে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, এই দায়িত্ব পালনের প্রতিটি সাফল্যের জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শিপিং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বরত জাতিসংঘের সংস্থা হিসেবে আইএমও একটি নিরাপদ, সুরক্ষিত ও পরিবেশগতভাবে নিরাপদ শিপিং সেক্টরের পরিচালনায় সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে সহায়তায় কাজ করছে। মহাসাগরগুলোকে রক্ষা করতে এবং বিশ্বব্যাপী নির্ভরযোগ্য ও দক্ষতার সঙ্গে একটি টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খল পরিচালনায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তায় ব্যাপকভাবে নিয়োজিত রয়েছে আইএমও।
আইএমও মহাসচিব বাংলাদেশের সক্রিয় পদক্ষেপ, বিশেষ করে জাহাজের নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব রিসাইক্লিংয়ের জন্য হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশনে চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্র হতে এর সাম্প্রতিক উদ্যোগ ও সামুদ্রিক সুরক্ষার কথা উল্লেখ করেন। তিনি পরিবেশগত তত্ত্বাবধানের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সবসময়ই আইএমওর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, আমি নিশ্চিত যে আপনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আইএমও মহাসচিব আরো বলেন, এই প্রশংসনীয় পদক্ষেপ কেবল কনভেনশন কার্যকর করার ক্ষেত্রই সহজ করেনি, বরং আমাদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কার্যক্রমের প্রভাবশালী ফলাফলের ওপরও জোর দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের পদক্ষেপ অন্য দেশের জন্য আরও টেকসই সামুদ্রিক ভবিষ্যত তৈরির লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় যোগ দিতে উৎসাহিত করতে একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
সংস্থাটির মহাসচিব আরো উল্লেখ করেন, আইএমওর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছি ।
মন্তব্য করুন
দেশবাসী
ও বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পবিত্র
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার (১০ এপ্রিল) ভিডিও
বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান ।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের
মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ
সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি। ঈদুল ফিতর আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক সীমাহীন
আনন্দ, সুখ ও শান্তি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন। ঈদ মোবারক।
বৃহস্পতিবার
(১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে
চায় বাংলাদেশ, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত ।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি
সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’
উদ্বোধন শেষে দরবারে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক, আমরা
সেটা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি
সর্বদা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে যুদ্ধ করা হচ্ছে। সেজন্য দেশে
আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন ও
সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে
স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও
প্রশিক্ষিত হবে এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের
পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন
আসছে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে শুভ বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এমন নির্দেশনা দেন।
আইজিপি থার্টিফার্স্টে সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
পুলিশ প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সুযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার মনিটরিং ও প্যাট্রলিং বাড়ানো ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এছাড়া তিনি কক্সবাজারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেন।
পটকা, আতশবাজিসহ, ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের ন্যায় এবারও বড়দিন আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে।
সভায় র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, এটিইউর অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আতিকুল ইসলাম, পিবিআইর অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও এবং খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দারসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে যৌতুকবিহীন ৭২টি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
বিয়ে পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমায় যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর আম বায়নের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুরায়ে নিজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা।আজ বাদ আসর ৭২টি বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতের আগের দিন যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়। এ বছরও বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এবার ১৪২ জন নারী-পুরুষের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শুরায়ে নিজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
মন্তব্য করুন