কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
ভরা পর্যটন মৌসুমের পাশাপাশি আজ বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারির সরকারি ছুটি। বৃহস্পতিবার একদিন বিরতি দিয়ে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এজন্য কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে ঠাঁই নেই বললেই চলে। হোটেলে রুম না পেয়ে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে অনেক পর্যটক সৈকতে বা হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি জানান, কক্সবাজার সৈকতের নিকটবর্তী ৫ শতাধিক হোটেলে-মোটেলে কোনো রুম খালি নেই। হোটেলের কক্ষ খালি না পেয়ে অনেকে ছুটছেন শহরের দিকে।পর্যটন মৌসুমে বিনোদনপ্রেমিদের চাপ বাড়ায় প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশ।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অধিনায়ক আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ তৎপর আছে। পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে তিনটি বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দিকে জাতীয় জরুরিসেবা নম্বর ৯৯৯-এ এমন সংবাদ পাওয়া যায়। ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ বোমা পাওয়ার সংবাদে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম আজম বলেন, আনন্দ সিনেমা হলের সামনে বোমাসদৃশ বস্তু আছে। এমন সংবাদ পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। তিনটি বোমাসদৃশ বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে কাজ করছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা আসলেও সেই স্বাধীনতা ছিল অরক্ষিত। ২০২৪ সালের বিজয় আমাদের স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিয়েছে।
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৪ এর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশে জনগণ প্রকৃত বিজয়ের স্বাদ অনুভব করছে।
মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ফ্যাসিজম ও আধিপত্যবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক দমনপীড়ন ও গণহত্যা চালানোর ফলশ্রুতিতে সমগ্র দেশে দলমত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতা উত্তাল গণবিক্ষোভ করে এবং আন্দোলনের এক পর্যায়ে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি বিগত ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলা, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সচল রাখা এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত যাচনা করেন। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৮ আগস্ট তারিখে স্পেশাল রেফারেন্স নম্বর- ০১-২০২৪ দ্বারা মতামত প্রদান করেছে যে, ‘রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার নিমিত্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টা নিযুক্ত করতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি উক্তরূপে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণকে শপথ পাঠ করাতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি অনুসারে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও পরম অভিপ্রায়ের প্রেক্ষিতে, গণ-অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের রাষ্ট্র সংস্কার আকাঙ্ক্ষা পূরণের ও রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা, পদত্যাগ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে অন্তবর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে।
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এখন পর্যন্ত চলমান এইচএসসি ও সমমানের আটটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, তিন দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ২য় দফায় ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ৩য় দফায় ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। আগামী ৪ আগস্ট পরবর্তী পরীক্ষার তারিখ ছিল।
মন্তব্য করুন
৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে ইসির চিঠি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সারাদেশে ২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আর এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা উল্লিখিত সংখ্যার কম-বেশি করতে পারবেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন ১/২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
চিঠিতে ইসি আরো জানিয়েছে, ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের ২ দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। ওই সময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সংখ্যা হ্রাস করার প্রয়োজন হবে।
চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে উপরের বর্ণনা মোতাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ধরনের বিষয়ে চিঠিতে ইসি জানায়, প্রতি উপজেলায় ১ জন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় ২ জন, জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় ১ জন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে ২ জন। আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১১, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০, খুলনা সিটিতে ৬, গাজীপুর সিটিতে ৪ এবং অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ৩ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে চোখের যত্ন ও পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ ও সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের
প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকির সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চোখের যত্নের সেবা
সম্প্রসারণ করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আরা অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
আজ শুক্রবার (২২
নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হড, অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডেরেক বাংলাদেশ সফর করছেন। এখন চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলছে। ডেরেকে
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে অধ্যাপক ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
অরবিস বাংলাদেশের
কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় ডেরেকের সাথে
ছিলেন। অরবিস প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টাকে ফ্লাইং আই হাসপাতালের একটি মডেল সংস্করণ
উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ইউনূস এটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডেরেক অরবিস ইন্টারন্যাশনালের
কাজ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবিহিত করেন। অরবিস ১৯৮২ সালে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি-সংরক্ষণ
কর্মসূচি শুরু করেছিল। অরবিস গত ৩৯ বছর ধরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সাথে কাজ করছে।
ডেরেক বলেন, এই সময়ের
মধ্যে, অরবিস এ পর্যন্ত কমিউনিটি আউটরিচ ইভেন্টে ৭.৮ মিলিয়নেরও বেশি চোখের স্ক্রীনিং
পরিচালনা করেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তিকে ওষুধ ও
অপটিক্যাল চিকিৎসা প্রদান করেছে, ২৫৮,০০০টিরও বেশি চোখের সার্জারি করেছে এবং বাংলাদেশের
৪০ হাজারের বেশি লোককে চোখের যত্ন নেয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে
চক্ষু স্বাস্থ্য খাতে অরবিসের অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রতি
তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অরবিস এখন বাংলাদেশে ১১তম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা
করছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি
অরবিসকে ভালোবাসি। আমি ফ্লাইং আই হসপিটালকে ভালোবাসি।’ তিনি উলে¬খ করেন যে, অরবিস বাংলাদেশে
চোখের স্বাস্থ্য খাতে ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।
ডেরেক বলেন, অরবিস
ব্যক্তি, পরিবার ও জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বব্যাপী ২ শতাধিক দেশ ও ভূখণ্ডে
দৃষ্টি সংরক্ষণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় এক
বিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণভাবে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নিয়ে
বসবাস করছে উলে¬খ করে ডেরেক বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিস জোরদার ও টেকসই চোখের
যত্ন ব্যবস্থা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
অরবিস প্রেসিডেন্ট বলেন, অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, গত চার
দশক ধরে অরবিস শিশুদের চোখের যত্ন, মাইক্রোসার্জারি, রেটিনাল সার্জারি, কর্নিয়ার রোগ,
প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের
স্থানীয় অংশীদারদের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
ডেরেক এ সময় প্রধান
উপদেষ্টাকে আরো অবিহিত করেন যে, অরবিস সারা দেশে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ৪২টি দৃষ্টি
সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে চোখের যত্নের সাথে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করেছে; ১৭টি সেকেন্ডারি
হাসপাতাল, চারটি তৃতীয় হাসপাতাল, দুটি ওয়েট ল্যাব, একটি মানসম্পন্ন রিসোর্স সেন্টার
ও একটি ডিজিটাল ট্রেনিং হাব প্রতিষ্ঠা বা উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
দিবস উপলক্ষে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
সোমবার
(১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদ দিবস
ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের
তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি
কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার এলাকা জুড়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা
ব্যবস্থা রয়েছে। ফুট পেট্রোলিং, ড্রোন পেট্রোলিং, মোবাইল পেট্রোলিং এবং সাইবার পেট্রোলিংয়ের
মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুঁকির কোনো
তথ্য নেই। তারপরও পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিয়েছে। একুশে বইমেলায় আমাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে একটি
কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে, সিসি ক্যামেরার দিয়ে, সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট, সিকিউরিটি ইউনিট
সব সেখানে কাজ করছে। আর যে ছোটখাটো ব্যবস্থাগুলো হচ্ছে সেগুলো বইমেলা কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিকভাবে
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ সব সময়
সেখানে প্রস্তুত রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই মানুষজন এখানে আসবেন। যানজট নিয়ন্ত্রণের
জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শহীদ মিনার এলাকায় কিছু কিছু গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে৷
আমরা লিখিতভাবে জানিয়ে দেব। সাধারণত পলাশীর মোড় থেকে এখানে আসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই এলাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলো দেওয়া হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা সেটি
জানিয়ে দিয়েছি। এখানে আমাদের একটি ম্যাপ তৈরি করে দেওয়া আছে। যারা আসবেন তাদের প্রতি
আমাদের অনুরোধ, শৃঙ্খলা মেনে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এখানে রেখে আসবেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন
মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম
সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার কোনো উন্নয়ন কাজ বন্ধ করেনি, করবেও না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুইদিনের
বিশেষ সফরে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন,
অনেকেই মনে করেছিলেন কী না কী হয়, প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা কোনো কাজ
বন্ধ করিনি। অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো প্রকল্প গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশ সরকার বিদেশ থেকে যেসব পণ্য
আমদানি করে, তার মধ্যে থেকে ২০-৩০ শতাংশ পায়রা বন্দরের মাধ্যমে করা যায় কি না, সে বিষয়ে
পদক্ষেপ নিতে হবে। তা করতে পারলে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের চাপ কমবে। পায়রা সমুদ্র
বন্দরে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে, সেগুলো নিজস্ব গতিতেই চলবে। এছাড়া বন্দরের সার্বিক
উন্নয়ন এবং অগ্রগতির বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ
দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভ।
আজ বুধবার (অক্টোবর ২৩) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয় এবং সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রধান পয়েন্টগুলো নিয়ে আলাপ করেন।
হেলেন লাফেভ প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন,
আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের
সংস্কার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে ছয়টি
প্রধান সংস্কার কমিশন তাদের কাজ শুরু করেছে এবং তারা অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে
পরামর্শ করছেন।
মন্তব্য করুন
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, আমরা আশ্বস্ত করতে চাই - এই দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না।
সোমবার (১ জুলাই) গুলশানে
দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে ‘হলি আর্টিজান’-এ জঙ্গি হামলায়
নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন
র্যাব মহাপরিচালক।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম থেকে তিনজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিকই জঙ্গিদের বিষয়ে নজরদারি করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিরা এক সময় নানা প্রচারণা করার চেষ্টা করেছে। জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেছে এক সময়। আমরা কিন্তু এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে আমাদের নজরদারি রয়েছে। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই - এই দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না। ২০১৬ সালের এই দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। এ ঘটনায় বিদেশি নাগরিকসহ পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন। এর পরবর্তীতে র্যাব ও পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করতে র্যাব ও পুলিশ সক্ষম হয়েছে। অনেক জঙ্গিকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এখন নিরাপদ একটি দেশে।
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, র্যাব সূচনালগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদের বিষয়ে র্যাবের নজরদারি রয়েছে। র্যাব এখন একটি আধুনিক এবং পেশাদার বাহিনী। ভবিষ্যতেও এদেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ এদেশে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। র্যাবের সেই সক্ষমতা আছে।
মন্তব্য করুন